সাইলেন্ট কিলার – অর্পিতা সরকার
উৎসর্গ
যারা আমার সাফল্যে আনন্দ পায় অকারণেই।
যাদের আপন ভাবতে দ্বিধাবোধ করি না।
যাদের অসময়েও ডাকতে পারি অসংকোচে।
পীযূষ রঞ্জন ঘোষ, অনিন্দিতা ও আদরের প্রত্যুষকে।
.
মুখবন্ধ
রহস্য কথাটা উচ্চারিত হলেই কুয়াশাবৃত পাহাড়ি রাস্তার কথা মনে পড়ে। যার প্রতিটা বাঁকে লুকিয়ে থাকতে পারে কোনো না কোনো রহস্য। এক মুহূর্ত আগেও যার আভাস পাওয়া দুষ্কর। এই কারণেই কি পাহাড় আমাদের আকর্ষণ করে? হয়তো নিজেকে রহস্যের চাদরে মুড়িয়ে রেখেছে বলেই আমরা বারবার সেই রহস্য উদঘাটনে ছুটে যাই পাহাড়ে। রহস্যের নিজস্ব একটা গন্ধ আছে। সে সকলের চোখের সামনে থেকেও নিজেকে স্বতন্ত্র করে রাখার ক্ষমতা রাখে। তাই তো রহস্যের হাতছানি উপেক্ষা করা খুব কঠিন কাজ। রহস্য উপন্যাসও কিছুটা পাহাড়ের বাঁকের মতো। প্রতিটা পাতায় চমক অপেক্ষা করে থাকে। ”ক্রাইম থ্রিলার” কথার মধ্যেই লুকিয়ে আছে অপরাধের গন্ধ। কী সেই অপরাধ? কে সেই অপরাধী? জানার জন্য পাঠককুল আজীবন নির্ঘুম রাত কাটিয়েছে। ”সাইলেন্ট কিলার” এরকমই একটা ক্রাইম থ্রিলার। যেখানে নিঃশব্দে ঘটে যাচ্ছে অনেক রহস্যময় ঘটনা। যে খুন বা অপরাধের হদিশ খুঁজতেই পুলিশ অফিসার লগ্নজিতা ভট্টাচার্য তৎপর। এই বইয়ের কালো কালির অক্ষরগুলোর মধ্যেই লুকিয়ে আছে সেই রহস্য এবং তার সমাধান। লগ্নজিতার সঙ্গে আপনারাও গোয়েন্দা হয়ে উঠুন, সমাধান করুন এ রহস্যের। খুঁজে বের করুন সাইলেন্ট কিলারকে।
লগ্নজিতা সিরিজের “সেই ডায়রিটা” এবং “ট্রাফিক সিগন্যাল” বইদুটি পড়তে চাই।