এই তীর্থ-ভূমির গোপন বেদনা-কুঞ্জে বসে ভীরু কিশোরী ডাকে তার প্রিয়তমকে–রাতের রজনিগন্ধা যেমন করে ডাকে আকাশের চাঁদকে। সবাই যখন ঘুমায়, সে তখন জাগে। সবাই যখন জাগে, তার প্রেম তখন লজ্জার অবগুণ্ঠন টেনে লুকিয়ে থাকে। নীরব আধোরাতে শোনা যায় তার কুণ্ঠিত কণ্ঠের সুর–
(গান)
চাঁদের মতো নীরবে এসো প্রিয় নিশীথ রাতে। ঘুম হয়ে পরশ দিয়ো হে প্রিয়, নয়ন-পাতে॥ তব তরে বাহির-দুয়ার মম খুলিবে না এ-জনমে প্রিয়তম, মনের দুয়ার খুলি গোপন এসে, বিজড়িত রহিয়ো স্মৃতির সাথে॥ কুসুম-সুরভি হয়ে এসো নিশি-পবনে রাতের পাপিয়া হয়ে পিয়া পিয়া ডাকিয়া বন-ভবনে। আঁখি-জল হয়ে আঁখিতে আসিয়ো, বেণুকার সুর হয়ে শ্রবণে ভাসিয়ো, বিরহ হয়ে এসো হে চির-বিরহী আমার অন্তর-বেদনাতে॥