দক্ষিণারঞ্জন মিত্ৰমজুমদার (১৮৭৭ – ১৯৫৭) উলাইল–ঢাকা। রমদারঞ্জন ৷ রূপকথার লেখক। বিদ্যালয়ের অধ্যয়ন-শেষে পিতার সঙ্গে ২১ বছর বয়সে মুর্শিদাবাদে গিয়ে সেখানে ৫ বছর বাস করেন। এই সময় থেকেই ‘সাহিত্য-পরিষৎ পত্রিকা’, ‘প্ৰদীপ’ প্রভৃতি পত্রিকাতে প্ৰবন্ধাবলী প্ৰকাশ করতে থাকেন এবং নিজেও ‘সুধা’ নামে একটি পত্রিকা প্রকাশ করেন। এরপর পিতৃষ্বসার জমিদারী তত্ত্বাবধানের ভারপ্রাপ্ত হয়ে ময়মনসিংহে আসেন। সেই সময় থেকে দশ বছর ধরে বাঙলার লুপ্তপ্রায় ‘কথাসাহিত্যে’র সংগ্রহ ও গবেষণা করেন। পরে এই সংগৃহীত উপদানসমূহ ড. দীনেশচন্দ্ৰ সেনের উপদেশানুযায়ী রূপকথা, গীতিকথা, রসকথা ও ব্ৰতকথা—এই চারভাগে বিভক্ত করে পূর্ববঙ্গের পল্লী-অঞ্চলের লুপ্তপ্রায় বিপুল কথাসাহিত্যকে ‘ঠাকুরমার ঝুলি’, ‘ঠাকুরদাদার ঝুলি’, ‘দাদামশায়ের থলে’, ‘ঠানদিদির থলে’ প্রভৃতি গল্পগ্রন্থে স্থায়ী রূপদান করেছেন। রচিত অন্যান্য শিশুসাহিত্য : ‘খোকাবাবুর খেলা’, ‘আমাল বই’, ‘চারু ও হারু’, ‘ফাস্ট বয়’, ‘লাস্ট বায়’, ‘উৎপল ও রবি’, ‘কিশোরদের মন’, ‘বাংলার সোনার ছেলে’, ‘পৃথিবীর রূপকথা’ (অনুবাদ-গ্ৰন্থ), ‘চিরদিনের রূপকথা’, ‘সবুজলেখা’, ‘আমার দেশ’, ‘আশীর্বাদ ও আশীর্বাণী’ প্রভৃতি। বঙ্গীয় বিজ্ঞান পরিষদের সহ-সভাপতি ও উক্ত পরিষদের মুখপত্ৰ ‘পথ’-এর সম্পাদক ছিলেন এবং পরিষদের বৈজ্ঞানিক পরিভাষা-সমিতির সভাপতিরূপে বাংলায় বিজ্ঞানের বহু পরিভাষা রচনা করেন।
Leave a Reply