এসো হে, এসো হে প্রাণে, প্রাণসখা।
আঁখি তৃষিত অতি, আঁখিরঞ্জন,
আঁখি ভরিয়া মোরে দেহো দেখা।
খুলিয়া প্রাণের আধো লাজবসন
জীবনমন্দিরে পেতেছি আসন;
বোসো হে বিরহক্লেশনাশন,
কন্ঠে লহো মম মালিকা।
উন্মাদ এ তরঙ্গ,
উথলিছে ভীষণ ভঙ্গ,
ঘোর তিমির ঘেরি দশ দিক,
এসো হে নবীন নাবিক।
জীবন-তরী মাঝে নাহিক কাণ্ডারী;
প্রেম পারাবারে আমি একা।
শ্রুতি গোস্বামীর গাওয়া অতুল প্রসাদের এই গানটার শেষাংশ এমন…..
“আমায় ডোবাও যদি / ডোবে কি সাগর
পুরনো ঝিনুকে লাগে নতুন আদর।
তন্দ্রা আমায় দেয় অস্থিরতা / কাছে থেকে যা পেয়েছি তাই তো কথা।
ছুঁয়ে গেলে মরে যাই / এমন স্পন্দে তাই
ছোঁবো না ছোঁবো না ঐ কল্পলতা।
এসো তবে দুরে এস নীরবতা…….”
এখানে কেন এই ‘অপুর্ব’ অংশটুকু নেই ? না-কি এই অংশটুকু অতুল প্রসাদের লেখা গানে ছিলো না, স্রুতি গোস্বামীর গাওয়া গানটায় নতুন করে সংযোজিত ?
অতুলপ্রসাদের গীতিগুঞ্জ গ্রন্থে আমরা এইটুকুই পেয়েছিলাম।