ঠাকুরমার গল্প-৩
জিকি জিজ্ঞেস করল, “তারপর? রাক্ষসরা তো রাজকন্যাকে সেই উঁচু মিনারে বন্দি করে রেখেছিল! তারপর কী হল?”
ঠাকুরমা বিছানায় বসে চাদরটা টেনে নিল গায়ে। তারপর বালিশে হেলান দিয়ে জিজ্ঞেস করল, “কাল অত অবধি বলেছিলাম?”
টটি বলল, “হ্যাঁ তো! ওই যে রাক্ষসরা রাজকুমারীকে উঁচু মিনারে বন্দি করে রেখেছে! তারপর?”
ঠাকুরমা হাসল। বলল, “তারপর রাক্ষসরা তো শিকার করতে দূর-দূর দেশে চলে গেল! এমন সময় একজন ঘোড়সওয়ার জঙ্গলের ভিতর থেকে বর্শার মতো ছিটকে বেরিয়ে এল!”
টুপু জিজ্ঞেস করল, “ছিটকে বেরিয়ে এল?”
ঠাকুরমা বলল, “হ্যাঁ! একদম ছিটকে! সাদা ঘোড়ায় বসে সে এসে দাঁড়াল মিনারের তলায়! তারপর ঘোড়া থেকে নেমে তরোয়ালটা বের করল কোমরের খাপ থেকে!”
জিকি গোল-গোল চোখে জিজ্ঞেস করল, “ঘোড়সওয়ারটা কে গো? কী নাম ওর? কোথায় থাকে?”
“ও কে? কোথায় থাকে? কী নাম?” ঠাকুরমা ঝুঁকে পড়ে তিনজনের দিকে তাকাল। তারপর ছমছমে গলায় বলল, “ও ডালাসিনগরের ছদ্মবেশী রাজপুত্র! ওর নাম রিয়ানকুমার!”
(দোয়েল-সাঁকো ছাড়া এই গল্পের আর সব কিছু বানানো।)