বিদায়ের বেলা মোর ঘনায়ে আসে


বিকালের মুলতানির পর পিলু ভীমপলশ্রী প্রভৃতি রাগিণীতে আর ‘কড়ি মা’ নেই। সান্ধ্য প্রহর যেই এল, অমনি কড়ি ‘মা’ আনলেন ‘পুরবি’কে ধরে। পুরবি এল কাঁদতে কাঁদতে। দুই ‘মা’-র গলা জড়িয়ে এর কান্না অতি সকরুণ।

পুরবি–তেতালা

বিদায়ের বেলা মোর ঘনায়ে আসে।
দিনের চিতা জ্বলে অস্ত-আকাশে॥
দিন শেষে শুভদিন এল বুঝি মম
মরণের রূপে এলে মোর প্রিয়তম
গোধূলির রঙে তাই দশ দিশি হাসে॥
দিন গুনে নিরাশার পথ চাওয়া ফুরাল
শ্রান্ত এ জীবনের জ্বালা আজি জুড়াল।
ওপার হতে কে আসে তরি বাহি
হেরিলাম সুন্দরে আর ভয় নাহি,
আঁধারের পারে তার চাঁদ-মুখ ভাসে॥

পুরবি পুরিয়া প্রভৃতি রাগের কান্নার পর, রাত্রি যেমন ঘনিয়ে এল অমনি চাঁদের চাঁদ-মুখ দেখে রাতের চোখে ফুটে উঠল হাসি। তীব্র মধ্যম নিয়ে এল চঞ্চল ছায়ানটকে ধরে। নটের মতো এর আঁকাবাঁকা গতি, মধুর অঙ্গভঙ্গি কী অপরূপ, তার আভাস পাবেন এই সুরের গানে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *