আপেক্ষিক মূল্যায়নে রামায়ণ ও মহাভারত – সুকুমারী ভট্টাচার্য
দু’টি কথা
রামায়ণ আকৃতিতে অনেক ছোট। মহাভারতের এক-চতুর্থাশেরও কম। কাজেই এটা পড়ে শেষ করা এবং রসগ্রহণ করাও কম সময়সাপেক্ষ। তা ছাড়া সাধারণ পারিবারিক সমস্যা বাদ দিলে থাকে যুদ্ধ। এই যুদ্ধে সত্যকার জটিলতা খুব কম, ফলে এর রসগ্রহণ করা আপেক্ষাকৃত সহজ। চিরদিনই মানুষ সহজ পেলে কঠিনকে বর্জন করে; এখানেও কতকটা সেই ব্যাপারই ঘটেছে। যাকে সহজ বুঝি তা যেমন সহজে জীবনের অঙ্গাঙ্গী অংশ হয়ে ওঠে, কঠিন তা হয় না। সে দাবি করে ঐকান্তিক মনোযোগ এবং একনিষ্ঠ চিন্তা। মহাভারতের এই দাবিই তাকে দুরূহতর করেছে। কিন্তু, যে যথাযথ আগ্রহ ও নিষ্ঠায় অন্তর দিয়ে, মহাভারতের মূল সন্ধান করে সে পায় বেশি। জীবননিষ্ঠ জীবনবোধ। মহাভারত এই কারণে মহত্তর। বর্তমান প্রবন্ধটিতে ভারতের দুই মহাকাব্য— রামায়ণ ও মহাভারতের, যথাক্রমে জনপ্রিয়তা ও জীবননিষ্ঠা নিয়ে একটি তুলনামূলক আলোচনার চেষ্টা করেছি। ‘গাঙচিল’ থেকে প্রকাশিত আমার প্রবন্ধ সংকলনের জন্য লেখাটি যথাসম্ভব পরিমার্জিত করার চেষ্টা করেছি। এর পাদটীকাগুলি পুণের সংশোধিত সংস্করণের মহাভারত এবং গোরখপুর গীতা প্রেস-এর রামায়ণ থেকে নেওয়া।
– সুকুমারী ভট্টাচার্য
Leave a Reply