ঋজুদা সমগ্র ৩ – বুদ্ধদেব গুহ
ঋজুদা সমগ্র ৩ – বুদ্ধদেব গুহ
প্রথম সংস্করণ জানুয়ারি ২০০০
প্রচ্ছদ – সুব্রত গঙ্গোপাধ্যায়
রাহুল মিত্র
কল্যাণীয়েসু
.
ভূমিকা
শ্রীনীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী আনন্দমেলার জন্মলগ্ন থেকে এই পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন। উনি আমাকে দিয়ে ঋজুদার নানা অ্যাডভেঞ্চার এবং গোয়েন্দা কাহিনী লিখিয়ে নেন। পরবর্তী সময়ে আনন্দমেলা ছাড়াও অন্যান্য বহু কাগজে ঋজুদার কাহিনী লিখি। ঋজুদার জনপ্রিয়তার কারণ ছাড়াও ঋজুদার লেখা লিখতে আমার খুব ভাল লাগে বলেই আমি প্রতি বছরই এক বা একাধিক ঋজুদা কাহিনী লিখি।
‘কাঙ্গপোকপি’র পটভূমি মণিপুর, নাগাল্যান্ড এবং মায়নামারও। পঞ্চাশের দশক থেকেই ও সব অঞ্চলে যাওয়ার সুযোগ আমার হয়েছিল বহুবার। ‘বাবলি’ উপন্যাসটি এবং দু-একটি ছোটগল্প ওই পটভূমিতে লেখা ছাড়া অন্য কিছুই লিখিনি। ‘কাঙ্গপোকপি’ একটি নাগা শব্দ। এর মানে, মশার জন্মস্থান। এই নামে মণিপুর ও নাগাল্যান্ডের সীমান্তে একটি জায়গা আছে। কাঙ্গপোকপি একটি গোয়েন্দা-উপন্যাস।
‘ঋজুদার সঙ্গে স্যেশেলসে’-ও একটি গোয়েন্দা উপন্যাস। এর পটভূমি ভারত মহাসাগরের স্যেশেলস আইসল্যান্ডস। এই দ্বীপপুঞ্জর এলাকা এতই ছোট যে মানচিত্রে তা খুঁজে বের করাই মুশকিল। উনিশশো ঊনআশি খ্রিস্টাব্দে আফ্রিকা থেকে ফেরার সময়ে ওই দ্বীপপুঞ্জে আমি ছিলাম সপ্তাহখানেক। এই উপন্যাসটিও গোয়েন্দা উপন্যাস।
এ দুটি গোয়েন্দা উপন্যাস ছাড়াও আরও একটি গোয়েন্দা উপন্যাস আছে এতে, ‘ঋজুদার সঙ্গে ম্যাকক্লাস্কিগঞ্জে’। কানাডার এক মুজ শিকারি সেখানে তার এক পরিচিতকে খুন করে পালিয়ে আসে দেশ থেকে। সেই খুনিই এই উপন্যাসের সূত্রপাত।
ঋজুদার কোনও কাহিনীই শিশুপাঠ্য ঠিক নয়। কিশোর এবং তাদের দাদা দিদি এবং মা-বাবাদেরও খুবই প্রিয় এই ঋজুদা-কাহিনীগুলি। অসমবয়সীদের কাছ থেকে অগণ্য চিঠি পাই বলেই এ কথা জানি।
আশা করি ঋজুদা সমগ্রর তৃতীয় খণ্ডও আপনাদের ভাল লাগবে। যদি একটি লেখাও খারাপ লাগে তবে দয়া করে নির্দ্বিধায় আমাকে খারাপ লাগার কারণ উল্লেখ করে চিঠি দিলে খুব খুশি হব। সময় থাকলে, বলতে পারি যে, উত্তরও দেব।
ইতি প্রীতিধন্য লেখক
পোস্ট বক্স নাম্বার ১০২৭৬
কলকাতা ৭০০ ০১৯
Leave a Reply