1 of 2

১৯. ওয়াকফ

১৯. ঊনবিংশ অধ্যায় – ওয়াকফ

ধারা-৪৯৭

সংজ্ঞা (ক) কোন ব্যক্তি কর্তৃক নিজ সম্পত্তি আল্লাহর মালিকানায় সোপর্দ করিয়া উহা বা উহা হইতে প্রাপ্ত আয় কোন ধর্মীয় বা জনকল্যাণমূলক কাজে নিয়োগের নির্দেশ দেওয়াকে “ওয়াক” বলে।

(খ) যে ব্যক্তি নিজ সম্পত্তি ওয়াকফ করে তাহাকে “ওয়াকিফ” বলে।

বিশ্লেষণ

ওয়াফ () শব্দের অর্থ স্থগিত করা, আবদ্ধ করা, স্থির রাখা, নিবৃত্ত রাখা। কোন জিনিস নিজের মালিকানা হইতে মুক্ত করিয়া স্থায়ীভাবে আল্লাহ্র মালিকানায় অর্পণ করা এবং উহা হইতে প্রাপ্ত আয় অপর কাহারও অনুকূলে দান করাকে “ওয়া “ বলে। ইমাম আবু ইউসুফ (রা)-এর মতে, বাচনিক ওয়াফ করার পর সংশ্লিষ্ট জিনিসের উপর ওয়াকিফের মালিকানাস্বত্ব রহিত হইয়া যায়। সে উহা আর নিজ মালিকানায় নিতে, হেবা করিতে বা বিক্রয় করিতে পারে না। ওয়াকফ বাধ্যতামূলক হওয়ার জন্য শাসকের নির্দেশ বা মুতাওয়াল্লীর হস্তগত হওয়া জরুরী নহে। ওয়াফ এমন সব উদ্দেশ্যে হইবে যাহা ইসলামী বিধানে কল্যাণকর ও পুণ্যজনক বলিয়া স্বীকৃত। মহানবী (স) এইসব উদ্দেশ্যে সম্পদ ব্যয় করার জন্য উৎসাহিত করিয়াছেন। তিনি বলেন :

اذا مات الانسان انقطع عنه عمله الأ من ثلثة أشياء

صدقة جارية أو علم ينتفع به أو ولد صالح يدعو له

“মানুষ মরিয়া যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাহার কর্মশক্তি রহিত হইয়া যায়। কিন্তু তিনটি জিনিস ব্যতিক্রম : নীরবচ্ছিন্ন কল্যাণদায়ী দান, উপকারী জ্ঞান এবং পিতামাতার জন্য দোয়াকারী সন্তান।

আবু তালহা (রা) তাঁহার গরীব আত্মীয়ের অনুকূলে তাঁহার খেজুর বাগান ওয়াকফ করিয়াছিলেন। উমর ফারুক (রা) তাঁহার খায়বারের জমি ওয়াকফ করিয়াছিলেন।

Obro

ধারা-৪৯৮

যেসব শব্দে ওয়াকফ সাব্যস্ত হয় এমন বাক্যে ওয়াকফ অনুষ্ঠিত হইতে পারে যাহা দ্বারা আইনত ওয়াকফ প্রমাণিত হয়, উহার জন্য সরাসরি ওয়াকফ শব্দের ব্যবহার জরুরী নহে।

বিশ্লেষণ

ওয়াকফ সম্পাদিত হওয়ার জন্য মূল বিষয় হইল ওয়াকিফ (ওয়াফকারী)-এর অভিপ্রায়। কেহ যদি বলে, আমার এই সম্পত্তি স্বতন্ত্র ও স্থায়ীভাবে আমার জীবদ্দশায় ও আমার মৃত্যুর পরের জন্য দান করিলাম; অথবা বলে, আমার এই সম্পত্তি স্থায়ী দান হিসাবে আটক থাকিবে আমার জীবদ্দশায় ও আমার মৃত্যুর পর; অথবা বলে, আমার জীবনে ও মরণের পরে আমার এই সম্পত্তি স্থায়ী দান হিসাবে আবদ্ধ থাকিবে, তবে উহার দ্বারা ওয়াকফ কার্যকরী হইয়া যাইবে এবং উহা দরিদ্রদের জন্য অথবা জকল্যাণমূলক কোন সৎকাজে ব্যবহৃত হইবে।

ধারা-৪৯৯

ওয়াকফ বৈধ হওয়ার শর্তাবলী ওয়াকফ বৈধ হওয়ার জন্য নিম্নোক্ত শর্তাবলী পূরণ হওয়া অপরিহার্য– (ক) ওয়াকিফকে বালেগ ও সুই বুদ্ধিসম্পন্ন হইতে হইবে; (খ) তাহাকে ওয়াকফকৃত সম্পত্তির বৈধ মালিক হইতে হইবে;

(গ) ইসলাম অনুমোদিত পুণ্যকর্মের জন্য ওয়াকফ করিতে এবং উহার ঘোষণা দিতে হইবে;

(ঘ) ওয়াকফ তৎক্ষণাৎ কার্যকরী করিতে হইবে এবং কোন শর্তের সহিত সংশ্লিষ্ট করা যাইবে না;

(ঙ) ওয়াকফকৃত জিনিসটির পরিমাণ ও অবস্থা সুনির্দিষ্ট হইতে হইবে; (চ) ওয়াকফের সহিত বিক্রয় অথবা হেবা করার শর্ত যোগ করা যাইবে না; এবং (ছ) স্থায়ীভাবে ওয়াকফ করিতে হইবে।

বিশ্লেষণ

কেবল সুস্থজ্ঞান সম্পন্ন ও বালেগ মুসলিম ব্যক্তিই ওয়াফ করিতে পারে। কোন নাবালেগ বা পাগলের ওয়াকফ আইনত কার্যকরী হয় না। অবশ্য নির্বোধ হওয়ার কারণে কোন ব্যক্তিকে নিজ সম্পত্তি ভোগ-ব্যবহার হইতে বিরত রাখা হইলে সে যদি কল্যাণকর কাজের জন্য কিছু ওয়াকফ করে তবে উহা কার্যকরী হইবে। ওয়াকফ করার সময় ওয়াকিফকে ওয়াকফকৃত সম্পত্তির মালিক হইতে হইবে, অন্যথায় ওয়াফ বৈধ হইবে না। কোন ব্যক্তি অপরের সম্পত্তি জবরদখল করার পর উহা ওয়াফ করিল, পরে মূল মালিকের সহিত আপোসরফা করিল অথবা তাহার নিকট হইতে

৫৮১

উহা ক্রয় করিয়া নিল, এই অবস্থায় ওয়াকফ বৈধ হইবে না। অনুরূপভাবে কোন ব্যক্তি একটি সম্পত্তি ক্রয় করিয়া উহা ওয়াকফ করিয়া দিল, এমনকি উহার উপর মসজিদও নির্মাণ করিল। পরে অপর এক ব্যক্তি আসিয়া নিজের মালিকানা প্রমাণ করিল এবং ইহাও প্রমাণ করিল যে, উহা বিক্রয়কালে বিক্রেতার মালিকানায় ছিল না, তবে উক্ত ওয়াকফ বাতিল হইয়া যাইবে। অনুরূপ কেউ জমি বা বাড়ি খরিদ করিয়া ওয়াফ করিল এবং পার্শ্ববর্তী ব্যক্তি উহাতে শুফআ দাবি করিল, এমতাবস্থায় ওয়াফ বাতিল হইয়া যাইবে।

ওয়াকফ সম্পন্ন হওয়ার জন্য উহার ঘোষণা দেওয়াই যথেষ্ট, মুতাওয়াল্লীর নিকট দখল বুঝাইয়া দেওয়া জরুরী নহে।

ওয়া তৎক্ষণাৎ কার্যকর করিতে হইবে, কোন শর্ত যুক্ত করা যাইবে না। যেমন আমার পুত্র আসিলে ওয়াকফ কার্যকর হইবে, এইরূপ শর্ত আরোপ করিলে ওয়াকফ হইবে না।” ওয়াফের সহিত হেবা অথবা বিক্রয়ের শর্ত যোগ করিলে ওয়াকফ বৈধ হইবে না। ওয়াকফকৃত জিনিস সুনির্দিষ্ট ও বিদ্যমান থাকিতে হইবে। অন্যথায় উহা বৈধ হইবে না। তাহা ছাড়া চিরস্থায়ীভাবে ওয়াকফ করিতে হইবে। সাময়িক কালের জন্য ওয়াকফ করিলে উহা বাতিল গণ্য হইবে। হযরত উমার (রা) তাঁহার কিছু সম্পত্তি ওয়াকফ করিতে চাহিলে মহানবী (সা) বলেন :

تصدق بأصله لا يباع ولا يوهب ولا يورث .

“তুমি মূল সম্পত্তি এমনভাবে দান কর যে, তাহা (আর কখনও) বিক্রয় করা যাইবে না, হেবা করা যাইবে না এবং ওয়ারিশী সূত্রেও কেহ প্রাপ্ত হইবে না।”

ধারা-৫০০

ওয়াকফের উদ্দেশ্য ইসলামী শরীআতে যেসব কাজ বৈধ, উত্তম ও কল্যাণকর বলিয়া বিবেচিত কেবল সেই সব উদ্দেশ্যে ওয়াকফ করা যাইবে।

বিশ্লেষণ

যেমন মসজিদ, মাদরাসা, রাস্তাঘাট, আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণের জন্য এবং গরীব-দুঃখীদের সাহায্যের জন্য ভূসম্পত্তি ওয়াফ করা ইত্যাদি।

ধারা-৫০১

মূশা (অবিভক্ত সম্পত্তি) ওয়াকফ করা যে সম্পত্তি বিভাজনযোগ্য নহে, অথবা বিভাজন করিলে উহার উপযোগিতা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা আছে উহার অবিভাজ্য অংশের ওয়াকফ করা বৈধ, কিন্তু বিভাজনযোগ্য হইলে বিভক্ত না করা পর্যন্ত ওয়াকফ করা বৈধ নহে।

৫৮২

বিশ্লেষণ

স্থাবর কিংবা অস্থাবর সম্পত্তির অবিভক্ত অংশকে মূশা বলা হয়। যে জিনিস বিভাজনযোগ্য নহে উহার কোন অংশ, যাহা গোটা জিনিসের মধ্যে ছড়াইয়া আছে, ওয়াফ করা যাইতে পারে। যেমন গোসলখানার একটি অংশ ওয়াকফ করা। কিন্তু যে জিনিস বিভাজনযোগ্য তাহা বিভক্ত না করিয়া ওয়াফ করা বৈধ নহে। অবিভক্ত সম্পত্তি মসজিদ ও করবস্থানের জন্য ওয়াকফ করা জায়েয নহে।

ধারা-৫০২

ওসিয়াতের মাধ্যমে ওয়াকফ (ক) কোন ব্যক্তি ওয়াকফের ওসিয়াত করিয়া গেলে তাঁহার মৃত্যুর পর ওয়াকফ কার্যকর হইতে পারে এবং উহাতে ওসিয়াতের বিধান আরোপিত হইবে;

(খ) ওসিয়াতের মাধ্যমে কৃত ওয়াকফ ওয়াসিয়াতকারী তাহার জীবদ্দশায় যে কোন সময় বাতিল করিতে পারে।

বিশ্লেষণ

ওসিয়াতের মাধ্যমে ওয়াফ করা হইলে উহা ওয়াকিফের এক-তৃতীয়াংশ সম্পত্তিতে কার্যকর হইবে এবং এক-তৃতীয়াংশের অধিক সম্পত্তিতে ওফাফের ওসিয়াত করিলে উহা তাহার ওয়ারিশগণের মর্জির উপর নির্ভরশীল হইবে।” ওসিয়াতকারীর কাফন দাফনের খরচ ও তাহার ঋণ পরিশোধের পর যে সম্পত্তি অবশিষ্ট থাকিবে উহার

এক-তৃতীয়াংশের উপর ওয়াফ কার্যকর হইবে।”

ধারা-৫০৩

মৃত্যুব্যাধিগ্রস্ত অবস্থায় ওয়াকফ মৃত্যুশয্যায় থাকা অবস্থায় ওয়াকফ করিলে উহাতে ওসিয়াতের মাধ্যমে ওয়াফের বিধান প্রজোয্য হইবে।

বিশ্লেষণ

অর্থাৎ মৃত ব্যক্তির এক-তৃতীয়াংশ সম্পত্তিতে ওয়াফ কার্যকর হইবে। কিন্তু কেউ সুস্থ থাকাকালে ওয়াফ করিলে এবং উহা মুতাওয়াল্লীর নিকট সোপর্দ করিয়া থাকিলে সে যতখানি সম্পত্তি ওয়াকফ করিয়াছে উহা ততখানিতেই কার্যকর হইবে।”

ধারা-৫০৪ সন্তানের অনুকূলে ওফাফ (ওয়া আলাল আওলা) (ক) কোন ব্যক্তি নিজের পরিবার-পরিজন, সন্তান-সন্ততি ও বংশধরের ভরণ পোষণের উদ্দেশ্যেও তাহার সম্পত্তি বা উহার অংশবিশেষ ওয়াকফ করিতে পারে;

৫৮৩

(খ) কোন ব্যক্তি নিজের সারাজীবনের ভরণপোষণের ব্যয়ভার বহনের এবং ঋণ পরিশোধের উদেশ্যেও ওয়াফ নিতে পারে;

(গ) উপরোক্ত অবস্থায় ওয়াকিফের বা তাহার সন্তানদের ও বংশধরদের মৃত্যুর পরে ওয়াকফকৃত সম্পত্তি বা উহার আয় দরিদ্রদের জন্য অথবা কোন কল্যাণকর কাজের জন্য ব্যয় হইবে বলিয়া নির্দিষ্ট করিতে হইবে;

(ঘ) উক্তরূপ ওয়াকফ সম্পত্তি বা উহার আয় ওয়াকিফ বা তাহার সন্তান ও বংশধরদের জন্য অবৈধ হইবে না।

বিশ্লেষণ

কোন ব্যক্তি বলিল, আমার এই মাল আমার নিজের জন্য, অতঃপর আমার সন্তানদের জন্য, অতঃপর গরীব-মিসকীনদের জন্য ওয়াকফ করিলাম। তাহার এই ওয়াকফ বৈধ এবং ওয়াকফ করার পরে জন্মগ্রহণকারী সন্তানগণও উহা হইতে প্রাপ্ত আয়ে অংশীদার হইবে।” মহানবী (সা) বলেন :

گل معروف صدقه وما أنفق الرجل على نفسه وأهله فهو صدقه .

“প্রতিটি সকাজই দানস্বরূপ। যে কোন ব্যক্তি তাহার নিজের জন্য এবং পরিবারের জন্য যাহা ব্যয় করে তাহা তাহার জন্য দান হিসাবে গণ্য।”

کمر

من أنفق على نفسه نفقه فهى له صدقة ومن أنفق على

امراته واهله وولده فهو له صدقة.

“কোন ব্যক্তি নিজের জন্য যাহা খরচ করে উহা তাহার জন্য দানস্বরূপ। কোন ব্যক্তি নিজ স্ত্রী, পরিবার ও সন্তানদের জন্য যাহা ব্যয় করে উহাও তাহার জন্য দান হিসাবে গণ্য।”

আল-আরকাম (রা) সাফার পাদদেশে অবস্থিত ‘দারুল ইসলাম’ নামক তাঁহার ঘরখানি স্বীয় সন্তানের অনুকূলে দান করেন এবং দলীলে শর্ত আরোপ করেন যে, তাহা বিক্রয়ও করা যাইবে না এবং ওয়ারিশী সূত্রে বণ্টিতও হইবে না। হিশাম ইবনুল আস (রা) ও তাঁহার মুক্তদাস ইহাতে সাক্ষী হন।

ان عمر استشار رسول الله صلى الله عليه وسلم في أن تصدق بماله بمغ فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم تصدق به قم مره وتحبس أصله لأتباع و توهب .

“উমর (রা) তাঁহার ছাগ নামক এলাকার সম্পত্তি দান-খয়রাত করার বিষয়ে মহানবী (স)-এর নিকট পরামর্শ চাহিলে তিনি বলেন : উহা দান কর, উহার আয়

৫৮৪

বণ্টন কর (ফকীর-মিসকীন, নিকটাত্মীয়, মেহমান, পরিব্রাজকদের মধ্যে ও আল্লাহর পথে) এবং মূল সম্পত্তি আটক রাখ এইভাবে যে, তাহা বিক্রয়ও করা যাইবে না, হেবাও করা যাইবে না।”২৪

ধারা-৫০৫

ওয়াফ বাতিলকরণ ওয়াকিফের জীবদ্দশায় সম্পন্ন ওয়াকফ বাতিল করা যায় না। অবশ্য ওসিয়াতের মাধ্যমে কৃত ওয়াকফ ওয়াকিফের জীবদ্দশায় যে কোন সময় বাতিল করা যায়।

ধারা-৫০৬

মুতাওয়াল্লী নিয়োগ (ক) ওয়াকিফ ওয়াকফকৃত বস্তুর তত্ত্বাবধানের জন্য নিজেও মুতাওয়াল্লী হইতে পারে, অথবা নিজের পুত্র-কন্যা বা অপর কাহাকেও মুতাওয়াল্লী নিয়োগ করিতে পারে;

(খ) ওয়াকফনামায় মুতাওয়াল্লী সম্পর্কে কোন সুস্পষ্ট বক্তব্য না থাকিলে ওয়াকিফই মুতাওয়াল্লী সাব্যস্ত হইবে; তাহার মৃত্যুর পর এই দায়িত্ব তাহার প্রতিনিধির উপর, অতঃপর সমসাময়িক শাসকের উপর বর্তাইবে।

বিশ্লেষণ

ওয়াকিফ স্বয়ং মুতাওয়াল্লী নিয়োজিত হইতে পারে। সে উহার দেখাশুনার জন্য কোন ব্যক্তি বা কমিটিও নিয়োগ করিতে পারে। তাহার মৃত্যুর পর তাহার প্রতিনিধি (49) এবং তাহার পরে সরকার মুতাওয়াল্লী নিয়োগের অধিকারী হইবে।

ধারা-৫০৭

মুতাওয়াল্লীর যোগ্যতা প্রত্যেক বালেগ, বুদ্ধিমান, বিশ্বস্ত ও ওয়াকফকৃত বস্তুর ব্যবস্থাপনার যোগ্যতা সম্পন্ন পুরুষ বা মহিলা মুতাওয়াল্লী হইতে পারে।

বিশ্লেষণ

উপরোক্ত গুণসম্পন্ন যে কোন ব্যক্তি, সে যে ধর্মেরই অনুসারী হউক, মুতাওয়াল্লী হইতে পারে। মুতাওয়াল্লী হওয়ার জন্য স্বাধীন ও মুসলিম হওয়া শর্ত নহে, এমনকি অন্ধ ব্যক্তিও মুতাওয়াল্লী হইতে পারে।২৭ ওয়ারিশী সূত্রে নাবালেগ মুতাওয়াল্লী হইলে ওয়াকফ দেখাশোনার জন্য সরকার অপর কাহাকেও তাহার প্রতিনিধি নিয়োগ করিবে।

৫৮৫

ধারা-৫০৮

মুতাওয়াল্লীর অপসারণ মুতাওয়াল্লী ওয়াকফকৃত সম্পত্তির তত্ত্বাবধানে অক্ষম বা অযোগ্য হইলে আদালত তাহাকে অপসারণ করিয়া ওয়াকিফের পরিবারের! ন যোগ্য ব্যক্তিকে মুতাওয়াল্লী নিয়োগ করিতে পারে।

ওয়াকিফ যদি মুতাওয়াল্লী পদ নি. ১ ন্য নির্দিষ্ট রাখে এবং এই শর্ত আরোপ করে যে, শাসক অথবা আদালত তাহাকে অপসারণ করিতে পারিবে না, তবে ওয়াকিফের বিশ্বস্ত না হওয়ার অভিযোগে আদালত তাহাকে বরখাস্ত করিতে পারিবে। ইমাম আবু ইউসুফ (র)-এর মতে ওয়াকিফ কর্তৃক নিয়োগকৃত মুতাওয়াল্লীকে সে অপসারণ করিতে পারে কিন্তু ইমাম মুহাম্মদ (র)-এর মতে উহা সম্ভব নহে যদি অপসারণের ক্ষমতা সে ওয়াকফনামায় উল্লেখ না করিয়া থাকে।

মুতাওয়াল্লী দায়িত্বমুক্ত হইতে চাহিলে ওয়াকিফের অথবা আদালতের সম্মতি লাগিবে। ওয়াকিফের পরিবারে কোন যোগ্য লোক না পাওয়া গেলে আদালত অন্য কোন ব্যক্তিকে মুতাওয়াল্লী নিয়োগ করিতে পারে। কিন্তু তাহার পরিবারে যোগ্য লোক পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে উপরোক্ত ব্যক্তিকে অপসারণ করিয়া আদালত তাহার উপর দায়িত্ব দিবে। মুতাওয়াল্লী নিয়োগের সর্বময় ক্ষমতা ওয়াকিফের জন্য সংরক্ষিত। তাহার পরে তাহার ওসী এই ক্ষমতার অধিকারী হইবে। ওসীর অবর্তমানে আদালত উহাতে হস্তক্ষেপ করিতে পারিবে না। তবে ওয়াকিফ বা তাহার নিয়োগকৃত মুতাওয়াল্লী ফাসিক (পাপাচারী) হইয়া গেলে আদালত তাহাকে অপসারণ করিতে পারে।

ধারা-৫০৯।

ওয়াকফ সম্পত্তির বিক্রয়, বন্ধক ইত্যাদি ওয়াকফনামায় সুস্পষ্ট উল্লেখ অথবা আদালতের অনুমতি ব্যতীত মুতাওয়াল্লী ওয়াকফকৃত সম্পত্তি বিক্রয়, বন্ধক, বিনিময় অথবা অন্য কোন পন্থায় হস্তান্তর করিতে পারিবে না।

বিশ্লেষণ

ওয়াফনামায় ওয়াকফকৃত সম্পত্তি বা উহার অংশবিশেষ বিক্রয়, বন্ধক বা বিনিময় করার সুস্পষ্ট উল্লেখ অথবা ওয়াফের উদ্দেশ্য উৎকৃষ্টতরভাবে পূরণের জন্য যুক্তিসঙ্গত কারণের ভিত্তিতে আদালত অনুমতি প্রদান করিলেই কেবল উহা বিক্রয় করা যাইবে, বন্ধক রাখা যাইবে বা বিনিময় করা যাইবে। ওয়াকিফ ওয়াফনামায় উহা বিক্রয় করিয়া পুনরায় ক্রয় করা সম্পত্তি ওয়াফ করার শর্ত যোগ করিয়া থাকিলে সে মাত্র একবার উহা বিক্রয় করিতে পারিবে। তবে বারবার বিনিময় করার শর্ত রাখিলে ভিন্ন কথা।

৫৮৬

ধারা-৫১০

মুতাওয়াল্লীর বেতন-ভাতা (ক) ওয়াকফ সম্পত্তির আয় হইতে মুতাওয়াল্লী তাহার নিজের জন্য বেতন-ভাতা গ্রহণ করিতে পারে;

(খ) ওয়াকফনামায় বেতন-ভাতার কোন উল্লেখ না থাকিলে মুতাওয়াল্লীর আবেদনক্রমে আদালত তাহার জন্য বেতন-ভাতা নির্ধারণ করিয়া দিতে পারে।

বিশ্লেষণ

হযরত উমর (রা) তাঁহার সম্পত্তি ওয়াক্ফ করার পর ওয়াকফনামায় মুতাওয়াল্লী সম্পর্কে নিম্নোক্ত কথা যোগ করেন :

لا جناح على من وليه أن يأكل منه بالمعروف …. غير

• _ J6,

“যে ব্যক্তি উহার তত্ত্বাবধান করে তাহার জন্য উহার আয় হইতে ক্রয়ের অভিপ্রায় ব্যতীত ন্যায়সঙ্গত পরিমাণ গ্রহণ করা দূষণীয় নহে।”৩৪

মুতাওয়াল্লী যদি ওয়াকফ সম্পত্তির দেখাশুনা করিতে অক্ষম হইয়া পড়ে তবে সে বেতন-ভাতা পাইবে না। সে যদি অন্য লোক দ্বারা উহার ব্যবস্থাপনা করিতে সক্ষম হয় তবে বেতন-ভাতা হইতে বঞ্চিত হইবে না। আদালত ইচ্ছা করিলে মুতাওয়াল্লীর সহিত প্রয়োজনীয় সংখ্যক বেতনভুক্ত কর্মচারী নিয়োগ করিতে পারে। ওয়াকিফ যদি ওয়াকফনামায় এই কথা যোগ করে যে, মুতাওয়াল্লী যে কোন অবস্থায় বেতন-ভাতা পাইবে, তবে আদালত তাহাকে অপসারণ করিলেও সে তাহা পাইতে থাকিবে।৩৫

ধারা-৫১১

মুতাওয়াল্লীর কার্যসীমা যে উদ্দেশ্যে ওয়াকফ প্রতিষ্ঠা করা হইয়াছে উহার বাস্তবায়নের জন্য এবং ওয়াকফের শরীআত সম্মত শর্তাবলীর আওতার মধ্যে থাকিয়া মুতাওয়াল্লীকে কার্য পরিচালনা করিতে হইবে।

বিশ্লেষণ

• মুতাওয়াল্লীর সর্বপ্রথম কাজ হইল, ওয়াকফ হইতে প্রাপ্ত আয় দ্বারা ওয়াকফের রক্ষণাবেক্ষণ ও উন্নয়ন সাধন। ওয়াকফ সম্পত্তির অধীনে বাড়িঘর, দোকানপাট ও জায়গা-জমি থাকিলে ওয়াকফের শর্তাধীনে মুতাওয়াল্লী তাহা ভাড়ায় বা লাভজনক কোন কাজে খাটাইতে পারিবে এবং উহার আমদানি হইতে উহার আনুষঙ্গিক ব্যয় বহন করিবে। মসজিদের ওয়াকফ হইতে প্রাপ্ত আয় দ্বারা মসজিদের উন্নয়ন ও রক্ষণাবেক্ষণ, ইমাম, মুআযিন ও খাদেমগণের বেতন এবং অন্যান্য আনুষঙ্গিক খরচ

• বহনের পর কিছু উদ্বৃত্ত থাকিলে মুতাওয়াল্লী প্রতিষ্ঠানের কল্যাণে উহা দ্বারা অতিরিক্ত

৫৮৭

সম্পদ আয়ের উদ্যোগ গ্রহণ করিতে পারিবে। তবে অর্জিত এই অতিরিক্ত সম্পদ ওয়াকফ হিসাবে গণ্য হইবে না, উহা যেকোন সময় হস্তান্তর করা যাইবে।

ধারা-৫১২

ওয়াকিফ দরিদ্র হইয়া গেলে ওয়াকিফ বা তাহার সন্তানগণ বা তাহার নিকটাত্মীয় কেহ দরিদ্র ও সাহায্যের মুখাপেক্ষী হইয়া পড়িলে ওয়াকিফ গরীবদের জন্য প্রদত্ত তাহার ওয়াকফ প্রত্যাহার করিতে বা উহার আয় ভোগ করিতে পারিবে না।

বিশ্লেষণ

সচ্ছল অবস্থায় ওয়াফ করার পর কালের চক্রে ওয়াকিফ বা তাহার সন্তানগণ বা নিকটাত্মীয় কেহ সাহায্যের মুখাপেক্ষী হইয়া পড়িল। এমতাবস্থায় দরিদ্রের সাহায্যের জন্য কৃত তাহার ওয়াকফ সে প্রত্যাহার করিতেও পারিবে না এবং উহার আয়ও সে বা তাহার সন্তানগণ ভোগ করিতে পারিবে না, তবে উহার আয় তাহার নিকটাত্মীয় অভাবীদের মধ্যে বণ্টন করাই উত্তম। ইহার পর কিছু অবশিষ্ট থাকিলে তাহা সাধারণ দরিদ্রদের মধ্যে বণ্টন করিবে।

ধারা-৫১৩

অমুসলিম ব্যক্তির ওয়াকফ। কোন অমুসলিম ব্যক্তি তাহার সন্তান ও বংশধর এবং শেষে দরিদ্রদের জন্য কিছু ওয়াকফ করিতে পারে।

বিশ্লেষণ

সন্তান বা বংশধরের মৃত্যুর পর ওয়াকফ সম্পত্তির আয় দরিদ্রদের মধ্যে বণ্টিত হওয়ার শর্তে কোন অমুসলিম ব্যক্তি ওয়াকফ করিলে মুসলিম গরীবদের উহার আয় হইতে সাহায্য করা যাইবে। সে যদি কেবল তাহার ধর্মানুসারী গরীবদের উল্লেখ করিয়া ওয়াকফ করে তবে উহার আয় তাহারাই পাইবে।”

কোন অমুসলিম নিজ জায়গায় নিজ খরচে মসজিদ নির্মাণ করিয়া উহাতে মুসলমানদের নামায আদায়ের অনুমতি দিল এবং তাহারা উহাতে নামায আদায় করিল। এমতাবস্থায় তাহাদের নামায বৈধ হইবে, কিন্তু অমুসলিম ব্যক্তির মৃত্যুর পর উহা তাহার ওয়ারিশদের সম্পত্তিতে পরিণত হইবে।”

ধারা-৫১৪

ওয়াকফ সম্পত্তি আত্মসাৎ হইলে মুতাওয়াল্লী বা অপর কেহ ওয়াকফ সম্পত্তি আত্মসাৎ করিলে তাহা তাহার নিকট হইতে উদ্ধার করিতে হইবে।

৫৮৮

বিশ্লেষণ

এই ব্যাপারে মুতাওয়াল্লীকেই পদক্ষেপ নিতে হইবে। তাহার অবর্তমানে আদালত ওয়াকফের সুবিধা ভোগকারীদের কাহাকেও বাদী নিয়োগ করিবে এবং সে তাহা উদ্ধারের চেষ্টা করিবে। ওয়াকফ সম্পত্তির কোনরূপ ক্ষতি সাধিত হইলে আদালত আত্মসাৎকারীকে ক্ষতিপূরণ প্রদানে বাধ্য করিবে। আত্মসাৎ প্রমাণিত হইলে এবং আত্মসাৎকারী সম্পত্তি ফেরত দিতে অস্বীকৃত হইলে আদালত তাহাকে কয়েদখানায় বন্দী রাখিবে যতক্ষণ না সে তাহা ফেরত দেয়। আত্মসাকারী যদি ওয়াকফ সম্পত্তির কোনরূপ উন্নয়ন সাধন করিয়া থাকে (যেমন পুকুর খনন বা খাদ ভর্তি করিয়াছে) তবে সে উহার উন্নয়ন খরচ ফেরত পাইবে না। কিন্তু সে গাছ লাগাইয়া থাকিলে বা বাড়িঘর নির্মাণ করিলে তাহাকে উহা অপসারণের নির্দেশ দিতে হইবে, যদি উহাতে ওয়াকফ সম্পত্তির কোনরূপ ক্ষতি না হয়। কিন্তু ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকিলে সে গাছপালা ইত্যাদি ফেরত পাইবে না।

তথ্যনির্দেশিকা ১. আলমগিরী, কিতাবুল ওয়াকফ, ২খ, পৃ. ৩৫০;-আল-হিদায়া, কিতাবুল ওয়াকফ,

১খ, পৃ. ৬১৬-১৭। মুসলিম, কিতাবুল ওয়াফ, বাব মা ইয়ালহাকুল ইনসান মিনাস সাওয়াব বাদা ওয়াফাতিহি, ২খ, পৃ. ৪১ (ভারতীয় সং.); আবু দাউদ, কিতাবুল ওয়াসায়া, বাব ১৪, হা. ২৮৮০; তিরমিযী, আহকাম, বাব ফিল ওয়াফ, নং ১৩৭৬; নাসাঈ, ওয়াসায়া, বাব ফাদলুস সাদাকা আনিল মায়্যিত, নং ৩৬৮১; মিশকাতুল মাসাবীহ, কিতাবুল ইলম, আল-ফাসলুল আওয়াল, নং ২০৩। বুখারী, কিতাবুল ওয়াসায়া, অনুচ্ছেদ ১০, বাংলা অনু, আধুনিক প্রকাশনী, ৩থ, পৃ. ৫৫-৬। ঐ, অনুচ্ছেদ ১২, পৃ. ৫৭; আরও দ্র. নাসাবুর রায়াহ আল-আহাদীসিল হিদায়া, কিতাবুল ওয়াফ, ২খ, পৃ. ১৬৭-৮।

আলমগিরী, কিতাবুল ওয়াকফ, বাব ফী আলফা আল্লাতী ইয়াতিম্মু বিহাল ওয়াফ, ২খ, পৃ. ৩৫৭। আলমগিরী, হিবা, ২খ, পৃ. ৩৫৫। আলমগিরী, হিবা, ২খ, পৃ. ৩৫৩; বাহরুর রাইক, কিতাবুল ওয়াফ, ৫খ, পৃ. ১৮৮। আলমগিরী, ঐ, পৃ. ৩৫৪। কিফায়াতুল আহকাম ফিল ফিকহিল ইসলামিয়্যা (মাজমূআহ্ কাওয়ানীন হইতে

উদ্ধৃত, ৩খ, পৃ. ১০৫৫)। ১০. আলমগিরী, ঐ, পৃ. ৩৫৫। ১১. অলিমগিরী, ঐ, পৃ. ৩৫৬।

০ ০

১ ০

৫৮৯

১২. ঐ গ্রন্থ, পৃ. ৩৫৬। ১৩. বুখারী, কিতাম্বুল ওয়াসায়া, বাব ২৩, হাদীস ২৬ (ইংরেজী অনু. ডঃ মুহাম্মাদ

মুহসিন খান, ৪খ, পৃ. ২২১। ১৪. মুজামু লুগাতিল ফুকাহা, পৃ. ৪৩০ :

• ২০০ – ৩০ ০৭ (১)

(۲) حصة منتشرة في كل جزء من جزئيات الشيئ . (۳) حصة مقدرة غير معينة ولا مفروزة .

১৫.. আলমগিরী, কিতাবুল ওয়াফ, ফাসল ফী ওয়াফিল মাশা, ২খ, পৃ. ৩৬৫;

হিদায়া, ৪খ, পৃ. ৬১৮, কিতাবুল ওয়াফ। ১৬. আলমগিরী, ওয়াফ, ২খ, পৃ. ৩৬৫।

আল-মাবসূত, ১২খ, পৃ. ২৬। আল-মাকসূত, ২১খ, পৃ. ১৩৭। আল-মাসূত, ১২খ, পৃ. ৩৬। আলমগিরী, কিতাবুল ওয়াফ, আল-ফাসসুস-সানী ফিল ওয়া আলা নাফসিহি ওয়া আওলাদিহি, ২খ, পৃ. ৩৭১; আবু জাফর তাহাবী, শারহু মাআনিল আসার, কিতাবুল হিবা ওয়াস-সাদাকা, বাবুস-সাদাকাতিল মাওকুফাত, ৪খ,পৃ. ৯৫ (বৈরুত

সংস্করণ)। হাকেম, আল-মুসতাদরাক, কিতাবুল বুয়ু; সুনান দারু কুতনী, কিতাবুল বুয়ু (নাসাবুর রায়াহ হইতে উদ্ধৃত, কিতাবুল ওয়াফ, ২খ, পৃ. ১৬৯)।

তাব!রানীর মুজামুলকাবীর হইতে নাসাবুর রায়াহ-তে উদ্ধৃত, ২খ, পৃ. ১৬৯। ২৩. আল-মুসতাদরাক, কিতাবুল ফাদাইল হইতে নাসাবুর রায়াহ-তে উদ্ধৃত, ২খ, পৃ.

১৬৮। ২৪. আবু জাফর তাহাবী, শারহু মাআনিল আনার, কিতাবুল হিবা ওয়ান-সাদাকা, বাবুস।

সাদাকাতিল মাওকূফাত, ৪খ, পৃ. ৯৫। আলমগিরী, হিবা, বাব ফী বিলায় তিল ওয়াক, ২ খ, পৃ. ৪০৮। বাহরুররাইক, ৫খ, পৃ. ২৩৭-৮ (মাজমূআহ হইতে উদ্ধৃত, ৩খ, পৃ. ১১২০-১)। আলমগিরী, কিতাবুল ওয়াকফ বাব ফী বিলায়াতিল ওয়াকফ, ২খ, পৃ. ৪৩৮; বাদাইউস সানাই, পাকিস্তান সং., ৬খ, পৃ. ২১৯। আলমগিরী, ঐ, পৃ. ৪০৮।

আলমগিরী, কিতাবুল ওয়াফ, বাব বিলায়াতিল ওয়াক্ষ, ২খ, পৃ. ৪০৮ ৩০. ঐ।

ঐ।

আলমগিরী, কানপুর সংস্করণ, ২খ, পৃ. ৩৩০ (মাজমূআহ কাওয়ানীন হইতে, ৩খ,

পৃ. ১১৩১)।

৫৯০

৩৫.

৩৪. সহীহ বুখারী, কিতাবুল ওয়াসায়া, বাব ওয়ামা লিল-ওয়াসী আন ইয়ামালা ফী

মালিল-ইয়াতীম ওয়ামা ইয়াকুলু মিনহু বিকাদরি উম্মালাতিহি (তত্ত্বাবধায়ক ইয়াতীমের সম্পত্তি কিরূপে ব্যবহার করিবে এবং সে কি তাহার সেবার সমপরিমাণ তাহা হইতে ‘ ভোগ করিতে পারিবে?)।

আলমগিরী, ২খ, পৃ. ৪২৬। ৩৬, তানযীলুর রহমান, মাজমূআহ কাওয়ানীন, খ, পৃ. ১১৪৫-৪৭ (রাদুল মুহতার,

ইসআফ, আলমগিরী ইত্যাদির বরাতে)। ৩৭. আলমগিরী, কিতাবুল ওয়াকফ ফাসলুস-সামিন ফীমা ইযা ওয়াকাফা আলাল

ফুকারা…………., ২খ, পৃ. ৩৯৫। ৩৮. আলমগিরী, কিতাবুল ওয়াফ, আল-বাবুল-আওয়াল, ২খ, পৃ. ৩৫২। ৩৯. ঐ, পৃ. ৩৫৩। ৪০. আলমগিরী, কিতাবুল ওয়াফ, আল-বাবুত-তাসি ফী গাসাবিল ওয়াকফ, ২খ, পৃ.

৪৪৭।

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *