বরফকুচি খামে দূর পাহাড়ের ডাক – ওয়াসিকা নুযহাত
প্রকাশক – সৈয়দ রবিউজ্জামান
বইবাজার প্রকাশনী
প্রথম প্রকাশ: ফেব্রুয়ারি- ২০২৪
প্রচ্ছদ – মাহামুদুল হাসান আসিফ
উৎসর্গ
আফসানা কাওসার
আমার বড়বোন, আমার আপু, আমার বেস্ট ফ্রেন্ড!
আমার পরম নির্ভরতার নাম।
শৈশব থেকে আজ অবধি জীবনের প্রতিটি ধাপে
যাকে পাশে পেয়েছি।
ভূমিকা
কলোরাডোতে আমাদের প্রথম দিনটির কথা খুব মনে পড়ে। ডেনভার এয়ারপোর্টের বাইরে পা রাখা মাত্র আবিষ্কার করলাম তুলোর বৃষ্টি ঝরছে। তখন সন্ধ্যে। মুহূর্তের মধ্যে পুরো পৃথিবী সাদা মশারির জালে আচ্ছাদিত হয়ে গেল। ভার্জিনিয়া থেকে কলোরাডো সাড়ে চার ঘণ্টার ফ্লাইট। আমরা ক্লান্ত শ্রান্ত অবস্থায় সম্পূর্ণ নতুন এক শহরের রাস্তায় নামলাম। প্রবল তুষার ঝড়ের মধ্যে। রাস্তাঘাট পিচ্ছিল। চারিদিক ঝাপসা। কিচ্ছু দেখা যায় না। যত দূর চোখ যায় শুধু সাদা বরফের তাণ্ডব। গাড়ি চালাতে গিয়ে আমার বর হিমশিম খাচ্ছিল। এই নিদারুণ শীতের দেশে কীভাবে টিকে থাকব সেই দুশ্চিন্তায় আমার মগজ জমে যাচ্ছে। অবশেষে দুর্যোগ ঠেলে গন্তব্যে পৌঁছুলাম। এরপর কেটে গেল দুটি বছর। রকি মাউন্টেন প্রাচীরের মতো ঘিরে ছিল আমাদের শহরটাকে। ঘরের জানালায় চোখ রাখলে অহোরাত্র চোখে পড়ত আকাশ ছোঁয়া অলৌকিক সুন্দর গিরিশৃঙ্গ। পাহাড় আমার এত আপন হয়ে গেলো, এত কাছের হয়ে গেলো, তবুও পাহাড়ের অপার রহস্য যেন ভেদ হলো না। এই রহস্য ভেদ হবার নয়। অভেদ্য সম্মোহনে বুঁদ হয়ে পাহাড় এবং পাহাড়ের বুকে জেগে থাকা সেই শহরের কিছু কাল্পনিক চরিত্র নিয়ে লেখা শুরু করলাম। এই লেখার মাধ্যমে নাতিশীতোষ্ণ বাংলাদেশের পাঠকদের মনে বরফকুচির একটুখানি ডাক পৌঁছে গেলেই আমার লেখা সার্থক। পাঠকদের প্রতি রইল অশেষ আন্তরিক কৃতজ্ঞতা।
এই লেখিকার হৃদয়ের দখিন দুয়ারটাও দিবেন প্লিজ?
ইমতিয়ার শামীমের বই এড করুন প্লিইইজ।
শারমিন আঞ্জুমের বই এড করেন প্লিজ
তৃধা আনিকার বই গুলো এড করুন প্লিজ।
খাদিজা মিম আপুর বাকি বই গুলো এড করুন প্লিজ