ভারতবর্ষের প্রাগিতিহাস – দিলীপকুমার চক্রবর্তী
প্রধান সম্পাদক: অশীন দাশগুপ্ত
সহযোগী সম্পাদক: সুভাষরঞ্জন চক্রবর্তী
.
মুর্শিদাবাদ জেলার মধুপুর গ্রামের
বন্ধুবর শ্রীঅরুণকুমার দাসের করকমলে
এই ক্ষুদ্র গ্রন্থটি সমর্পিত হল
.
ভূমিকা
এই পুস্তকে প্রত্নতত্ত্বের দৃষ্টিতে ভারতবর্ষের গোড়ার ইতিহাস বিশ্লেষিত হয়েছে। লিখিত উপাদান বাদ দিয়েও যে ভারতবর্ষ ভূখণ্ডের একটি সুসংবদ্ধ ঐতিহাসিক চিত্র রচনা করা যেতে পারে বর্তমান পুস্তকটি তার প্রমাণ। অনেক জায়গায় প্রচলিত মতের সঙ্গে নাও মিলতে পারে, তবে এই গ্রন্থের তথ্য এবং মত নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনও কারণ নেই। যাঁরা মনে করেন যে, প্রাচীন ইতিহাস, বা কোনও ইতিহাসই শুধু পণ্ডিতদের রচনায় নেই, আমাদেরই চারপাশে তার ধারা বইছে, তাঁরা এই বই পড়ে উৎসাহিত হবেন।
‘ইতিহাস গ্রন্থমালা’র জন্য আমাকে এই বই লিখতে বলার জন্য অধ্যাপক অশীন দাশগুপ্তের প্রতি আমার কৃতজ্ঞতা অসীম। এই বই সম্পাদনা, পরিমার্জনা ও ছাপানোর দায়িত্ব নেওয়ার জন্য অধ্যাপক সুভাষরঞ্জন চক্রবর্তী আমার বিশেষ ধন্যবাদার্হ। যে হস্তলিপিতে লেখা পাণ্ডুলিপি ওঁকে পড়তে হয়েছে তা ভাবলে খুবই লজ্জিত হই।
অনুজসম ডক্টর জয়ন্ত সেনগুপ্তের প্রেরণা না পেলে রুজিরোজগারের জালে হয়তো এই বই লেখা ধামাচাপা পড়ে যেত। ওঁকে অনেক ধন্যবাদ।
প্রত্নতত্ত্ব চর্চা এবং সাধারণ শিক্ষা উপলক্ষে আমার প্রথম জীবনে কয়েকজনের কাছে অনুপ্রেরণা পেয়েছি। কখনও তাঁদের কাছে ঋণ স্বীকার করা হয়নি। এখন করছি: শ্রী সুনীল মিত্র (চাকদহ), ৺রঘুবীর চক্রবর্তী (হুগলী মহসীন কলেজ), ৺এ ডাবলু মামুদ (হুগলী মহসীন কলেজ), দিলীপকুমার বিশ্বাস (প্রেসিডেন্সি কলেজ), ৺অমলেশ ত্রিপাঠী (প্রেসিডেন্সি কলেজ), অমিতা রায় (কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়), ৺অশোক কুমার ঘোষ (কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়)।
বন্ধুদের ভেতর যাঁদের কাছ থেকে প্রত্নতত্ত্ব চর্চায় দীর্ঘদিন সমর্থন পেয়েছি তাঁরা, সুনীতি কুমার চক্রবর্তী, সমীর গুপ্ত, সুদীপ কুমার ঘোষ, প্রসেনজিৎ চৌধুরী ও নিরঞ্জন গোস্বামী।
এই বই পড়ে যদি কোনও বালক-বালিকা ‘গলগলি’ ফুল ফোটা ডাঙায়, কি মোষ-চরা বিস্তৃত টাঁড়ে, কি নদীর ধারে প্রাগিতিহাস অনুসন্ধানে উৎসাহী হয়, তবেই আমার এই ক্ষুদ্র বিবরণ সার্থক হবে।
দিলীপকুমার চক্রবর্তী
জুন, ১৯৯৮
Leave a Reply