নির্বাচিত জোকস

নির্বাচিত জোকস

সাধারণ লাইনটানা খাতা। তাতে কত মণিমুক্তো! এভাবেই অসংখ্য ঘটনা বা গল্প বা স্কেচ লিখে রাখতেন ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়। সেরকমই একটি খাতা থেকে এই আঠারোটি আশ্চর্য হীরকখণ্ড।

.

গত বছর আমাদের ক্লাবে একটা অভিনব কম্পিটিশন হয়েছিল। রাত আটটা থেকে ন’টা—এই একঘণ্টা সময়। এর মধ্যে যে সবচেয়ে বেশি খেতে পারবে, সে পাবে সোনার মেডেল। ন্যাড়াই মেডেলটা জিতে নিল। ও খেয়েছিল চারটে ফুল প্লেট ফ্রায়েড রাইস, আট প্লেট চিকেন, এগারোটা ফিশ ফ্রাই, আটটা প্রন কাটলেট আর পাঁচ প্লেট পুডিং। সবাই ধন্য ধন্য করে উঠল। সোনার মেডেল নিয়ে ন্যাড়া এক লাইনের বক্তৃতায় বলেছিল, ‘আমার বউকে যেন কেউ ফোন করে এই সুখবরটি জানিও না, তাহলে আজ রাতে আমাকে খেতে দেবে না।’

.

হাকিমঃ দেখা যাচ্ছে তুমি এক সপ্তাহে ৬টা চুরি করেছ। স্বীকার করছ কি?

আসামিঃ হ্যাঁ, হুজুর, খেটে খাই। তবে সপ্তাহে ওই একটা দিন অফ নিই, বরাবর।

.

নতুন উকিলঃ ভেবে দেখুন ধর্মাবতার, রেল কোম্পানির কী অন্যায়। আমার মক্কেল সৎ, সম্পন্ন ধোপা। তাঁর চব্বিশটা গাধা চাপা দিয়ে মেরেছে। ভেবে দেখুন, চব্বিশটা। দু-একটা নয়, চব্বিশটা গাধা। জুরি বাক্সে যতজন আছেন তার ডাবল।

.

এক আইনজীবী ও এক মন্ত্রী বেড়াতে বেরিয়েছেন।

মন্ত্রীঃ আচ্ছা, আপনি সওয়াল করতে গিয়ে ভুল করেন না?

উকিলঃ তা করি।

মন্ত্রীঃ ভুল সম্বন্ধে কী ব্যবস্থা নেন?

উকিলঃ বড় রকমের হলে শুধরে নিই, ছোট কিছু হলে চেপে যাই।

আপনি বক্তৃতা দিতে গিয়ে ভুল করেন না?

মন্ত্রীঃ হ্যাঁ, করি বইকি।

উকিলঃ কী ব্যবস্থা নেন?

মন্ত্রীঃ ওই আপনার মতোই। এই তো সেদিন বক্তৃতা দিয়ে গিয়ে যেখানে বলব, আপনারা নিশ্চয়ই লক্ষ করেছেন শয়তানই হল মিথ্যেবাদীদের পিতা, সেখানে বলে ফেলেছি শয়তানই হল আইনজীবীদের পিতা।

উকিলঃ সর্বনাশ! তারপর কী করলেন?

মন্ত্রীঃ চেপেই গেলাম, কারণ এমন কিছু ভুল তো নয়।

.

যমরাজঃ তোমার রাজত্বে তুমি এ পর্যন্ত সবচেয়ে অদ্ভুত কী লক্ষ করেছ?

রাজাঃ আমার খাস পরিচারক, সে একবার শুনলে জীবনে কোনও কথা ভোলে না।

যমরাজঃ বিশ্বাস করি না।

রাজাঃ মিথ্যে প্রমাণ করতে পারলে আমার জীবন, আয়ু থাকতেও আমি উৎসর্গ করব।

যমরাজঃ ডাক তোমার পরিচারককে।

রাজাঃ সত্যেশ্বর, এদিকে এসো।

যমরাজঃ সত্যেশ্বর, তুমি চিংড়ি মাছ ভালোবাসো?

সত্যেশ্বরঃ আজ্ঞে।

যমরাজ আর কিছুমাত্র প্রশ্ন না করে অদৃশ্য হয়ে গেলেন।

এরপর কুড়ি বছর অতীত হয়েছে রাজাও জীবিত নেই…হঠাৎ যমরাজ সেই রাজ্যে সত্যেশ্বরের কাছে উপস্থিত হলেন এবং—

যমরাজঃ সত্যেশ্বর, কী খবর?

সত্যেশ্বরঃ মালাইকারি!

.

একজন কলকাতা থেকে পশ্চিমে তার দেশে যাচ্ছিল। হাওড়া থেকে ট্রেন ছাড়ার পর দেখা গেল, যে-স্টেশনেই গাড়ি থামে সে দৌড়ে ভেতরে যায় আবার ছাড়ার আগে দৌড়ে এসে ওঠে। এভাবে কয়েকটি স্টেশন লক্ষ করার পর এক ভদ্রলোক জিগ্যেস করলেন, ‘আপনি যে স্টেশনে গাড়ি থামছে, সেখানেই দৌড়ে নামছেন আর উঠছেন কেন?’ তখন তিনি উত্তর দিলেন, ‘আমি কলকাতায় একজন হার্ট স্পেশালিস্টকে দেখিয়েছি। তিনি বললেন আমি বাড়ি ফেরার পথেই মারা যেতে পারি, তাই প্রত্যেক স্টেশনে টিকিট কাটছি। বোঝেন তো, শুধু শুধু বেশি পয়সা দিতে যাব কেন?’

.

ভদ্রমহিলাঃ আমার একটা হালকা বই দরকার, জন্মদিনে উপহার দেব।

বইবিক্রেতাঃ তাহলে কি একটু হালকা ধরনের বই দেব?

ভদ্রমহিলাঃ তা দিতে পারেন। তবে হেভি হলেও ক্ষতি নেই, সঙ্গে গাড়ি আছে।

.

এক ভদ্রমহিলা এক সংবর্ধনাসভায় বৈজ্ঞানিক টমাস আলভা এডিসনকে বললেন, ‘প্রথম সবাক যন্ত্রের উদ্ভাবক হিসেবে আপনার নাম ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।’ এই কথাটা দশবার বলার পরও ভদ্রমহিলা বলেই চলেছেন। তখন এডিসন বললেন, ‘আজ্ঞে না, প্রথম সবাক যন্ত্রের উদ্ভাবক ঈশ্বর স্বয়ং বানিয়েছেন। আমি শুধু এমন একটি সবাক যত্নের উদ্ভাবক—যা ইচ্ছে করলে থামানো যায়।’

.

সেদিন একটা ভালো সেলুনে ম্যাসাজ করালাম। ঘাড়ে ব্যথাটেথা চলে গেল। কিন্তু ম্যাসাজ শেষ করার পরই লোকটা পরপর তিনটে থাপ্পড় মারল পিঠে, রীতিমতো সশব্দে। উ:। জিগ্যেস করলাম, কী হচ্ছে ভাই? লোকটা অম্লান বদনে বলল, পরের কাস্টমারকে ডাকছি স্যার!

.

উকিলঃ আপনি কী করেন?

সাক্ষী যুবকঃ কিছু না।

উকিলঃ আপনার বাবা কী করেন?

সাক্ষী যুবকঃ কিছু না।

উকিলঃ সংসার চালানোয় কোনও সাহায্যই তিনি করেন না?

সাক্ষী যুবকঃ বহুকাল বাদে বাদে হয়তো একটু কিছু।

উকিলঃ তাহলে বলুন, আপনার বাবা একেবারে অপদার্থ ভবঘুরে!

সাক্ষী যুবকঃ আমি জানি না। বাবাকে জিগ্যেস করুন, ওই তো জুরি বাক্সে বসে আছেন।

.

সাংবাদিকঃ আপনার দ্বিতীয় উপন্যাসের বিষয়বস্তু আপনি কোথা থেকে পেয়েছেন?

লেখকঃ আমার প্রথম উপন্যাসের ফিল্ম ভার্সান থেকে।

.

উকিলঃ আপনি বলছেন আপনার অনেকগুলো পায়রা গুলি লেগে মারা গেছে?

কৃষকঃ আজ্ঞে হ্যাঁ।

উকিলঃ আপনি কি হলফ করে বলতে পারেন যে হরিপদবাবুই গুলি করেছেন?

কৃষকঃ উনিই গুলি করেছেন আমি বলিনি, তবে আমি ওকে সন্দেহ করি বলেছি।

উকিলঃ এবার আসুন, সবাইকে ফেলে আপনার ওকেই সন্দেহ করার হেতু কী?

কৃষকঃ প্রথম কারণ একটি বন্দুক হাতে আমার জমিতে হরিপদবাবুকে দেখতে পাই। দ্বিতীয়, আমি বন্দুকের আওয়াজ পাই এবং কয়েকটি পায়রা পড়ে যেতে দেখি। তৃতীয় আমার চারটি পায়রাকে ওর কাঁধের ঝোলা থেকে আমি বার করি। এইসব কারণে আমার ধারণা আমার পায়রাগুলো হরিপদবাবুর ঝোলার মধ্যে ঢুকে আত্মহত্যা করেনি!

.

রেবাঃ জানিস ভাই, অমিত গোটা কলকাতার লোককে বলে বেড়াচ্ছে যে দারুণ সুন্দরী মেয়েকে বিয়ে করতে চলেছে।

মলিঃ সে কী রে, ও তাহলে তোকে বিয়ে করছে না!

.

প্রথম ব্যক্তিঃ এমন কোনও জানোয়ারের নাম বলতে পারো, যার চোখ আছে দেখতে পায় না, পা আছে হাঁটতে পারে না। কিন্তু লাফাতে পারে টাটা বিল্ডিংয়ের মতো।

দ্বিতীয় ব্যক্তিঃ না, বলতে পারব না। তুমি বলো।

প্রথম ব্যক্তিঃ এই কাঠের ঘোড়াটা। চোখ আছে দেখতে পায় না, হাঁটতে পারে না।

দ্বিতীয় ব্যক্তিঃ কিন্তু টাটা বিল্ডিংয়ের ব্যাপার?

প্রথম ব্যক্তিঃ টাটা বিল্ডিংও লাফাতে পারে না, এ-ও পারে না।

.

এক ভদ্রলোক ‘মিত্র, মিত্র, মিত্র ও ঘোষ’ আইনজীবী ফার্মে গিয়ে শ্রীঘোষের সঙ্গে দেখা করতে চাইলে অফিসের এক কর্মচারী জানালেন—’শ্রীঘোষ এখন বাইরে আছেন, আপনি মিত্রদের মধ্যে যে-কোনও একজনের সঙ্গে দেখা করতে পারেন।’

ভদ্রলোকঃ আমি একজন চতুর আইনজীবী চাই, একজন ব্যক্তি যিনি এই মিত্রবাহিনীর মধ্যে ঢুকে পড়তে পেরেছেন, তাঁকেই দরকার।

.

সম্পাদকঃ এই কবিতা কি আপনি নিজে লিখেছেন?

আগন্তুকঃ নিশ্চয়। প্রতিটি লাইনই আমার লেখা।

সম্পাদকঃ আরে বসুন, বসুন। তোমরা যে যেখানে আছ কাজ রেখে এখানে এসো। আমাদের অফিসে আজ জীবনানন্দ দাস এসেছেন। ছি: ছি: আমি ভেবেছিলাম আপনি অনেকদিন আগে মারা গেছেন!

.

গত বছর আমাদের এই শহরে বাইরে থেকে একটা থিয়েটার পার্টি এসেছিল। কিন্তু তাদের কোনও শো-ই শহরের লোক পছন্দ করেনি। শো তাই চললও না বেশিদিন। শুধু একজন ভদ্রলোকই প্রত্যেকটি শো দেখেছিলেন। থিয়েটার পার্টি যেদিন বিদায় নিচ্ছে, পাদপ্রদীপের সামনে দাঁড়িয়ে ম্যানেজার বললেন, ‘আজ আমি বিশেষ ধন্যবাদ জানাচ্ছি প্রথম সারিতে বসা এই ভদ্রলোককে, যিনি আমাদের একটা শো-ও মিস করেননি। তাঁকে আমরা ফুলের তোড়া দিচ্ছি আজ।’

তোড়া নিয়ে ভদ্রলোক জবাবি ভাষণে বললেন, আপনাদের ধন্যবাদজ্ঞাপনে আমি অত্যন্ত খুশি। কিন্তু আসল কথা হল, এটাই একমাত্র জায়গা যেখানে আমাকে খুঁজে বের করার কথা আমার স্ত্রী অনুমানেও আনতে পারতেন না। আপনাদের বিদায়ে আমি সত্যি মৃত্যুযন্ত্রণা অনুভব করছি।

.

স্বামীঃ হোটেলে তো এলাম, এখন কী খাওয়া যায় বলো তো?

স্ত্রীঃ যা খুশি বলো।

স্বামীঃ জানো, একজন সায়েন্টিস্ট বলেছেন, আমরা যা খাই, তা-ই হয়ে যাই।

স্ত্রীঃ তাহলে রিচ বলো।

.

আজকালকার দিনে যদি নিউটন ‘মাধ্যাকর্ষণ শক্তি’ আবিষ্কার করতেন, তাহলে কী হত?

‘নিউটন আপেল গাছ মালিকের নামে কেস ঠুকে দিতেন, তার মাথায় আপেল পড়ে, ব্যথা লাগার জন্য। মালিক কেন পাকা আপেল আগে তুলে নেননি।’ পরিবর্তে আপেল মালিক নিউটনের নামে কেস ঠুকতেন যে ‘মাধ্যকর্ষণ শক্তি’ আবিষ্কারের জন্য যে রয়্যালটি নিউটন পেয়েছেন তার অংশ তাকে দেওয়ার জন্য।

.

খোকন, স্বপন ও মদন—তিন বিবাহিত বন্ধু গল্প করছে।

খোকন—ও:, মুসলমান হলে ডিভোর্স করা কী সহজ! তিনবার তালাক বললেই হল।

স্বপন—তিনবার? আমি শুনেছিলাম চারবার।

মদন—আগে চারবারই ছিল, যাতে সময় বেশি নষ্ট না হয় সেজন্য ওরা তিনবার করে নিয়েছে।

.

একটা রেস্টুরেন্ট-এ এক ভদ্রলোক ও ভদ্রমহিলা অনেকক্ষণ ধরে বসে আছে, কিন্তু ওয়েটার কিছুতেই আসছে না; শেষে অধৈর্য হয়ে ভদ্রলোক বলে ওঠেন, ‘আমাদের কি সারারাত এখানে বসে থাকতে হবে?’

ওয়েটারঃ ‘আজ্ঞে না স্যার, দশটাতেই আমাদের রেস্টুরেন্ট বন্ধ হয়ে যাবে।

.

অ্যান্টিক শপ-এর ভেতরে একটি ছেলে ও একটি মেয়ে জিনিস-এর দাম দেখতে থাকে।

চমকে উঠে ছেলেটি বলে ওঠে, ‘পুরোনো জিনিসের এত দাম! আমাদের ঠাকুরদারা কী করে এগুলো কিনতে পারত, বুঝতে পারছি না!’

.

এক ক্রিমিনাল ছোকরা জাজকে বলল, ‘স্যার, আমি আর কোনও দিন করব না, এবার থেকে আমি লিখব, আমি লেখক হতে চাই’।

জজ—বেশ তো, তুমি লিখতে আরম্ভ করো, তোমার প্রথম পাঁচ বছরের জেলের অভিজ্ঞতা’।

.

স্ত্রী স্বামীকে বলল, ‘চুপচাপ বসে আছ, শরীর খারাপ নাকি?

স্বামী—’কেন শরীর খারাপ হবে কেন?

স্ত্রী—’বকাবকি করছ না, কোনও ব্যাপারে কমপ্লেইন করছ না, যা তোমার স্বাভাবিক আর কী, তাই ভাবলাম শরীর খারাপ।’

.

মা নতুন হাত দেখতে শিখেছে, ছেলেকে ডেকে বলে, ‘দেখি, তোর হাতটা দেখি—দীর্ঘায়ু, স্বাস্থ্য ভালো যাবে, লেখাপড়ায় ভালোই হবে। শিগ্গির কিছু টাকা পাবি।’

ছেলে—’তাই নাকি? (হাতের তালু দেখিয়ে) শিগ্গির পঞ্চাশ টাকা দাও তো, খুব দরকার।’

.

মা, ছেলেকে খেতে ডাকছে, ‘খোকন খেতে এসো।’ আরেকবার ‘খোকন খেতে এসো।’ ঘরে গিয়ে—’কী হল, খোকন, খেতে ডাকছি শুনতে পারছিস না?’

খোকন—’স্যরি মা, প্রথম দু-বার শুনতে পাইনি।’

.

করপোরেশন অফিসে একজন কেরানিকে একজন অফিসার বলছেন, ‘আপনি খুবই efficient. Public আপনার খুব প্রশংসা করে। কিন্তু ভুলে যাবেন না, আপনি একজন সরকারি চাকুরে, এসব আপনাকে মানায় না।’

.

বাবা ছেলেকে, ‘খোকন, তুই আমার পকেট থেকে দশ টাকা নিয়েছিস?

খোকন—’কই না তো?’ বাবা—’মিথ্যা কথা বলিস না, তোদের বয়সে আমরা মিথ্যা কথা বলতাম না।’

খোকন—’তাহলে কবে থেকে আরম্ভ করলে?’

.

ক্লাসটিচার একটা বিচ্ছু ছেলেকে—’বলো তো স্যার আইজ্যাক নিউটন একটা গাছ থেকে একটা-আপেল পড়তে দেখে দারুণ কিছু আবিষ্কার করেছিলেন, সেটা কী?

ছাত্র—’Apple Juice’।

.

মা, ছোটছেলে খোকনকে বলছে, ‘সুধীরকাকুর কাছে কী শিখলি?’

খোকন—অনেক কিছু, এক্কা, দোক্কা, তেক্কা, ইস্কাবন, চিড়িতন, ট্রায়ো, ফ্ল্যশ, রান।’

.

একটা সিনেমায় Interval-এ একটা চ্যাংড়া ছেলে একটা বিক্রিওয়ালাকে বলে—’এই পপকর্ন আর চিপস-এর দাম কত?’

লোকটা বলে—’পপকর্ন তিন টাকা, চিপস চার টাকা।’

ছেলেটা বলে—’এত দাম! এতে বড় জোর চার আনার ভুট্টা দানা আর আট আনার আলু আছে।’

লোকটা—’ঠিকই বলেছেন, তবে আপনি যে ফিল্মটি দেখছেন, এটা বানাতে ১০ লাখ লেগেছে, আর আপনি মাত্র ২০ টাকায় এটা দেখছেন।’

.

টিচার একটা বাচ্চাকে—’মধুসূদন, তোমার হোম ওয়ার্ক করোনি কেন? কৈফিয়ত দাও।’

বাচ্চা—’আন্টি, এর জন্য আমার মা দায়ী।’

টিচার—’কেন, তোমার মা তোমাকে হোম ওয়ার্ক করতে দেয়নি?’

ছাত্র—’না:, মা আমাকে অনেকবার করে বলেনি।’

.

বাবা ছেলেকে—’খোকন এখন বিরক্ত কোরো না, আমি Income tax form fill up করছি।’

খোকন—Income tax কী?

বাবা—’সারাবছর যা আয় করি তার একটা অংশ সরকারকে দিতে হয়, না দিলে জেল-হাজতে জরিমানা দিতে হয়।’

খোকন—’ও যেমন স্কুলে পানিশমেন্ট দেয় খারাপ কাজ করার জন্য।’

বাবা—’না এটা ভালো কাজ করার জন্য Punisment।’

.

সিনেমা হল থেকে বেরিয়ে হল ম্যানেজারকে ছেলেটি বলে—’এমন একটা বাজে ছবি দেখাচ্ছেন, টিকিটের পয়সা ফেরত দিন।’

ম্যানেজার—’সেটা সম্ভব নয়।’

ছেলেটি—’At least amusement taxটা তো ফেরত দিন।’

.

রায়ট শুরু হয়েছে, হঠাৎ এক ভদ্রলোক স্বপ্ন দেখল—ভগবান বলছে, ‘নাখোদা মসজিদ-এর কাছে ভালো পাঞ্জাবি পাওয়া যায়। ওখান থেকে পাঞ্জাবি কিনে পর।’

লোক—’এই রায়ট-এর সময় যাব কী করে?’

ভগবান—’ভয় পাস না, আমি তোর পাশে থাকব, অবশ্য Orient Cinema অবধি।’

.

চোর আর পকেটমার তর্ক হচ্ছে—এ বলছে আমরা তোদের চেয়ে বড়, ও বলছে আমরা তোদের চেয়ে বড়। চোরটা পকেটমারকে জিগ্যেস করে, ‘ভারতবর্ষে কত বাচ্ছা আছে বল তো?’

পকেটমার—’দশ কোটি হবে।’

চোর—’তাদের কতজনকে পকেটমার-পুলিশ খেলতে দেখেছিস? সবাই চোর-পুলিশই খেলে।’

.

একটা বাসস্টপে এক ভদ্রলোক ও ময়লা জামাকাপড় পরা আর এক ভদ্রলোক দাঁড়িয়ে। হঠাৎ প্রথম ভদ্রলোকটি ময়লা জামাকাপড় পড়া লোকটির কাপড় থেকে কিছু তুলে নেয়। লোকটি বলে—’কী করছেন?’

ভদ্রলোক—’আপনার জামায় ছারপোকা।’

লোকটি—’যেখানে ছিল রেখে দিন। আপনাদের স্বভাবই গরিবদের সব কিছু কেড়ে নেওয়া।’

.

বাড়িওয়ালা ভাড়াটেকে—’আমি ভাড়া মেটাবার জন্য আপনাকে তিনদিন সময় দিচ্ছি।’

ভাড়াটে—’বেশ—তাহলে সরস্বতী পুজোর দিন, রথযাত্রা আর দুর্গা পুজোর অষ্টমীর দিন।’

.

বাড়িওয়ালা ভাড়াটেকে ‘অনেক মাসের ভাড়া বাকি, কী করছেন বলুন তো?’

ভাড়াটে—’খুবই দু:খিত, আমি খুবই চেষ্টা করছি, কিন্তু খুবই টানাটানি, এ-মাসে দিতে পারছি না।’

বাড়িওয়ালা—’একথা তো গতমাসেও বলেছিলেন, তার আগের মাসেও বলেছিলেন।’

ভাড়াটে—’ঠিকই বলেছেন, তবে আমি আমার কথা তো রেখেছি।’

.

একটা মন্দির বানাবার জন্য এক সভায় হিন্দু মহাসভার সাধুরা মঞ্চে সবাইকে ডেকে ডোনেশন তুলছে। একজন বেশ্যা এগিয়ে এসে বলে, ‘এই মন্দিরের জন্য দু-হাজার দিতে চাই।’

সাধু বাবাজি বলে, ‘তোমার ও-টাকা অসৎ উপায়ে বানানো, এ-টাকা আমরা গ্রহণ করতে পারি না। হঠাৎ একজন লোক বলে ওঠে, ‘সাধুজি নিয়ে নিন, এ-টাকা আমাদেরই।’

.

বম্বের এক বাঙালি অভিনেতা—কলকাতায় এসে উদ্ভট সাজে ঘোরাফেরা করত। একদিন লাল শার্ট, সবুজ ক্যাটক্যাটে প্যান্ট, ক্যাটক্যাটে হলদে জ্যাকেট, মাথায় নীল টুপি, সাদা জুতো, গোলাপি টাই পরে অভিনেতাটি গাড়ি চালিয়ে যাচ্ছে, হঠাৎ বাগবাজারে এক ট্রাফিক সার্জেন তার গাড়ি আটকায়।

অভিনেতা বলে—’আমি তো কোনও ট্রাফিক রুল Violate করিনি!’

সার্জেন্ট—’আমি জানি, আমি দেখতে চাইছিলাম আপনি কীভাবে কথা বলেন?’

.

এক ভদ্রলোক নতুন গাড়ি কিনেছেন। একদিন দেখেন তার গাড়িতে আঁকিবুকি দিয়ে কেউ খারাপ করে দিয়েছে। ভদ্রলোক পাশের বাড়িতে বেল টিপে খুব হম্বিতম্বি করেন—’কোন শালা আমার নতুন গাড়ি রং করে খারাপ করেছিস, যদি হিম্মত থাকে তো সামনে আয়।

একটা ইয়ং লম্বা, চওড়া ছেলে এসে বলে, ‘আমি করেছি, কী করবেন?’

ভদ্রলোক আমতা আমতা করে বলেন, ‘না আমি বলছি, তোমার রং গলে গলে পড়ছে, রং-টা বোধহয় ভালো নয়।’

.

এক মহিলা ডিমের দোকানে এসে চিৎকার করে ওঠে, ‘আঠেরো টাকা ডজন! তার মানে দেড়টাকা একটা ডিম! এত দাম?’

ডিমওয়ালা বলে—’একটা ডিম পাড়তে একটা মুরগিকে কতটা পরিশ্রম করতে হয়, সেটা মনে রাখবেন।’

.

একজন লোক হঠাৎ ভোর চারটেয় ঘুম থেকে উঠে পড়ল ফোনের আওয়াজ পেয়ে। পরে দেখা গেল রং নাম্বার। অপর দিকের লোক বললেন—’আমি খুবই দু:খিত এত সকালে ঘুম থেকে তুলে দেওয়ার জন্য।’

লোক—’আরে না না, আমি তো ফোন ধরতে উঠতাম-ই।’

.

এক ঘটক একজন লোককে বিয়ে দিচ্ছে, বিয়ের দিন কনে দেখে বর ঘটককে হিড় হিড় করে একপাশে নিয়ে যায়—’একী আপনি বলেছিলেন দারুণ সুন্দর, লম্বা, ফর্সা; আমায় চিট করেছেন। এতো কুৎসিত বেঁটে মোটা মেয়ে খুঁড়িয়ে হাঁটে।’

ঘটক—’ফিস ফিস করে বলার দরকার নেই, মেয়ে কানে কালা।’

.

একটা ছেলে দোকানে এসে জিগ্যেস করে ‘দুটো চকোলেট বারের দাম কত?’

দোকানি—’দুটো নিলে দশ টাকা।’

ছেলে—’আর একটা নিলে?’

দোকানি—’ছয় টাকা।’

ছেলে—’ঠিক আছে অন্যটা দিন।’

কফি হাউসের সবাই ‘জাফর’ নামে ওয়েটারকে ভালোবাসে। জাফর মারা যাওয়াতে প্রেসিডেন্সি কলেজের কয়েকটা ছেলে একটা টেবিল ঘিরে বসে প্ল্যানচেট করে। একটা ছেলে হঠাৎ বলে ওঠে—’জাফর তুমি শুনতে পাচ্ছ?’

কোনও উত্তর নেই।

আবার ছেলেটি—’তুমি কি এখানে আছ?’

কোনও উত্তর নেই।

আবার বলে—’জাফর, আমি জানি তুমি এখানে, প্লিজ কথা বলো।’

কোনও উত্তর নেই।

ছেলেটা—’জাফর, উত্তর দিচ্ছ না কেন?’

একটা গলা ভেসে আসে—’এটা আমার টেবিল না।’

.

বাচ্ছা ছেলে সেলুনে চুল কাটতে গেছে। নাপিত জিজ্ঞাসা করে, ‘তুমি কীরকম স্টাইল চাও?’

বাচ্ছা ছেলে—’বাবার মতো, মাঝখানে ফাঁকা।’

.

এক যুবককে ডাক্তার treatment করছে। যুবক বলে, ‘ডাক্তারবাবু, আমি যদি drink না করি, যদি smoke না করি, যদি উশৃঙ্খল জীবনযাপন না করি, তাহলে কি একশো বছর বাঁচব?’

ডাক্তার—’না, যতদিনই বাঁচুন একশোর মতোই মনে হবে।’

.

মোহন প্যারিস দেখে মুগ্ধ, ওর বন্ধু মুকুলের সঙ্গে গল্প করে। মোহন—’ও:, আফশোষ হচ্ছে, যদিও আরও পঁচিশ বছর আগে প্যারিস দেখতাম!’

মুকুল—’হ্যাঁ, যখন প্যারিস সত্যিকারের প্যারিস ছিল।’

মোহন—’না, যখন মোহন সত্যিকারের মোহন ছিল।’

.

জেলে দুজন কয়েদি কথা বলছে—’তোমার জেল হল কেন?’

অন্যজন—’টাকা ধার করেছিলাম বলে।’

কয়েদি—’টাকা ধার করার জন্য তো জেল হয় না।’

অন্যজন—’আসলে আমি যার থেকে টাকা ধার করেছিলাম সে ভীষণ গোঁয়ার, কিছুতেই টাকা ধার দিচ্ছিল না; বাধ্য হয়ে পেটে ছুরি মারতে হল। তারপর ব্যাটা ধার দিল।’

.

রাস্তায় এক ভিখারি ‘অন্ধকে ভিক্ষে দাও’ বলে ভিক্ষে করছে। একজন পথচারী চার আনা পয়সা দেয়। হঠাৎ পিছন ফিরে দেখে ভিখারিটা পয়সা দেখছে। সেই লোকটা ফিরে এসে বলে ‘তুমি অন্ধ নও, অথচ অন্ধ বলে পয়সা চাইলে কেন?’

ভিখারি, ‘আজ্ঞে আমি আসলে বোবা ভিখারি, এখানে যে বসে সে অন্ধ ভিখারি, আজ আসেনি। তাই ওর জায়গায় বসেছি।

প্রথম বন্ধু, দ্বিতীয় বন্ধুর কাছে দশ টাকা ধার চাইল। দ্বিতীয় বন্ধু বলল, ‘দশ টাকার জন্য তোর সঙ্গে বন্ধুত্ব নষ্ট করতে চাই না।’

প্রথম বন্ধু—’তাহলে কুড়ি টাকা দে।’

.

এক ভদ্রলোক ডাক্তারবাবুকে বলছে, ‘ডাক্তারবাবু, আমার স্ত্রী বলছিল আপনার ওষুধে আমার কোনও উপকার হয়নি।’

ডাক্তার—’বেশ তো, তাহলে আপনার স্ত্রীর দেওয়া ওষুধ খান, ঠিক হয়ে যাবেন।’

.

এক ভদ্রলোকের খুব রুক্ষ মেজাজ। একটা রেস্টুরেন্টে এসেছে ব্রেকফাস্ট খেতে, যেখানে মেয়েরা সার্ভ করে। একজন মেয়ে ওয়েট্রেস এসে অর্ডার চায়। লোকটি রুক্ষ মেজাজে বলে, ‘দু-পিস পোড়া টোস্ট দিন। একটা ডিমের পোচ দিন যেটা রবারের মতো টানা যাবে, আর একটা গঙ্গাজলের মতো কফি দিন।’

সেই মেয়েটি ওই ভদ্রলোকের অর্ডার মতোই অখাদ্য ব্রেকফাস্ট আনল এবং বলল,—আর কিছু?’

লোকটি ‘হ্যাঁ’, বলে পাশের চেয়ার দেখিয়ে বলে, ‘ওই চেয়ারটায় বসুন এবং আমি যতক্ষণ এই খাবারগুলো গেলবার চেষ্টা করব, ততক্ষণ আমায় বিরক্ত করুন, যাতে আমি মনে করতে পারি যে আমি বাড়িতেই আছি।’

.

শহর থেকে এক রাজনীতিক এক গ্রামে গেছিল বক্তৃতা দিতে। কিন্তু গ্রামের লোকেরা ঠিক করেছে একে নিয়ে ঠাট্টা করবে। রাজনীতিক বলেন—’আমি আপনাদের মতো গরুর দুধ দুইতে, গোবর থেকে ঘুঁটে দিতে পারি। আপনাদের মতোই হাল চাষ করতে পারি। এমন কোনও জিনিস নেই যা আমি পারি না।’

এক বদমায়েস গ্রামবাসী বলে—’বেশ, তাহলে ডিম পেড়ে দেখান তো।’

.

এয়ার গান নিয়ে শিকারে গেছে। একটা খরগোশ দেখে এক বন্ধু এয়ারগান তুলে খরগোশটার দিকে তাক করে। অন্য বন্ধু বলে—’তুই এয়ারগানে গুলিই ভরিসনি।’

প্রথম বন্ধুটা বলে—’আরে, এখন গুলি ভরার সময় কোথায়, খরগোশটা যদি পালিয়ে যায়!’

.

একজন লোক একটা ব্যাগ কুড়িয়ে পেল রাস্তায়। ব্যাগ খুলে দেখে দু-লাখ টাকা। এই খবর সবাই পেয়ে গেল। খবরের কাগজের লোক এল তার ইনটারভিউ নিতে। সে বলে—’এই টাকার আসল মালিককে আমি নিশ্চয়ই টাকা ফেরত দেব, তবে যদি সে খুবই গরিব হয়।’

.

একজন লোক তার মাইনে বাড়াবার জন্য desperately তার বস-এর কাছে গিয়ে বলে—’স্যার আমার পক্ষে আর এই মাইনেতে থাকা সম্ভব নয়।’

বস বলে—’এখনই বাড়ানো সম্ভব নয়।’

লোক—’তাহলে তো আমায় চাকরি ছাড়তে হবে, আমার পেছনে তিনটে কম্পানি ঘুরছে।’

বস—’তারা কারা?’

লোক—’টেলিফোন, ইলেকট্রিক আর করপোরেশন।’

.

সেনবাবু সেই গলি দিয়ে বাজার করে ফিরছেন, আর ঘোষবাবু বাজার করতে যাচ্ছেন। ঘোষবাবু বললেন—’আমি কোনও পাজি লোককে রাস্তা ছেড়ে দিই না।’

সেনবাবু পাশ ফিরে রাস্তা ছেড়ে দিয়ে বললেন—’আমি খচ্চর লোকদের রাস্তা ছেড়ে দিই।’

.

ইংল্যান্ডের বিখ্যাত কবি চেস্টারটন ছিলেন খুব মোটা আর জর্জ বার্নাড শ ছিলেন খুব রোগা। একদিন এক পার্টিতে তাঁদের দেখা হতে চেস্টারটন বলেন—’মি: শ, আপনাকে দেখলেই বোঝা যায় ইংলন্ডে দুর্ভিক্ষ চলছে।’

বানার্ড শ উত্তরে বললেন—’আপনাকে দেখলেই বোঝা যায় ইংলন্ডে কেন দুর্ভিক্ষ হয়েছে।’

.

হারু—’এ কীরে, মুখ থেকে রক্ত পড়ছে কেন?’

মোহন—’ঘুষি খেয়েছি।’

হারু—’কে মারল ঘুষি?’

মোহন—’রুবির husband.’

হারু—’রুবির হাজব্যান্ড তো দিল্লি গেছে শুনলাম।’

মোহন—’আমিও তাই-ই ভেবেছিলাম।’

.

এক ভদ্রলোক একটা রেস্টুরেন্টে খেয়ে ২ টাকা টিপস দেয়। বেয়ারা—’স্যার, আপনার ছেলেও এই রেস্টুরেন্টে খেতে আসে, সে কিন্তু আপনার চেয়ে অনেক বেশি টিপস দেয়।’

ভদ্রলোক—’সে দিতেই পারে, তার তো বড়লোক বাবা আছে, আমার তো নেই।’

.

একজন কিপটে লোক দাঁত তুলতে এসে ডাক্তারকে বলে—’দাঁত তুলতে কত লাগবে?’

ডাক্তার—’একশো টাকা।’

লোক—’একটা দাঁত তুলতে একশো টাকা!’

ডাক্তার—’হ্যাঁ, এটাই আমার fees.’

লোক—’কতক্ষণ লাগবে?’

ডাক্তার—’দু-মিনিট।’

লোক—’দু-মিনিটের জন্য একশো টাকা?’

ডাক্তার—’আপনি যদি চান, আমি রসিয়ে কষিয়ে, এক ঘণ্টা ধরে তুলতে পারি।’

.

একজন লোক আর তার কিশোর ছেলে ফটো তুলতে গেছে। ফটোগ্রাফার ছেলেটিকে বলে, ‘তুমি তোমার বাবার কোমর জড়িয়ে ধরে দাঁড়াও তাহলে অনেক ন্যাচারাল লাগবে।’

বাবা—’তার চেয়ে বরং ওর হাতটা আমার পকেটে ঢুকিয়ে দিক, এটা আরও ন্যাচারাল হবে।’

.

এক ট্রেনে এক বাঙালি আর এক পাঞ্জাবি বসেছে। দুপুরে খাবার সময় পাঞ্জাবি ভদ্রলোক কাবাব, পরোটা, চাপ, আরও অনেক খাবার সাজিয়ে বসে আছে। সে বাঙালি ভদ্রলোককে বলে, ‘আপনারা তো বুদ্ধিমান জাত বলে পরিচিত। তা আপনারা কী খান বলুন তো, যাতে মগজ খোলে?’

বাঙালি—’আমরা খাই তো অনেক কিছুই, কিন্তু মাছের মুড়োই মগজ খুলে দেয়।’

পাঞ্জাবি—’আমি আপনাকে ১০ টাকা দেব, যদি আপনার মাছের মুড়োটা দেন।’

বাঙালি—’আরে না না।’

পাঞ্জাবি—’আমি আপনাকে ৫০ টাকা দেব।’

বাঙালি—’ঠিক আছে আমি আপনাকে অর্ধেক দিচ্ছি।’

খেয়ে দেয়ে হঠাৎ পাঞ্জাবি বলে, ‘আপনি তো খুব চালাক, অর্ধেক মুড়োর জন্য ৫০ টাকা নিলেন।’

বাঙালি—’দেখুন, বলেছিলাম কিনা মাছের মুড়োয় মগজ খুলে যায়!’

.

এক ভদ্রলোক বাড়িতে বসে হুইস্কি খাচ্ছে। হঠাৎ তার স্ত্রী এসে মদের গ্লাসে চুমুক লাগায়, পরেই থু: থু: করে ফেলে বলে, ‘কী করে এই জঘন্য জিনিসগুলো গেলো?’

স্বামী—’তাহলেই বোঝো কত কষ্ট সহ্য করতে হয় আমায়, আর তুমি ভাবো, আমি মহানন্দে আছি।’

.

এক লেখককে এক ফাজিল লোক ‘আপনার সদ্য প্রকাশিত বইটা পড়লাম, বেশ ভালো লাগল। তা, আপনাকে কে লিখে দিল?’

লেখক না-ঘাবড়ে—’আমিই লিখেছি, তা বইটা আপনাকে কে পড়ে দিল?’

.

এক মিলিটারি ক্যাম্পে এক মেডিকেল অফিসার এসেছেন জলের বিশুদ্ধতা পরীক্ষা করতে। উনি ক্যাম্পের ভারপ্রাপ্ত সৈনিককে জিগ্যেস করলেন, ‘আচ্ছা, জল যাতে শুদ্ধ খাওয়া যায় তার জন্য কী ব্যবস্থা করেন?’

সৈনিক—’প্রথমে জল ফোটাই।’

অফিসার—”বা:! তারপরে কী করেন?’

সৈনিক—’তারপরে ফিলটারে ফেলি।’

অফিসার—’বেশ, তারপর?’

সৈনিক—’তারপর নিরাপত্তার জন্য কোনও ঝুঁকি না নিয়ে বিয়ার খেয়ে ফেলি।’

.

এক মাতালকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। থানার বড়বাবুর কাছে তাকে বসিয়ে দেওয়া হয়েছে, একটু হুঁশ হলে মাতাল বলে ‘আমায় এখানে কেন নিয়ে আসা হল?’

বড়বাবু—’আপনার মদ খাবার জন্য এখানে নিয়ে আসা হয়েছে।’

মাতাল—’বেশ তো, তাহলে শুরু করা যাক।’

.

এক স্বামী-স্ত্রীর খুব ঝগড়া হয়েছে। স্বামীর ঘুমের ব্যাঘাত হচ্ছে। স্ত্রী হঠাৎ রেগে গিয়ে বলে, ‘আমি তোমাকে আর এক মুহূর্ত দেখতে চাই না।’

স্বামী বলে—’ঠিকই বলেছ।’ বলে লাইট নিভিয়ে শুয়ে পড়ে।

.

এক গ্রামে জনৈক কমিউনিস্ট সাহিত্যিক মার্কসসিজমের ক্লাস নেন। তিনি জিগ্যেস করেন—’আচ্ছা বলো তো সব সময়ে প্রতিক্রিয়াশীল কারা?’

জনৈক যুবক—’কেন সূর্য?’

সাহিত্যিক অবাক হয়ে—’সে কী সূর্য কেন?’

যুবক—সূর্য কত বড় রি-অ্যাকশনারি দেখুন। পূর্ব থেকে ওঠে, কিন্তু পরে ঠিক প্রতিক্রিয়াশীল পশ্চিমের খপ্পরে পড়ে যায়।”

.

সরকারি অফিস-এর বড়বাবু এক ইউনিয়ন-করা-কর্মচারীকে ডেকে জিগ্যেস করলেন—’আপনি কত বছর কাজ করছেন?’

কর্মচারী—’চল্লিশ বছর।’

বড়বাবু—’আপনার বয়স কত?’

কর্মচারী—’তিরিশ বছর।’

বড়বাবু—এটা কী করে সম্ভব হল?’

কর্মচারী—’বাকিটা ওভার টাইম করেছি।’

.

বাড়িওয়ালা, অভিনেতা ভাড়াটের কাছে ভাড়া চাইতে এসে—’দেখুন মশাই, আপনার ছ’মাসের ভাড়া বাকি আছে। আজকেই সব ভাড়া মিটিয়ে দিন।’

ভাড়াটে—’মশাই, এই যে আপনার বাড়ির দিকে সবাই দেখিয়ে বলবে, এ বাড়িতে এক সময় মদনকুমার থাকত, এটা কি কম কথা?’

বাড়িওয়ালা—’আপনি যদি এখনই ভাড়া না মিটিয়ে দেন, তাহলে এ কথা কাল থেকেই বলবে।’

.

ইশকুলের টিচার জিগ্যেস করে—’গীতাঞ্জলি কে লিখেছিলেন?’

দুষ্টু ছেলে শ্যামল বলে—’আমি নয়।’

টিচার রেগে গিয়ে বলেন—’কালকেই তোমার বাবাকে ইস্কুলে আসতে বলবে, আমি তোমার সম্বন্ধে তাদের সঙ্গে কথা বলতে চাই।’

পরের দিন শ্যামলের বাবা ইশকুলে আসে। শ্যামলের বাবা বলে—’শুনুন আমি আমার ছেলেকে চিনি, সে কখনওই মিথ্যা কথা বলে না। শ্যামল যদি বলে থাকে সে গীতাঞ্জলি লেখেনি, তাহলে আমি নিশ্চিত, সে সত্যিই লেখেনি।’

বাড়িতে এসে শ্যামলের বাবা শ্যামলের মাকে এই ঘটনাটি বলে। সব শুনে শ্যামলের মা বলে, ‘তোমার ওইভাবে শ্যামলের টিচারকে বলা উচিত হয়নি। তুমি বরং বললে পারতে, শ্যামল হয়তো এবারের মতো ভুল করে গীতাঞ্জলি লিখে ফেলেছে; কিন্তু আমি কথা দিচ্ছি, সে আর কোনওদিন গীতাঞ্জলি লিখবে না।’

.

একটা বাচ্চা মেয়ে খুব কাঁদছে, তার বাবা বলে, ‘আমি তোর মতো কাঁদতাম না।’

মেয়ে—’তুমি তোমার মতো কাঁদো, আমি আমার মতো কাঁদি।’

.

দুই বন্ধু গল্প করছে। একজন—’আমাদের সংসারে এমনিতে কোনও ঝামেলা নেই। কিন্তু যখনই আমার শাশুড়ি উসকায়, আমার স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া হয়।’

অন্য বন্ধু—’তা শাশুড়িটাকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিস না কেন?’

বন্ধু—’সেটাই তো প্রবলেম। বাড়িটা যে শাশুড়ির।’

.

এক বাসে, এক যাত্রী অপর এক যাত্রীকে জিগ্যেস করছে—’দাদা এর প-প পরের স্টপেজটা কি-কা-কা-কালীঘাট?’

সহযাত্রী কোনও উত্তর দেয় না।

যাত্রী আবার তোতলিয়ে জানতে চায় পরের স্টপেজ কালীঘাট কিনা। কিন্তু সহযাত্রী এবার কোনও উত্তর দেয় না। অন্য আর এক যাত্রী উত্তর দেয়—’হ্যাঁ দাদা, পরের স্টপেজই কালীঘাট।’

‘আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ’ বলে যাত্রীটি নেমে যায়।

.

এক মন্দিরের পুরোহিত এক কর্পোরেশনের কর্মচারীকে ফোন করে বলে—’মন্দিরের সামনে দুদিন ধরে একটা কুকুর মরে পচে আছে, শিঘ্রীই এর ব্যবস্থা করুন।’ কর্পোরেশনের কর্মচারীটি রসিক ছিল, বলল—’পুরোহিতরাই তো অন্ত্যেষ্টির কাজ করে থাকে।’

পুরোহিতও কম যায় না, বলে—’ঠিকই বলেছেন কিন্তু মৃতের আত্মীয়দের তো প্রথমে খবর দেওয়া উচিত, তাই করলাম।’

.

এক সদ্যবিবাহিত কনে বাপের বাড়ি ছেড়ে যাওয়ার আগে খুব কাঁদছে। বর জিগ্যেস করে সে এত কাঁদছে কেন? মেয়ের মামা বলে—’কাঁদতে দাও, এরপর সারাজীবন তো তোমায় কাঁদতে হবে।’

.

বিখ্যাত কবি মোহন সেনের মৃত্যুর খবর ভুলবশত খবরের কাগজে বেরিয়েছে। রসিকতা করে মোহন সেন তার এক বন্ধুকে ফোন করে—’আমার মৃত্যুর খবর কাগজে পড়েছ?’

বন্ধু—’হ্যাঁ, কোন পার থেকে বলছ?’

.

এক বটানির ছাত্র পিকনিকে গেছে। নিজের বিদ্যা জাহির করার জন্য বলল,—’বাজি রেখে বলতে পারি এ গাছে একটাও আপেল হবে না।’

একজন চাষি বলল—’ঠিকই বলেছেন, এটা বাতাবিলেবুর গাছ।’

.

কালীঘাটের মন্দিরের পান্ডাদের অত্যাচার সর্বজনবিদিত। একবার এক বিহারিকে মন্দিরে ঢোকার মুখে এক পান্ডা আটকায়, বলে ‘জুতো খুলে ঢুকুন।’

বিহারি—’আমার তো জুতোই নেই, খালি পায়ে এসেছি।’

পান্ডা—’তা চলবে না, তাহলে জুতো কিনে পরে আসুন। দেখছেন না, লেখা আছে—জুতো খুলে মন্দিরে প্রবেশ করুন।’

.

একজন লোক ডাক্তারের কাছে গিয়ে বলে, ‘শরীর খারাপ হয়েছে।’

ডাক্তার—’কী হয়েছে?’

লোক—’মনে হচ্ছে জ্বর।’

ডাক্তার—’এক কাজ করুন বাড়ি গিয়ে চান করে, ফুল স্পিডে পাখা চালিয়ে তার তলায় বসে গায়ের জল শোকান, তোয়ালে দিয়ে মুছবেন না।’

লোক—’তাহলে কী সেরে যাবে?’

ডাক্তার—’না, তাতে নিউমোনিয়া হবে, আমি নিউমোনিয়া সারাতে পারি।’

.

এক বাগানের মালি দেখে একটা ছেলে আমগাছে চড়ে আম পাড়ছে। মালি বলে—’এই এখুনি নেমে আয়, নইলে তোর বাবাকে বলে দেব।’

ছেলে—’বলো না, ওই তো বাবা পাশের গাছেই রয়েছে।’

.

এক স্বামী-স্ত্রী, একটা দোকানে দেখে সাইনবোর্ডে লেখা রয়েছে, ‘বেনারসি শাড়ি দশ টাকা’, ‘টেরিকটের শাড়ি পাঁচ টাকা’, ‘সুতির শাড়ি দু-টাকা’! এই দেখে উত্তেজিত হয়ে স্ত্রী বলে, ‘ও:! এত সস্তা, সবগুলো শাড়ি কিনে নেব।’

স্বামী বলে—’দাঁড়াও, উত্তেজিত হোয়ো না, এটা একটা লনড্রি।’

.

শিক্ষক ছাত্রকে—’হাতের লেখা Practice করো না কেন? তোমার হাতের লেখা খুব খারাপ।’

ছাত্র—’চিন্তা করবেন না স্যার বড় হয়ে আমি টাইপিস্ট হব।’

একজন লোক কুকুর নিয়ে রেল স্টেশনে টিকিট কাটতে এসেছেন—’আমার কি কুকুরের টিকিট লাগবে না কি?’ টিকিট কাউন্টারের লোক—’না, না, আপনি মানুষের টিকিটেই যেতে পারেন।’

.

এক রোগী কঁকিয়ে কেঁদে এক ডাক্তারের চেম্বারে গিয়ে তৎক্ষণাৎ তার অ্যাপয়েন্টমেন্ট চায়, বলে, ‘আমি ভীষণ অসুস্থ, আমার পেছনে ব্যথা, মাথায় যন্ত্রণা, পেট ভীষণ খারাপ, পায়ে ব্যথা।’ নার্স বলে—’বাবা, আপনার তো দারুণ সহ্যশক্তি।’

.

এক মোটরগাড়ি খুব জোর চালাতেই একজন ট্রাফিক পুলিশ গাড়িটা আটকে গাড়ির মালিককে জিগ্যেস করে, ‘এত জোরে চালাচ্ছেন কেন, কোনও এমার্জেন্সি আছে নাকি?

গাড়ির মালিক বলল—’হ্যাঁ, গাড়ির ব্রেক খারাপ হয়ে গেছে, তাই জোরে গাড়ি চালাচ্ছি যাতে accident হওয়ার আগে বাড়ি পৌঁছোতে পারি।’

.

একজন ট্রেনের জন্য হাওড়ায় অপেক্ষা করতে করতে বোর হয়ে প্ল্যাটফর্মের বাইরে এসে ঘুরতে ঘুরতে একটা ওজন মাপার মেশিনে উঠে ওজন মাপে। একটা টিকিট বেরিয়ে আসে, ‘তোমার নাম স্বপন রায়, তোমার ওজন সত্তর কেজি, তুমি বম্বে যাওয়ার ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করছ।’ ভদ্রলোকের মাথা ঘুরে যায়। চিন্তা করতে থাকে কীভাবে মেশিন এরকম অ্যাকুউরেট বলতে পারে! নাম, গন্তব্যস্থল অবধি! ভাবতে ভাবতে আবার মেশিনে ওঠে, পরের বারও একই টিকিট, ‘তোমার নাম স্বপন রায়, তুমি বম্বে যাওয়ার ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করছ, তোমার ওজন সত্তর কেজি।’ পর পর দুবার এরকম দেখে ভদ্রলোক বিস্ময়ে অবাক হয়ে যায়। বেশ খানিকক্ষণ ভাবতে থাকে কী ভাবে এরকম হতে পারে! ভাবে, আবার দেখি তো তিনবারই এরকম হতে পারে কিনা। এবার টিকিট বেরিয়ে এল, ‘ওরে পাঁঠা, বম্বের ট্রেন তো ছেড়ে দিল।’

.

এক ট্রেনযাত্রী সিটে একটা রুমাল রেখে প্ল্যাটফর্মে ঘোরফেরা করছে। ট্রেন ছাড়ার সময় ট্রেনে উঠে দেখে তার জায়গায় অন্য একজন বসে আছে। এসে বলে, ‘এই যে উঠুন, এটা আমার জায়গা, দেখছেন না রুমাল রাখা আছে।’

অন্যজন—’রুমাল রাখলেই সিটটা আপনার হয়ে গেল? মুখ্যমন্ত্রীর সিটে রুমাল রাখলেই আপনি মুখ্যমন্ত্রী হয়ে যাবেন?’

.

এক কলকাতার বাবু নদীতে নৌকো চড়ার সময় ভাব জমাবার জন্য কথা বলতে থাকে, ‘ওহে মাঝি, তুমি ইংরেজি জানো?’

মাঝি ‘জানে না’ বলতে, লোকটি বলে, ‘তোর জীবনে পঞ্চাশ পারসেন্ট বরবাদ।’

আবার খানিক বাদে জিগ্যেস করে মাঝি ভূগোল জানে কি না, মাঝি ‘না’ বলাতে তাকে বলে, ‘তোমার জীবনের আরও দশ শতাংশ বরবাদ।’

এবার নদীতে ঝড়-বৃষ্টি দেখে মাঝি ভদ্রলোককে জিগ্যেস করে বাবু আপনি সাঁতার জানেন?’

ভদ্রলোক না বলাতে মাঝি বলে, ‘তাহলে আপনার জীবনের একশো শতাংশই বরবাদ।’

.

চাকর বাবুকে বলে, ‘বাবু, আমার বউ আপনাকে মাইনে বাড়াবার কথা বলে দিয়েছে।’

লোক—’ঠিক আছে, আমার বউকে জিগ্যেস করি তোমার মাইনে বাড়ানো যায় কি না।’

.

এক ষাট বছরের লোক মিলিটারি রিত্রু�টিং অফিসে গিয়ে বলে—’মিলিটারিতে নাম লেখাতে চাই।’

রিত্রু�টিং অফিসার—’সে কি আপনার বয়স তো অনেক বেশি।’

লোক—’আমি তো সেনার চাকরি চাই না, আপনাদের সেনাপতির দরকার নেই?’

.

ছোট ভাই-বোন বাড়িতে বসে আছে। বোনটা একটা কেক কেটে ভাইকে বলল, ‘তোর যে পিসটা ইচ্ছা তুলে নে।’

ভাই বড় পিসটা তুলে নিতেই বোন বলল—’তোর জায়গায় আমি হলে ছোট টুকরোটাই নিতাম।’

ভাই—’সেটাই তো রাখলাম তোর জন্য।’

.

কমিউনিস্ট শাসনের সময় একবার নভেম্বর মাসের মস্কোয় মিলিটারি মার্চের সময়, আলেকজান্ডার, জুলিয়াস সিজার আর নেপোলিয়ান—এঁদের প্রেতাত্মারা সেই মার্চ দেখতে আসে। মার্চ দেখতে দেখতে ট্যাঙ্কগুলোর দিকে তাকিয়ে আলেকজান্ডার বললেন—’আমার যদি এরকম রথ থাকত, তাহলে সারা পৃথিবী আমার পদানত হত।’

জুলিয়াস সিজার রকেটগুলোর দিকে তাকিয়ে বললেন, ‘এই রকম তির যদি আমার থাকত তাহলে সারা পৃথিবী শাসন করতাম।’

নেপোলিয়ান ‘প্রাভদা’ কাগজ দেখে বললেন, ‘এইরকম কাগজ যদি আমার থাকত, তাহলে ওয়াটার্লুর কথা কাউকে জানতে হত না।’

.

এক খদ্দের ঘড়ির দোকানে এসে ঘড়ির দাম জিগ্যেস করে। দোকানদার বলে, ‘এক হাজার টাকা’

ভদ্রলোক বিস্ময়ে শিষ দিয়ে ওঠে। আরেকটা ঘড়ি দেখে দাম জিগ্যেস করে। দোকানদার বলে ‘দু হাজার টাকা।’ ভদ্রলোক আরও বিস্ময়ে দুবার শিষ দিয়ে ওঠে। এবার আরেকটা ঘড়ির দাম জিগ্যেস করাতে দোকানদার বলে, ‘এটার দাম শুনলে আপনাকে তিনবার শিষ দিতে হবে।’

.

এক পাগলাগারদে ভিসিট করতে এল এক পাগলা ডাক্তার। সে দেখে একটা রুগি সারা ঘর লাফাচ্ছে আর মুরগির মতো ডাকছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হল একে-একে সারানো যায় কি না? ডাক্তার বলল, ‘অবশ্যই সারানো যায় তবে তার আগে আমার ডিমগুলো চাই যেগুলো ও পেড়েছে।

এক ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে এসে এক ভদ্রলোক টাইয়ের দাম জিগ্যেস করাতে দোকানদার বলে, ‘তিনশো টাকা।’

ভদ্রলোক—’বলেন কী, একটা টাইয়ের দাম তিনশো টাকা? ও টাকায় তো দু-জোড়া চটি কেনা যায়।’

দোকানদার—’তা যায়, কিন্তু চটি তো আর গলায় বাঁধা যায় না।’

.

দুই বৃদ্ধ লেকে বসে গল্প করছেন। এক নম্বর বৃদ্ধ বলেন, ‘খুব ঘুম পাচ্ছে, সারা দুপুর ঘুমোতে পারিনি, উকিলকে দিয়ে নতুন উইল করছিলাম।’

দ্বিতীয় বৃদ্ধ—’আবার উইল, এই তো পরশুই শুনলাম উইল করলেন!’

প্রথম বৃদ্ধ—’আসলে দিন দশেক আগে একটা হিয়ারিং এইড কিনেছিলাম, কিন্তু বাড়ির লোক ভাবছে এখনও আমি কালা, তাদের কথা তো যত শুনছি, তত উইল পালটাচ্ছি, দশদিনেই চারবার উইল পালটালাম।

.

এক পার্টিতে এক ভদ্রলোক ও ভদ্রমহিলা নেচে চলেছেন। ভদ্রলোক বললেন, ‘বা:, আপনার বেশ দম আছে তো! প্রায় দেড়ঘণ্টা হয়ে গেল আপনি নেচে চলেছেন।’

মহিলা—’হ্যাঁ, সবাই বলে বয়সের তুলনায় আমি অনেক সতেজ।’

পুরুষ—’তা বয়সটা আপনার কত হল?’

মহিলা—’এই চল্লিশের দিকে যাচ্ছি।’

পুরুষ—’আইব্বাপ, তা কোন দিক দিয়ে যাচ্ছেন?’

.

দুই ঘনিষ্ট বন্ধু মদন আর মোহন। মদন খুবই ধার্মিক,পুজো আচ্চা, মন্দির, দেবতা, এইসব নিয়েই থাকত। ত্রিসন্ধ্যা জপ, সব সময়েই ভগবানের নাম করত। কোনওরকম নেশা ছিল না। আর মোহন সবসময়ই আনন্দ ফূর্তি মদ মেয়েছেলে কিছুই বাদ নেই। মারা যাওয়ার পর দুজনকেই ভগবানের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। ভগবান মদনকে নরক আর মোহনকে স্বর্গে নিয়ে যেতে বলে। মদন অবাক হয়ে বলে, ‘সারাজীবন আমি ধর্মের পথে থেকেছি কোনওদিন কোনওরকম পাপ কাজ করিনি সকাল সন্ধ্যা অসংখ্যবার আপনাকে ডেকেছি, তার ফল কিনা এই?’

ভগবান—’এই জন্যেই তো তোমায় নরক দিলাম, তুমি বেঁচে থাকতে সবসময় ডেকে ডেকে আমার কানের পোকা বার করে দিয়েছ, যা বিরক্ত করেছ, তা আর বলবার নয়।’

.

এক ভদ্রলোক হঠাৎ দুটোর সময় বাড়িতে ফিরে দেখে তার স্ত্রীর সঙ্গে বিছানায় একজন অন্য পুরুষ। রেগে গিয়ে লোকটি স্ত্রীকে বলে—’তোমার সঙ্গে ও লোকটি কে?’

স্ত্রী—’তাই তো, ওর নাম তো আমিও জানি না, এই তোমার নামটি কী গো?’

.

বন্যায় মালদহ শহর ভেসে গেছে। ছাতের চালায় একজন লোক বসে আছে। উদ্ধারকারীরা এসে বলে ‘আমাদের নৌকোয় আসুন, আপনাকে ডাঙায় পৌঁছে দি।’

ভদ্রলোক বলেন—’না, না, তোমরা আমার কথা ভেবো না, আমায় ভগবান দেখবেন; তোমরা এগিয়ে যাও। জল আরও বাড়তে লাগল, লোকটার কোমর অবধি জল। উদ্ধারকারীরা ফিরবার সময় বলল, ‘নৌকায় চলে এসো জল কিন্তু আরও বাড়ছে।’

লোকটির একই উত্তর—’তোমরা এগিয়ে যাও আমার ঈশ্বর আছেন।’

এরপর জল বাড়তে বাড়তে লোকটার গলা অবধি ডুবে যায়। লোকটা ভগবানের নাম করতে থাকে। এরপর জলে ডুবে লোকটা মারা যায়। স্বর্গে গিয়ে ভগবানকে লোকটা জিগ্যেস করে, ‘তোমার ওপর পুরো নির্ভর করলাম আর তুমি আমায় বাঁচালে না? জলে ডুবিয়ে মারলে?’

ভগবান—’আমি ডুবিয়ে মারলাম? দুবার যে নৌকা পাঠালাম উঠলি না কেন? পাঁঠা!’

.

এক ভদ্রলোক ট্রামে এক সুন্দরী মহিলার সঙ্গে ভাব জমাবার জন্য বলে, ‘আপনার অফিসের ফোন নাম্বারটা কত?’

মহিলা—’ও তো ফোন ডাইরেক্টরিতেই পাবেন।’

ভদ্রলোক—’আচ্ছা, আপনার নামটা কী যেন।’

মহিলা—’ওটাও ডাইরেক্টরিতেই পাবেন।’

.

এক হোটেলের সুইমিংপুলের ছাতার তলায় বসে এক ভদ্রলোক সমানে একটার পর একটা সিগারেট খেয়ে চলেছে। আর এক ভদ্রলোক এটা দেখে জ্ঞান দেওয়ার জন্য ওই ভদ্রলোককে জিগ্যেস করে, ‘আচ্ছা আপনি যে, সিগারেট খাচ্ছেন এটার দাম কত?’

ভদ্রলোক—’একটার দাম চার টাকা।’

দ্বিতীয়জন—’বা: বা:! দিনে ক’টা সিগারেট খান?’

ভদ্রলোক—’এই দিনে কুড়িটা।’

দ্বিতীয়জন—’দিনে কুড়িটা মানে রোজ আশি টাকা, বছরের উনত্রিশ হাজার দুশো। তা কতবছর এরকম সিগারেট খাচ্ছেন?’

ভদ্রলোক—’তা পঞ্চাশ বছর হবে।’

দ্বিতীয়জন—’তার মানে, পঞ্চাশ বছরে চোদ্দো লাখ ষাট হাজার! চিন্তা করুন ওই টাকা থাকলে আপনি এই হোটেলটার মালিক হতে পারতেন।

ভদ্রলোক—’আমিই তো এই হোটেলের মালিক।’

.

পার্কস্ট্রিটে একটা গাড়ি একজন পথচারীকে ধাক্কা দিয়ে চলে যায়। পথচারিটি বীভৎসভাবে রক্তের মধ্যে পড়ে থাকে। অনেক লোক তাকে ঘিরে থাকে। একজন বলে ওঠে, ‘শিগগির এক বোতল হুইস্কি নিয়ে এসো।’ একজন দৌড়ে পাশের বার থেকে এক বোতল হুইস্কি নিয়ে আসে। লোকটা ঢকঢক করে খানিকটা হুইস্কি খেয়ে বলে, ‘এরকম বীভৎস দৃশ্য সহ্য করতে পারি না।

.

দুই বৃদ্ধ কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য ফোনে কথা বলছে। প্রথম জন—’কী হে, শুনলাম তুমি না কি কংগ্রেসে যোগ দিয়েছ?’

দ্বিতীয় জন—’হ্যাঁ, ঠিকই শুনেছ।’

প্রথমজন—’সে কী, তোমার সঙ্গে পার্টির তো কোনও মনোমালিন্য হয়নি; সারাজীবন কমিউনিস্ট পার্টি করলে, হঠাৎ কী হল যে কংগ্রেসে যোগ দিলে?’

দ্বিতীয়জন—’আরে সেসব কিছু না, আমার ব্যাপারটা খুব খারাপ স্টেজে; মেরেকেটে আর ছয় বছর বাঁচব।’

প্রথমজন—’সেকী খুবই দু:খের কথা কিন্তু তার সঙ্গে কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার কী আছে?’

দ্বিতীয় জন—’আরে বুঝলে না, আমি মরলে ব্যাটাদের একটা মেম্বার তো কমবে।’

.

জনৈক ভদ্রলোক, একজন ব্যবসায়ী শ্রেণির লোককে চিটিংবাজ, জোচ্চোর, শুয়োরের বাচ্চা, প্রভৃতি দশ মিনিট ধরে সমানে গালাগালি দিয়ে গেল। সেই ব্যবসায়ী শুধু মুচকি হাসল; কিন্তু কিছু বলল না। সেই গদিতে আরেকজন লোক বসেছিল, সে বলল—’তুমি কিছু বললে না, তোমায় এত গালাগালি দিল?’

ব্যবসায়ী—’কেন বলব, গালি সে তো দিল, নিল তো না; আমরা এত সহজে কিছু দিই না; সে গালিই হোক আর পয়সাই হোক।’

.

একজন টিচার তার ক্লাসের ছাত্রদের শেখাচ্ছেন, ‘তোমরা সবাইকে ভালোবাসতে শিখবে; সব লোককে ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে বাঁধবে, কারও প্রতি কোনওরকম মানসিক শারীরিক উৎপীড়ণ করবে না। এ শুধু মানুষ না জীবজন্তুকেও ভালোবাসবে, তাদের ওপর কোনওরকম অত্যাচার করবে না। আমি যদি দেখি কোনও লোক একটা গাধাকে মারছে, আমি যদি তাকে মার থেকে বাঁচাই তাহলে এর দ্বারা আমি কী প্রমাণ করছি?’

একজন চ্যাংড়া ছাত্র বলে ওঠে—’ভাইয়ের ভালোবাসা।’

.

এক ভদ্রমহিলা তাঁর জন্মদিনে খুব ধুমধাম করে পার্টি করলেন। তাঁর সব বন্ধুরা হই হই করে তাঁর পার্টির ব্যবস্থার সব প্রশংসা করছিল। মহিলা বললেন, ‘সবই তো ভালো, কিন্তু আমার ত্রিশ বছরের জন্মদিন ভেবে খারাপ লাগছে।’

এক মহিলা টিপ্পনী কাটেন—’কেন, তোমার ত্রিশ বছরের জন্মদিনে কী হয়েছিল?’

.

ধীরাজ সেন একজন নামকরা জুয়ারি, রেসুড়ে। হঠাৎ মারা যাওয়ায় তার স্মরণসভায় প্রচুর লোক হয়। সবাই উঠে বক্তৃতা করার সময়—’ধীরাজ সেন একজন নি:স্বার্থ প্রচণ্ড মিশুকে দিলখোলা অত্যন্ত ভালো মানুষ ছিলেন।’ এই জাতীয় বক্তৃতা শুনতে শুনতে তার সদ্য বিধবা স্ত্রী তার দশ বছরের ছেলেকে কানে কানে বলে ‘একটু খোঁজ করে দেখ তো, এসব ভালো কথা কার সম্বন্ধে? তোর বাবার স্মরণসভাই হচ্ছে তো?’

.

এক ভদ্রমহিলা তার স্বামীর বিরুদ্ধে ডিভোর্স-এর মামলা ঠুকেছে। জজ মহিলাকে ডেকে বলেন—’আপনি কেন এই বিবাহ ভাঙতে চাইছেন?’

মহিলা বলেন—’আমার স্বামী অত্যন্ত বাজে লোক, একদম বিশ্বাস করা যায় না, ঘোড়া ছাড়া আর কিছু চিন্তা করে না। রেসের বই ছাড়া কোনও বই পড়ে না। আমাদের সামাজিক জীবন বলতে কিছু নেই, সবসময় রেসেই টাকা উড়িয়ে দেয়। আমাদের কোনও বন্ধুবান্ধব নেই। উনি রেসেই এত মত্ত যে, আমি হলফ করে বলতে পারি আমাদের কবে বিয়ে হয়েছিল, তা-ও ওর মনে নেই।’

ভদ্রলোক এতক্ষণ চুপচাপ থাকার পর বলে ওঠে, ‘কেন মনে থাকবে না? সেই যেবার জকি মুনলাইট ঘোড়াকে জেতাল ডার্বিরেসে, সেদিনই তো আমাদের বিয়ে হয়েছিল।’

.

এক মেন্টাল পেশেন্ট ছেলেকে নিয়ে তাঁর বাবা মনোরোগের ডাক্তারের কাছে যায়। ডাক্তার নানা-কথা জিগ্যেস করার পর জানতে চায় সে কী ফল খেতে ভালোবাসে।

ছেলেটি বলে যে সে আপেল খেতে ভালোবাসে।

ডাক্তার বলে, ‘আপেল তো আমিও ভালোবাসি খুব।’

ছেলেটি বলে, ‘ও বাবা, তাহলে কি আপনিও আমার মতো পাগল নাকি?’

.

এক ভদ্রলোক তাঁর ছেলেকে পড়াচ্ছেন, একসময় দরজায় কড়া নাড়ার শব্দে ভদ্রলোক বললেন, ‘দেখতা কে কড়া নাড়ছে?’

ছেলে দরজা খুলে বলে ‘একজন দাড়িওয়ালা তোমায় ডাকছে।’

ভদ্রলোক বলেন—বলে দে, আমার দাড়ির দরকার নেই।

.

একজন হার্ট পেশেন্ট দেখেন তাঁর ডাক্তার বেশ সিগারেট ফুঁকে চলেছেন। উনি বলেন, ‘কী ডাক্তারবাবু, আমায় জ্ঞান দিয়ে নিজে তো বেশ সিগারেট ফুঁকে চলেছেন, অথচ আমার ধূমপান নিষিদ্ধ।’

ডাক্তারঃ ‘আমি ধূমপান না করলে কী করে জানব ধূমপানে কী কী ক্ষতি হতে পারে।’

.

জজ এক ক্রিমিনালকে জিগ্যেস করেন ‘তাহলে তুমি স্বীকার করছ তুমি তোমার বউকে পিটিয়েছ?’

অপরাধীঃ ‘হ্যাঁ স্যার, স্বীকার করছি।’

জজ—’বেশ, তোমার পঞ্চাশ টাকা ফাইন হল, সেইসঙ্গে আরও অতিরিক্ত পাঁচ টাকাও দেবে।

অপরাধী—’স্যার, ও পাঁচ টাকা কীসের জন্য?’ জজ বলেন, ‘ওটা অ্যামিউসমেন্ট ট্যাক্স।’

.

গোয়ালার ছয় বছরের ছেলে তার বাবার কাছে গিয়ে গরুর দুধ দুইতে চায়। গোয়ালা বলে, ‘তুই তো এখনও ছোট, এখনও গরুর দুধ দুইতে পারবি না।’

বাচ্চা বলে, ‘ঠিক আছে তাহলে বাছুরের দুধ দুই?’

.

জনৈক ভদ্রলোক, গ্রামে তাঁর শ্বশুরবাড়িতে তার সুন্দরী শালি ইন্দ্রাণীর জন্য এক বিদেশি সেন্ট নিয়ে গেছেন। কিন্তু তাঁর চ্যাংড়া শালা সেই আতর হাতে ঢেলে চাটতে লাগল। ভদ্রলোক শ্বশুরকে গিয়ে অভিযোগ করে, ‘দেখুন বাবা, আমি কিনা কত টাকা দিয়ে দামি সেন্ট আনলাম, আর খোকন শালা, চেটেপুটে শুধু শুধু খেয়ে নিল।’

শ্বশুরমশাই—’সত্যিই তো কী অন্যায়, খোকন, ব্যাটা আস্ত গাধা, রুটিতে মাখিয়ে খেলেই পারতিস।’

.

ভিখারিঃ ‘মা কিছু ভিক্ষা দিন।’

মহিলাঃ ‘এই কম বয়সে খেটে খেতে পারো না, ভিক্ষা করো কেন?’

ভিখারিঃ ‘মা, আমি আপনার কাছে ভিক্ষা চাইতে এসেছি, পরামর্শ চাইতে আসিনি।’

মহিলাঃ ‘তোমায় ভিক্ষা দেব না, ছাই দেব।’

ভিখারিঃ ‘তাই দিন, হাত তো খুলুক।’

.

শীতের রাতে এক গায়কের গান করতে গিয়ে গলা বসে যায়। সে এক ডাক্তারের বাড়ি গিয়ে দরজায় বেল টেপে, দরজা খুলে ডাক্তারের বউ এসে বলেন, ‘কী চান?’ গায়ক ফিসফিস করে, ‘ডাক্তারবাবু আছেন?’

মহিলা ‘সলজ্জ হেসে বলেন, ‘না, উনি বাইরে ভিজিটে গেছেন, আপনি তাড়াতাড়ি ভেতরে ঢুকে আসুন।’

.

বড়বোন গান ধরলেই ছোটবোন উঠে গিয়ে বারান্দায় দাঁড়ায়। এটা লক্ষ করে বড়বোন বলে, ‘ইন্দু, আমি লক্ষ করেছি, আমি গান করলেই তুই বারান্দায় গিয়ে দাঁড়িয়ে থাকিস ব্যাপারটা কী বলতো?’

ইন্দু বলেঃ ‘আমি বুঝিয়ে দিতে চাই পাড়াপড়শিকে যে, গানটা কিন্তু আমি গাইছি না।’

.

এক মাঝবয়সি ভদ্রমহিলা জ্যোতিষীর কাছে হাত দেখাতে গেছে। একঘর লোকের সামনে জ্যোতিষী ভদ্রমহিলার বয়স জিগ্যেস করে। ভদ্রমহিলা অনিচ্ছা সহকারে আমতা আমতা করে বলে, ‘এই তিরিশ বছর কয়েক মাস।’

নাছোড়বান্দা জ্যোতিষী বলে, ‘exactly কয় মাস?’

নিরুপায় হয়ে ভদ্রমহিলা বলে ‘এই দুশো মাস হবে।’

.

বাচ্চা ছেলে মন্দিরে গিয়ে ভগবানের কাছে প্রার্থনা করছে, ‘ভগবান, দয়া করে আমাকে ভালো রাখো, আমার বাবা, মা আমার ভাই খোকন, বোন রুবীকে ভালো রাখো, আমার কাকা, কাকিমা, মামা, মামিমা, অন্য সব আত্মীয়দের ভালো রাখো, বিশেষ করে তুমি নিজে ভালো থাকো কারণ তোমার কিছু হলে আমরা সবাই ডুবে যাব।’

.

এক বাচ্চা মেয়ে তার বাবাকে গল্প করছে, ‘বাবা জানো, একটা বাচ্চা হাতির দুধ খেয়ে এক সপ্তাহে দশ কেজি ওজন বেড়ে গেছে।’

বাবা অবাক হয়ে ‘তাই নাকি, কার বাচ্চা?’

বাচ্চা মেয়েটা হেসে বলে ‘হাতির বাচ্চা।’

.

শিলিগুড়ির একজন লোক বম্বে বেড়াতে গেছে। সেখানকার আত্মীয়রা তাকে বম্বের বাইরে এক পাহাড়ি জায়গায় বেড়াতে নিয়ে যায়। সেখানে একজন একটা জিনিস দেখতে বলে খুব জোরে চিৎকার করে ওঠে। দশ মিনিট পরে ইকো হয়ে সেই চিৎকারটা ফিরে আসে। শিলিগুড়ির লোকটি বলে, ‘এ তো কিছুই না, আমি শোওয়ার সময় জানলা খুলে চিৎকার করি—ওঠবার সময় হলে আটঘণ্টা পরে সকালবেলায় সেই চিৎকার ইকো হয়ে ফিরে আসে।’

.

এক পাখির দোকানে এক ভদ্রলোক একটা তোতা পাখি কিনতে গেছে। পাখি বিক্রেতা একটা তোতাকে দেখিয়ে বলে, ‘এই তোতাটা দুষ্প্রাপ্য, এ যে শুধু কথাই বলে তা নয়, এ গানও গায়, এর ডান পা তুলে ধরলে ”বন্দে মাতরম” গায়, আর বাঁ পা তুললে ”জন-গন-মন” গায়।’

ভদ্রলোক কৌতূহলী হয়ে বলে ”আর যদি দুটো পা-ই তুলে ধরা হয় তাহলে কী হয়?’

তোতাটি বলে, ‘তাহলে আমি পড়ে যাই, গাধা কোথাকার!’

.

এক গ্রামের যুবকের বিয়ে হয়েছে শহরের মেয়ের সঙ্গে। জামাইষষ্ঠীর দিন শ্বশুরবাড়িতে চমকে দেওয়ার জন্য সবুজ রং-এর স্যুট, টাই, মাথায় একটা লাল টুপি পরে বউকে বলে, ‘আমার স্যুট টাই ড্রেসটা কীরকম হয়েছে?’

বউ বলে, ‘সবুজ স্যুট টাই, লাল টুপি? ও: দারুণ দেখাচ্ছে, একদম টিয়াপাখির মতো।’

.

আফগানিস্থানের এক গ্রামে দু-দল লোকের ঝগড়া হচ্ছে। একদল বলছে, চাঁদ বেশি দরকার কারণ চাঁদ রাত্রে আলো দেয়, সূর্য তো দিনে আলো দেয়, দিনে তো আলো থাকেই, সূর্যের আলোর কী দরকার?’

.

এক বড়লোক ব্যবসায়ী ডাক্তারকে চোখ দেখাতে গিয়ে বলে ‘দেখুন তো ডাক্তারবাবু, আমার চোখে কী হয়েছে? একদম দেখতে পারছি না, ঠান্ডা লেগেছে না ছানি পড়েছে?’

ডাক্তার বলে, ‘আপনি বসুন, ওই বোর্ডের দিকে তাকিয়ে বলুন কী লেখা আছে?’

ব্যবসায়ীঃ ‘তলার লেখাগুলো, না ওপরের লেখাগুলো?’ ডাক্তার—’আগে তলারগুলো পড়ুন।’ ব্যবসায়ী—’কিছু পারছি না।’ ডাক্তার—’তাহলে ওপরেরগুলো পড়ুন।’

ব্যবসায়ীঃ ‘কিছুই পারছি না।’

ডাক্তারঃ ‘সর্বনাশ, আপনি তো প্রায় অন্ধ হয়ে গেছেন।’

ব্যবসায়ীঃ ‘না না, অন্ধ না, আমি ইংরাজি পড়তে পারি না।’

.

এক ধনী মাড়োয়ারি ভদ্রলোক আর্টের কিছুই জানেন না, কিন্তু লোক দেখাবার জন্য আর্ট গ্যালারিতে গেছেন। একটা কাঁচের গোল মতো জিনিসের ওপর কিছু ফুল কল্কাকাটা দেখে পছন্দ হয়ে গেল। তিনি গ্যালারির লোকদের জিগ্যেস করলেন। ‘এটা আমার পছন্দ, এই আর্টটার নাম কী?’

লোকটি অবাক হয়ে বলে ‘এর তো কোনও নাম নেই।’ ভদ্রলোক বলেন ‘কোনও নাম নেই? নিশ্চয়ই কোনও ক্লাসিক আর্ট হবে। কে বানিয়েছে এটা? আপনারা কী বলেন এটাকে?’

লোকটি বলে—’আমরা এটাকে প্লেট বলি, এটা বানিয়েছে বেঙ্গল পটারি।’

.

পাড়ায় এক নতুন ডাক্তার এসেছে। সে প্রথমবার দেখবার জন্য দশটাকা নেয়। তার পরেরবার থেকে পাঁচ টাকা নেয়। এক সেয়ানা লোক ডাক্তারকে ফাঁকি দেওয়ার জন্য এসে বলে, ‘নমস্কার ডাক্তারবাবু, আবার এলাম।’

ডাক্তার আরও চালাক। সে লোকটাকে চেক আপ করে পাঁচ টাকা ফিজ নিয়ে বলে ‘ওষুধ আগের প্রেসক্রিপশন মতোই চলবে।’

.

বম্বেতে একজন লোক ডাইং ক্লিনিংয়ে গেছে একটা প্যান্ট ইস্তিরি করতে। ইস্তিরি করতে কত চার্জ জিগ্যেস করতে, দোকানদার বলে, ‘কুড়ি টাকা।’

ভদ্রলোক আঁতকে উঠে বলে, ‘সেকী আমাদের কলকাতায় তো আটটাকা দেয়।’

দোকানদার বলে, ‘তা কলকাতা যাওয়ার ভাড়াটা যোগ করে বলুন, বেশি হচ্ছে না কম হচ্ছে?’

.

কোর্টে কেস চলছে, বিবাদীপক্ষের উকিল সাক্ষীকে নাস্তানাবুদ করার জন্য প্রশ্ন করে, ‘আপনি বলছেন, যে-রাতে খুন হয়েছে সে-রাতে লোডশেডিং ছিল। আপনিও খুনের স্পট থেকে কম করে দুশো ফিট দূরে ছিলেন, তবুও আপনি দেখেছেন যে আসামি চাকু মেরে খুন করেছে?’

সাক্ষীঃ ‘আজ্ঞে হ্যাঁ, বলছি।’

উকিলঃ ‘তাহলে মহামান্য আদালতকে বলুন তো, আপনি অন্ধকারে কতদূর দেখতে পারেন?’

সাক্ষীঃ ‘গজ ফিট মেপে তো বলতে পারব না। তবে অন্ধকারে চাঁদ তারা দেখতে পাই, এবার আপনি বলুন, কতদূর দেখতে পাই।’

.

একজন লোক একটা রেস্টুরেন্টে গেছেন। একজন সুন্দরী মেয়েকে দেখে ড্রিংক অফার করেন। মেয়েটি চেঁচিয়ে বলে, ‘কী বলছেন হোটেলে যাবেন?’

ভদ্রলোক নার্ভাস হয়ে বলেন, ‘না, না, আমি আপনাকে ড্রিংক অফার করছিলাম।’

মেয়েটি আরও জোরে বলে, ‘কী বলছেন আমাকে হোটেলে নিয়ে যেতে চান?’

রেস্টুরেন্টের সব লোক তাদের দিকে তাকিয়ে থাকে। একজন স্টুয়ার্ড এসে লোকটিকে বলে, ‘এখানে অসভ্যতা করবেন না।’

লোকটি বিষণ্ণ মুখে অন্য একটি টেবিলে বসে। কিছুক্ষণ পরে সুন্দরী মেয়েটি তার টেবিলে এসে বলে, ‘কিছু মনে করবেন না, আমি সাইকোলজির ছাত্রী, আমার থিসিসের জন্য আপনার রিঅ্যাকশান কী হয়, তা দেখছিলাম।’

ভদ্রলোক চেঁচিয়ে বলেন, ‘কী বলছেন, পাঁচশো টাকা! না না, অত পারব না।’

.

শালি জামাইবাবুকে, ‘মোহনদা আপনার চুল দেখে মনে হয়, আপনার বয়স ষোলো বছর।’

জামাইবাবুঃ ‘আর দাঁত?’

শালিঃ ‘দাঁত দেখে মনে হয়, আপনার কুড়ি বছর।

জামাইবাবুঃ ‘আর আমার চেহারা?’

শালিঃ ‘আপনার ভাবসাব দেখলে মনে হয়, আপনার বয়স কুড়ি বছর।’

জামাইবাবুঃ ‘কিন্তু on the whole আমায় দেখে কম বয়স মনে হয়?’

শালিঃ ‘on the whole আপনাকে দেখে ছাপ্পান্ন বছর মনে হয়।’

.

ভিখারিনী—এক টুকরো কেক দিন মা।’

গৃহিনী—ভাত, রুটি না চেয়ে কেক চাইছ কেন?

ভিখারিনী—আজ আমার জন্মদিন কিনা, তাই!

.

নিজের বাবা-মাকে খুন করে এক আসামি, বিচারপতির ক্ষমাপ্রার্থী। বিচারক—’নিজের বাবা-মাকে খুন করেও তুমি আমার করুণা চাইছ?’

আসামি

হ্যাঁ ধর্মাবতার, আমি যে পিতৃ-মাতৃহীন অনাথ।

.

মোহন ক্রোড়পতি হওয়ার পর একটা প্রাসাদোপম বাড়ি কেনে। তারপর সব পুরোনো বন্ধুদের নিয়ে বাড়িতে একটা পার্টি দেয়। বন্ধুদের ঘুড়িয়ে বাড়িটা দেখায়। বন্ধুদের তার তিনটে সুইমিংপুল দেখায়। বন্ধুরা—’সুইমিংপুল তিনটে কেন?’

মোহন—এতে সবাইকেই খুশি রাখা যাবে। একটাতে গরম জল, যারা গরম জলে স্নান করতে পারে তাদের জন্য। একটাতে ঠান্ডা জল, যারা ঠান্ডা জলে স্নান পছন্দ করে তাদের জন্য।

বন্ধুরা—কিন্তু তিন নম্বর সুইংমিংপুলে জল নেই কেন? মোহন—এই পুলটা, যারা জল পছন্দ করে না তাদের জন্য।

.

একজন মাতাল একটা মদের বারে এসে বলে, ‘শিগ্রি গোলমাল আরম্ভ হওয়ার আগে এক পেগ হুইস্কি দাও।’ হুইস্কি খেয়ে মাতালটি আবার বলে, ‘শিগ্রি গোলমাল আরম্ভ হওয়ার আগে আরেক পেগ হুইস্কি দাও।’ এবারও হুইস্কি খেয়ে বলে, ‘শিগ্রি গোলমাল হওয়ার আগে আরেক পেগ হুইস্কি দাও।’

এবার স্টুয়ার্ড বলে, ‘কিন্তু গোলমাল কখন হবে?’

মাতালঃ ‘এখনই, কারণ আমার পকেটে মদের বিল মেটাবার পয়সা নেই।’

.

সারা রাত বাড়ি না-ফেরার জন্য এক যুবতীকে তার বাবা, মা খুব বকাঝকা করে। যুবতী মেয়ে তার চাকরকে ধরে বলে, ‘তুই নিশ্চয়ই বাবাকে বলেছিস আমি দেরি করে বাড়ি ফিরেছি।’

চাকর—আমিই মোটেই বলিনি তুমি কখন বাড়ি ফিরেছ। আমি বলেছি আমি ব্রেকফাস্ট বানাতে ব্যস্ত ছিলাম, ঘড়ি দেখার টাইম পাইনি।

.

তিন কয়েদির খুনের দায়ে ফাঁসির সাজা হয়েছে। ফাঁসির আগের দিন ওয়ার্ডেন বলে, ‘আজকেই তোমাদের শেষ ডিনার, তোমরা কী খেতে চাও?’

প্রথম কয়েদি—বিরিয়ানি, রেজালা, চিকেন চাপ, ফিরনি।

দ্বিতীয় কয়েদি—মিক্সড ফ্রাইড রাইস, হাক্কা চাও, সুইন্ট গ্যান্ড, সাওয়ার প্রন চিলি-চিকেন।’

তৃতীয় কয়েদি—দুটো ফজলি আম।

ওয়ার্ডেনঃ ‘সেকী, এখন তো জানুয়ারি মাস, এখন তো আমের সিজিন নয়। আম তো জুন মাসে হয়।’

তৃতীয় কয়েদি—ঠিক আছে, আমি অপেক্ষা করতে রাজি আছি।

.

এক বন্ধু তার আরেক বন্ধুকে জিজ্ঞাসা করে, ‘কীরে, তোকে এত উত্তেজিত দেখাচ্ছে কেন?’

বন্ধুঃ ‘শালা কালকে বাড়ি ফিরে দেখি, আমার বউ আমার এক বাল্যবন্ধুর সঙ্গে সোফায় শুয়ে ফস্টিনষ্টি করছে।’

আরেক বন্ধুঃ ‘সেকী, সাংঘাতিক ব্যাপার!’

পরেরদিন সেই বন্ধুকে দেখে জিজ্ঞাসা করে ‘কীরে হাসি হাসি মুখ, কী ব্যাপার?’

বন্ধু—প্রবলেম সলভ করে ফেলেছি, সোফাটা বিক্রি করে দিয়েছি।

.

দুই মেয়ে-বন্ধু গল্প করছে। প্রথমজন—আমি পঁচিশ বছরের আগে বিয়ে করব না।

দ্বিতীয়জন—আমি বিয়ে করার আগে কখনওই আমার পঁচিশ বছর হবে না।

.

ডাক্তার রোগীকেঃ ‘মাংস, ঘি, মাখন খাওয়া চলবে না, খাওয়া কমাতে হবে, আর দিনে দুটোর বেশি সিগারেট খাবেন না।’

রোগীঃ ‘কিন্তু আমি…’

ডাক্তারঃ ‘যদি বাঁচতে চান তবে আমার কথামতো চলুন।’

রোগী কিছু না বলে চলে যায়, ডাক্তারের কথা অক্ষরে অক্ষরে পালন করে। একমাস বাদে ডাক্তারের কাছে ফিরে আসে। ডাক্তারঃ ‘আমার কথামতো চলে ভালোই তো আছেন।’

রোগীঃ ‘খাওয়া দাওয়ার কোনও প্রবলেম নেই, কিন্তু দিনে দুটো সিগারেট অসহ্য লাগছে, আগে কোনওদিন সিগারেট খাইনি কিনা।’

.

এক মাতাল যুবক পাঁচ বছর ধরে একটা মেয়ের সঙ্গে প্রেম করে। কিন্তু কিছুতেই আর বিয়ে হয় না। একদিন মেয়ের বাবা আর না পেরে যুবকের কাছে এসে বলে, ‘তোমরা পাঁচ বছর ধরে প্রেম করে যাচ্ছ। অথচ তুমি আমার মেয়েকে বিয়ে করছ না কেন বলো তো?’

যুবকঃ ‘আমি যখন মদ খেয়ে থাকি তখন আপনার মেয়ে আমাকে বিয়ে করতে চায় না, আর আমি যখন মদ না খেয়ে থাকি, তখন আমি বিয়ে করতে চাই না।’

.

ডাক্তার—আমার কাছে আসবার আগে কোনও ডাক্তারের কাছে গিয়েছিলেন?

রোগী—কোনও ডাক্তার নয়, ওই উলটোদিকের ওষুধের দোকানে গিয়েছিলাম।

ডাক্তার—হায় রাম, এই জন্যই তো আপনার মতো লোকেরা ভুগে মরে। আপনারা ঠিক জায়গায় যাবেন না, ওই ওষুধের দোকানের ছাগলরা কী বলল?

রোগী—আপনার কাছে আসতে বলল।

.

মাস্টারমশাইয়ের চোখে ছানি পড়েছে। ক্লাসে এসে দেখেন একটা ছেলে বেঞ্চের ওপর দাঁড়িয়ে আছে। মাস্টারমশাই ছেলেটিকে জিগ্যেস করেন, ‘বল তো পাণিপথের প্রথম যুদ্ধ কোন সালে হয়েছিল?’

ছেলেটিঃ ‘জানি না।’

মাস্টারমশাইঃ ‘কেন জানো না, কালকেই তো এগুলো পড়িয়েছি, কাল রাতে পড়াশুনা করোনি?’

ছেলেটিঃ ‘কাল রাতে বন্ধুদের সঙ্গে একটু চোলাই খাচ্ছিলাম।’

মাস্টারঃ ‘তুমি এত অসভ্য, আমার সামনে এসব কথা বলতে লজ্জা করছে না। পরীক্ষায় পাশ করবে কী করে?’

ছেলেটিঃ ‘আমি পাশ করতে চাই না। এই ঘরটা চুনকাম হবে তাই মাপ নিতে এসেছি।’

.

একটা ছেলে জীবনে বেশ উন্নতি করেছে, কিন্তু বাড়িতে এক অনুষ্ঠানে সব বয়স্ক আত্মীয়রা তাকে ধরে বলল, ‘সবই তো হল, এবার সংসারী হও। ঘরে একটা বউ আনো।’

ছেলেটি বললে, ‘তাই তো ভাবছি কার বউকে আনি!’

.

মোহনঃ ‘হ্যালো মদন, খুব বিপদে পড়েছি, শিগ্রি একবার আমার বাড়িতে আয়।’

মদনঃ ‘কী হল?’

মোহন ‘শিগ্রি আয় বলছি। আর আসবার সময় এক বোতল হুইস্কি আনিস।’

মদন তাড়াতাড়ি এক বোতল হুইস্কি নিয়ে মোহনের বাড়ি যায়। জিগ্যেস করে, ‘কী হল এত জরুরি তলব?’

মোহনঃ ‘শিগ্রি হুইস্কিটা দে, তৃষ্ণায় বুক ফেটে যাচ্ছে।

.

স্ত্রীর অনুরোধে স্বামীকে সঙ্গে করে এক ফটোর দোকানে ফটো তুলতে যায়। স্ত্রী একান্তে ফটোগ্রাফারটিকে ডেকে বললেন, ‘দেখুন আমার গায়ে কোনও গয়নাগাটি নেই, কিন্তু ফটো তোলার পর আমার গায়ে হিরে, জহরতের গয়নাগাটি এঁকে দিতে পারবেন?’

ফটোগ্রাফারঃ এ আর এমন কী, কিন্তু গয়নাগাটি কী দরকার বলুন তো?’

মহিলাঃ ‘ধরুন, আমি যদি আমার স্বামীর আগে মারা যাই, তখন আমার স্বামী আবার বিয়ে করবে; তখন দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী যদি ফটোতে দেখে আমার গা ভর্তি গয়না, তাহলে ওগুলো পাবার জন্য আমার স্বামীর জীবন ব্যতিব্যস্ত করে দেবে।’

.

ছেলে—মা, তুমি আমায় সবসময় বলো না, ঘরের মধ্যে বল না-খেলতে, তুমি সবসময় চিন্তা করো, বল খেললে তোমার কাচের গ্লাসের জিনিসগুলো ভেঙে যাবে, তাই না মা? তুমি সবসময় চিন্তা করো না?’

মা—হ্যাঁ, চিন্তা করি তো, তাতে কী হয়েছে?

ছেলে—তোমায় আর চিন্তা করতে হবে না।

.

এক ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের হোস্টেলের দুই বন্ধু কথা বলছে। অনিল—এই আমার রেইনকোট কেন পরেছিস?

মোহন—তোর নাকি? তো কী হয়েছে?

অনিল—’আমার রুমমেট বলে সবসময় আমার জামাকাপড় পড়বি আমায় জিগ্যেস না করে? এগুলো আমি একদম পছন্দ করি না, এখনই আমার রেইনকোট খোল।’

মোহন—’অসুবিধা আছে, রেইনকোট খুললে, তোর নতুন পলিয়েস্টার সুটটা ভিজে যাবে যে!’

.

এক যুবক এক ভদ্রলোকের কাছ থেকে পাঁচ টাকা চাইল। ভদ্রলোকঃ ‘তোমায় তো শিক্ষিত মনে হচ্ছে।’

যুবকঃ ‘হ্যাঁ, আমি কমার্স গ্র্যাজুয়েট, কিন্তু আমি দুদিন কিছু খাইনি।’

ভদ্রলোকঃ ‘তুমি ইয়ং, চেহারা ভালো, লেখাপড়া জানো, চাকরি করছ না কেন?’

যুবকঃ ‘ছি:, তা আমি করতে পারি না, তাহলে একজন বেকারের চাকরি যাবে।’

.

একজন লোক তার কুকুরকে নিয়ে গাড়িতে উঠছে। পুলিশঃ ‘এক মিনিট, আপনার কুকুরের লাইসেন্স আছে?’

‘তার কী দরকার, গাড়ি তো আমি চালাব।’

.

আজকের খবর, ‘পশ্চিমবঙ্গ সরকার নোটিশ জারি করেছেন—কোনও সরকারি কর্মী লাঞ্চের আগে জানলা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে সময় নষ্ট করতে পারবে না, এ কাজটা তারা লাঞ্চের পরে করতে পারবে।

আরও খবর হল, পশ্চিমবঙ্গের বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন যে, পশ্চিমবঙ্গের শিল্পের প্রভূত উন্নতি হচ্ছে। সারা বিশ্বে এর নাম ছড়িয়ে পড়ছে। তাই এখন থেকে আমরা পশ্চিমবঙ্গকে মহারাষ্ট্র নামে ডাকব।

.

পরিবহনমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা যদি এখন থেকে গরুর গাড়ি ব্যবহার করি, তাহলে পলিউশন থেকে রেহাই পাওয়া যাবে। এবং কলকাতার ট্রাফিক ব্যবস্থারও প্রভূত উন্নতি হবে।

.

কাল সন্ধ্যায় সল্টলেক স্টেট ব্যাঙ্ক ব্রাঞ্চে ডাকাতি হয়। কিন্তু ব্যাঙ্কে টাকা না থাকায়, ডাকাতরা অ্যাকাউন্ট লেজার বুক নিয়ে যায়। পরে সেগুলো চাঁদনী চকের একটা দোকানে কেজি দরে বিক্রি করে।

.

হাওড়া স্টেশনের টেলিফোন দপ্তর জানান যে গত মাসে তারা পঞ্চাশ হাজার অশ্লীল টেলিফোন কল পান। এই সব কলগুলি তাদের থেকেই পাওয়া, যারা ট্রেনের টাইম জানবার জন্য ফোন করেছিলেন।

.

এবার পথ পরিক্রমায় এমন একজনের সঙ্গে কথা বলব যে গত নয় বছর বেকার ছিল। কিন্তু এখন একটা স্থায়ী চাকরি হয়েছে। তার কাজ হল, পেট্রল পাম্পে পেট্রলের দরের নোটিশ লাগানো।

.

কলকাতার মেয়র নিজের হাতে ছোটবাগান-বস্তি-সুন্দরীকরণ প্রকল্পে হাত দেন, এই উদ্দেশ্যে বস্তির পাশে যত পাকা বাড়ি ছিল, সব বুলডোজার দিয়ে ভেঙে ফেলেন, যাতে বস্তির দৈন্যদশা চোখে না লাগে।

.

আলিপুর চিড়িয়াখানার সুপারভাইজার জানাচ্ছেন যে, চিড়িয়াখানার বৃহত্তম গন্ডারটি যেদিন থেকে জেনেছে যে তার পূর্বপুরুষের শিং হংকং-এ রপ্তানি হয়েছে সেদিন থেকে নানা প্রকার দাবি-দাওয়া করছে।

.

হুগলী জেলার নবগ্রামে ‘তিন পয়সার পালা’ যাত্রাটি ভন্ডুল হয়ে যায়। কারণ দর্শকরা টিকিটের জন্য তিন পয়সার বেশি দিতে অস্বীকার করে।

.

আজ ঢাকুরিয়া লেকের পাশে একটা ‘Ready Mix’ সিমেন্টের লরি উলটে যায়, তার ফলস্বরূপ লেকে প্রচুর যুগলবন্দি স্ট্যাচু আবিষ্কৃত হয়েছে।

.

গ্রেট ইস্টার্ন হোটেলের আর্থিক অবস্থা এতই খারাপ যে ৮৭জন অতিথির সুটকেশ খুলে তোয়ালে চুরি গেছে।

.

ভারতীয় ক্রিকেট টিম দুবাইয়ে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে নিজেদের তৈরি করার জন্য টিমের সবাই একটি করে টেলিভিশন সেট কিনেছেন।

.

বামফ্রন্ট সরকারের মুখপত্র বলেন, সরকারি কর্মচারীরা খুবই দক্ষ, বিনয়ী এবং নম্র। সাত চড়ে রা কাড়েন না। বিশেষ করে আপনি কোনও প্রশ্ন করলে কখনওই তার উত্তর দেওয়ার মতো ধৃষ্টতা দেখান না।

.

আজ শনিবার সল্টলেক স্টেডিয়ামে ইস্টবেঙ্গল ও মহামেডানের সাপোর্টারদের মধ্যে অবিচ্ছিন্ন দাঙ্গা, হাঙ্গামা বাধাপ্রাপ্ত হয় ৯০ মিনিটের এই দুই দলের খেলার জন্য!

.

কলকাতা কর্পোরেশনের মেয়র ঘোষণা করেন যে, কর্পোরেশনের কর্মচারীদের এখন থেকে হাজিরা খাতায় সই করতে হবে না। তারা এখন VISITORS’ BOOK-এ সই করবেন।

.

ভারত-পাকিস্তান ক্রিকেট ম্যাচ আপাতত বন্ধ আছে। কারণ মাঠে দর্শক ঢুকে অটোগ্রাফ নিচ্ছে, এই প্রসঙ্গে আমার মনে পড়ছে ভারতবর্ষে প্রথম মাঠে ঢুকে অটোগ্রাফ কে নেয়, কমলদা?

কমলদা—আমি যতদূর জানি, পাতিয়ালা জেলার উধম সিং ১৮৫৫ সালে জেমিনি সার্কাস চলার সময় সার্কাসের রিংয়ে ঢুকে সিংহের অটোগ্রাফ নিতে যায়, ভারতবর্ষে মাঠে ঢুকে অটোগ্রাফ নেওয়ার এটাই প্রথম দৃষ্টান্ত।

.

ড: বীরেশ বসু রিটায়ার্ড বৈজ্ঞানিক, তাঁর ফার্মে তাঁর রেট্রিভার কুকুর ও কচ্ছপ-এর সংমিশ্রণে এক কচ্ছকুর-এর জন্ম দিয়েছে, এই কচ্ছকুরটি মোড়ের মাথা থেকে গত সপ্তাহের সংবাদপত্র নিয়ে আসে ড: বসুর জন্য।

.

এয়ার ইন্ডিয়া সম্প্রতি কলকাতা, লন্ডনযাত্রীদের জন্য নতুন সার্ভিস চালু করেছে, এই সার্ভিসে বম্বেতে ব্রেকফাস্ট, দুবাইতে আরেকটা মিল, রোমে লাঞ্চ এবং লাগেজ মস্কোয় পাওয়া যাবে।

.

.

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *