অন্ধকার যখন নামল – হিমাদ্রিকিশোর দাশগুপ্ত
প্রথম প্রকাশ – সেপ্টেম্বর ২০২০
প্রচ্ছদ ও অলংকরণ – সৌজন্য
.
উৎসর্গ
কৃতজ্ঞতা ও ভালোবাসায়,
এই সময়ের জনপ্রিয় লেখিকা
দীপান্বিতা রায়-কে
.
ভূমিকা
অন্ধকার, এ শব্দর সাথে ভয়-আতঙ্ক-রোমাঞ্চ শব্দগুলো মিলেমিশে থাকে। তাইতো নিজের অতি পরিচিত ঘরের কোণেও হঠাৎ কখনও যদি অন্ধকার জমা হয় তখন সেদিকে তাকালে অনেক সময় শিহরন জাগে। আর যদি কোনও অপরিচিত জায়গাতে অন্ধকার নেমে আসে তবে তো কথাই নেই, মনে হয় ওই অন্ধকারের আড়ালে ওত পেতে বসে নেইতো কোনও অজানা আতঙ্ক! ওই যাদের শরীর থাকলেও যারা অশরীরি। যারা বাস করে নিকষ কালো জমাট বাঁধা অন্ধকারের মধ্যে। আলো মুছে গেলে শোনা যায় যাদের পদচারণায় অপার্থিব শব্দ অথবা ডানা ঝাপটানোর আওয়াজ। শুধু মানুষের নয়, পরিচিত, অপরিচিত নানা প্রাণীর রূপ নিয়েও কাছে আসে তারা, কখনও বা জিঘাংসার বসে অথবা চরিতার্থ করতে আদিম প্রতিহিংসা। তেমনই অশরীরিদের হাড় হিম করা ৬টি গল্প ও একটি উপন্যাস নিয়ে এই রোমাঞ্চকর ভৌতিক সংকলন, যাকে চলতি কথায় কেউ কেউ ইংরাজিতে বলেন—হরর থ্রিলার।
পাঠক-পাঠিকারা ইতিপূর্বে যে সব ভৌতিক-রোমাঞ্চ গল্প সংকলন পাঠ করেছেন সেই সব বই অপেক্ষা এই হরর থ্রিলার বইটি একটি বিশেষ কারণে অনন্য। কারণ, এই ভৌতিক কাহিনীগুলিতে অন্ধকারে বিদেহী মানুষদের সঙ্গী নানা প্রাণীরাও। অথবা সে রূপ ধরেই তারা আবির্ভূত হয়। কখনও তাদের রক্তজল করা চিৎকারে ভেঙে খান খান হয়ে যায় রাত্রির নিস্তব্ধতা। আবার কখনও বা তাদের ডানার চাদরে ঢেকে যায় চাঁদ, শেষ আলোটুকুও মুছে গিয়ে পৃথিবীর বুকে নেমে আসে অসহ্য আতঙ্কময় অন্ধকার। যে অন্ধকারে ঝিলিক দিয়ে ওঠে শ্বাপদের দাঁত-নখ। দিনের আলোতে অতি ভীরু শিয়ালও যেন তখন বিভীষিকার রূপ নেয়। হ্যাঁ এই বইয়ের শিহরন জাগানো কাহিনীগুলি তাদের নিয়েই, যারা এ পৃথিবীতেই আছে আবার নেইও বটে। অন্ধকারে শুধু যাদের দেখা মেলে!
ব্যতিক্রমী এই ভৌতিক রোমাঞ্চের, রক্তজল করা কাহিনী সংকলন তুলে দিলাম পাঠক-পাঠিকাদের হাতে।
বিধিসম্মত সতর্কীকরণও করে রাখি, দুর্বল চিত্তের পাঠক-পাঠিকারা অন্ধকার নামলে এই বই পড়বেন না। দুর্ঘটনা ঘটলে লেখক বা প্রকাশক দায়ী নন। কারণ বইয়ের পাতা থেকে আপনার সামনে তারা আবির্ভূত হতে পারে—অন্ধকার যখন নামল।
হিমাদ্রিকিশোর দাশগুপ্ত
Leave a Reply