যবন কেন্দ্রের মধ্যে দুই ভাগ। একদিকে বণিকদের অবস্থান, অন্যদিকে সাধুপুরুষ আহমদ তাঁর শিষ্যদের নিয়ে থাকেন। দুর্বৃত্তদের কবল থেকে উদ্ধার করে আনার পর যবন কেন্দ্রেই আশ্রয় হয়েছে লীলাবতীর। কেন্দ্রে রমণীদের থাকবার কোনোই ব্যবস্থা। ছিলো না–ঐ দিনই আরও দুটি নিরাশ্রয়া তরুণী মহাত্মা আহমদের কাছে আশ্রয় প্রার্থনা। করে। অগত্যা আহমদ একটি গৃহের ব্যবস্থা করেন। গৃহটি দারু নির্মিত এবং প্রাচীন, কিন্তু সুন্দর।
আহমদ শেষ মুহূর্তেও বলেছিলেন, তুমি কি এই স্থানে থাকবে, না অন্য কোথাও যাবে?
প্রশ্ন শুনে লীলাবতী শেষবারের মতো শ্যামাঙ্গের মুখপানে চেয়েছিলো। তারপরে নিঃসংশয়ে বলেছিলো, আমরা আপনাদের আশ্রয়ে থাকতে চাই।
শ্যামাঙ্গ লীলাবতীর কথা শুনে আহত হয়েছিলো। পরে এক সময় বলেছিলো, তুমি ঐ কথা কেন বললে? সত্যি সত্যি তো আমরা এই স্থানে অবস্থান করছি না।
তবে আমরা এখন কোথায় যাবো, বলো? মাতুল বিদায়কালে একটি কথা বলেছিলেন, মনে আছে?
শ্যামাঙ্গের স্মরণ হয়, সিদ্ধপা বলেছিলেন, পথে যদি কোনো যবন কেন্দ্র দেখো, তাহলে সেখানে আশ্রয় নিও। তবে কি যবন কেন্দ্রগুলি সম্পর্কে সিদ্ধপার সম্যক ধারণা ছিলো?
সিদ্ধপার উপদেশটি স্মরণ হলো, কিন্তু তথাপি শ্যামাঙ্গ যবন কেন্দ্রে আশ্রয়গ্রহণ। করলো না। লীলাবতীকে বলে গেলো, তুমি দিবস কয়েক এখানে অবস্থান করো, আমি শীঘ্রই বাসস্থলের ব্যবস্থা করছি।
শ্যামাঙ্গ যবনদের আচার–আচরণ সম্পর্কে শুনেছিলো মায়াবতীদের গৃহে। মায়াবতীর মাতুল দীনদাস একদল যবন অশ্ব ব্যবসায়ীর উপাসনা ও অনুগ্রহণের রীতিটি বর্ণনা করেছিলেন। দেখলো, দীনদাস যা যা বলেছিলেন সমস্তই সত্য। এদের উপাসনায়। কোনো বিগ্রহ থাকে না। নির্দিষ্ট উপাসনা গৃহ থাকলেও তারা ভূ–পৃষ্ঠের কোনো স্থানকেই অপবিত্র জ্ঞান করে না–পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকলেই হলো। পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন যে কোনো স্থানেই তারা নামাজ পাঠ করে। উপাসনাকে এরা বলে নামাজ। শ্যামাঙ্গ শুনতে পায়, প্রায় প্রতিদিনই কেউ না কেউ এদের ধর্মে দীক্ষাগ্রহণ করছে।
আর করবেই বা না কেন? মাত্রই দিবস কয় পূর্বের কথা। একটি বালক করতোয়া নদীবক্ষে নিমজ্জিত হয়ে প্রাণ হারায়। বালকটি এক বিধবা রমণীর একমাত্র সন্তান, তাকে মৃতাবস্থায় তুলে আনা হয়। সকারের আয়োজন হচ্ছিলো। ঐ সময় পুত্রহারা মায়ের শোকার্ত রোদনধ্বনি শুনতে পান দরবেশ সাধুপুরুষ। তিনি বিধবার গৃহে প্রবেশ করে সমস্ত জানলেন তারপর বালকটির পা ধরে উর্ধ্বে তুলে চক্রাকারে ঘূর্ণন আরম্ভ করে দিলেন, বালকটির মুখ দিয়ে প্রচুর জল নির্গত হয়ে গেলে তিনি বালকটিকে ভূমিতে শায়িত করে। বক্ষদেশে চাপ প্রয়োগ করলেন বার কয়েক এবং শেষে মন্ত্রপাঠ করলেন কয়েকবার। আর তাতেই বালকটি চক্ষুরুন্মীলন করলো এবং মা বলে ডেকে উঠলো।
এই দৃশ্য যারা প্রত্যক্ষ করেছিলো তারা জানে, কি অসাধারণ দিব্য ক্ষমতার অধিকারী ঐ সাধুপুরুষ। তিনি মৃত বালকটিকে বললেন, ওঠো, তোমার মাকে গৃহে নিয়ে যাও, আর অবাক কাণ্ড, সত্য সত্যই বালকটি হাত ধরে নিজ মাতাকে গৃহে নিয়ে গেলো। আহা, তখন নাকি প্রভুর দেহ থেকে দিব্যালোক বিচ্ছুরিত হচ্ছিলো! এই প্রকার সব কথা মানুষের।
প্রতিদিন কেন্দ্রের বহির্দ্বারে কুষ্ঠ রোগীদের সারিটি দেখবার মতো। সাধুপুরুষ স্বহস্তে তাদের চিকিৎসা করে থাকেন। কুষ্ঠ রোগগ্রস্ত এতো মানুষ এ দেশে আছে, না দেখলে বিশ্বাস হতো না। কোথায় কোন রমণীটি নিগৃহীত হয়েছে, সে এসে দাঁড়াবে বহির্দ্বারে। ডোম কন্যাটি স্বামীগৃহে যাবে না, তাকেও তুমি দেখতে পাবে ঐ স্থানে দাঁড়িয়ে আছে। সর্ববিধ পীড়ন থেকে মুক্তিলাভের জন্য যেন এই স্থান। হড়ডি কন্যাটি চর্মকারের পুত্রের সঙ্গে বেরিয়ে এসেছে, এদিকে চর্মকার গৃহিণী ঐ কন্যাকে পুত্রবধূ বলে গ্রহণ করতে চান না। এখন প্রভু, কি হবে এই কন্যার? এ সমস্যা সমাধানের দায়ও যেন যবন সাধুপুরুষটির। স্বয়ং সামন্তপতি প্রতিপক্ষে একবার তাঁকে প্রণাম জানাতে আসেন। এমন জনরবও আছে যে, এই সাধুপুরুষের অগণিত অনুচরদের মধ্যে অনেকেই রক্ত মাংসের মানুষ নয়–ঐ অশরীরীদের নাম নাকি জ্বীন। আরও জনরব এই প্রকার যে, তাঁকে সর্পে দংশন করে না, ব্যাঘ্নে ভক্ষণ করে না।
লীলাবতী বলে, জানো, এদের ধর্ম একেবারেই অন্যরূপ। বিবাহ যদি সুখের না হয়, তাহলে এরা দাম্পত্য বন্ধন ছিন্ন করতে পারে এবং স্বামী–স্ত্রী উভয়েই পুনর্বিবাহ করে। আর উচ্চ নীচ ভেদাভেদ একেবারেই নেই। না দেখলে তোমার বিশ্বাস হবে না যে, প্রভু ভৃত্য একত্রে, একস্থালীতে, আহার করে। মা গো, কি ঘৃণার কথা! একস্থালী থেকে আহার করলে একে অন্যের উচ্ছিষ্ট ভক্ষণ করে না, বলো? আরও অদ্ভুত কাণ্ড, এদের ভগবানের বিগ্রহ মূর্তি নেই–এমন ধর্মের কথা শুনেছো কোথাও?
কেন যবন ধর্মের প্রসঙ্গ লীলাবতী বারবার তোলে, শ্যামাঙ্গের বোধগম্য হয় না। যখনই ওর সঙ্গে কথা বলতে যাও ঐ সকল প্রসঙ্গ সে তুলবেই। জানায়, হডি এবং চণ্ডালেরা প্রায় প্রতিদিনই দীক্ষিত হচ্ছে, আর ক্ষেত্রকররা আসছে দলে দলে–তবে প্রতিদিন নয়। এদের দীক্ষাগ্রহণের অনুষ্ঠানটিও সহজ। স্নান করে শুদ্ধ বস্ত্রে পবিত্র দেহে তুমি দীক্ষাগুরুর কাছে ক্ষুদ্র একটি মন্ত্রপাঠ করলে–তারপর আর কিছু নেই, হয়ে গেলে তুমি নতুন ধর্মের লোক। আর যদি দেখতে তুমি উপাসনাকালের দৃশ্য, হাসতে হাসতে মরে যেতে। বারংবার পশ্চাদ্দেশটি ঊর্ধ্বে তুলে এরা ভূমিষ্ঠ হয়ে প্রণাম করে। একসঙ্গে বহুলোক সারি সারি পশ্চাদ্দেশ তুলে রয়েছে–দৃশ্যটি কল্পনা করো তো?
লীলাবতী আনন্দেই আছে বলতে হবে। শ্যামাঙ্গ লক্ষ্য করে, সে আবার পূর্বের মতো হয়ে উঠেছে। সেই পূর্বের মতোই চটুল, হাস্যমুখর এবং বুদ্ধিদীপ্ত। সে বলে, এখানে একটি নবদীক্ষিত বালক আছে, তারও নাম বসন্তদাস–তার যাবনী নাম কী হয়েছে জানো? তার নাম হয়েছে, বাতেন। তোমার নাম যদি ঐরূপ কিছু হয়? মা গো, লীলাবতী হাস্যাবেগে বেপথু হয়ে পড়ে। আর শোনো, বাতেন আমাকে দীক্ষামন্ত্রটিও শিখিয়ে দিয়েছে–অত্যধিক সহজ, কয়টি শব্দমাত্রতুমি শিখবে? বলো, লা–ইলাহা ইল্লাল্লা, মোহাম্মাদুর রাসুলাল্লা। আচ্ছা, এদের ভাষায় এতো ল কেন জানো?
ঐ প্রকার কথা শুনে শ্যামাঙ্গ হতবুদ্ধি হয়ে থাকে। ইতস্তত করে, সদ্যলব্ধ বাসভবনের কথাটি জানাবে কি না। শেষে বলে, তুমি কি এখানেই থাকবে মনস্থির করেছো, নাকি বাইরে অন্য বাসভবনে যাবে?
কথা শুনে লীলাবতীর মুখ ম্লান হয়ে যায়। বলে, কই তুমি যে বললে, গৃহের সন্ধান পাও না–এভাবে একাকী থাকতে বুঝি আমার ইচ্ছা হয়? লীলার অভিমানী স্বর শুনে শ্যামাঙ্গ স্বস্তি বোধ করে। বলে, আগামীকালই আমরা নিজেদের বাসগৃহে যাবো।
লীলাবতীর চোখে নতুন আলো চমকিত হয়। বলে, সত্য বলছো, তাহলে আগামীকাল কেন? এখন গেলে কী হয়? তাকে অত্যন্ত অস্থির এবং চঞ্চল মনে হয়। পারলে যেন এই মুহূর্তেই সে যবন কেন্দ্র ত্যাগ করে। কিন্তু যখন শ্যামাঙ্গের বিদায়ের মুহূর্তটি এলো, তখন সে ইতস্তত করতে থাকে। বলে, ঐ স্থানে আমাদের বাস করতে দেবে তো, নাকি আবার পূর্বের মতো
কথাটি অসমাপ্ত রাখে লীলা। তারপরেই হঠাৎ বলে, এই সাধুপুরুষের কাছে দীক্ষা নিলে হয় না?
অত্যন্ত দ্রুত ব্যস্ততার মধ্যে হঠাৎ উচ্চারিত একটি কথা। কিন্তু শ্যামাঙ্গ গভীরভাবে আহত হয়। বলে, লীলা, স্বধর্ম ত্যাগ যে করে, সে পাপিষ্ঠ–আমরা কি পাপ করেছি, বলো? কেন আমরা নিজ ধর্ম ত্যাগ করবো?
লীলা কী ভাবে অনুমান করা যায় না। চকিতে তার জ্বরেখা তীক্ষ্ণ হয়ে ওঠে এবং চোখে দেখা দেয় বহ্নিজ্বালা। বলে, এ তুমি কী বলো শ্যামাঙ্গ, পাপ করিনি আমরা? তাহলে এভাবে নিজ পরিচয় গোপন করে পলায়ন করছি কেন? আমরা যা করেছি তা যদি পাপ না হয়, তাহলে পাপ আর কাকে বলে? তুমি কি আমাকে এই অবস্থায় রেখে দিতে চাও? বলল, আমার কী অপরাধ? আমি কেন সমস্ত দিক থেকে বঞ্চিত হব। আমি তো বলেছি তোমাকে, জীবনকে আমি পরিপূর্ণভাবেই চাই। আমি সংসার চাই, স্বামী চাই, সন্তান চাই–প্রত্যেকটিই আমার প্রয়োজন, একটি ন্যূন হলে চলবে না। যদি আমার পরিপূর্ণ জীবন হয় উত্তম, না হলে জীবনকে আমি প্রত্যাখ্যান করবো।
তাই বলে তুমি নিজ ধর্ম ত্যাগ করতে চাও?
হ্যাঁ, চাই। আমার ধর্ম কোথায়? আমি তো বুঝি না, সত্য সত্যই আমার ধর্ম বলে কোনো বস্তু কখনও ছিলো কি না। যদি ছিলো ধরে নিই, তাহলে সে ধর্ম আমার সঙ্গে প্রতারণা করেছে। এমন বিবাহ দিয়েছে, যা আমি চাইনি–সে ধর্ম আমার জীবনকে বিপন্ন করেছে, সে ধর্ম আমাকে পিতৃহীন করেছে–বলো, তাকে আমি ধর্ম বলব?
শ্যামাঙ্গ বিমূঢ় হয়। দেখে, তার সম্মুখে লীলাবতী নয়, যেন অন্য কোনো অপরিচিতা রমণী। সে বলে, লীলাবতী, এ প্রসঙ্গ থাক–এখন চলো, আমরা নিজ গৃহে যাই।
লীলাবতী হাসে। বলে, তুমি আমাকে উন্মাদিনী জ্ঞান করছে। কিন্তু আমি চিন্তা করে দেখেছি, এক গৃহে বাস, এক শয্যায় শয়ন–এতেই কি জীবনকে পাবো আমি, বলো? এক গৃহে বাস করিনি কি? এক শয্যায় শয়ন করিনি কি? কিন্তু তার ফল কি হয়েছে? রাত্রির অন্ধকারে পলায়ন, এই তো? এভাবে কতোবার পলায়ন করবো, কোথায় পলায়ন করবো, বলো? চুরি করেছি, না দস্যুতা করেছি?
শ্যামাঙ্গ প্রসঙ্গ পরিবর্তন করে। বলে, তুমি যাদের সাহচর্যে আছে তারা বুঝি সকলেই যবন ধর্মগ্রহণ করেছে, তাই না? বালকটির কি নাম বললে যেন?
লীলাবতী এবারও হাসে। বলে, প্রসঙ্গান্তরে যেতে চাও শ্যামাঙ্গ, কিন্তু আমি বালিকা নই। জীবন আমার কম বিপর্যস্ত নয়, লাঞ্ছনা কম হয়নি, আমাকে যদি জীবিত থাকতে হয়, তাহলে সেই জীবন আমার নিজেকেই গঠন করে নিতে হবে।
শ্যামাঙ্গ প্রশ্ন করে, একাকী কি জীবন রচনা সম্ভব?
না, সম্ভব নয়, লীলা স্বীকার করে।
প্রণয় কি প্রয়োজন নয়?
হ্যাঁ, শতবার প্রয়োজন।
আমি?
তুমি আমার, তুমি ব্যতীত আমার জীবন অর্থহীন।
যদি আমি স্বধর্ম ত্যাগ না করি?
অমন কথা বলো না শ্যামাঙ্গ। লীলা এবার বিপন্ন দৃষ্টিতে শ্যামাঙ্গের মুখপানে চায়। বলে, অমন কথা বলো না তোমাকে না পেলে মরণ ব্যতীত আমার গতি নেই।
শ্যামাঙ্গ বলে তখন, লীলা, আবেগাশ্রয়ী হয়ো না, আমরা এই মৃত্তিকার সন্তান, বহুযুগ ধরে পুরুষানুক্রমে আমরা নিজ ধর্ম পালন করে আসছি। আমাদের চিন্তা–ভাবনা, আনন্দ শোক, আবেগ কল্পনা, সমস্তই যেমন আমাদের ধর্মাশ্রয়ী তেমনি আবার মৃত্তিকাশ্রয়ী–এ ধর্ম ত্যাগ করার অর্থ নিজেকেই ত্যাগ করা–এ অসম্ভব ব্যাপার, তুমি ঐ চিন্তা করো না।
লীলার দৃষ্টি সম্মুখে প্রসারিত, কতদূর সে নিজেও জানে না। শ্যামাঙ্গের কথা তার শ্রবণে পশে কি না তাও বোঝা যায় না। এক সময় সে বলে, শ্যামাঙ্গ, জীবন কি বিচিত্র, তাই না? তুমি কী ভাবো আর আমি কী ভাবি। অথচ আমরা একত্র হয়েছিলাম!
তার দীর্ঘশ্বাসটি স্পষ্ট শুনতে পায় শ্যামাঙ্গ। লীলাবতীকে প্রস্থানোদ্যত দেখে সে হাত ধরে। বলে, চলো, আমরা নিজেদের গৃহে যাই।
গৃহে? লীলা যেন অবাক হয়। বলে, গৃহের কথা বলছো, না শয্যার কথা?
শ্যামাঙ্গ নিজেকে অপমানিত বোধ করে ঐ কথায়। বলে ওভাবে বলল না লীলা, তুমি আমার
আমি তোমার, কিন্তু তোমার কী, সেটি বলো?
শ্যামাঙ্গ স্থির দৃষ্টি মেলে রাখে লীলাবতীর মুখপানে। হৃদয়ে তার রক্তক্ষরণ হয়। ভাবে, এ কোন রমণীকে দেখছে সে? আত্মবিস্মৃতা এই নারী কি সুখের জন্য এতোই লালায়িতা যে নিজ ধর্মকে পর্যন্ত ত্যাগ করতে চায়?
লীলা নিজের হাত মুক্ত করে নেয়। বলে, আমি তোমার পুত্তলিটি নই শ্যামাঙ্গ, আমি জীবন্ত নারী–আমার স্বামী চাই, সংসার চাই, সন্তান চাই–ঐগুলিই আমার ধর্ম, অন্য ধর্ম আমি জানি না আমাকে তুমি প্রকাশ্যে বিবাহ করো।
শ্যামাঙ্গকে স্তব্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। লীলাবতী উদ্গত অশ্রু রোধ করতে করতে দ্বারপথে অন্তর্হিত হয়ে যায়।