হও ধরমেতে ধীর হও করমেতে বীর,
হও উন্নত শির নাহি ভয়।
ভুলি ভেদাভেদ জ্ঞান হও সবে আগুয়ান,
সাথে আছে ভগবান হবে জয়।
তেত্রিশ কোটি মোরা নহি কভু ক্ষীণ,
হতে পারি দীন, তবু নহি মোরা হীন;
ভারতে জনম, পুনঃ আসিবে সুদিন-
ওই দেখো প্রভাত উদয়,
ওই দেখো প্রভাত উদয়,
নানা ভাষা, নানা মত নানা পরিধান,
বিবিধের মাঝে দেখো মিলন মহান;
দেখিয়া ভারতে মহা জাতির উথান
জগজন মানিবে বিস্ময়,
জগজন মানিবে বিস্ময়।।
ন্যায় বিরাজিত যাদের কবে
বিঘ্ন পরাজিত তাদের শরে;
সাম্য কভু নাহি স্বার্থে ডরে-
সত্যের নাহি পরাজয়,
সত্যের নাহি পরাজয়।।
“হও ধরমেতে ধীর” গানটা শ্রদ্ধেও স্বর্গীও শ্রী অতুল প্রসাদ সেন মহাশয় কবে লিখেছিলেন এবং সেই সময় ভারতবর্ষের জন সংখ্যা কত ছিল ? তেত্রিশ কোটি ছিল কি ?
এই প্রশ্নের কারন : আমরা বাঙ্গালীরা বলে থাকি “তেত্রিশ কোটি ভগবান” ।
আবার “হও ধরমেতে ধীর” গানটাতে আছে “তেত্রিশ কোটি মোরা নহি কভু ক্ষীণ” । আমরা অনেকেই বিশ্বাস করি মানুষের মধ্যেই ভগবান। তাই বুঝবার
চেস্টা করছি “তেত্রিশ কোটি ভগবান” কথাটা কি আসলে তেত্রিশ কোটি মানুষকে বুঝাতে চাইছে ?
গানে উল্লিখিত তেত্রিশকোটি শব্দটি জন
সংখ্যা বোঝাতেই সচেতন ভাবে ব্যবহার
করা হয়েছে কারণ ব্রিটিশ ভারতে সর্ব প্রথম 1871 এ যে census হয় তাতে অখণ্ড ভারতে 19+কোটি জনসংখ্যা দেখানো হয়।পরবর্তী 1882 সালে যে পূর্ণাঙ্গ census হয় সেটা 25+কোটি দেখানো হয়েছিল।
তথ্যটি google থেকে নেয়া।
33crores gods and goddesses oh Hinduism
It’s not 33crores,it’s 33types.hindu always prey to nature,here the different types of power & form situated in nature.so menimum 33types nature power situated in earth.its true not false..
You are right.
শ্রী অলোক সাহা-র প্রশ্ন আমার মনেও একইভাবে আছে দীর্ঘদিন যাবৎ। ১৯৩৪ এর মধ্যে লেখা এই কবিতাটি। তখন ভারতবর্ষ কিন্তু অবিভক্ত। অর্থাৎ আজকের ভারতবর্ষ ছাড়াও, পশ্চিম ও পূর্ব পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা যুক্ত সমগ্র দেশের জনসংখ্যা মাত্র তেত্রিশ কোটি ছিল। নাকি সংখ্যাটি সাংকেতিক !?
এখানে ৩৩ কোটি বোঝাতে জনসংখ্যাকেই বোঝানো হয়েছে। আর সবার জ্ঞাতার্থে জানাই যে সনাতন ধর্মতে ৩৩ কোটি দেবতা মানে ৩৩ প্রকার দেবতা। তাই এখানে কোনো ধোঁয়াশা নেই।
জগজন মানাবে বিস্ময়! – কেন জগজন বিস্ময় হবে?