০৪. ভেতরে আসতে পারি?

ভেতরে আসতে পারি?

আমি এসেছি কমিশন থেকে।

কমিশন মানে?

কমিশন ফর এলিমিনেশন অব জুয়েলটি টুওয়ার্ডস রোবটস। অনেক বড় নাম। সংক্ষেপে কমিশন বললেই সবাই বুঝে যায়। আপনার সময় হবে?

আমি ভালো করে তাকালাম লোকটার দিকে। একটা সানগ্লাস পরে আছে। গায়ে একরঙা টি-শার্ট। বয়স চল্লিশের কোঠায়। কেমন। চালাক চালাক একটা ভাব। দেখে সরকারি লোক মনে হয় না।

বললাম, আমার একটু তাড়া আছে। বের হব।

সর্বোচ্চ আধা ঘণ্টা সময় নেব।

আসুন।

লোকটা ঘরে ঢুকে সোফায় বসল। লক্ষ করলাম, তার হাতে একটা ছোট্ট বাহারি নোটবুক, স্কেচ খাতার মতো দেখতে। সেটা খুলে লোকটা কলম হাতে নিয়ে বসল।

বলুন, কী করতে পারি?

আমি কমিশনের ফিল্ড ইন্সপেকটর। আমাদের কমিশন সম্পর্কে কোনো ধারণা আছে আপনার?

সামান্য।

রোবটদের ওপর কোনো নিষ্ঠুরতা, তাদের প্রতি রূঢ় আচরণের কোনো অভিযোগ পেলে আমরা সেটা ফার্স্ট হ্যান্ড ইন্সপেক্ট করি। কিছু ফর্ম পূরণ। আমাদের জোনাল অফিস একটা রিপোর্ট জেনারেট করে। সেটা কয়েকটা ডিপার্টমেন্টে যায়। এইটাই রুটিন।

কোনো অভিযোগ গেছে?

যায়নি।

তাহলে?

সেটাই খতিয়ে দেখতে এসেছি। কেন যায়নি।

মানে?

আপনি একটা রোবট কমিশন করেছিলেন। মেট্রোনোম হাইপার-অ্যান্ড্রয়েড বি-টু-সিক্স সিরিজের।

সে তো সতেরো বছর আগের কথা। সেটা এখন আর আমার সঙ্গে নেই।

কিন্তু আপনি সেটা ডিকমিশন করেননি।

করিনি। ভুলে গেছি। তাতে হয়েছেটা কী?

এগুলোকে এখন আর মামুলি গাফিলতি হিসেবে দেখা হয় না। নতুন কিছু আইন-কানুন হয়েছে। রোবটদের প্রতি নিষ্ঠুর আচরণের ব্যাপারে এখন অনেক কড়াকড়ি। আমাদের কমিশন এখন আর ছোট প্রান্তিক দপ্তর নেই। একটা পূর্ণাঙ্গ সরকারি ডিপার্টমেন্টের অধীনে চলে গেছে।

হুম। শুনেছি সিনেটে নাকি কোটা চাওয়া হচ্ছে। অ্যান্ড্রয়েড কোটা। রোবটরা বসবে সিনেটে! হাস্যরসের একটা সীমা থাকা উচিত।

সিনেটে বসতে দেওয়ার দাবি মানা হয়নি বটে। তবে তাদের জোর আন্দোলন একেবারে বিফলে গেছে, বলা যাবে কি? বিশেষ করে টানা সতেরো দিনের ধর্মঘটের পরিণতিতে শেষ পর্যন্ত সিনেটের একটা বিশেষ ককাস তো গঠন করতেই হলো। চাকা কিছুটা তো ঘুরেছে। সেটাই বা কম কী! এই ককাস এখন রোবটদের দিকটা দেখাশোনা করে। আমাদের কমিশন তাদের কাছেই জবাবদিহি করে। রিপোর্টের একটা কপি সেখানে যায়।

মানে আপনি এখানে সিনেট কমিটির প্রতিনিধিত্ব করছেন, বলতে চান নাকি?

ঘুরপথে তো তা-ই বটে।

কী সাংঘাতিক। আসল কথায় আসুন।

আপনি একটা মেট্রোনোম হাইপার-অ্যান্ড্রয়েড কিনেছিলেন।

একবার বলেছেন কথাটা। কিন্তু আপনি সেটা ডিকমিশন করেননি। মানে ফেরত দেননি। অথচ সেটা এখন আর আপনার সঙ্গে নেই।

নেই, হারিয়ে গেছে। কিংবা স্ক্র্যাপ করেছি। কবেকার কথা।

আমাদের মনে হয়েছে, এ ক্ষেত্রে আপনার বিরুদ্ধে আর্টিকেল টোয়েন্টি এইট ট্রিগার করার অবকাশ আছে।

হোয়াট! সেটা আবার কী?

বুঝিয়ে বলছি। টোয়েন্টি এইট আওয়ার ল-এর কথা শুনেছেন? অনেক পুরোনো একটা আইন।

শুনিনি।

১৮৭১ সালে আমেরিকায় রেলওয়ে কোম্পানির জন্যে শুরুতে এই আইনটা তৈরি করা হয়েছিল। রেলের ওয়াগনে পশু পরিবহনের ক্ষেত্রে কতগুলো মান্য নিয়মকানুন। রেলযাত্রা যদি একটানা ২৮ ঘণ্টার বেশি লম্বা হয়, সে ক্ষেত্রে ওয়াগনে পরিবহন করা পশুর কতগুলো বিশেষ যত্ন নিশ্চিত করতে হয়। যেমন ধরা যাক, নির্দিষ্ট একটা সময় পরপর দানাপানি দেওয়া এবং একটা নির্দিষ্ট সময় পর পর ট্রেন থামিয়ে জানালাগুলো খুলে দেওয়া, যাতে আলো-বাতাস প্রবেশ করে।

রেল কোম্পানির একটা প্রাচীন আইন এখানে কীভাবে প্রাসঙ্গিক?

ওই যে জানালা খুলে দেওয়া, আলো-বাতাস চলাচলের কথা বলা হচ্ছে, ওইটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা ব্যাপার।

বুঝিনি।

বলছি। অ্যান্ড্রয়েড বা রোবটদের অধিকার নিয়ে যখন আইন কানুন তৈরি করা শুরু হলো, তখন খুবই তাৎপর্যপূর্ণ একটা ব্যাপার ঘটল। বেশির ভাগ বিধিবিধান ধার করা শুরু হলো উনবিংশ শতাব্দীর পশু অধিকার-সংক্রান্ত আইন-কানুন থেকে। শিল্প বিপ্লবের কারণে উনবিংশ শতকে পশুপাখি আর মানুষের মধ্যেকার দূরত্ব ঘুচে যাচ্ছিল। ফলে মানবেতর পশুদের অধিকারের দাবি উঠতে শুরু করে। এবার ফিফথ ইন্ডাস্ট্রিয়াল রেভোলিউশনের যুগে সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হচ্ছে। এবার পশুদের জায়গায় রোবট বা অ্যান্ড্রয়েড। রোবট অধিকার সংরক্ষণে এযাবকালের সবচেয়ে বড় রক্ষাকবচ আর্টিকেল টোয়েন্টি এইট এসেছে রেল ওয়াগনের ওই আইন থেকে।

আমার একটু তাড়া আছে। একটা শোক অনুষ্ঠানে যেতে হবে। লোকজন অপেক্ষা করছে। আইনের ইতিহাসবিষয়ক ক্লাস লেকচার শোনার মুডে আমি এখন নেই।

জানি। আপনার স্ত্রীর শোক অনুষ্ঠান। অতি সম্প্রতি আপনার যে একটা পারিবারিক ট্রাজেডি ঘটে গেছে, সেটা শুনেছি। আমি সমব্যথী। যে কথা বলছিলাম, আপনি যে বি-টু-সিক্স সিরিজের মেট্রোনোম হাইপার-অ্যান্ড্রয়েড কমিশন করেছিলেন, সেই সিরিজটার কিছু বৈশিষ্ট্য আছে। প্রথম বৈশিষ্ট্য হলো, এগুলোর বাইরের অবয়ব সেকেলে ধাঁচের, একেবারে প্রথম যুগের রোবটদের মতো, যখন রোবটেরা দেখতে রোবটের মতো ছিল। নস্টালজিক লোকেরা এভাবেই চায়। দ্বিতীয় বৈশিষ্ট্য হলো, সিরিজটা নিঃসঙ্গ বুড়োবুড়িদের জন্য কাস্টমাইজ করা। ফলে এগুলোর মধ্যে বিশেষ কিছু অ্যালগরিদম প্রোগ্রামড় করে দেওয়া হয়েছে। যেমন ধরুন, এরা নিঃসঙ্গতা একেবারেই সহ্য করতে পারে না। নির্জনতা এদের মধ্যে তীব্র সাফোকেশনের অনুভূতি তৈরি করে। আতঙ্কে এরা পাগলের মতো হয়ে যায়। এক ধরনের অ্যাকিউট সাইকোলজিক্যাল ট্রমার ইলেকট্রনিক প্রতিরূপ আরকি। এই বিশেষ সিরিজের আরেকটা চরিত্র-বৈশিষ্ট্য হলো অ্যাকলুফোবিয়া।

সেটা কী জিনিস?

অন্ধকারভীতি। অন্ধকারে এদের দশা যে কী করুণ হয়, চিন্তা করা যায় না! অবর্ণনীয়! বীভৎস!

তো, সমস্যা কী?

সমস্যা হলো, এই চরিত্র-বৈশিষ্ট্যগুলো আপনি জানতেন। ভালো করে জানতেন। কেনার সময় ম্যানুয়েল দেওয়া হয়েছিল। নিয়ম অনুযায়ী এক দিনের একটা সংক্ষিপ্ত প্রশিক্ষণও আপনাকে দেওয়া হয়েছিল। আমাদের কাছে তথ্য আছে, আপনি আপনার ওই হাইপার-অ্যান্ড্রয়েডটাকে দিনের পর দিন, ঘণ্টার পর ঘণ্টা একটা অন্ধকার ঘরে আটকে রাখতেন।

বাজে কথা।

এবং আপনি সেটাকে একা বাড়িতে তালাবদ্ধ করে রেখে মাঝে মাঝে প্রমোদভ্রমণে বের হতেন। কয়েক দিনের জন্যে। পুরো বাড়িতে একটা মেট্রোনোম হাইপার-অ্যান্ড্রয়েড একা। এর চেয়ে নিষ্ঠুর আচরণ আমরা চিন্তা করতে পারি না।

কিন্তু আমি এই সব কেন করব?

করবেন এক ধরনের জুস্যাডিজম থেকে। পশুদের ওপর নির্যাতন চালিয়ে মর্ষকামী লোক যে কারণে মজা পায়। আপনি এক ধরনের জুস্যাডিস্ট।

ধরুন আমি জুস্যাডিস্ট। কিংবা ব্যাকরণ মেনে যদি বলি, ধরুন আমি রোবো-স্যাডিস্ট। তাতে?

এটা প্রমাণিত হলে আপনার সাজা হবে। নতুন আইন বড় কড়া।

কী সাজা?

আর্টিকেল টোয়েন্টি এইটের সর্বশেষ সংশোধনী অনুযায়ী, আপনার নামের পাশে লাল কালিতে দাগ পড়ে যাবে। শুধু মেট্রোনোম সিরিজের নয়, ভবিষ্যতে কোনো বর্গের, কোনো সিরিজের, কোনো হাইপার-অ্যান্ড্রয়েডই আপনি আর কমিশন করতে পারবেন না। মোটা অঙ্কের জরিমানাও গুনতে হতে। পারে।

আমার আর্থিক সামর্থ্য সম্পর্কে আপনার ভালো ধারণা নেই। আমি এখন উঠব।

আমি কি আপনার সঙ্গে যেতে পারি?

কোথায়?

শোক অনুষ্ঠানে?

না। পারেন না। আপনার সঙ্গ আমার অসহ্য লাগছে।

আমার আরও কিছু বলার আছে। সেটা যেতে যেতে বলি?

.

গাড়ি ছুটে চলেছে শহরের কেন্দ্রস্থলের দিকে।

আমি পাশে বসা লোকটার কথা ভুলে থাকার চেষ্টা করছি। লোকটা আবার সেই খাতা খুলে কলম হাতে বসেছে। কিছুই লিখছে না। তাকিয়ে আছে আমার দিকে। এ তো খুবই ভোগাবে দেখছি।

লোকটা বলল, আপনার স্ত্রীর দুর্ঘটনা সত্যি দুর্ভাগ্যজনক।

আমি চুপ করে থাকি।

গাড়িটা কি আপনিই চালাচ্ছিলেন?

হ্যাঁ।

 শুনছি এটা নিয়ে এক ধরনের কানাঘুষা শুরু হয়েছে।

কী রকম?

মানে নিন্দুকেরা যা করে আরকি। আপনার তো শত্রুর অভাব নেই। তারাই হয়ত ছড়াচ্ছে।

কী বলে তারা?

বাদ দিন। আমরা ওই রোবটটার প্রসঙ্গে ফিরে আসি।

মেট্রোনোম হাইপার-অ্যান্ড্রয়েড সিরিজের?

লোকটা আমার দিকে তাকায়। আমার কণ্ঠস্বরের ঠেসটা ধরতে পেরেছে মনে হলো।

হ্যাঁ। বি-টু-সিক্স সিরিজের। ওটার প্রতি যে নিষ্ঠুর আচরণ করা হতো, তার প্রমাণ আমরা কীভাবে পেলাম, অনুমান করতে পারেন?

পারি। আমার স্ত্রীর ডায়েরি থেকে। ও নিয়মিত ডায়েরি লিখত, আমি জানি।

আপনি বুদ্ধিমান।

একটা মুচকি হাসি ঝুলিয়ে রেখে লোকটা আবার চুপ করে বসে থাকে। নীরবতা ভাঙতে আমি নিজে বাধ্য হয়ে কথা বলি।

একটা ব্যাপার আমাকে বুঝিয়ে দিন তো, আমার বাসায় একটা অত্যন্ত সেকেলে হাউসহোল্ড রোবটের প্রতি নির্দয় আচরণ করা হতো, তা-ও বছর সতের আগে, এটা প্রমাণ করা আপনার জন্যে এত জরুরি কেন?

আইন-কানুন বদলেছে। অনেক কিছুতে এখন কড়াকড়ি।

বাজে কথা রাখুন। আমি অত গর্দভ না যে কিছুই আঁচ করতে পারব না। আপনি এসেছেন আমার স্ত্রীর মৃত্যুরহস্য তদন্ত করতে। কিন্তু আমি বুঝতে পারছি না, আসল কথায় না গিয়ে আপনি গৃহকাজে নিযুক্ত একটা নগণরোবটের কথা বার বার আনছেন কেন।

কারণ আমি যদি প্রমাণ করতে পারি, আপনি রোবটটার প্রতি নির্দয় আচরণ করতেন, জেনেশুনে করতেন, কোনো কারণ ছাড়া শুধু এক ধরনের বিকৃত আনন্দ পাওয়ার জন্য করতেন, তাহলে প্রমাণ হয়ে যাবে, আপনার স্ত্রীর ওই দুর্ঘটনাটি নিছক দুর্ঘটনা ছিল না। যেটা কানাঘুষা চলছে, সেটাই আসলে ঠিক–আপনি তাকে হত্যা করেছেন।

আমি তাকিয়ে থাকি লোকটার দিকে। নিরীহ লোকটার সাহসের তারিফ করতে হয়।

লোকটা বলল, যোগসূত্রটা ধরতে পারছেন না? আচ্ছা, বঝিয়ে দিচ্ছি। সুয়েতোনিয়াস নামে এক রোমান ইতিহাসবিদ ছিলেন, নাম শুনেছেন?

আবার বক্তৃতা!

উনি ১২ জন রোমান সম্রাটের ওপর একটা বই লিখেছিলেন, নাম দ্য টুয়েলভ সিজারস। সেখানে দোমিন নামে এক সম্রাটের কথা বলা আছে। দোমিতানের একটা খুব বিদঘুঁটে স্বভাব ছিল। তিনি নানা রকম পোকামাকড় ধরতেন। তারপর সুচ দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে সেগুলো হত্যা করতেন। দিনের বড় একটা সময় তিনি ব্যয় করতেন এ কাজে।

তো?

গুজব চালু আছে, তিনি তাঁর স্ত্রীকে হত্যা করেছিলেন।

অর্থহীন কথাবার্তা।

এবার আসি আসল কথায়। নতুন ধারার অপরাধবিজ্ঞানের একটা বড় মাথাব্যথা হলো, খুনি ব্যক্তির আচরণের কিছু সুনির্দিষ্ট প্যাটার্ন বের করা, যাতে আগাম ইন্টারভেন করা যায়। এ ক্ষেত্রে হোমিসাইডাল ট্রায়াড় নামে একটা ধারণা অপরাধবিজ্ঞানে প্রায় ধ্রুব সত্যের মর্যাদা পেয়ে গেছে। এটার আদি নাম ছিল ম্যাকডোনাল্ড ট্রায়াড়। গবেষণা করে দেখা গেছে, বিশেষ তিনটা চরিত্র-বৈশিষ্ট্য বা লক্ষণ যদি কারও মধ্যে দেখা যায়, তাহলে একশ ভাগ সম্ভাবনা, লোকটা খুনি হবে। তবে এর জন্যে তিনটা বৈশিষ্ট্যই থাকতে হবে। একটা বা দুটা থাকলে হবে না।

তো, কী সেই তিন বৈশিষ্ট্য?

প্রথমটা হলো, লোকটার তোতলানোর স্বভাব থাকবে। ছোট বেলায় তো বটেই, বড় হয়েও। দ্বিতীয়ত, আগ্নেয়াস্ত্রের প্রতি লোকটার থাকবে অন্ধ আকর্ষণ। ছোটবেলায় খেলনা অস্ত্রের প্রতি। বড় হয়ে সত্যিকার আগ্নেয়াস্ত্র। আপনার মধ্যে দুটি লক্ষণই পূর্ণমাত্রায় দেখা গেছে। ম্যাকডোনাল্ড ট্রায়াডের তৃতীয় লক্ষণটি হলো রোবটদের প্রতি নিষ্ঠুরতা। এবং এটা আপনার স্বভাবে আছে বলে আমি আদালতে প্রমাণ করতে পারব।

প্রমাণ হলে?

আদালত আর বাড়তি কোনো প্রমাণের জন্য অপেক্ষা করবে না। এটা অনেকটা গণিতের মতো। আপনার ফাঁসি হয়ে যাবে। নতুন সাক্ষ্য আইনে এখন ম্যাকডোনাল্ড ট্রায়াডকে বৈজ্ঞানিক সত্য হিসেবে জায়গা করে দেওয়া হয়েছে। এটা অনেকটা মেন্টাল ফিঙ্গারপ্রিন্টের মর্যাদা পায়। বলতে পারেন, এটাই সিনেটের অ্যান্ড্রয়েড ককাসের এযাবকালের সবচেয়ে বড় সাফল্য। আমি এখন নামব। সামনের ওই মোড়টায় আমাকে নামিয়ে দিলেই চলবে।

শোকসভায় যাবেন না?

মানুষের শোকসভায় অ্যান্ড্রয়েডদের যেতে মানা।

আমি গাড়ি থামাতে বলি। লোকটা নেমে যায়।

তার হাঁটার ভঙ্গিতে কোনো অস্বাভাবিকতা নেই।

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *