১.১১ আমাদের জ্ঞাতি ও নিন্দুকেরা

আমাদের জ্ঞাতি ও নিন্দুকেরা

আমরা ক্রমে বিলক্ষণ বড় হয়ে উঠলেম, দু-চার জন আমাদের অবস্থার হিংসে কত্তে লাগলেন, জ্ঞাতিবর্গের বুকে ঢেঁকি পড়তে লাগলো–আমাদের বিপদে মুচ্‌কি হাসে ও আমোদ করেন, তাদের এক চোখ কাণা হয়ে গেলে যদি আমাদের দু চক্ষু কাণা হয়, তাতে এক চক্ষু দিতে বিলক্ষণ প্রস্তুত–সতীনের বাটিতে গু গুলে খেতে পারলে তার বাটিটি নষ্ট হয়, স্বয়ং না হয়, গু গুলেই খেলেন! জ্ঞাতি বাবু ও বিবিদেরও সেই রকম ব্যবহার বেরুতে লাগলো। লোকের আঁটকুড়ো হয়ে বনে একা থাকা ভাল, তবু আমাদের মতন জ্ঞাতির সঙ্গে এক ঘর ছেলে পুলে নিয়ে বাস করা কিছু নয়! আমাদের জ্ঞাতিরা দুর্য্যোধনের বাবা–তাদের মেয়েরা কৈকেয়ী ও সুর্পণখা হতেও সরেস! ক্ৰমে এক দল শক্র জন্মালেন, একদল ফ্রেণ্ডও পাওয়া গেল। যাঁরা শক্রর দলে মিশলেন, তাঁরা কেবল আমাদের দোষ ধরে নিন্দে কত্তে আরম্ভ কল্লেন। ফ্রেণ্ডরা সাধ্যমত ডিফেণ্ড কত্তে লাগলেন, শত্তুররা খাওয়া দাওয়া ও শোয়ার সঙ্গে আমাদের নিন্দে করা সংকল্প করেছিলেন, সুতরাং কিছুতেই থামলেন না; আমরাও অনেক সন্ধান করে দেখলুম যে, যদি তাদের কোন কালে অপরাধ করে থাকি, তা হলে অবশ্যই আমাদের উপর চটতে পারেন; কিছুই খুঁজে পেলুম না, বরং সন্ধানে বেরুলো যে, নিন্দুকদলের অনেকের সঙ্গে আমাদের সাক্ষাৎ পৰ্যন্তও নাই। লোকের সাধ্যমত উপকার করা যেমন কতকগুলির চিরন্তন ব্রত সেইরূপ বিনা দোষে নিন্দা করাও সহরের কতকগুলি লোকের কর্ত্তব্য কৰ্ম্ম ও ব্রতের মধ্যে গণ্য;—আমরা প্রার্থনা করি, নিন্দুকরা কিছুকাল বেঁচে থাকুন, তা হলেই অনেকে তাদের চিনে নেবেন ও বক্তারা যেমন বকে বকে শেষে ক্লান্ত হয়ে আপনা আপনিই থামেন এরা আপনা আপনি থামবেন। তবে অনেকের এই পো বলেই যা হোক–পেসাদারের কথা নাই।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *