মৃত রাজা জাগো – সৈকত মুখোপাধ্যায়
প্রথম প্রকাশ – এপ্রিল ২০১৭, পয়লা বৈশাখ ১৪২৪
দেব সাহিত্য কুটীর
.
উৎসর্গ
আমার আদরের দুই ভাই, মিঠু আর বুবাইকে।
.
ভূমিকা
লেখার চেয়েও পুরোনো নেশা আমার বনে-জঙ্গলে ঘোরা। সেইসব ঘোরাঘুরির মধ্যেই দেখেছি বনের সৌন্দর্য আর বনের ভয়াবহতা। আর অবাক চোখে দেখেছি বনবাসী মানুষদের কঠিন কিন্তু সরল জীবনযাত্রা।
রহস্যময় পরিবেশের মধ্যে বাস করে বলেই বোধহয় সেই বনচর মানুষেরা নানান রহস্যময় গল্প বানায়, গল্প বলে।
অরণ্যে রাত্রি নেমে আসার পর যখন দূর থেকে ভেসে আসে হাতির চিৎকার, কুটির ঘিরে ছড়িয়ে থাকা শুকনো পাতার ওপরে কারা যেন পা টিপে টিপে হেঁটে যায়, যখন দূরের পাহাড়ে আগুনের মালার মতন ছড়িয়ে পড়ে দাবানল আর কাছের ঝোপঝাড়ে জ্বলতে শুরু করে মুঠো মুঠো জোনাকি, তখন গাঁওবুড়োর উঠোনের আগুনের কুণ্ড ঘিরে বসে নানান অপদেবতা, অলীক জন্তু আর কবেকার হারিয়ে যাওয়া রাজ্যপাটের গল্প শুনতে শুনতে একবারও মনে হয় না সেগুলো মিথ্যে। বরং মনে হয়, আমাদের চেনাজানা শহুরে দুনিয়ার পাশেই ওইসব অপদেবতা আর অলীক জীবদের নিয়ে গড়া একটা জগত তো থাকতেই পারে, যে জগতের দুটো-একটা ঝলক দেখা যায় শুধু জঙ্গলের গাছপালার আলো-আঁধারির মধ্যে দিয়ে।
জঙ্গল থেকে যখন শহরে ফিরে আসি তখনও আমার মাথার মধ্যে থেকে সেই কাঁপা কাঁপা আগুনের আলোয় বসে শোনা গল্পগুলোর রেশ কাটে না। আমি তখন নিজেই বানাতে শুরু করি জঙ্গলের রহস্যের গল্প। সে গল্পে গাছপালারা থাকে, পশুপাখিরা থাকে, বনবাসী মানুষরাও তাদের সব কষ্ট আর আনন্দ নিয়ে থাকে। কিন্তু সব থেকে বেশি থাকে না-দেখা জগতের বাসিন্দারা।
এই গল্পগুলো পড়ার পরে যদি আমার কিশোর বন্ধুরা কিছুক্ষণের জন্যেও মনে মনে সেই দূর বনের পথে হারিয়ে যায় তাহলে বুঝব আমার পাগলামি সার্থক।
সৈকত মুখোপাধ্যায়
সৈকত মুখোপাধ্যায়ের লেখা গল্পগুলি খুবই ভালো, এবং পড়ে খুব ভালো লেগেছে, আমি চাইবো সৈকত মুখোপাধ্যায়ের আরো নতুন গল্প এখানে যেন সংযোজন হয়। আরেকটা অনুরোধ আমি করব, অর্পিতা সরকারের কিছু নতুন বই যেন এখানে সংযোজন করা হয়। এটা আমার একান্ত অনুরোধ।
অর্পিতা সরকারের নতুন কিছু গল্প দিন।