কাজলরেখা (রচিয়তা – অজ্ঞাত)

।।১৪।।

বাপ মায়ের কথা, বংশের কথা না সুধাইয়াই, একমাত্র প্রাণ-দাতা বলিয়া রাজকুমার তাকে বিয়া করতে প্রতিজ্ঞা করল |

গান–

ঘরে আছিল ঘিরেত বাতি সদাই অগ্নি জ্বলে |
তারে ছুইয়া কুমার পরতিজ্ঞ যে করে ||
ঠিক এমন সময় ছান কইরা ভিজা কাপড়ে কাজলরেখা মন্দিরে প্রবেশ করল | ঢুইকাই দেখে যে
তার স্বামী বাঁইচ্যা উঠছে |
গান–
গ্রহণ ছাড়িলে যেমন চান্দের প্রকাশ |
কুমারে দেখিয়া কন্যা পাইল আশ্বাস ||
প্রভাতের ভানু যিনি ছুরত সুন্দর |
একে একে দেখে কন্যা সর্ব্ব কলেবর ||
কন্যারে দেখিয়া কুমার লাগে চমত্কার |
এমন নারীর রূপ না দেইখ্যাছে আর ||
পরথম যৌবনে কন্যা হীরা-মতি জ্বলে |
কন্যারে দেখিয়া কুমার কহে মিঠা বুলে ||
“কোথা হতে আইলা কন্যা কি বা নম ধর |
কিবা নাম বাপ মার কোন দেশে ঘর ||
কিসের লাগিয়া কন্যা ভ্রম বনে বনে |
স্বরূপ উত্তর দাও এই অভাজনে ||
মাও ত নিঠুরা তোমার বাপ ত নিঠুর |
ঘরের বাইর কইরা তোমায় দিল বনান্তর ||”
আগু হইয়া পরিচয় কহে কঙ্কণ দাসী |
“কঙ্কণে কিন্যাছি ধাই নাম কাঙ্কণ দাসী |”
রাণী হইল দাসী আর দাসী হইল রাণী |
কর্মদোষে কাজলরেখা জন্ম-অভাগিনী ||

সন্ন্যাসীর আদেশ মতে কাজলরেখা স্বামীর নিকট আত্ম-পরিচয় দিতে পারিল না | স্বামীর সঙ্গে
দাসী হইয়াই স্বামীর রাজ্যে চলিয়া গেল |

1 Comment
Collapse Comments

Where can I get full “Kajolrekha”?

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *