• Skip to main content
  • Skip to header right navigation
  • Skip to site footer

Bangla Library

Read Bengali Books Online (বাংলা বই পড়ুন)

  • সব বই
  • লেখক
  • সিরিজ
  • বইয়ের ধরণ
  • Login/Register
  • My Account →
  • সব বই
  • লেখক
  • সিরিজ
  • বইয়ের ধরণ
  • Login/Register
  • My Account →
  • বাংলা ডিকশনারি
  • বাংলা কৌতুক
  • বাংলা লিরিক্স
  • বাংলা রেসিপি
  • হেলথ টিপস এন্ড নিউজ

বাংলা নতুন/পুরাতন বইয়ের পিডিএফ ডাউনলোড/সন্ধান করতে আমাদের বাংলা পিফিএফ সাইটে ক্লিক করুন।

Bangla PDF

ঠাকুরমার ঝুলি – দক্ষিণারঞ্জন মিত্র মজুমদার

লাইব্রেরি » দক্ষিণারঞ্জন মিত্র মজুমদার » ঠাকুরমার ঝুলি – দক্ষিণারঞ্জন মিত্র মজুমদার

ঠাকুরমার ঝুলি – দক্ষিণারঞ্জন মিত্র মজুমদার

ঠাকুরমার ঝুলি – দক্ষিণারঞ্জন মিত্র মজুমদার

.

ভূমিকা

ঠাকুরমার ঝুলিটির মত এত বড় স্বদেশী জিনিস আমাদের দেশে আর কি আছে? কিন্তু হায় এই মোহন ঝুলিটিও ইদানীং ম্যাঞ্চেস্টারের কল হইতে তৈরী হইয়া আসিতেছিল। এখনকার কালে বিলাতের “Fairy Tales” আমাদের ছেলেদের একমাত্র গতি হইয়া উঠিবার উপক্রম করিয়াছে। স্বদেশের দিদিমা কোম্পানী একেবারে দেউলে’। তাঁদের ঝুলি ঝাড়া দিলে কোন কোন স্থলে মার্টিনের এথিকস এবং বার্কের ফরাসী বিপ্লবের নোটবই বাহির হইয়া পড়িতে পারে, কিন্তুু কোথায় গেল-রাজপুত্র পাত্তরের পুত্র, কোথায় বেঙ্গমা-বেঙ্গমী, কোথায়-সাত সমুদ্র তেরো নদী পারের সাত রাজার ধন মাণিক!

পাল পার্বণ যাত্রা গান কথকতা এ সমস্তও ক্রমে মরানদীর মত শুকাইয়া আসাতে, বাংলাদেশের পল্লীগ্রামে যেখানে রসের প্রবাহ নানা শাখায় বহিত, যেখানে শুস্ক বালু বাহির হইয়া পড়িয়াছে। ইহাতে বয়স্কলোকদের মন কঠিন স্বার্থপর এবং বিকৃত হইবার উপক্রম হইতেছে। তাহাদের সায়ংকালীন শয্যাতল এমন নীরব কেন? তাহাদের পড়াঘরের কেরোসিন্-দীপ্ত টেবিলের ধারে যে গুঞ্জনধ্বনি শুনা যায় তাহাতে কেবল বিলাতী বানান-বহির বিভীষিকা। মাতৃদুগ্ধ একেবারে ছাড়াইয়া লইয়া কেবলি ছোলার ছাতু খাওয়াইয়া মানুস করিলে ছেলে কি বাচেঁ!

কেবলি বইয়ে কথা! স্নেহময়ীদের মুখের কথা কোথায় গেল! দেশলক্ষ্মীর বুকের কথা কোথায়!

এই যে আমাদের দেশের রূপকথা বহুযুগের বাঙ্গালিবালকের চিত্তেেত্রর উপর দিয়া অশ্রান্ত বহিয়া কত বিপ্লব, কত রাজ্য পরিবর্তনের মাঝখান দিয়া অুণ্ন চলিয়া আসিয়াছে, ইহার উৎস সমস্ত বাংলাদেশের মাতৃস্নেহের মধ্যে। যে স্নেহ দেশের রাজ্যেশ্বর রাজা হইতে দীনতম কৃষককে পর্যন্ত বুকে করিয়া মানুষ করিয়াছে, সকলকেই শুক সন্ধ্যায় আকাশে চাঁদ দেখাইয়া ভুলাইয়াছে এবং ঘুমপাড়ানি গানে শান্ত করিয়াছে, নিখিল রঙ্গদেশের সেই চির পুরাতন গভীরতম স্নেহ হইতে এই রূপকথা উৎসারিত।

অতএব বাঙ্গালির ছেলে যখন রূপকথা শোনে কেবল যে গল্প শুনিয়া সুখী হয়, তাহা নহে-সমস্ত বাংলাদেশের চিরন্তন স্নেহের সুরটি তাহার তরুণ চিত্তের মধ্যে প্রবেশ করিয়া, তাহাকে যেন বাঙলার রসে রসাইয়া লয়।

দক্ষিণারঞ্জনবাবুর ঠাকুরমার ঝুলি বইখানি পাইয়া, তাহা খুলিতে ভয় হইতেছিল। আমার সন্দেহ ছিল, আধুনিক বাংলার কড়া ইস্পাতের মুখে এ সুরটা পাছে বাদ পড়ে। এখনকার কেতাবী ভাষায় এ সুরটি বজায় রাখা বড় শক্ত। আমি হইলে ত এ কাজ সাহসই করিতাম না। ইতঃপূর্বে কোন কোন গল্পকুশলা অথচ শিক্ষিতা মেয়েকে দিয়া আমি রূপকথা লিখাইয়া লইবার চেষ্টা করিয়াছি- কিন্তু হউক মেয়েলি হাত, তবুও বিলাতী কলমের যাদুতে রুপকথায় কথাটুকু থাকিলেও সেই রুপটি ঠিক থাকে না; সেই চিরকালের সামগ্রী এখনকার কালের হইয়া উঠে।

কিন্তু দক্ষিণাবাবুকে ধন্য। তিনি ঠাকুরমা’র মুখের কথাকে ছাপার অরে তুলিয়া পুঁতিয়াছেন তবু তাহার পাতাগুলি প্রায় তেমনি সবুজ, তেমনি তাজাই রহিয়াছে; রূপকথার সেই বিশেষ ভাষা, বিশেষ রীতি, তাহার সেই প্রাচীন সরলতাটুকু তিনি যে এতটা দূর রা করিতে পারিয়াছেন, ইহাতে তাহার সূক্ষ্ম রসবোধ ও স্বাভাবিক কলানৈপুন্য প্রকাশ পাইয়াছে।

এক্ষণে আমার প্রস্তাব এই যে, বাংলাদেশের আধুনিক দিদিমাদের জন্য অবিলম্বে একটা স্কুল খোলা হউক এবং দক্ষিণাবাবুর এই বইখানি অবলম্বন করিয়া শিশু-শয়ন রাজ্যে পুর্নবার তাঁহার নিজেদের গৌরবের স্থান অধিকার করিয়া বিরাজ করিতে থাকুন।

শ্রী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
বোলপুর, ২০ ভাদ্র, ১৩১৪

.

গ্রন্থকারের নিবেদন

একদিনের কথা মনে পড়ে, দেবালয়ে আরতির বাজনা বাজিয়া বাজিয়া থামিয়া গিয়াছে, মা’র আঁচলখানির উপর শুইয়া রুপকথা শুনিতেছিলাম।

“জ্যোচ্ছনা ফুল ফুটেছে”; মা’র মুখের এক একটি কথায় সেই আকাশনিখিল ভরা জ্যোৎস্নার রাজ্যে, জ্যোৎস্নার সেই নির্মল শুভ্র পটখানির উপর পলে পলে কত বিশাল “রাজ-রাজত্ব”, কত “অছিন্ অভিন্” রাজপুরী, কত চিরসুন্দর রাজপুত্র রাজকন্যার অবর্ণনীয় ছবি আমার শৈশব চুর সামনে সত্য কারটির মত হইয়া ফুটিয়া উঠিয়াছিল।

সে যেন কেমন- কতই সুন্দর! পড়ার বইখানি হাতে নিতে নিতে ঘুম পাইত; কিন্তু সেই রুপকথা তারপর তারপর তারপর করিয়া কত রাত জাগাইয়াছে! তারপর শুনিতে শুনিতে শুনিতে শুনিতে চোখ বুজিয়া আসিত;- সেই অজানা রাজ্যের সেই অচেনা রাজপুত্র সেই সাতসমুদ্র তের নদীর ঢেউ ক্ষুদ্র বুকখানির মধ্যে স্বপ্নের ঘোরে খেলিয়া বেড়াইত, আমার মত দুরন্ত শিশু!- শান্ত হইয়া ঘুমাইয়া পড়িতাম।

বাঙ্গালার শ্যামপল্লীর কোণে কোণে এমনি আনন্দ ছিল, এমনি আবেশ ছিল। মা আমার অফুরণ রুপকথা বলিতেন।-জানিতেন বলিলে ভুল হয়, ঘর-কন্নায় রুপকথা যেন জাড়ানো ছিল; এমন গৃহিনী ছিলেন না যিনি রুপকথা জানিতেন না,- না জানিলে যেন লজ্জার কথা ছিল। কিন্ত এত শীঘ্র সেই সোনা-রূপার কাঠি কে নিল, আজ মনে হয়, আর ঘরের শিশু তেমন করিয়া জাগে না তেমন করিয়া ঘুম পাড়ে না!

বঙ্গীয় সাহিত্য-পরিষদ বাঙ্গালিকে এক অতি মহাব্রতে দীতি করিয়াছেন; হারানো সুরের মনিরত্ন মাতৃভাষার ভান্ডারে উপহার দিবার যে অতুল প্রেরণা, তাহা মূল ঝরনা হইতেই জাগরিত হইয়া উঠিয়াছে দেশজননীর স্নেহধারা-এই-বাঙ্গালার রুপকথা।

মা’র মখের অমৃত-কথার শুধু রেশগুলি মনে ভাসিত; পরে কয়েকটি পল্লীগ্রামের বৃদ্ধার মুখে আবার যাহা শুনিতে শুনিতে শিশুর মত হইতে হইয়াছিল, সে সব ক্ষীণ বিচ্ছিন্ন কঙ্কালের উপরে প্রায় এক যুগের শ্রমের ভূমিতে এই

ফুলমন্দির রচিত। বুকের ভাষার কচি পাপড়িতে সুরের গন্ধের আসন : কেমন হইয়াছে বলিতে পারি না।

অবশেষে বসিয়া বসিয়া ছবিগুলি আঁকিয়াছি। যাঁদের কাছে দিতেছি, তাঁহারা ছবি দেখিয়া হাসিলে, জানিলাম আঁকা ঠিক হইয়াছে।

শরতের ভোরে ঝুলিটি আমি সোনার হাটের মাঝখানে আনিয়া দিলাম।

আমার মা’র মতন মা বাঙ্গালার ঘরে ঘরে আবার দেখিতে পাই! যাদের কাজ তাঁরা আবার আপন হাতে তুলিয়া নেন।

যেমন চাহিয়াছিলাম, হয়তো হয় নাই; কিন্ত বই যে সত্বরে প্রকাশিত হইল, ইহার ব্যবস্থায় “বঙ্গভাষা ও সাহিত্য”র আমার অগ্রজ-প্রতিম সুহৃদ্বর শ্রদ্ধেয় শ্রীযুক্ত দীনেশচন্দ্র সেন মহাশয়ই অগ্রনী। তাঁহার আদরের ‘ঝুলি’ তাঁহার ঋণ শোধ করিতে পারিবে না।

আমার ছোট বোন্টি অনেক খুঁটিনাটিতে সাহয্য করিয়াছে। প্রিয় বন্ধু শ্রীযুক্ত বিমলাকান্ত সেন মুদ্রণাদিতে প্রাণপাতে আমার জন্য খাটিয়াছেন। তাঁহার নিকট কৃতজ্ঞতার, ভাষা নাই।

জ্যোৎস্নাবিধৌত স্নিগ্ধ সন্ধ্যায় আরতির বাদ্য বাজিয়াছে। এ সুলগ্নে যাঁদের ঝুলি, তাঁদের কাছে দিয়া-বিদায় লইলাম।

দক্ষিণারঞ্জন মিত্র মজুমদার।
কলকাতা, প্রথম সংস্করণ, ১৩১৪ বাং

.

উৎসর্গ

নীল আকাশে সূয্যিমামা ঝলক দিয়েছে,
সবুজ মাঠে নতুন পাতা গজিয়ে উঠেছে,
পালিয়ে ছিল সোনার টিয়ে ফিরে এসেছে,
ক্ষীর নদীটির পারে খোকন হাস্‌তে লেগেছে,
হাসতে লেগেছে রে খোকন নাচ্‌তে লেগেছে,
মায়ের কোলে চাঁদের হাট ভেঙ্গে পড়েছে।

Book Content

ঠাকুরমা’র ঝুলি
দুধের সাগর
ঘুমন্ত পুরী
কাঁকণমালা, কাঞ্চনমালা
সাত ভাই চম্পা
শীত বসন্ত
কিরণমালা
রূপ-তরাসী
নীলকমল আর লালকমল
লেখক: দক্ষিণারঞ্জন মিত্র মজুমদার

Reader Interactions

Comments

  1. Tulika Paul

    April 4, 2025 at 8:55 pm

    এখানে কার্তিক ঘোষের “সেরা রূপকথার গল্প” বইটি নেই কেনো ? এই বইটিতেও খুব সুন্দর সুন্দর অনেক গল্প আছে, যা বাচ্চা থেকে বয়স্ক সবারই ভালো লাগবে।

    Reply
    • বাংলা লাইব্রেরি

      April 5, 2025 at 10:55 am

      সব বই তো দেয়া সম্ভব নয়। আবার এমন অনেক বই আছে, আমরা হয়তো নামই জানি না। আপনারা বললে আমরা খুঁজে পেলে দেয়ার চেষ্টা করি। এই বইটাও খুঁজে দেখব। ধন্যবাদ।

      Reply

Leave a Reply to Tulika Paul Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ডিকশনারি

কৌতু্ক / জোকস

লিরিক

রেসিপি

বিবিধ রচনা

হেলথ

Download PDF


My Account

Facebook

top↑

Login
Accessing this book requires a login. Please enter your credentials below!

Continue with Google
Lost Your Password?
egb-logo
Register
Don't have an account? Register one!
Register an Account

Continue with Google

Registration confirmation will be emailed to you.