সতীশচন্দ্ৰ দে (৯-১২-১৮৯২ — ১৩-৭-১৯৭১) কলিকাতা। চন্দ্রনাথ। বাল্যশিক্ষা খেলাতচন্দ্ৰ ইনস্টিটিউশনে। ১২ বছর বয়সে আত্মোন্নতি সমিতির সদস্য হন। ১৯১০ খ্রী. বৃত্তিসহ প্ৰবেশিকা ও প্রেসিডেন্সী কলেজ থেকে ষষ্ঠ স্থান অধিকার করে আই. এ. পাশ করেন। ১৯১৫ খ্রী. এম. এস-সি পাঠরত অবস্থায় আচাৰ্য প্ৰফুল্লচন্দ্র রায়ের গবেষণা কার্যে সাহায্য করতেন। এ সময়ে বোমা তৈরি করতে গিয়ে বিস্ফোরণের ফলে আহত হয়ে সাময়িকভাবে অন্ধ হয়ে যান। কলিকাতা প্রেসিডেন্সী কলেজে নেতাজী সুভাষচন্দ্রের সঙ্গে অধ্যাপক ওটেনকে প্ৰহারের ব্যাপারে জড়িত থাকায় কলেজ থেকে বহিষ্কৃত হন। গুপ্ত বিপ্লবী সংস্থা ‘আত্মোন্নতি সমিতি’র সদস্যরূপে রডা পিস্তল মামলার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। বৈপ্লবিক কার্যকলাপের জন্য দীর্ঘকাল কারাদণ্ড ভোগ করেন। বেঙ্গল ইলেকট্রিক ল্যাম্প ওয়ার্কস, বেঙ্গল বেপ্টিং ওয়ার্কস এবং সূর্য ইঞ্জিনিয়ারিং লিঃ-এর ম্যানেজিং ডাইরেক্টর, ইলেকট্রিক্যাল কনট্রাক্টর্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রথম ভারতীয় প্রেসিডেন্ট ও বেঙ্গল ন্যাশনাল ইন্ডাস্ট্রিজ প্রভৃতির সদস্য ছিলেন। রচিত গ্ৰন্থ: ‘নিঃসঙ্গ’ (আত্মজীবনী), ‘পার্বতী।
Leave a Reply