যজুর্ব্বেদীয় পুংসবন
যথোক্তমাসে শুভদিনে আপূর্য্যমাণপক্ষে পুংনক্ষত্রে নিত্যকৃত্য সমাপন পূর্ব্বক পত্নীকে স্নান করাইয়া মাতৃকাপূজা, বসুধারা, বৃদ্ধিশ্রাদ্ধ নির্ব্বাহ করত পত্নীসমন্বিত হইয়া নিরাহারে থাকিবে। পরে পতি সায়ংসন্ধ্যা সমাপন পূর্ব্বক শুভলগ্নে নববস্ত্রদ্বয়ধারিণী, আচান্তা, কৃতমঙ্গলাচারা পত্নীকে নিজ বামে বসাইয়া বটাঙ্কুর ও বটশুঙ্গা পর্যুষিত জলে পেষন করত মঙ্গলাচার সহকারে তদীয় দক্ষিণ নাসাপুটে সিঞ্চন করিবে। “ওঁ হিরণ্যগর্ভঃ সমবর্ত্ততাগ্রে” ইত্যাদি মূলের লিখিত মন্ত্রে সিঞ্চন করিতে হয়। গর্ভের বীর্য্যবত্তা কামনা করিলে ভার্য্যার ক্রোড়সমীপে কোন পাত্রে জল রাখিয়া “ওঁ সুপর্ণোসি” ইত্যাদি মন্ত্রে উহা অভিমন্ত্রিত করিবে। পরে শান্তি আচরণ পূর্ব্বক আশীর্ব্বাদ করিতে হয়।