• Skip to main content
  • Skip to header right navigation
  • Skip to site footer

Bangla Library

Read Bengali Books Online (বাংলা বই পড়ুন)

  • নতুন সব বই
  • লেখক
  • সিরিজ
  • বইয়ের ধরণ
  • পুরানো সব ক্যাটাগরি
  • My Account →
  • নতুন সব বই
  • লেখক
  • সিরিজ
  • বইয়ের ধরণ
  • পুরানো সব ক্যাটাগরি
  • My Account →
  • বাংলা ডিকশনারি
  • বাংলা কৌতুক
  • বাংলা লিরিক
  • বাংলা রেসিপি
  • হেলথ টিপস এন্ড নিউজ

বাংলা নতুন/পুরাতন বইয়ের পিডিএফ ডাউনলোড/সন্ধান করতে আমাদের বাংলা পিফিএফ সাইটে ক্লিক করুন।

Bangla PDF

২.২৬ মেয়েরা একে একে বিদায় নিল

লাইব্রেরি » আশাপূর্ণা দেবী » সুবর্ণলতা (১৯৬৭) » ২.২৬ মেয়েরা একে একে বিদায় নিল

মেয়েরা একে একে বিদায় নিল।

পারুলের যাত্রাকালে বকুল আস্তে বলে, ভুল করিস না। সেজদি! চোরের ওপর রাগ করে মাটিতে ভাত খাবি তুই?

পারুল ঈষৎ কঠিন হাসি হেসে বলে, চোরের সঙ্গে কাড়াকড়ি করে থালার দখলটা নেবার প্রবৃত্তিও নেই!

তা বলে তুই কবিতা লেখা ছেড়ে দিবি? অত ভাল লিখতিস?

বকিস না, পারুল হেসে ওঠে, শালুক চিনেছে গোপাল ঠাকুর! ভারী তো লেখা! ছেড়ে দিলে পৃথিবীর ভারী লোকসান!

পৃথিবীর না হোক, তোর নিজের তো অনেক লোকসান।

পারুল অন্যদিকে তাকিয়ে বলে, লবণ-সমুদ্রে বাড়তি একমুঠো নুন ফেললে কি ইতারবিশেষ হয় বল তো? জীবনটাই তো লোকসানের।

কিন্তু সেজদি, অমলবাবু তো—

 

আরে কী মুশকিল, তোদের অমলবাবুর নিন্দে করছি নাকি আমি? মহদাশয় ব্যক্তি, স্ত্রীর একটু আরাম-আয়েসের জন্য ভাড়ার ভেঙে খরচা করতে পারেন, শুধু প্রেমের কবিতা চলবে না।

বেশ তো, ভগবানের বিষয় নিয়ে লিখবি-

পারুল ওর মাথাটায় একটু আদরের নাড়া দিয়ে বলে, ভারী তো লেখা, তার জন্যে ভেবে ভেবে মুণ্ডুটা তোর গেল দেখছি! বিদ্বন-মুখুদের নিয়ে আবার অনেক জ্বালা রে! ঈশ্বরই যে মানুষের আদি-অনন্তকালের প্ৰেমাস্পদ, এ ওদের মগজে ঢোকে না। আবেগ আর ব্যাকুলতা, এ দেখলেই তার মধ্যে আঁশটে গন্ধ পায় ওরা। যাক গে মরুক গে, মাও তো জীবনভোর কত কি লিখলেন, তার পরিণাম তো নিজেই বললি!

যদিও মার ওই লেখা সম্পর্কে খুব একটা উচ্চ ধারণা ছিল না পারুলের, বরং মার তীব্রতা, মার আবেগ, মার সব বিষয়ে তাল ঠুকে প্রতিবাদ আর বিদ্রোহ করা, এসবকে পারুল খুব অবজ্ঞার চোখেই দেখতো, জানতো মার লেখাও ওই পর্যায়ের, কাজেই মূল্যবোধ কিছু ছিল না তার সম্বন্ধে, তবু এখন একটু উল্লেখ করলো।

ব্যর্থতার তুলনা করতে করলো উল্লেখ।

বকুল চুপ করে থাকলো।

বকুলের হঠাৎ সেই এক লহমার জন্য দেখা আগুনের আভায় স্পষ্ট হয়ে ওঠা মুখটা মনে পডালো।

সে মুখ পরাজিত সৈনিকের না। অপরাজেয় কাঠিন্যের, আজ পর্যন্ত ঠিক করতে পারে নি বকুল।

তা হয়তো পরাজিতেরই।

হয়তো সুবর্ণ ওই দেওয়ালের দিকে তাকিয়ে দেওয়ালের লেখা পড়ে না, লেখে সেখানে। অদৃশ্য কালিতে রাখে বঞ্চনা-জর্জর পীড়িত আত্মাদের ইতিহাস। না, শুধু তার নিজের কথা নয়, লক্ষ লক্ষ আত্মার কথা। পরবর্তীকাল পড়বে ওই লেখা।

কে জানে তখন আবার তার প্রতিক্রিয়ায় জন্ম নেবে। কিনা আর এক নতুন জাতি— উদ্ধত, অবিনয়ী, অসহিষ্ণু, অসন্তুষ্ট, আত্মকেন্দ্ৰিক।

দেওয়ালের লেখাও তো শেলেটের লেখার মত একবার লেখা হয়, একবার মোছা হয়। আজ হয়তো এক হৃতসর্বস্ব সৈনিক পরাজয়ের কথা লিখে রেখে যাচ্ছে, আগামী কাল–

কিন্তু সত্যিই কি তবে এবার যাচ্ছে সুবৰ্ণলতা? তা নইলে এত ভেঙে পড়েছে কেন? উঠতে যদি পারেও, উঠতে চায় না।

বিছানাতেই রাতদিন।

মেজেয় মাদুরের ওপর পাতা বিছানা, ঘরমোছা-ঝি জ্ঞানদা এসে বলে, একটু যে উঠতে হবে মা–

আগে আগে উঠছিল সুবর্ণ, আজকাল বলে, আর উঠতে পারি না বাপু, পাশ থেকে মুছে নিয়ে যাও।

আর মাঝে মাঝে বলে, দক্ষিণের ওই বারান্দাটায় একটা চিক টাঙিয়ে দিলে ওইখানেই শুতাম–

প্ৰবোধ শুনতে পেয়ে রাগ করে বলে, ওই খোলা বারান্দায় শোবে? এই নিত্যি জ্বর—

ঘুষঘুষে জ্বরে খোলা হাওয়া ভাল, সুবর্ণ একটু হেসে বলে, তাছাড়া দক্ষিণের বারান্দায় মরবার যে বড় সাধ আমার!

ওসব অলুক্ষণে কথা বোলো না মেজবৌ—, প্ৰবোধ গুম হয়ে যায়।

সুবৰ্ণ বলে, অলুক্ষ্মণে কি গো? এখন মরলে জয়জয়কার! যাক গে, মরছি না তো— মরবোও না। তবে রাত্তিরে কেসে মরি, তোমার ঘুম হয় না—

তা কথাটা মিথ্যে নয়।

ও দেওয়ালের একবারে ও প্রান্তে উঁচু  খাটে ঝালর দেওয়া বালিশ-তাকিয়ায় ঘেরা যে বিছানাটি বড় শুরুমুখ্যা ছিল, প্ৰবোধের সেখানে আর নিশ্চিন্তে ঘুমানো যাচ্ছে না।

ওই কাসি।

কাসির শব্দ হলেই কেমন যেন ঘরে টিকতে পারে না প্ৰবোধ, দরজা খুলে বেরিয়ে দালানের চৌকিতে এসে বসে।

তবু প্ৰতিবাদ করে প্রবোধ, বাঃ, শুধু আমার ঘুমটাই বড় হলো? তুমিও তো কেসে কেসে—, কিন্তু প্ৰতিবাদের সুরাটা যেন দুর্বল শোনায়।

সুবৰ্ণ দেওয়ালের দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়ে বলে, তা নিজেকে তো নিজের কাছ থেকে সরিয়ে নেবার উপায় নেই?

 

আজও আবার সেই কথাই ওঠে।

কারণ গতরাত্রে প্রবোধ প্রায় সারারাতই ভিতরন্দালানে কাটিয়েছে। তবু আজ যেই সুবর্ণ দক্ষিণের বারান্দায় চিক ফেলার কথা বলে, প্ৰবোধ পাড়া জানিয়ে চেঁচিয়ে চেঁচিয়ে বলে, এই বকুল, দাদাদের বল মুটে ডেকে আমার খাটখানা ওই ছোট ঘরে নিয়ে যাক! ওখানেই শোবো। আমি আজ থেকে। কাসির জন্যে নাকি ঘুমের ব্যাঘাত হয় আমার, তাই একটা রুগী যাবে খোলা বারান্দায় শুতে!

ঘরে দাঁড়িয়ে নয়, ঘর থেকে বেরিয়ে চেঁচায়।

সুবৰ্ণ যেন সেই চেঁচানিটার দিকেই একটা রহস্যময় ব্যঙ্গহাসির দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে।

ব্যবস্থাটা করে দিল সুবল।

বাবার নয়, মার।

কোথা থেকে যেন খান্নতিনেক চিক আর ত্রিপল এনে বারান্দায় বুলিয়ে দিয়ে মার বিছানাটা তুলে নিয়ে গেল। সেখানে। নিঃশব্দে, সকলের অগোচরে।

বলেছিলও সুবর্ণ সকলের অগোচরে।

সুবৰ্ণ কি ভেবেছিল, হাতে মজুত এই বাক্সটার সীল আমি ভাঙবই? তাই বলেছিল সুবৰ্ণ, সুবল, কখনো তো কিছু অনুরোধ করি নি। বাবা, একটা অনুরোধ রাখবি? দক্ষিণের বারান্দায় মরবার বড় শখ হয়েছে। করে দিবি ব্যবস্থা?

সুবল উত্তর দেয় নি, বোঝা যায় নি করবে। কিনা, কিন্তু খানিক পরেই দেখা যায় বারান্দায় পর্দা ঘিরছে।

Category: সুবর্ণলতা (১৯৬৭)
পূর্ববর্তী:
« ২.২৫ চলছিল গিরির আনাগোনা
পরবর্তী:
২.২৭ কেদার-বদরি ফেরত »

Reader Interactions

Leave a Reply Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বাংলা লাইব্রেরি : উল্লেখযোগ্য বিভাগসমূহ

লেখক ও রচনা

অনুবাদ সাহিত্য

সেবা প্রকাশনী

ডিকশনারি

কৌতু্ক / জোকস

লিরিক

রেসিপি

কোরআন

হাদিস

ত্রিপিটক

মহাভারত

রামায়ণ

পুরাণ

গীতা

বাইবেল

বিবিধ রচনা

বাংলা ওসিআর

Download Bangla PDF

হেলথ

লাইব্রেরি – ফেসবুক – PDF

top↑