৫
বিকালের মুলতানির পর পিলু ভীমপলশ্রী প্রভৃতি রাগিণীতে আর ‘কড়ি মা’ নেই। সান্ধ্য প্রহর যেই এল, অমনি কড়ি ‘মা’ আনলেন ‘পুরবি’কে ধরে। পুরবি এল কাঁদতে কাঁদতে। দুই ‘মা’-র গলা জড়িয়ে এর কান্না অতি সকরুণ।
পুরবি–তেতালা
বিদায়ের বেলা মোর ঘনায়ে আসে।
দিনের চিতা জ্বলে অস্ত-আকাশে॥
দিন শেষে শুভদিন এল বুঝি মম
মরণের রূপে এলে মোর প্রিয়তম
গোধূলির রঙে তাই দশ দিশি হাসে॥
দিন গুনে নিরাশার পথ চাওয়া ফুরাল
শ্রান্ত এ জীবনের জ্বালা আজি জুড়াল।
ওপার হতে কে আসে তরি বাহি
হেরিলাম সুন্দরে আর ভয় নাহি,
আঁধারের পারে তার চাঁদ-মুখ ভাসে॥
পুরবি পুরিয়া প্রভৃতি রাগের কান্নার পর, রাত্রি যেমন ঘনিয়ে এল অমনি চাঁদের চাঁদ-মুখ দেখে রাতের চোখে ফুটে উঠল হাসি। তীব্র মধ্যম নিয়ে এল চঞ্চল ছায়ানটকে ধরে। নটের মতো এর আঁকাবাঁকা গতি, মধুর অঙ্গভঙ্গি কী অপরূপ, তার আভাস পাবেন এই সুরের গানে।