নখরে জ্বালিয়ে রাখি লক্ষ্যের দীপ্র ধনুক
যেন এক শব্দের নিষাদ এই নির্মল নিসর্গে বসে কাঁদি, তবু
সেই নির্মম শব্দাবলী ছিঁড়ে আনতে পারি না বলে
সুতীক্ষ্ণ অনুযোগ হতে অব্যাহতি দিন; এই
শোকের শহরে আমি যার কাছে চাই ফুল, কিছু মনোরম
শোভা, যেসবের বিসতৃত বর্ণনা আমি আপনাকে লিখতে পারি, সে
আমার হাতে শুধু তুলে দেয় দুঃখের বিভিন্ন টিকিট।
আমি চাই প্রত্যহ আপনাকে লিখতে চিঠি, আমি চাই প্রতিদিন
লিখতে এই রক্তের গভীর ইচ্ছে, মর্তান্তিক অনুভবগুলি
আমার সবুজ সুখ, কোমল আনন্দ, নির্জন কান্নার স্বর
একাকী হাঁটতে পথে যেসব দুঃখ দিয়ে ভরে নিই যমজ পকেট
ঢাকার এইসব রঙিন দোকান হতে কিনতে পারিনে আমি
একেকটি সুখের সংসার, কাঠের ঘোড়া, সোনালি
চাবুক, তাই কাঁদি শৈশবের শ্যামল নদীর উপাখ্যান
ভেবে, যে স্বরে কাঁদি আমি সঙ্গিহীন মধ্যরাতে সরকারী গোরস্থানে কিংবা
আমার গোপন ঘরে ফিরে এসে জ্বালাই
দিব্যমোম, শোকের গর্তে শুয়ে কাঁদি, কিংবা যখন
পার্কের বেঞ্চে বসে ফেরেববাজ আড্ডা দিই, ফালতু ফক্কর
মিলে অনেকক্ষণ অযথা হাসি, টিটকিরি দিই, অনগৃল বিদ্রূপের
থুথু ছুঁড়ে উল্লসিত হই, তবু কিছুতেই
পারিনে আমি এইসব সুখদুঃখে আপনাকে লিখতে
চিঠি ; শুনুন জনক, আমি চিরদিন শব্দের কাঙাল।
আজীবন তাই আপনাকে লিখি শুধু একই চিঠি, ভালো
আছি, ইত্যাকার
কুশল সংবাদ অথচ প্রতিদিন ভুগি শিরপীড়া,
বুকে কাশি, অবিরাম জ্বর- আমার রুক্ষ চুলে বিলি কাটে
দুঃস্বপ্নের হাত, এসব খবর কি দৈনন্দিন
লেখা যায়! কী করে লিখবো বলুন, ঘরে একা
দুঃসংবাদে কাঁদবে জননী। আজীবন লিখেছি তাই
একই চিঠি, সেই মিথ্যে মর্মহীন একই চিঠি!
হে জনক, সেই নির্র্মম শব্দ নেই এখানে, যা দিয়ে
বাজাতে পারি কান্নার করুণ কণ্ঠ, নক্ষত্রবীথির সুদূর
নীলিমা হতে আমি
তুলে আনতে পারিনে অমল শব্দের বিভা, অন-রঙ্গ ধ্বনি
আত্মার নিঃসঙ্গ স্বর তাই আমি বোঝাতে পারিনে,
হে জনক, পূজনীয় জনক আমার, ইচ্ছের একটি চিঠি
আজো আমি লিখতে পারিনি।
Evergreen Bangla Library
শুরু হয়েছে মহাদেব সাহার কবিতা আপডেট করার পালা। একে একে তুলে দেয়া হবে মহাদেব সাহার শ্রেষ্ঠ কবিতার সবগুলো। দরকার সবার সহযোগিতা। সাথে আছেন তো?
kona jahan
plz Mohadev saha’r onek kobita chai
hmonsur
এত দিন জানতাম যে, সুরা ফাতিহার প্রথম আয়াত ”আলহমদু লিল্লাহির রাহমানির রাহিম”। ”বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম”-সূরা নামলের ৩০ নম্বর আয়াত কিন্তু সকল কাজের পূর্বে ”বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম” পাঠ করতে হয় তাই সব সুরার শুরুতে ”বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম” লেখা হয়ে থাকে কিন্তু এখানে দেখছি ”বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম”- কে সুরা ফাতিহার এক নম্বর আয়াত হিসেবে লেখা হয়েছে এটা কি কোরআনের বিকৃতি নয়? এছাড়া আরও জানতাম যে, ” صِرَاطَ الَّذِينَ أَنعَمتَ عَلَيهِمْ ” – একটা আয়াত অর্থাত আয়াত নং- ৬ আর ” غَيرِ المَغضُوبِ عَلَيهِمْ وَلاَ الضَّالِّينَ”- একটা আলাদা আয়াত অর্থাত আয়াত নং- ৭। কিন্তু এখানে দেখছি এ দুটোকে এক আয়াতে লেখা হয়েছে। এটাও কি কোরআনের বিকৃতি নয়? এটা কি ইচ্ছাকৃত ভূল না অনিচ্ছাকৃত প্রিন্টিং মিসটেক? যদি অনিচ্ছাকৃত প্রিন্টিং মিসটেক হয় তাহলে সংশোধন করে দেওয়ার অনুরোধ রইল আর যদি ইচ্ছাকৃত বা স্বজ্ঞানে হয়ে থাকে তাহলে তার হেতু বা ব্যাখ্যা জানিয়ে বাধিত করবেন।
evergreenbangla
আগে আয়াত আরবীতে। যেহেতু আরবীতে ডান দিক থেকে শুরু হয়, তাই ইংরেজী নাম্বারিংটা এখানে ডানের বদলে নতুন লাইনে চলে গেছে। তারপর বাংলা অর্থ এসেছে।
আপনার বাকি কথাগুলো আরেকবার কোরআন খুলে মিলিয়ে দেখুন তো এখানে ভুল আছে কিনা।
এই লিঙ্কেও দেখতে পারেন-http://www.ourholyquran.com/index.php?option=com_content&view=article&id=54&Itemid=83
Prabir Acharjee
মারিলে দণ্ডের বাড়ি পড়িব ভূমিতে।
পিপীলিকা দণ্ডের বাড়ি পড়িব ভূমিতে।।