লাগে টাকা দেবে গৌরীসেন
আমাদের অনেক প্রবাদ- প্রবচন বাণিজ্য সংস্কৃতির প্রত্যক্ষ অবদান। গৌরীসেনকে নিয়ে যে প্রবচন বা প্রকৃষ্ট বচন আমরা পাই সেটিও ঐ পর্যায়ের। আমাদের মনে মাঝে মাঝে প্রশ্ন জাগে— কে এই প্রবাদপুরুষ গৌরীসেন? কবে তিনি এই পৃথিবীর আলো বাতাসে বিচরণ করেছিলেন? কোথায় ছিল তার আবাসস্থল?
এসব প্রশ্নের সহজ সমাধান আজকের দিনে পাওয়া কঠিন। তবু বিভিন্ন সূত্র থেকে প্রবাদপুরুষ গৌরীসেন সম্পর্কে কিছু খবর দেবার চেষ্টা এ নিবন্ধ। তার আসল নাম গৌরীশঙ্কর সেন। পিতার নাম নন্দরাম। কেউ কেউ গৌরীচরণ, গৌরীকান্ত ইত্যাদি নামেও অভিহিত করেছেন তাকে। জাতিতে তিনি সুবর্ণবণিক সম্প্রদায়ভুক্ত। ‘হুগলী জেলার ইতিহাস ও বঙ্গসমাজ’ গ্রন্থে লেখক সুধীরকুমার মিত্র জানাচ্ছেন যে, এই খ্যাতনামা ব্যক্তি ষোড়শ শতাব্দীর শেষে হুগলি শহরের অন্তর্গত বালি নামক পল্লীতে জন্মগ্রহণ করেন। তার পূর্বপুরুষ পুরন্দর সেন সপ্তগ্রামের অধিবাসী ছিলেন এবং ব্যবসা-বাণিজ্য করতেন। সপ্তগ্রামের পতনের পর পুরন্দরের অধস্তন বংশধর হলধর সেন হুগলিতে বসতি স্থাপন করেন। হলধরের প্রপৌত্র অনিরুদ্ধ সেন। অনিরুদ্ধের পুত্র নন্দরাম এবং নন্দরামের পুত্র গৌরীশঙ্কর বা গৌরীসেন।
সুধীরকুমার মিত্রের তথ্য অনুযায়ী নন্দরাম সেন মধ্যবিত্ত গৃহস্থ ছিলেন। গৌরীসেন পৈত্রিকসূত্রে বিশেষ কোনো সম্পত্তি পাননি। সামান্য মূলধন নিয়ে বংশগত ব্যবসা পেশায় আত্মনিয়োগ করে তিনি বিপুল সম্পদের মালিক হয়েছিলেন। প্রবাদ আছে যে, গৌরীসেন পর্তুগিজদের প্রতিষ্ঠিত ব্যাণ্ডেল গির্জার দেওয়ান ছিলেন। গির্জাটি ১৫৮৮ খ্রিস্টাব্দে নির্মিত বলে জানা যায়। মোগলদের হুগলি আক্রমণের সময় ১৬৩০ খ্রিস্টাব্দে এটি ধ্বংসপ্রাপ্ত হয় এবং পুনরায় ১৬৬১ খ্রিস্টাব্দে পুনঃ নির্মিত হয় বলে কথিত আছে। মতান্তরে গির্জাটির নির্মাণকাল ১৫৯৯ খ্রিস্টাব্দ। এই গির্জার অনুকরণে একটি হিন্দু মন্দির নির্মাণের বাসনা হয় গৌরীসেনের।
কিংবদন্তি হয়ে আছে যে, মেদিনীপুরের ব্যবসায়ী ভৈরবচন্দ্র দত্তের সাথে গৌরীসেনের কারবার ছিল। একবার গৌরীসেন সাত নৌকা দস্তা মেদিনীপুরে চালান দেন। যখন নৌকাগুলো মেদিনীপুর পৌঁছে তখন ভৈরবচন্দ্র দেখলেন সেগুলো রূপা বোঝাই। রূপা বোঝাই নৌকাগুলো তিনি গৌরীসেনের কাছে ফেরত পাঠালেন। নৌকাগুলো হুগলি পৌঁছার আগের দিন রাত্রে গৌরীসেন স্বপ্নে দেখলেন, স্বয়ং মহাদেব তাকে বলছেন যে, মন্দির নির্মাণ ও জনহিতকর কাজে ব্যয় করার জন্য দস্তাকে রূপায় পরিণত করে দিয়েছেন।
এই বিপুল সম্পদ পাবার পর গৌরীসেন ১৫৯৯ খ্রিস্টাব্দে (বঙ্গাব্দ – ১০০৬) হুগলিতে গৌরীশঙ্কর শিবমন্দির নির্মাণ করেন বলে কথিত আছে। গৌরীসেন তার বিপুল সম্পদ গরিব-দুঃখী মানুষের মধ্যে অকাতরে দান করতে থাকেন। যেকোনো মানুষ তার কাছে সাহায্যপ্রার্থী হলে তিনি তাকে নিরাশ করতেন না। সারাদেশে তার দানশীলতার কথা ছড়িয়ে পড়লো। মানুষের ভরসা ছিল, যেকোনো অভাবে বা অর্থকষ্টে গৌরীসেনের প্রসারিত সাহায্যের হাত এগিয়ে আসবে। তার নাম করে যেকোনো দোকানে যেকোনো গরিব মানুষ খাবার কিংবা অতি প্রয়োজনীয় জিনিস বিনা পয়সায় নিতে পারতো। এই অকাতর দানের সুযোগ নিয়ে অনেকেই গৌরীসেনের অর্থের অপচয় করতো। বিপুল সম্পদের মালিক হলেও নিজে বিনয়ী, ধীর ও সদালাপী ছিলেন দাতা গৌরীসেন। ধর্মীয় বা জনহিতকর কাজ শুরু করে কেউ অর্থাভাবে শেষ করতে না পারলে গৌরীসেন তাকে সাহায্য করতেন। সবার বদ্ধমূল ধারণা ছিল— ‘লাগে টাকা দেবে গৌরীসেন।’
সুধীরকুমার মিত্রের মতে ১৬৬৭ খ্রিস্টাব্দে গৌরীসেনের মৃত্যু হয়। তার বংশধরেরা এখনো হুগলিতে বসবাস করেন। বিংশ শতাব্দীর প্রথমার্ধেও কলকাতায় এই বংশের বেশ ক’টি বাড়িঘর ছিল বলে জানা যায়। গৌরীসেনের দুই পুত্র— হরেকৃষ্ণ ও মুরলীধর। হরেকৃষ্ণের ছেলে ভীমচাঁদ ভীমচাদের ছেলে ঠাকুরদাস। ঠাকুরদাসের ছেলে চৈতন্যচরণ। চৈতন্যের ছেলে রাসবিহারী। তার ছেলে প্রেমচাঁদ। প্রেমচাঁদের তিন ছেলে— ক্ষেত্রমোহন, ঈশ্বরচন্দ্র ও নাটুরাম। ক্ষেত্রমোহনের আট ছেলে – গোবিন্দ, মানিক, ইন্দ্র, হাবু, জহর, অমৃত, মোহন ও মন্মথ। গোবিন্দের ছেলে সত্যচরণ ১৯৬২ খ্রিস্টাব্দে জীবিত ছিলেন বলে প্রমাণ পাওয়া যায়।
কেউ কেউ মনে করেন যে, রাজশাহী জেলার বাগমারা উপজেলার খয়রা গ্রামের তামলি (পান ব্যবসায়ী) জমিদার ছিলেন গৌরীসেন। সুদের ব্যবসা করে নাকি তিন অঢেল সম্পদের মালিক হয়েছিলেন এবং দানের মাধ্যমে প্রবাদপুরুষে পরিণত হন। সংসদ বাঙালি চরিতাভিধানে বলা হয়েছে যে, নন্দরামের পুত্র গৌরীসেন সপ্তদশ-অষ্টাদশ শতকের মানুষ। তার বাড়ি হুগলি অথবা মুর্শিদাবাদের বহরমপুরে। তিনি সুবর্ণবণিক সম্প্রদায়ভুক্ত বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও দাতা। ড. অতুল সুরের (১৯০৪-১৯৯৯ খ্রি.) নিবন্ধ থেকে আমরা জানতে পারি যে, অষ্টাদশ শতাব্দীর শেষার্ধে কলকাতার বিশিষ্ট ব্যবসায়ীদের মধ্যে গৌরীসেন অন্যতম ছিলেন। এই গৌরীসেন বা গৌরীচরণ সেন ছিলেন সুবর্ণবণিক। পঞ্চানন ঘোষালের (১৯০৭-১৯৯০ খ্রি.) পুলিশকাহিনী গ্রন্থ থেকে জানা যায় যে, অষ্টাদশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধে গৌরীসেন কলকাতায় বসবাস শুরু করেন। কলকাতা শহর গড়ার জন্য তিনি অনেক অর্থ সাহায্য করেন। বিনয় ঘোষের (১৯১৭-১৯৮০ খ্রি.) বাংলার নবজাগৃতি গ্রন্থমতেও প্রবাদপুরুষ গৌরীসেন অষ্টাদশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধে কলকাতায় বসবাস করতে আরম্ভ করেছিলেন।
আমরা জানি যে, ১৬৯৮ খ্রিস্টাব্দের জুলাই মাসে ইংরেজ বেনিয়ারা সুতানটি, কলকাতা ও গোবিন্দপুর গ্রাম তিনটি ১৬ হাজার টাকায় কিনে নিয়ে কলকাতার জমিদার হয়। ইংরেজদের এই জমিদারি পরিচালনার ভার দেয়া হয় একজন ইংরেজ কালেক্টরের ওপর। তাকে সাহায্য করার জন্য নিযুক্ত করা হয়েছিল দেশীয় সহকারী, যাকে বলা হতো ব্লাক কালেক্টর বা ব্লাক জমিনদার। এই কালা কালেক্টর বা সহকারী কালেক্টররা প্রচণ্ড দুর্নীতিপরায়ণ হলেও তাদের ওপর নির্ভর করেই রাজস্ব সংক্রান্ত ব্যাপারগুলো পরিচালনা করতে হতো ইংরেজদের। চার টাকা বেতনের চাকরি হলেও এসব সহকারীর অবৈধ উপার্জনের মাত্রা ছিল অপরিসীম। তাদের দাপটও ছিল অসাধারণ।
১৭০০ খ্রিস্টাব্দে র্যালফ শেলডন ছিলেন কলকাতার কালেক্টর। তার সময় নন্দরাম সেন নামে এক বাঙালি ছিলেন সহকারী কালেক্টর বা জেনারেল সুপারভাইজার বা ব্লাক কালেক্টর। ১৭০৪ খ্রিস্টাব্দে কলকাতা প্রেসিডেন্সির জন্ম। কালেক্টররা তখন কালেক্টর ও গভর্নর হিসেবে পরিচিত হন। সহকারী কালেক্টর নন্দরাম সেন প্রতিষ্ঠিত রামেশ্বর শিবের মন্দির কলকাতার নন্দরাম সেন স্ট্রিটে অবস্থিত। মন্দিরটির মাথায় লেখা- ১০৬১ বঙ্গাব্দের ৩১ চৈত্র নন্দরাম সেন কর্তৃক মন্দির প্রতিষ্ঠিত। হিসেব অনুযায়ী ১৬৫৫ খ্রিস্টাব্দের এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি মন্দিরটির প্রতিষ্ঠাকাল। কিন্তু এই মন্দির প্রতিষ্ঠার তারিখ নিয়ে মতানৈক্য রয়েছে। অনেকের ধারণা যে, ১৭০০ খ্রিস্টাব্দে র্যালফ শেলডনের সহকারী হবার পরবর্তীকালে নন্দরাম কর্তৃক মন্দিরটি নির্মিত হয়েছে। শেলডলের পরবর্তী কালেক্টর বেঞ্জামিন বাউচার নন্দরামের দুর্নীতির কারণে ১৭০৫ খ্রিস্টাব্দের আগস্ট মাসে তাকে বরখাস্ত করেন। আবার ১৭০৭ খ্রিস্টাব্দে নন্দরাম সহকারী কালেক্টর হন। কিন্তু পুনরায় কুকীর্তির কারণে তাকে চাকরিচ্যুত করা হয়। বিচার এড়ানোর জন্য নন্দরাম সেন হুগলিতে পালিয়ে যান এবং হুগলির মোগল ফৌজদারকে ঘুষ দেন। অবশেষে কলকাতার কর্তৃপক্ষের অনুরোধে এবং হুগলির কর্তৃপক্ষের চাপে তিন হাজার টাকা জরিমানা দিয়ে নন্দরাম রক্ষা পান। ঐ সময় (১৭০৭ খ্রি.) তিন হাজার টাকা জরিমানা দিয়ে নন্দরাম রক্ষা পান। ঐ সময় (১৭০৭ খ্রি.) কলকাতার কালেক্টর ও গভর্নর ছিলেন ওয়েল্টডেন সাহেব।
প্রাপ্ত তথ্য ও বিভিন্ন সূত্র পর্যালোচনা করে আমরা গৌরীসেন বা গৌরীশঙ্কর সেন সম্পর্কে একটি সিদ্ধান্তে পৌঁছার চেষ্টা করবো। সুধীরকুমার মিত্র মূলত তথ্য নিয়েছেন গৌরীসেনের নবম অধস্তন পুরুষ বলে কথিত সত্যচরণ সেনের কাছে যিনি ১৯৬২ খ্রিস্টাব্দে জীবিত ছিলেন। নয় পুরুষের সময়কাল বিবেচনা করলে গৌরীসেনকে অষ্টাদশ শতাব্দীর আগের মানুষ বলে মনে করা যায় না কোনোমতেই। বরং তাকে অষ্টাদশ শতাব্দীর প্রথমার্ধের মানুষ হিসেবেই প্রতিষ্ঠিত করতে হয়।
বিখ্যাত বাণিজ্য-বন্দর সপ্তগ্রামের পতনের মূল কারণ ছিল ১৫৪০ খ্রিস্টাব্দ থেকে সরস্বতী নদীতে পলি ও বালির পরিমাণ বৃদ্ধি। সম্রাট আকবরের আমলে (১৫৫৬-১৬০৫ খ্রি.) সপ্তগ্রাম বন্দরের পতন ঘটে বলে আমরা জানি। আকবর পর্তুগিজদের হুগলি নগর প্রতিষ্ঠার অনুমতি দিয়েছিলেন। সে ক্ষেত্রে হলধর সেন যদি সপ্তগ্রাম থেকে হুগলিতে এসে ষোড়শ শতকের দ্বিতীয়ার্ধে বসতি স্থাপন করে থাকেন তবে তার পঞ্চম অধস্তন পুরুষ গৌরীসেন কোনোমতেই অষ্টাদশ শতাব্দীর আগের মানুষ হন না। অর্থাৎ গৌরীসেনের সময়কাল অষ্টাদশ শতাব্দীর মধ্যেই সীমাবদ্ধ করা যেতে পারে।
নন্দরাম সেন কর্তৃক রামেশ্বর শিবমন্দির নির্মাণ এবং গৌরীসেনের হুগলিতে গৌরীশঙ্কর শিবমন্দির নির্মাণ সম্পর্কে যে সময়ের উল্লেখ করা হয় তা ভুল। কারণ ঐ সময়ে নির্মিত কোনো মন্দিরলিপিতে বাংলা বা ইংরেজি তারিখ নেই। আছে শকাব্দের উল্লেখ। এক্ষেত্রে বলা যায় যে, গৌরীশঙ্কর শিবমন্দিরে উল্লিখিত সন পরবর্তীকালে লিখিত। আমাদের ধারণা এই যে, সহকারী কালেক্টর নন্দরামের ছেলেই আমাদের প্রবাদপুরুষ গৌরীসেন গৌরীসেন পৈত্রিক সূত্রেই বিপুল সম্পদ লাভ করেছেন বলে মনে করা যায়। দৈবযোগে মহাদেবের কৃপায় হঠাৎ করে নৌকা বোঝাই দস্তা রূপায় পরিণত হবার কিংবদন্তির সত্যতা বাস্তবতার বিচারে গ্রহণযোগ্য বলে বিবেচিত হয় না। এ ধরনের কিংবদন্তি কিংবা যক্ষের ধন দৈবক্রমে হাতে পাবার প্রবাদ এদেশে বহুকাল থেকে প্রচলিত আছে।
তাহলে আমরা প্রবাদপুরুষ গৌরীসেনের বাস্তব পরিচয় এভাবে তুলে ধরতে পারি। গৌরীসেনের পূর্বপুরুষ পুরন্দর সেন সপ্তগ্রাম বন্দরে ব্যবসা করতেন। তার অধস্তন পুরুষ হলধর সেন ষোড়শ শতাব্দীর দ্বিতীয়ার্ধে পর্তুগিজনগরী হুগলিতে বসতি স্থাপন করেন। হলধরের প্রপৌত্র অনিরুদ্ধ হুগলির বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও প্রভাবশালী ব্যক্তি ছিলেন। অনিরুদ্ধের পুত্র নন্দরাম সেন কলকাতায় সহকারী কালেক্টর থাকাকালে প্রচুর অবৈধ উপার্জন করেন এবং কলকাতা ও হুগলিতে সম্পদের পাহাড় গড়েন। হুগলির বালিতে তার আসল বাড়ি ছিল। সেখানে অষ্টাদশ শতাব্দীর গোড়ায় জন্ম নেন গৌরীসেন। তিনি হুগলিতে বসবাস করতেন এবং অষ্টাদশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধে অন্যান্য প্রভাবশালী ব্যক্তিদের মতো কলকাতায় ব্যবসা-বাণিজ্য ও বাড়িঘর করেন। পিতার অগাধ সম্পত্তি ও নিজের অর্জিত সম্পদ তিনি অকাতরে, দানের মাধ্যমে ব্যয় করেন। তিনি পিতার চরিত্রের ব্যতিক্রম ছিলেন এবং ধীর, বিনয়ী ও সদালাপী ছিলেন। সম্ভবত তার অকাতর দানের কারণেই পরবর্তী সময়ে তার বংশধরগণ কলকাতায় প্রতিষ্ঠিত অনেক অবৈধ উপার্জনকারীদের বংশধরদের মতো বহুকাল টিকে থাকতে সক্ষম হয়নি।
ঐতিহাসিক গবেষণা ও আলোচনা-পর্যালোচনা আরো ভালোভাবে অস্পষ্টতার আড়াল থেকে প্রবাদপুরুষ গৌরীসেনকে উদ্ধার করা সম্ভব। সে কাজটি করতে পারলে গৌরীসেন বাঙালির চিরায়ত কিংবদন্তির কুয়াশা ভেঙ্গে আরো সবলভাবে উপস্থিত হতে পারেন আমাদের সামনে। আর আমরাও চিরকাল স্মরণে রাখতে পারি—‘লাগে টাকা দেবে গৌরীসেন’—এই অমর বাক্যটি। এ যুগের নন্দরামের ছেলেরা সে যুগের গৌরীসেনের মতো হবে কি?
দৈনিক চাঁদনীবাজার, বগুড়া, ০৫ ডিসেম্বর ১৯৯২,
সাপ্তাহিক অটল, রংপুর, ২৩ অক্টোবর ২০০০,
সাপ্তাহিক আল-মিনার, ময়মনসিংহ, ১৭ ডিসেম্বর ২০০০,
দৈনিক দিনকাল, ঢাকা, ২৬ ও ২৭ মে ২০০১