কবি অথবা দণ্ডিত অপুরুষ – ১১

কবি অথবা দণ্ডিত অপুরুষ ১১

শ্যামলীকে ভালোবাসার প্রথম চারটি বছর হাসানের কেটে যায় এক নিশ্বাসে, সময়টাকে একটি দুপুরের মতো মনে হয়, যার সকাল নেই সন্ধ্যা নেই রাত্রি নেই, শুধুই দুপুর; সে কবিতার পর কবিতা লিখতে থাকে, মাঝেমাঝে দু-একটি গদ্য, তার কবিতার ভেতরে মেঘ বৃষ্টি নদী নগর গ্রাম সন্ধ্যা রাত্রি অগ্নি বিংশশতাব্দীর দ্বিতীয়ার্ধ হয়ে ঢুকে থাকে। শ্যামলী, ছড়িয়ে থাকে। তার মুখ, তার চোখ, তার চুল, তার আঙুল, তার স্তন; অ্যাডেও সে সফল হ’তে থাকে, পদোন্নতি ঘটতে থাকে। সে পাচ্ছে, তার মনে হ’তে থাকে। সে পাচ্ছে, যদিও কিছুই সে পেতে চায় না, পাওয়ার কিছু নেই; কবি হয়ে উঠেছে সে, তাকে স্বীকার না ক’রে উপায় নেই, দুটি-একটি পুরস্কারও হাস্যকরভাবে পেয়ে যাচ্ছে, ভালো সিগারেট খেতে পাচ্ছে, স্কচ পান করতে পারছে, এবং শরীরটিও তার সুখে আছে, মনটিও সুখে আছে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে শরীর, ওটি যদি খাদ্য পায় তাহলে সব কিছু সুস্থ থাকে, শহর গ্রাম মহাজগত ধানক্ষেত, এমনকি কবিতাও সুস্থ হয়ে ওঠে। শ্যামলী জুগিয়ে চলছে তার শরীরমনের খাদ্য, তার শরীর ও কবিতা বদলে যাচ্ছে ওই খাদ্যে, শ্যামলী ছাড়া তার শরীর। এতোদিনে কুষ্ঠরোগে ভ’রে যেতো।

হাসানের তৃতীয় কাব্যগ্রন্থ বেরোনোর পর এক দীর্ঘ দুপুরে বিছানায় নগ্ন গড়াতে গড়াতে শ্যামলী বলেছিলো, তোমার কবিতার চরিত্র খুবই বদলে গেছে, তোমার কবিতা একটা বড়ো বাঁক নিয়েছে।

হাসান বলেছিলো, সব কিছুই বদলে যায়, জীবন বাঁক নেয়, কবিতাও বাঁক নেয়, কিছুই স্থির হয়ে থাকে না তুমি তো জানোই।

শ্যামলী জিজ্ঞেস করেছিলো, আমরাও কি বাঁক নিচ্ছি? আমাদের সম্পর্কও কি বদলে যাচ্ছে?

হাসান বলেছিলো, হ্যাঁ, বদলে যাচ্ছি। আমরাও।

শ্যামলী বলেছিলো, আগে তোমার কবিতা ভরা ছিলো প্ৰবল কামে, মনে হতো সব কিছুর সাথে তুমি সঙ্গম করছে, এখন সেই কাম নেই, প্ৰেম আছে।

হাসান বলেছিলো, প্রত্যেকের জীবনে একটা সুন্দর অসহ্য যন্ত্ৰনা প্রবল ঝকঝকে সোনার মতো অগ্নিশিখা বর্শাফলক বোশেখের রোদ জ্যৈষ্ঠের জোয়ারের মতো মোহন কাম দেখা দেয়, সে কবি হ’লে ওই কাম কবিতা হয়ে ওঠে। রবীন্দ্রনাথ, বুদ্ধদেব, জীবনানন্দে তা ঘটেছে, ঘটেছে আমার কবিতায়ও।

শ্যামলী তার একটি প্রচণ্ড প্রত্যঙ্গ ছুঁয়ে জিজ্ঞেস করেছিলো, এখন কাম নেই?

হাসান হেসে বলেছিলো, এটা কতো বড়ো মূর্খ চাষা তা তো তুমি জানােই।

শ্যামলী বলেছিলো, এই চাষাটা আমার জীবন, এই চাষাটার সাথে দেখা হওয়া আমার জীবনের শ্ৰেষ্ঠ ঘটনা।

হাসান বলেছিলো, চাষ কেমন লাগে?

শ্যামলী বলেছিলো, এই চাষ ছাড়া আমি বুঝতাম না আমি মাটি।

হাসান হেসে বলেছিলো, তোমাকে তো এটা আমি দানই করেছি।

শ্যামলী জিজ্ঞেস করেছিলো, কতোটা ক্ষুধা ছিলো তখন?

হাসান বলেছিলো, ক্ষুধা ছাড়া আর কিছু ছিলো না, তখন ক্ষুধাই ছিলো খাদ্য ক্ষুধাই ছিলো পানীয়। ওই অপূর্ব ক্ষুধা মেটানাের জন্যে তুমি ছিলে না, কেউ ছিলো না, নিজের বর্শাফলকের ক্ষুধা অগ্নিগিরির ক্ষুধা আকাশফাড়া বিদ্যুতের ক্ষুধা মেটাতে হতো নিজেকেই, মেটাতে হতো কবিতার পর কবিতায়।

শ্যামলী জিজ্ঞেস করেছিলো, এখন কবিতায় ওই কাম কমলো কেনো?

হাসান বলেছিলো, তুমি আছো ব’লে, কাম বদলে প্রেম হয়ে উঠছে।

শ্যামলী বলেছিলো, আমি তোমাকে চিরকাল ভালোবাসবো।

 

হাসানের তৃতীয় কাব্যগ্রন্থ বেরোনাের সাফল্যের কয়েক মাস পর এক নতুন বিমর্ষকর ক্ষুধা একটু একটু যন্ত্রণা দিতে শুরু করে হাসানকে; অস্পষ্ট অবোধ্যভাবে তার মনে হ’তে থাকে তার অপূর্ব ক্ষুধা সম্পূর্ণ মিটছে না, সে সম্পূর্ণ পাচ্ছে না, যেমন নদী পায় ইলিশকে আকাশ মেঘকে জমি শস্যকে, তাকে পেতে হবে সম্পূর্ণ, সম্পূর্ণ পদ্মায় সম্পূর্ণ ইলিশ সম্পূর্ণ আকাশে সম্পূর্ণ মেঘ সম্পূর্ণ জমিতে সম্পূর্ণ শস্য, এক দুপুর তার জন্যে যথেষ্ট নয়, তার চাই সম্পূর্ণ দিন সম্পূর্ণ রাত্রি সম্পূর্ণ মহাকাল, সম্পূর্ণ শরীর সম্পূর্ণ নারী। বিস্মিত হয় হাসান, এমন ক্ষুধা এর আগে জাগে নি, শ্যামলীকে ফোন ক’রে, শ্যামলীর ফোন পেয়ে, মাঝেমাঝে দুপুরে তার শরীর পেয়েই মিটাতো তার ক্ষুধা, মনে হতো সুখী পরিতৃপ্ত মহাজগত, কিন্তু এখন মনে হচ্ছে মিটছে না; এ এক ভিন্ন ক্ষুধা, শ্যামলীকে তার পেতে ইচ্ছে করছে ভোরে, যখন সে দাঁত ব্ৰাশ করছে, বিচ্ছিরি দাড়ি কামাচ্ছে; দেখতে ইচ্ছে করছে ভোরের ছায়াচ্ছন্ন বাথরুমে, তাহাকে দেখতে ইচ্ছে করছে স্নানাগারে শাওয়ারের বর্ষণের নিচে নগ্ন; তার পেতে ইচ্ছে করছে দুপুরে, ভাজা চিংড়ি ধনেপাতা ইলিশ কাঁচামরিচ পেঁয়াজ টমেটো রেজালার গন্ধে পরিপূর্ণ খাবার টেবিলে; তার পেতে ইচ্ছে করছে সূর্যের সম্পূর্ণ দিন ভ’রে, পূর্ণ চাঁদ ও অচাঁদের অন্ধকার রাত ভ’রে; শ্যামলীর সাথে একটি সম্পূর্ণ রাত একটি সম্পূর্ণ দিন কেমন হ’তে পারে, ভেবে ভেবে সে কেঁপে ওঠে; শ্যামলীকে তার রাতভর দশ আঙুলে ছুঁতে ইচ্ছে করে, শ্যামলীর দু-পা সারারাত নিজের দু-পা দিয়ে জড়িয়ে রাখতে ইচ্ছে হয়, তার ইচ্ছে করে মধ্যরাতে শেষরাতে শ্রাবণের বৃষ্টির শব্দে হঠাৎ জেগে উঠে শ্যামলীর মুখ দেখতে। সারা দিন ভ’রে কীভাবে বদল ঘটে শ্যামলীর, ফ্রিজ খোলার সময় তাকে দেখতে কেমন লাগে; কেমন লাগে দেখতে সে যখন স্নানাগার থেকে বেরোয়? কতোটা সুগন্ধ তার পেছনে পেছনে লেগে থাকে? শ্যামলী যখন শরীরে সাবান মাখে স্নানাগারে, চুলে শ্যাম্পূ ঘষে, তখন তাকে কেমন লাগে? দেখতে ইচ্ছে করে বিছানার অন্ধকারে কেমন লাগে শ্যামলীর ওষ্ঠ নাক গাল স্তনের চারদিকের শ্যামল জ্যোতির্ময় জ্যোৎস্না। শ্যামলী কীভাবে রাতে, মধ্যরাতে, শেষরাতে ঘুমোয়? রাতগুলোতে শ্যামলীকে নিশ্চয়ই উরুর ভেতর গেঁথে রাখেন মোহাম্মদ ফরহাদ হোসেন খান, শ্যামলীর বিবাহিত স্বামী; হয়তো রাখেন, হয়তো রাখেন না, বিবাহিত স্বামীদের ঘুমোনোর রীতি হয়তো ভিন্ন; হাসান যন্ত্রণা বোধ করে যে সে শ্যামলীর স্বামী নয়, শুধুই প্রেমিক। স্বামী তো সে কখনো হ’তে চায় নি; এখন কি তার স্বামী হ’তে ইচ্ছে করছে? শ্যামলীর স্বামী? অন্য কোনো তরুণীর স্বামী? কবি কি স্বামী হ’তে পারে? স্বামী মানেই তো পেটমোটা নিরানুভূতি এক অনস্তিত্ব, এক চমৎকার সামাজিক জন্তু, এক শোচনীয় সাফল্য, যার কাজ সংসার চালানো, রাতে স্ত্রীর সাথে স্বল্প সঙ্গম, স্বস্তি, সন্তান, এবং নাক ডেকে ঘুমোনো; স্বামী মানেই তো বাজার, হাউজিং সোসাইটিতে প্লট, পাঁচতলা বাড়ির ফাউন্ডেশন, সোফাসেট, গাড়ি, স্ত্রীর শাসন। সে কি ওই শ্ৰদ্ধেয় স্বামী হ’তে চায়? স্বামী হতে হ’লে কবুল কবুল বলতে হয়, বিয়ে করতে হয়; সে কি বিশ্বাস করে ওই নিরর্থক কবুল কবুলে, বিশ্বাস করে বিয়ে নামের হাস্যকর প্রথায়? সে কি স্বাক্ষর দিতে চায় ঘিনঘিনে নোংরা কাবিনে? একটি গাড়ল, একটা আধামধ্যযুগীয় আধাআধুনিক, কাবিনকে সোনালি ব’লে গুচ্ছের কবিতা লিখেছে, ওই গ্রাম্যতা নিয়ে মেতে উঠেছে। অর্ধশিক্ষিতারা, তাতে হাসি পায় হাসানের। নির্বোিধরা মেতে উঠতে পারে কতো কিছু নিয়েই— বলো কন্যা, কবুল কাবুল, হা হা হা হা হা। কাবিন সোনালি নয়, কাবিন প্রেম নয়, কাবিন শেকল; বিয়েতে প্রেম নিষিদ্ধ; বিয়ে হচ্ছে সঙ্গম, সংসার সন্তান। সে কি ওই বিয়ে চায়, বিয়ে ক’রে স্বামী হ’তে চায়?

কবি অর্থই কি শুধু প্রেমিক, শুধু হৃদয় শরীরের শাশ্বত হাহাকার, শুধু ব্যর্থতার কর্কশ অমরতা? শুধু কবিতার মতো ছন্দবিন্যস্ত চিত্রকল্পময় প্রতীকরূপকপরিবৃত জীবনযাপন? শুধু এক দুপুর? শুধু চুম্বন, আলিঙ্গন, দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর আশ্লেষ? আর কিছু নয়? কবির কি গৃহ থাকবে না, বিকেলে কবি কি ফিরে আসবে না গৃহে; কোনো ফ্ল্যাটে কোনো দোতলা তেতলা নিজের বাড়িতে? গৃহহীন থাকাই কবিত্ত্ব? কবি কি ইলিশ শোল বোয়াল পাংগাশের পেটি কিনবে না, ধনেপাতা কিনবে না, বেছে বেছে কিনবে না কাগজি গোরা লেবু? কেনার আগে ভেঙে দেখবে না ঝিংগে টাটকা আছে কি না? কবি কি লাউডগা কইমাছ খাবে না? খাবে না কইয়ের দোপেঁয়াজা? কবি কি স্ত্রীকে চেপে চেপে চেপে গর্ভবতী করবে না, স্ত্রীকে নিয়ে ম্যাটারনিটিতে যাবে না, জন্ম দেবে না। একটির পর একটি অমৃতের দণ্ডিত উপহার, লিকলিকে গাবদাগোবদা স্টুপিড মেধাবী? স্ত্রী রাজি না হ’লেও সে কি জোর ক’রে উপগত হবে না। যখন তার দুর্বল উত্তেজনা জাগবে? কবি কি স্ত্রীর বগলের মুখের তলপেটের গন্ধে বমি চেপে রাখতে রাখতে সমাপ্ত করবে না তার কাম? তারপর কি স্ত্রীকে দূরে ঠেলে দিয়ে পা ছড়িয়ে ঘুমোবে না নাক ডেকে? কবি কি একটা প্লটের জন্যে ছোটাছুটি করবে না, হাউজ বিল্ডিংয়ের ঋণ নোবে না একটা পাঁচতলা বাড়ির জন্যে; ঘুষ দেবে না বিদ্যুতের গ্যাসের পানির টেলিফোনের কেরানিকে আয়করের উপকরকমিশনারকে? কবি কি শুধু তার কবিতার মতো শিল্পকলা চিত্ৰকল্প যাপন ক’রে যাবে? জীবন কি শুধুই শিল্পকলা শুধুই উপমা চিত্ৰকল্প? জীবন কি থুতু মল প্রস্রাব স্যানিটারি টাওয়েল নয়? স্ত্রী ব্যাপারটিকেই হাসান ঘেন্না করে; স্ত্রী অর্থই তো স্তব্ধ রান্নাঘর, ঘোলা ধুয়ো, হলুদ, মরিচ, মশলা, কোমরে বাহুতে তলপেটে ধীরস্থির বর্ধমান মেদের ঘোলাটে মহাবিন্যা, একশো কেজি ক্লান্তি, বিমর্ষ ঠোঁটে বিমর্যন্তর লিপস্টিকের দাগ, অবিরাম অনন্ত শাসন, কবিতা থেকে সহস্র বর্ষের দূরবর্তিতা; সে কি একটি স্ত্রী চায়? শ্যামলীকে কি সে স্ত্রী হিশেবে চায়, বা অন্য কোনো তরুণীকে, অন্য কোনো নারীকে?

এক দুপুরের পর বিকেলে যখন তারা ক্লান্তি থেকে ফিরে এসেছে অক্লান্তিতে, গড়াচ্ছে বিছানায়, শ্যামলী উঠি উঠি করছে, তাকে বাসায় ফিরে যেতে হবে, আর দেরি করতে পারবে না, সে, হাসান বলে, শ্যামলী, এখন উঠো না।

শ্যামলী একটু চমকে উঠে বলে, আমাকে এখন যেতে হবে।

হাসান বলে, না, তুমি এখন যাবে না।

শ্যামলী বলে, এখন তো যেতেই হবে, একটু পর ফরহাদ সাহেব বাড়ি ফিরবে, আর দেরি করা ঠিক হবে না।

হাসান বলে, কে ওই ফরহাদ সাহেবটি?

শ্যামলী বলে, কেনো, আমার হাজব্যান্ড।

হাসান বলে, ওটি তোমার কেউ নয়, তুমি তো সব সময় বলে ওই লোকটিকে তুমি ভালোবাসো না, তাই ওর জন্যে তোমার উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই।

শ্যামলী বলে, তা তো সত্যিই তাকে আমি ভালোবাসি না, তার জন্যে আমার আবেগ নেই, কিন্তু আমি তার ওয়াইফ।

হাসান জিজ্ঞেস করে, আমাকে তুমি ভালোবাসে?

শ্যামলী বলে, হ্যাঁ, তুমি তো জানোই তোমাকে আমি কতোখানি ভালোবাসি, তোমাকে ছাড়া আমার জীবন শূন্য।

হাসান বলে, তাহলে এটা কী ক’রে হয় যাকে ভালোবাসো না তার জন্যে তুমি যাকে ভালোবাসে তাকে ছেড়ে যাচ্ছে?

শ্যামলী বলে, আমি যে তার সংসারে আছি; তাই তার ফেরার আগে আমাকে বাসায় ফিরতেই হবে, নইলে সে রাগ করবে।

হাসান বলে, ফিরুক, রাগ করুক, তুমি যাবে না।

শ্যামলী বলে, না গেলে কী ক’রে চলবে?

হাসান বলে, তুমি আজ বিকেল ভ’রে থাকবে, সারারাত আমার সাথে থাকবে।

শ্যামলী বিস্মিত হয়ে বলে, সারারাত?

হাসান বলে, হ্যাঁ, সারারাত।

শ্যামলী বলে, তা কী ক’রে হয়? বাসায় ফরহাদ সাহেব আছে, ছেলেমেয়েরা আছে; আমি কী ক’রে সারারাত থাকি?

হাসান বলে, থাকুক, তুমি আমার সাথে সারারাত থাকবে।

শ্যামলী বলে, না, এটা হয় না, হাসান।

হাসান বলে, আমি সারারাত তোমাকে দেখতে চাই, সারারাত তোমাকে জড়িয়ে ধ’রে ঘুমোতে চাই, তুমি থাকবে।

শ্যামলীর সময় নেই, তাকে এখনি বেরিয়ে যেতে হবে, নিচে গিয়ে স্কুটার ধরতে হবে, বাড়ি পৌঁছোতে হবে ফরহাদ সাহেবের ফেরার আগে। শ্যামলী উঠে ঠিকঠাক হয়ে হাসানকে একটি চুমো দিয়ে বেরিয়ে যায়। হাসান শুয়ে থাকে, শ্যামলী যে বেরিয়ে যাচ্ছে সেদিকেও তাকিয়ে দেখে না।

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *