তমোঘ্ন

তমোঘ্ন

এই পাহাড়ী মরুরাজ্যে হৃদয়ের চাষ নেই। পাহাড়গুলো সব অতিকায় হাড়গোড় বার-করা পাথরের স্তূপ। বড় বড় গাছগুলোর প্রায় বারো মাসই কঙ্কাল-মূর্তি। সন্ধ্যের আগে পর্যন্ত মাথার ওপর সূর্য জ্বলে। শুকনো হাঁ-করা মাটির রং বাদামী। দূরে মরুভূমি।

এখানে সব থেকে দুর্লভ মানুষের হৃদয় নামে বস্তু।

মানুষগুলো খেতে না পাক, নেশা করে। এই বস্তুর জন্য ওরা প্রাণ দিতে পারে, প্রাণ নিতে পারে।

কিন্তু পুরুষদের সব থেকে বড় নেশা ভাটিখানা বা ঘরের তৈরি রক্তে-আগুন ধরানো পচাই নয়। তার থেকেও অনেক বড় নেশা আছে।

প্রতিশোধের নেশা।

চকচকে ছুরির ফলা বুকে আমূল বিদ্ধ হলে ফিনকি দিয়ে তাজা রক্তের ফোয়ারা ছোটে যখন, ওদের সে উল্লাস দেখলে এই সভ্য দুনিয়াটাকে বহু শতাব্দী পিছনের দিকে টেনে নিয়ে যাওয়া চলে।

চিমনলালের ছেলে রোশনলাল দীর্ঘ তিন বছরে এই একটি নেশার সাধনায় স্তব্ধ হয়ে আছে।

প্রতিশোধ!

দুটি মৃত্যু চাই তার। এমন মৃত্যু যা কখনো কেউ কল্পনা করতে পারে না। একটা মৃত্যু অন্তত সেই রকম হবে। একটা একটা করে চোখ উপড়ে নেবে, একটু একটু করে গায়ের ছাল ছাড়িয়ে নেবে–আরও অনেক পরে আসবে মৃত্যু।

আর একটা মৃত্যু কেমন হবে, রোশনলাল এখনো স্থির করে উঠতে পারে নি। সেও চমকপ্রদ যে হবে সন্দেহ নেই।

প্রতিশোধের এই লগ্নকাল উপস্থিত। রোশনলাল হদিস পেয়েছে ওদের। দলের একজন দূরে চলে গেছল, সে ফিরে এসে হদিস দিয়েছে। এখান থেকে দশ মাইল দূরে এক ছন্নছাড়া গাঁয়ে বাসা বেঁধেছে ওরা।

খবরটা শোনামাত্র শিরায় শিরায় কী কাণ্ড ঘটে গেছে তা শুধু রোশনলালই জানে। আর অনুমান করতে পারে তার অতি বিশ্বস্ত প্রধান চারজন সঙ্গী।

দুশ মাইল আর কতদূর?

রোশনলাল বাপের মন্ত্রে দীক্ষিত। প্রতিশোধ কী করে নিতে হয় সেটা সে বারো বছর বয়সে স্বচক্ষে দেখেছে।

অবশ্য সেও সেদিন বাপকে ঘৃণা করত আর ভয় করত। পছন্দ বরং তখন মাকেই করত। বেশ সুশ্রী ছিল তার মা।

সেই রাতটা মনে আছে রোশনলালের।

তারা থাকত তখন পশ্চিমঘাটের এক পাদার আশ্রয়ে। সেখানকার কর্মচারী ছিল তার দুর্দান্ত বাবা। পাদ্রী জোসেফের ঘরে থাকত তার আট বছরের একটা ফুটফুটে মেয়ে। হীরা-হীরা জোশেফ। সকলে বলে কুড়নো মেয়ে, অনেকে আড়ালে বলে জোশেফেরই মেয়ে। ওই মেয়েটাকে মা ভারী ভালবাসত।

কদিন ধরে মায়ের মুখখানা খুব শুকনো দেখছিল রোশনাল। নিশ্চয় বাবার ভয়ে। বাবাকে যমের মত ভয় করত মা।

…সেই একটা রাত। ঘরে মা দাঁড়িয়েছিল। সেখানে রোশনলাল ছিল আর হীরা ছিল। দেয়ালে টাঙানো মস্ত একটা ছবি ছিল। ছবিতে খোলাচুল লালচে রঙের একটা মেমসাহেব, তার বুকে মাখমের ডেলার মত একটা ছেলে। মা সেই দিকে চেয়ে ছিল। রোশনলাল জিজ্ঞাসা করেছিল, ওরা কারা?

বিড়বিড় করে মা কী যে জবাব দিয়েছিল কিছুই বোঝেনি। বলেছিল, বিশ্বমায়ের কোলে মানবপুত্র বিশ্বশিশু।

না বুঝলেও রোশনলালের একটা দৃশ্য ভাবতে বেশ ভালো লেগেছিল। সেও একদিন ওই ছবির বাচ্চাটার মতো ছোট ছিল, আর তার মা হয়ত তখন অমনি তাকে বুকে করে দাঁড়িয়ে থাকত।

বাবা হঠাৎ ঘরে ঢুকে মা কে ডাকতে এসেছিল। মা চমকে উঠেছিল। বলেছিল, যাবে না।

সেই রাতে বাবার হ্যাঁচকা টানে ঘুম ভেঙে গেছল। পাশে চোখ যেতেই রোশনলাল ভয়ে নীল হয়ে গেছল। মায়ের দেহ রক্তে ভাসছে।

বাবার সেই মুখের দিকে চেয়ে অস্ফুট আর্তনাদও করতে পারে নি রোশনলাল। বাবা তাকে তুলে নিয়ে যে-ঘরে ঢুকেছে সেটা পাদ্রী জোসেফের ঘর। সেও মৃত। রক্তে ভাসছে। অদূরের শয্যায় হীরা ঘুমিয়ে। বাবা তাকে তুলে নিয়ে নিঃশব্দে বেরিয়ে এসেছে।

তিন-চারটে রাতের অন্ধকারে অন্ধকারে কোথায় কতদূরে চলে এসেছিল জানে না।

যেখানে এসেছিল, সেখানে চেনা-মুখ দেখেছে জন-কতক। বাবার বন্ধু। মাঝে মাঝে পাদ্রী জোসেফের ওখানে এসে বাবার সঙ্গে দেখা করত তারা।

একেবারে অবুঝ নয় রোশনলাল তখন। মা আর পাদ্রী জোসেফের মৃত্যুর কারণ অনুমান করতে পারে। আর একটু বড় হবার পরে স্পষ্টই বুঝেছে।

রোশনলাল ভেবেছিল হীরাকেও বাবা মেরেই ফেলবে। নিজের মেয়ে হোক না হোক, হীরাকে খুব ভালবাসত পাদ্রী জোসেফ, আর তার মা তো ভালবাসতই–অতএব বাবার রাগ ওর ওপরেও পড়বেই ধরে নিয়েছিল।

কিন্তু কিছুকাল যেতে দেখা গেল, বাবার টান তার থেকেও হীরার ওপর বেশি। হীরা ওর নামে বাবার কাছে নালিশ করলে বাবা ওকে তুলোধুনো করে, কিন্তু হীরার নামে নালিশ করলে কিছুই বলে না।

আট বছর কেটে গেছে। রোশনলালের বয়েস কুড়ি, হীরার সোল।

বাবার পক্ষপাতিত্বের দরুন হীরাকে অনেকবার খুন করতে সাধ গেছে। কিন্তু এখন আর তা হয় না। হীরাকে দেখলে রক্তে এখন অন্য রকমের নাচন-মাতন শুরু হয়। মাথায় গ্রাসের আগুন জ্বলে। হীরা সেটা বুঝতে পারে। একলা থাকলে বেশি কাছে ঘেঁষে না।

মাথা খাটিয়ে কৌশলে এক রাতে ওকে পাহাড়ের আড়ালে অন্ধকারে টেনে নিয়ে গেছল। রক্তে সবে নেশা লেগেছিল। সরল দুটো বাহুর নিষ্পেষণে হীরা অপুট আর্তনাদ করে উঠেছিল। আর হিংস্র অধরদংশনে রোশনলাল তাকে শাসাচ্ছিল, টু-শব্দ করলে একেবারে খুন করে পাথরের তলায় পুঁতে রেখে চলে যাব!

কিন্তু পরের মূহুর্তে নিজেরই রক্ত জল। আচমকা আঘাতে চোখের সামনে মৃত্যুর অন্ধকার। সেই অন্ধকার কুঁড়ে তার বাবা দাঁড়িয়ে।

রোশনলালের ধারণা, এই বিশ্বাসঘাতকতা করেছে সূরযপ্রসাদ। সে-ই হীরার পিছনে ছায়ার মতো ঘোরে সর্বদা। দুটিতে খুব ভাব, সে-ই কোথাও থেকে দেখে থাকবে। বাবাকে বলে দিয়ে থাকবে।

তার খাতায় সূরযপ্রসাদের পরমায়ুতে সেদিনই ঢ্যারা পড়ে গেছল।

দলে অনেক ছেলেছোকরা এসেছে এখন। সকলের থেকে অকর্মণ্য ওই চাষীর ছেলে সূরপ্রসাদ। চিমনলাল দলের সর্দার, রোশনলাল তার ডান হাত। সকলের ধারণা, কালে-দিনে বাপের থেকে দ্বিগুণ দুর্ধর্ষ হবে রোশনলাল, কিন্তু এই ছেলেকেও বাপ সেদিন ক্ষমা করেনি। তিনদিন তিনরাত ঘরে তালা দিয়ে ফেলে রেখেছিল। খেতেও দেয়নি। খুপরি জানলা দিয়ে ওই হীরা চুপি চুপি কিছু খাবার ফেলে না দিলে প্রাণে বাঁচত না।

তারপর বাবা তাকে বলেছিল, সময় হলে হীরার সঙ্গে আমিই তোর বিয়ে দেব, কিন্তু তার আগে ওর গায়ে হাত দিলে কেটে দুখানা করে ফেলব।

গায়ে আর হাত দেয়নি। কিন্তু কবে যে বাবার সময় হবে তা ভেবে পায়নি।

আরো দীর্ঘ চারটে বছর কেটেছে। রোশনলালের চব্বিশ আর হীরার কুড়ি।

চিমনলাল বলেছিল, এ বছরটা কাটলে ছেলের বিয়ে দেবে। রোশনলালের মনে হয়েছিল, মায়ের মৃত্যুর বারো বছর পার হওয়ার অপেক্ষায় আছে তার বাবা। অনেক ব্যাপারে বারো বছরের সংস্কার মানে তাদের সমাজের মানুষ।

কিন্তু বিয়ে দেওয়ার সময় বাবার আর হল না। ছোটখাট রাহাজানি করতে গেছল কোথায়। পাঁজরে গুলি খেয়ে ফিরল। পরদিন শেষ।

রাতারাতি চরিত্র বদলে গেল রোশনলালের। সে দলপতি। তিনদিনের মধ্যে বাপের মৃত্যুর মর্মান্তিক প্রতিশোধ নিল। তারপর দলটাকে নতুন উদ্দীপনায় তাজা করে তুলতে লাগল সে।

হীরাকে বিয়ে এবছরের পরেই করবে। বাপের ইচ্ছের অসম্মান করবে না।

খবর পেল, সুর্যপ্রসাদের আর দলে থাকার ইচ্ছে নেই, দেশে ভদ্র জীবনযাপনের মতলবে আছে সে।

রোশনলালের আপত্তি ছিল না। বাপের আমলেও কোনো কাজে লাগেনি, এখনো ওর মত অকর্মণ্য আর কেউ নয়। কিন্তু অনুমতি পেয়েও কেন যে গেল না, তখন বোঝেনি।

কদিন ধরে একটা কানাঘুষা শুনছিল। হীরার সঙ্গে সূরযপ্রসাদের ইদানীং ভাব সাব একটু বেশিই দেখছে সকলে। আত্মপ্রত্যয়ে ভরপুর রোশনলাল এসব তুচ্ছ ব্যাপারে মাথা ঘামায় না। আর আসলে মেয়েটাই বজ্জাত, তাও জানে। যখন-তখন হীরাই ওকে ডাকে। মেয়েদের মন জুগিয়ে চলার মতো মরদ ওর দলে এক সুর্যপ্রসাদ ছাড়া আর কে আছে!

তবু মেজাজ বিগড়েছিল একদিন। সন্ধ্যার আবছা অন্ধকারে একটা নিরিবিলি জায়গায় বসে ওদের দুজনকে হাসিমসকরা করতে দেখে মাথা ঠিক রাখতে পারেনি। তার হাতের একটা চড় খেয়ে তিন হাত দূরে ছিটকে পড়েছিল সূরযপ্রসাদ। তারপর। উঠে খরগোশের মত পালিয়েছিল।

হীরা ফুঁসে উঠেছিল, ওকে মারলে কেন? জবাবে চুলের মুঠি ধরে তার মাথাটাও পাথরে বারকয়েক ঠুকে দিয়েছিল রোশনলাল।

শিকারে বেরিয়েছিল, দুদিন বাদে ফিরে দেখে ঘরে হীরা নেই। তারপর দেখা গেল সুর্যপ্রসাদও নিখোঁজ।

এত সাহস দুনিয়ায় কারো হতে পারে রোশনলাল কল্পনা করতে পারে না।

তারপর থেকে রোশনলাল ক্ষিপ্ত, উন্মাদ। অনেকবার রক্তরাঙা হয়েছে তার এই দুটো হাত।

সমস্ত অঞ্চল আঁতিপাতি করে খুঁজেছে। সন্দেহবশে কোথা থেকে কোথায় ছুটে গেছে ঠিক নেই। সভ্য দুনিয়া তাকে পেলেই ধরে ফাঁসিকাঠে ঝোলবে জানে, তবু গেছে।

কিন্তু ওরা যেন বাতাসে মিলিয়ে গেছে। কবছরের মধ্যে সন্ধান মেলেনি। এই চার বছরের মাথায় মিলেছে।

রাতের অন্ধকারে চারজন যোগ্য সঙ্গী নিয়ে একদিন রোশনলাল পা ফেলেছে এই দুশ মাইল দূরের এলাকায়। তার চোখে সাদা আগুন, চোয়াল দুটো লোহার মত শক্ত

রাতেই খবরাখবর নেওয়া শেষ।

পরদিন সকালে পুরুষেরা সব চলে যাবে চার মাইল দূরের হাটে। সুরপ্রসাদও যাবেই। রোশনলালের সঙ্গীরা যেমন করে থোক সেখান থেকে তাকে গায়েব করবে। নিতান্ত না পারে যদি, সেখানে নৃশংসভাবে হত্যা করবে তাকে।

…আর রোশনলাল একা যাবে হীরার কাছে। একশ দেড়শ গজ দূরে দূরে ছাড়া ছাড়া বসতি। হীরার ঘরের শগজ ছাড়িয়ে কয়েকটা বুড়োবুড়ির ঘর–তাও সে-ঘরে বুড়োরা থাকবে না তখন। তারা হাটে যাবে।

পটভূমি প্রস্তুত।

সমস্ত রাত ঘুম হল না রোশনলালের। পচায়ের স্রোত জঠরে ঢেলে মাথার আগুন ঠাণ্ডা করা গেল না।

কী করবে সে? প্রথমেই হত্যা করবে?

না। তার বিশ বছর বয়স থেকে ভিতরের যে পশুটা বুভুক্ষু, প্রথমে তাকে ছেড়ে দেবে। হীরার তখন আশা হবে। তার নারীদেহের লোভে ডুবিয়ে মানুষটাকে বশীভূত করা গেল ভাববে। আতঙ্কে ত্রাসে বোবা হয়ে যাবে পরক্ষণে। চোখ বোজারও অবকাশ পাবে না, ধারালো ছোরাটা তার নরম বুকের উষ্ণ তাজা রক্তে স্নান করে উঠবে।

.

পরদিন।

 প্রতীক্ষিত সময় এলো।

 সঙ্গী চারজন নির্দেশমত হাটের দিকে চলে গেল।

রোশনলালও তার পথে পা বাড়ালো।

দূরে দাঁড়িয়ে হীরা আর সূরযপ্রসাদের ঘরটা ভালো করে দেখল একবার। তারপর আস্তে আস্তে কাছে এগিয়ে এলো।

দরজা ভেতর থেকে বন্ধ। পলকা দরজা, অনায়াসে ধাক্কা দিয়ে ভেঙে ঢুকতে পারে। কিন্তু তার দরকার হবে না বোধহয়।

দরজায় বার-কয়েক মৃদু আঘাত করতে ওদিক থেকে সাড়া মিলল।

 কয়েক পা পিছিয়ে এসে রোশনলাল প্রস্তুত হয়ে দাঁড়াল।

 দরজা খুলে হীরা বেরিয়ে এলো।

কিন্তু নিমেষের মধ্যে চোখেমুখে সমগ্র সত্তায় এ কিসের আচমকা ঝাঁপটা খেল রোশনলাল? সবকিছু ধাঁধিয়ে দেবার মতো, অন্ধ করে দেবার মত আলোর ঝাঁপটা!

পাদ্রী জোসেফের ঘরের দেয়ালের ছবির মতো এক অনির্বচনীয় রমণী-মূর্তি, কোলে তার ফুটফুটে ছেলে একটা। মা বলছে, বিশ্বমায়ের কোলে মানবপুত্র বিশ্বশিশু। .যা দেখে রোশনলালের ভাবতে ভালো লাগত, সেও একদিন ওই ছবির বাচ্চাটার মতো ছোট ছিল, আর তার মা হয়ত তখন অমনি তাকে বুকে করে দাঁড়িয়ে থাকত।

না, ছবি নয়। সামনে হীরা দাঁড়িয়ে। বুকে তার দু-বছরের ফুটফুটে ছেলে একটা।

তাকে দেখে হীরা চমকে উঠেছিল কিনা, ত্রাসে বিবর্ণ হয়েছিল কিনা–ওই আলোর ঝাঁপটা খেয়ে রোশনলাল কিছুই লক্ষ্য করেনি। স্থির দাঁড়িয়ে হীরা এখন তাকেই দেখছে। তার বিভ্রম অনুভব করছে।

জোসেফের ঘরের ছবির রমণী কখনো কথা বলেনি। এই রমণী বলল।–বাইরে দাঁড়িয়ে কেন, ভেতরে এসো। সূরযপ্রসাদ হাটে গেছে।

স্থান-কাল ভুলে ফ্যালফ্যাল করে চেয়েছিল রোশনলাল, দেখছিল। মিষ্টি মৃদু কথা কটা কানে যাওয়া মাত্র বিষম চমকে উঠল। নিজের মাথার উপর উদ্যত খড়গ দেখলেও কেউ এমন চমকায় না বোধহয়।

চকিতে আর একবার শুধু সামনের জীবন্ত চিত্রটা দেখে নিল। পরক্ষণে উধ্বশ্বাসে ছুটল হাটের পথ ধরে।

একটু দেরি হয়ে গেলে চরম সর্বনাশ আর ঠেকানো যাবে না বুঝি।