বুঝি রে , চাঁদের কিরণ পান করে ওর ঢুলু ঢুলু দুটি আঁখি , কাছে ওর যেয়ো না , কথাটি শুধায়ো না , ফুলের গন্ধে মাতাল হয়ে বসে আছে একাকী । ঘুমের মতো মেয়েগুলি চোখের কাছে দুলি দুলি বেড়ায় শুধু নূপুর রনরনি । আধেক মুদি আঁখির পাতা , কার সাথে যে কচ্ছে কথা , শুনছে কাহার মৃদু মধুর ধ্বনি । অতি সুদূর পরীর দেশে — সেখান থেকে বাতাস এসে কানের কাছে কাহিনী শুনায় । কত কী যে মোহের মায়া , কত কী যে আলোক ছায়া , প্রাণের কাছে স্বপন ঘনায় । কাছে ওর যেয়ো না , কথাটি শুধায়ো না , ঘুমের মেয়ে তরাস পেয়ে যাবে , মৃদু প্রাণে প্রমাদ গণি নূপুরগুলি রনরনি চাঁদের আলোয় কোথায় কে লুকাবে । চলো দূরে নদীর তীরে , বসে সেথায় ধীরে ধীরে একটি শুধু বাঁশরি বাজাও । আকাশেতে হাসবে বিধু , মধুকন্ঠে মৃদু মৃদু একটি শুধু সুখেরই গান গাও । দূর হতে আসিয়া কানে পশিবে সে প্রাণের প্রাণে স্বপনেতে স্বপন ঢালিয়ে । ছায়াময়ী মেয়েগুলি গানের স্রোতে দুলি দুলি , বসে রবে গালে হাত দিয়ে । গাহিতে গাহিতে তুমি বালা গেঁথে রাখো মালতীর মালা । ও যখন ঘুমাইবে , গলায় পরায়ে দিবে স্বপনে মিশিবে ফুলবাস । ঘুমন্ত মুখের'পরে চেয়ে থেকো প্রেমভরে মুখেতে ফুটিবে মৃদু হাস ।
Leave a Reply