গোবিন্দচন্দ্র রায় (১৮৩৮ – ১৯১৭)। মীরপুর-বরিশাল। ঢাকার দেওয়ান গৌরসুন্দর। সংস্কৃত ও ফারসী ভাষায় বুৎপত্তি অর্জন করেন। বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর প্রভাবে ব্ৰাহ্মধর্ম গ্রহণ করেন, ফলে পিতৃগৃহ থেকে বিতাড়িত হন। কিছুদিন শিক্ষকতার পর সেটেলমেন্ট অফিসে কেরানীর চাকরি পান। এই সময়ে ‘ঢাকা প্ৰকাশ’ পত্রিকায় সরকারী বিভাগের কর্মচারীদের দুর্নীতি প্রকাশের জন্য প্রাণরক্ষার তাগিদে কাশীতে চলে যান (১৮৬৮)। সেখানে প্ৰসিদ্ধ হোমিওপ্যাথ ত্ৰৈলোক্যনাথ মৈত্রের আশ্রয়ে হোমিওপ্যাথি শিক্ষা করে আগ্ৰায় চিকিৎসা ব্যবসায়ে লিপ্ত হন ও প্রভূত ধনোপার্জন করেন। দেশাত্মবোধক সঙ্গীত-রচনায় যশস্বী হয়েছিলেন। তাঁর রচিত বিখ্যাত ‘ভারত বিলাপে’র প্রথম পঙক্তি ‘কত কাল পরে বল ভারত রে’ লোকের মুখে মুখে ছিল। এই সময়কার জাতীয় চেতনা ও উদ্দীপনার ভাবকে তিনি ভাষা ও সুরে বেঁধে ছিলেন। ‘যমুনালহরী’, ‘গীতি-কবিতা’ (৪ খণ্ড), ‘রোমিও জুলিয়েট’ ইত্যাদি গ্ৰন্থ ছাড়া কয়েকটি পাঠ্যপুস্তকও রচনা করেন।
Leave a Reply