১৯৮৪ – জর্জ অরওয়েল – মূল: জর্জ অরওয়েল
অনুবাদ : মাহমুদ মেনন
প্ৰকাশক – ঐতিহ্য
প্রকাশকাল – মাঘ ১৪২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৬
প্রচ্ছদ – ধ্রুব এষ
.
অনুবাদকের উৎসর্গ
রাজিয়া বেগম
আমার মা…
যার একটাই শিক্ষা ছিল— ‘মানুষ হও’
.
কৃতজ্ঞতা
সকল কৃতজ্ঞতা বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কমকে।
মাননীয় এডিটর ইন চিফ আলমগীর হোসেনসহ
বাংলানিউজ পরিবারের প্রতিটি সদস্যই ছিলেন এই অনুপ্রেরণার উৎস…
প্রাককথন
‘নাইনটিন এইটি-ফোর’। অনেক প্রকাশনায় নামটি লেখা হয়েছে ‘১৯৮৪’। বিংশ শতাব্দীর ৪০-এর দশকে ইংরেজ লেখক সাংবাদিক জর্জ অরওয়েলের লেখা সাড়া জাগানো এক উপন্যাস। ভয়ের সমাজ বা ভয়ের রাজনীতি ফুটিয়ে তোলা হয়েছে এই উপন্যাসে। লিখেছেন ১৯৪৭-৪৮ জুড়ে। আর প্রকাশিত হয়েছে ১৯৪৯ সালে। উপন্যাসের কাহিনি এয়ারস্ট্রিপ ওয়ানকে ঘিরে। যার মূল স্থান লন্ডন সিটি। এই এয়ারস্ট্রিপ ওয়ান আবার সুপারস্টেট ওশেনিয়ার (এক সময় যা পরিচিত ছিল গ্রেট ব্রিটেন নামে) একটি প্রদেশ। এয়ারস্ট্রিপ ওয়ানে অব্যাহত যুদ্ধাবস্থা চলছে, জনগণের হেনস্ত জীবন আর সরকারের চোখপাকানো চেহারা যেন সেখানে এক চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত। ইংলিশ সোশ্যালিজম নামে এক অস্বস্তিকর রাজনৈতিক ব্যবস্থাপনা। যেখানে সরকার নিজেই এক নতুন ভাষার আবিষ্কারক। সে ভাষায় ইংলিশ স্যোশালিজমও সংক্ষিপ্ত হয়ে হয়েছে ইংসক। ইনার পার্টির সুবিধাভোগী অভিজাতদের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে থেকে এই রাজ্যে ব্যক্তিতন্ত্রের চর্চা চলে, যেখানে স্বাধীন চিন্তাবোধকে ‘চিন্তাপরাধ’ হিসেবে দেখা হয়। আর এই চিন্তাপরাধও নতুন ভাষারূপের একটি বহুল চর্চিত শব্দ। এসবই চিত্রায়িত এই উপন্যাসে।
দেখানো হয়েছে, পার্টির মাথায় বসে আছেন যিনি, তিনি বিগ ব্রাদার। অগাধ ভক্তি আর শ্রদ্ধার স্থানে যার অবস্থান, কিন্তু বাস্তবে এমন কোনো বিগ ব্রাদারের অস্তিত্ব আছে কি নেই- তা কারো জানাও নেই, আর তা নিয়ে জিজ্ঞাসাও নেই। এখানে পার্টির ক্ষমতার লালসা কেবলই তার নিজের স্বার্থে। অন্যের ভালোমন্দে পার্টির কিছুই যায় আসে না। ক্ষমতা নিয়ে কথা, তাই সব ক্ষমতাই চাই তার, এই হলো পার্টির দর্শন। ক্ষমতার জন্য অতীতকে মুছে দেয় পার্টি। এয়ারস্ট্রিপ ওয়ানে অতীত বলে কিছু নেই। এখানে বর্তমানই সব। এখন যা, অতীতেও তাই ছিল, অনাগত ভবিষ্যতেও তাই থাকবে।
উপন্যাসের মূল চরিত্রটির নাম উইনস্টন স্মিথ। আউটার পার্টির একজন সদস্য, যে আবার সরকারেরই দায়িত্বশীল কর্মী। ওই যে অতীত মুছে দেওয়ার কাজ, তা খুব সিদ্ধহস্তে করে সে। যে মন্ত্রণালয়ে সে কাজ করে তার নামটি ‘সত্য মন্ত্রণালয়’। কিন্তু অতীতের সকল সত্যকে মিথ্যায়নে সিদ্ধ করাই এর কাজ। পত্র পত্রিকায় যা কিছু আগে প্রকাশিত হয়েছে তা পার্টির বর্তমান অবস্থানের সঙ্গে যদি না মেলে, তাকে আমূল পাল্টে দিতে হবে। এই কাজটিই উইনস্টন স্মিথ করে চলেছে বেশ সুনামের সঙ্গে। করলে কী হবে ভেতরে ভেতরে সে এক বিদ্রোহী। বিগ ব্রাদারের বিরুদ্ধে তার মনে ঘৃণাবোধ ছাড়া কিছুই নেই। তার ধারণা সমাজের সাধারণ শ্রেণি, যারা প্রলেতারিয়েত, যাদের ‘প্রোল’ বলে ডাকা হয়, আর ঘৃণিত নীচু সমাজ হিসেবে দেখা হয়, তারা একদিন জেগে উঠবে আর তারাই ভাঙবে সকল ক্ষমতার বলয়। কিন্তু সে এও ভাবে প্রোলরা আসলে কিছুই করতে পারবে না। কারণ তাদের চিন্তার সব শক্তিই উবে গেছে। এসব ভাবনার কারণেই উইনস্টন চিন্তাপরাধী। আর এই চিন্তাপরাধের জন্য তার জীবনে কী পরিণতি নেমে আসে সেটাই এই উপন্যাসের উপজীব্য।
উপন্যাসটি নিয়ে আরও কিছু কথা পাঠককে জানিয়ে রাখা যায়। আধেয়, বিষয় আর ভঙ্গিমায় নাইনটিন এইটি-ফোর একটি ‘ধ্রুপদী সাহিত্যকর্ম’ হিসেবেই তকমা পেয়েছে। ১৯৪৯ সালে এই উপন্যাসটি প্রকাশিত হওয়ার পর এতে ব্যবহৃত বিগ ব্রাদার, ডাবলথিঙ্ক (দ্বৈতচিন্তা), থটক্রাইম (চিন্তাপরাধ), নিউস্পিক, রুম নং ১০১, টেলিস্ক্রিন, ২+২=৫, মেমোরি হোল (স্মৃতি গহ্বর)-এর মতো শব্দগুলো মানুষের মুখে মুখে ফিরতে শুরু করে।
অরওয়েলিয়ান বলা হলেই মানুষ বুঝে নিত নাইনটিন এইটি-ফোর’ নিয়ে কথা বলা হচ্ছে। কর্তৃত্ববাদ, সমগ্রবাদ, ইতিহাসের বিকৃতি বা নিয়ন্ত্রণের মতো তত্ত্বগুলোও পেয়ে যায় ‘অরওয়েলিয়ান’ তকমা।
২০০৫ সালে টাইমস ম্যাগাজিন ১৯২৩ থেকে ওই সাল অবধি যত উপন্যাস রচিত হয়েছে তার মধ্যে সেরা ১০০টির নাম তুলে এনে একটি তালিকা প্রকাশ করে। যার অন্যতম ছিল এই নাইনটিন এইটি-ফোর। মডার্ন লাইব্রেরির সেরা ১০০ উপন্যাসের তালিকায়ও প্রথমদিকে রয়েছে এর নাম। আর এডিটরস লিস্টে ‘১৯৮৪’র অবস্থান ১৩তম আর রিডার্স লিস্টে এটি ৬ষ্ঠ। ২০০৩ সালে বিবিসি একটি জরিপ চালায় সবচেয়ে পঠিত বইয়ের ওপর। সে তালিকায় জর্জ অরওয়েলের ‘১৯৮৪’ ছিল ৮ম অবস্থানে।
এই উপন্যাসের মূল থিম জর্জ অরওয়েলের মাথায় ঢোকে ১৯৪৪ সালে। সেবার তেহরান কনফারেন্সে বিশ্বকে অঞ্চলভিত্তিক প্রভাব বলয়ে ভাগ করে নেওয়ার কথা ওঠে। আর তারও তিন বছর পর ১৯৪৭ সালে স্কটিশ দ্বীপ জুরায় বসে উপন্যাসটির অনেকটাই লিখে ফেলেন তিনি। তখন যক্ষ্মায় ভুগছিলেন অরওয়েল। তা সত্ত্বেও ১৯৪৭ ও ১৯৪৮ জুড়ে কাজ করে লেখাটি শেষ করেন। ১৯৪৮ সালের ৪ ডিসেম্বর প্রকাশক সেকার অ্যান্ড ওয়ারবার্গকে চূড়ান্ত পাণ্ডুলিপি পাঠিয়ে দেন। আর ১৯৪৯ সালের ৮ জুন প্রকাশিত হয় ‘১৯৮৪’। ১৯৮৯ সালের মধ্যে ৬৫টি ভাষায় এই উপন্যাস অনূদিত হয়। সে সময় অবধি ইংরেজি কোনো উপন্যাসই এত ভাষায় অনুদিত হয়নি।
বইটির নামকরণ নিয়েও রয়েছে নানা গল্প-কথা। গোড়ার দিকে বইটির নাম দিয়েছিলেন ‘দ্য লাস্ট ম্যান ইন ইয়োরোপ’ কিন্তু ১৯৪৮ সালের ২২ অক্টোবর অরওয়েল তার প্রকাশক ফ্রেডরিক ওয়ারবার্গকে লিখলেন, তিনি আসলে ‘দ্য লাস্ট ম্যান ইন ইউরোপ’ আর ‘নাইনটিন এইটি-ফোর’ এই দুটি নামের মধ্যে দুনোমনায় রয়েছেন। ওয়ারবার্গ তখন বাণিজ্যিক দৃষ্টিকোণ বিবেচনায় রেখে বইটির নাম নাইনটিন এইটি-ফোর দেওয়ারই পরামর্শ দেন।
১৯৭৮ সালে লেখক এন্থনি বুর্গেস তার ‘১৯৮৫’ নামের উপন্যাসে লিখেছেন, জর্জ অরওয়েল আসলে ঠান্ডা যুদ্ধের (১৯৪৫-৯১) শুরুর দিকটাতে ভীষণ হতাশাবাদিতা থেকে এই উপন্যাসটি লেখেন। আর এর নামটিও দিতে চেয়েছিলেন ‘১৯৪৮’।
পেঙ্গুইন বুকস পরে যখন ‘নাইনটিন এইটি-ফোর’ এর আধুনিক ধ্রুপদী সংস্করণ প্রকাশ করে তখন এর প্রাককথনে লেখা হয়- অরওয়েল প্রথমে বইটির নাম ঠিক করেছিলেন ‘১৯৮০’, পরে তা ‘১৯৮২’ করেন আর তারও পরে এর নাম ‘১৯৮৪’ বলে সাব্যস্ত করেন। সেটা ছিল ১৯৪৮ সাল তার শেষের দুই সংখ্যা ‘৪৮’ কে স্রেফ উল্টে ‘৮৪’ করা হয়েছিল তেমন একটি কথাও প্রচলিত রয়েছে।
প্রকাশনার পরবর্তী ইতিহাস যে খুবই মসৃণ ছিল তা নয়। নাইনটিন এইটি-ফোর বারবার নিষিদ্ধ হয়েছে, নয়তো আইনি জটিলতায় পড়েছে। কিন্তু এর জনপ্রিয়তায় ঘাটতি দেখা দেয়নি কোনো কালেই। শনৈঃ শনৈঃ বেড়েছে এর পাঠকপ্রিয়তা।
‘১৯৮৪’র এরই মধ্যে কানাডা, দক্ষিণ আফ্রিকা, আর্জেন্টিনা, অস্টেলিয়া ও ওমানে পাবলিক ডমেইন’র তালিকাভুক্ত হয়েছে। এসব দেশে উপন্যাসটির ক্ষেত্রে ‘বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদ অধিকার’ আর প্রযোজ্য নেই। ব্রাজিলে ২০২১ সালে আর যুক্তরাষ্ট্রে ২০৪৪ সালে বইটি পারলিক ডমেইনের স্বীকৃতি পাবে।
সাহিত্যবেত্তারা মনে করেন রুশ ঔপন্যাসিক ইয়েভগেনি ইভানোভিচ জামিয়াতিনের ১৯২১ সালে প্রকাশিত ‘উই’ উপন্যাসটির দারুণ প্রভাব রয়েছে জর্জ অরওয়েলের ১৯৮৪-এ।
সোভিয়েত ইউনিয়নের জীবনযাত্রা আর যুদ্ধাবস্থায় গ্রেট ব্রিটেনের জীবনমান ফুটিয়ে তুলেছেন জর্জ অরওয়েল। আরও উঠে এসেছে সেসময়ের রাজনৈতিক ভাবাদর্শ।
১৯৫০ এর দশকের গোড়ার দিকে আমেরিকান প্রযোজক সিডনি শেলডন অরওয়েলকে একটি চিঠিতে লিখেছিলেন, তিনি উপন্যাসটি ব্রডওয়ের মঞ্চে মঞ্চস্থ করতে চান। সেবার শেলডনের কাছে এটি মঞ্চায়নের অধিকার বিক্রি করেন অরওয়েল, এই ব্যাখায় যে, তার মূল লক্ষ্য হচ্ছে ব্রিটিশ সমাজ জোসেফ স্তালিনের শাসনে কেমন চলছে তা সবাইকে জানিয়ে দাও। এই উপন্যাসে মূলত সমাজতন্ত্রের কথা বলা হয়েছে কারণ সেটাই তো সমগ্রবাদিতার নিয়ামক ধারা।
উপন্যাসে ‘দুই আর দুইয়ে পাঁচ হয়’ এমন একটি কথা বলিয়ে নিতে নায়কের ওপর পার্টির যে নির্যাতন চলে তা পাঠক পড়বেন। তবে এই ‘২+২=৫’ ছিল মূলতঃ কমিউনিস্ট পার্টির দ্বিতীয় পঞ্চ-বার্ষিক পরিকল্পনার একটি স্লোগান। এর মূল কথাটি ছিল- পাঁচ বছরের পরিকল্পনার সব কাজ চার বছরেই শেষ করতে হবে। সেই দিনগুলোতে এই স্লোগান মস্কোর বাড়ি-বাড়ির সামনে, বিলবোর্ডে, এখানে সেখানে ঝুলে থাকত।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ (১৯৩৯-১৯৪৫) যখন চলছে তখন জর্জ অরওয়েলের ভেতরে একটি ভাবনা কাজ করতে থাকে- যুদ্ধপূর্ব যে গণতন্ত্র ব্রিটেনে ছিল তা টিকে থাকবে তো? নাকি উপর থেকে ফ্যাসিবাদী আগ্রাসনে কিংবা নিচে থেকে সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবের মধ্য দিয়ে তার পরিসমাপ্তি ঘটবে? বিষয়টি কিন্তু পরে তিনি স্বীকার করেও নিয়েছিলেন। আর বলেছিলেন তার ভাবনা ভুল প্রমাণিত হয়েছে।
তবে মূল ভাবনার দিক থেকে জর্জ অরওয়েলের নাইনটিন এইটি-ফোর (১৯৪৯) আর এনিম্যাল ফার্ম (১৯৪৫) দুটোই কিন্তু প্রতারিত বিপ্লবের কথা বলে। এখানে ব্যক্তির স্বাতন্ত্র্য সমগ্রবাদিতার কাছে হেয় হয়ে যায়, শ্রেণিভেদের চরম প্রয়োগ ঘটে।
১৯৪৬ সালে অরওয়েল ‘আমি কেন লিখি’ শিরোনামের এক নিবন্ধে লিখেছিলেন, স্প্যানিশ গৃহযুদ্ধের (১৯৩৬-৩৯) পর যা কিছু গুরুত্বপূর্ণ লেখা তিনি লিখেছেন তার সব ক’টিই প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে ছিল সমগ্রবাদিতার বিপক্ষে তার গণতান্ত্রিক সমাজবাদিতার পক্ষে।
নাইনটিন এইটি-ফোর সমগ্রবাদিদের হাতে বিপ্লব প্রতারিত হওয়ার একটি সতর্কবার্তাই বলা চলে যার ইঙ্গিত জর্জ অরওয়েল তার হোমেজ টু কাতালোনিয়া (১৯৩৮) ও এনিম্যাল ফার্ম (১৯৪৫)-এও দিয়েছিলেন। কামিং আপ ফর এয়ার (১৯৩৯)-এ উঠে এসেছে ব্যক্তি ও রাজনৈতিক স্বাধীনতার কথা যা আবার পুরোই হারিয়ে গেছে নাইনটিন এইটি-ফোর (১৯৪৯)-এ।
জীবনীকার মাইকেল শেলডেন লিখেছেন, অরওয়েলের টেমসের তীরে এডওয়ার্ডিয়ান (রাজা ৬ষ্ঠ এডওয়ার্ডের সময়) শৈশবের সোনালি সময়টি ধ্বংস হতে শুরু করে সেন্ট ক্যাপ্রিয়ান’স স্কুল জীবন থেকেই। তখনই তাকে দেখতে হয় অনেক বৈষম্য। পরে বার্মায় ভারতীয় রাজকীয় পুলিশ বাহিনীর হয়ে কাজ করার সময় দেখা সহিংসতা আর বিবিসিতে কাজ করার সময় কর্তৃপক্ষের খেয়ালখুশির সেন্সরশিপ তার মনকে বিষিয়ে তোলে।
এছাড়াও এমন একটি উপন্যাস রচনায় প্রভাব হিসেবে কাজ করে আর্থার কোস্টলারের ‘ডার্কনেস অ্যাট নুন’ (১৯৪০) ও দ্য ইয়োগি অ্যান্ড দ্য কোমিসার’ (১৯৪৫), জ্যাক লন্ডনের ‘দ্য আয়রন হিল’ (১৯০৮), জন এ হবসনের ‘১৯২০: ডিপস ইনটু দ্য নিয়ার ফিউচার’ (১৯২১), অলডাস হাক্সলির ‘দ্য ব্রেভ নিউ ওয়ার্ল্ড’ (১৯৩২), ইয়েভগেনি জামিয়াতিনের ‘উই’ (১৯২১) আর জেমস বার্নহামের ‘দ্য ম্যানেজেরিয়াল রেভ্যুলুশন’ (১৯৪০) এর মতো উপন্যাসগুলো।
আর একবার তো অরওয়েল নিজেই বলেছিলেন, কোনোদিন সম্ভব হলে এইচ জি ওয়েলস’র ‘অ্যা মডার্ন ইউটোপিয়া’র (১৯০৫) এর মতো একটি উপন্যাস তিনিও লিখতে চান। নিঃসন্দেহে ‘নাইনটিন এইটি-ফোর’ তেমনই একটি উপন্যাস। আসুন পড়ে নেই:
nice
Xoss