• Skip to main content
  • Skip to header right navigation
  • Skip to site footer

Bangla Library

Read Bengali Books Online (বাংলা বই পড়ুন)

  • সব বই
  • লেখক
  • সিরিজ
  • বইয়ের ধরণ
  • Login/Register
  • My Account →
  • সব বই
  • লেখক
  • সিরিজ
  • বইয়ের ধরণ
  • Login/Register
  • My Account →
  • বাংলা ডিকশনারি
  • বাংলা কৌতুক
  • বাংলা লিরিক্স
  • বাংলা রেসিপি
  • হেলথ টিপস এন্ড নিউজ

বাংলা নতুন/পুরাতন বইয়ের পিডিএফ ডাউনলোড/সন্ধান করতে আমাদের বাংলা পিফিএফ সাইটে ক্লিক করুন।

Bangla PDF

যে আঁখিতে… – বিশ্বজিত্ চৌধুরী

লাইব্রেরি » বিবিধ লেখার সংকলন » গল্প » যে আঁখিতে… – বিশ্বজিত্ চৌধুরী

লক্ষ করলে দেখবেন, আঁখি নামের মেয়েদের মধ্যে শতকরা নব্বই ভাগের চোখ সুন্দর। সদ্যজাত শিশুর চোখ-মুখ-নাক তো প্রায় আলাদা করে বোঝার উপায়ই থাকে না। দিনে দিনে কত বদল যে হয়। নাকটা বোঁচা ছিল, ধীরে ধীরে খাড়া হয়ে উঠল, যাকে বলে টিকালো। প্রথম দিন মনে হলো গায়ের রং লালচে, এ মেয়ে নিশ্চয় ফরসা হবে, কিন্তু দিন গড়াতে গড়াতে সে মেয়ে হয়ে উঠল শ্যামলবরণী। উল্টোটাও হয়, আমি নিজের চোখে দেখেছি। দুই দিনের শিশু, কালো কুচকুচে রং, মাস না পেরোতেই কী করে একেবারে দুধে-আলতায় মেশামেশি!
আমার নাম আঁখি। প্রথম দিন ফুফুর হাত থেকে আমাকে কোলে নিয়ে খুশিতে আত্মহারা হয়ে গিয়েছিল বাবা। এগারো বছর সন্তানবঞ্চিত ছিল বেচারা। কলকাতায় গিয়ে চিকিত্সা করিয়েছিল বাবা-মা দুজন। আজমির শরিফে গিয়ে মানত করে এসেছিল। ধর্মবিশ্বাস না চিকিত্সাবিজ্ঞান, ঠিক কী কারণে আমার জন্ম সম্ভব হয়েছিল জানি না। কিন্তু সন্তান হাতে পেয়ে, ছেলে হলে একটু বেশি ভালো হতো কি না—বিষয়টি ভেবে দেখার সময়ও হয়নি তার, বেশ কয়েক মুহূর্ত আত্মজার দিকে মুগ্ধ চোখে তাকিয়ে থেকে আত্মহারা হয়ে বলেছিল, ‘আহা, কী সুন্দর চোখ! ওর নাম দিলাম আঁখি।’
জন্মের মুহূর্ত কারোর মনে থাকে না, আমারও নেই। কিন্তু ফুফুদের মুখে শোনা গল্পগুলোই কখন ছবি হয়ে উঠেছে মনে। একরত্তি তুলতুলে শরীরটা দুহাতে নিয়ে তাতে নাক ঘষছে বাবা, আর হুম্ম্…ধরনের একটা শব্দ করছে মুখ দিয়ে—এ রকম একটা স্মৃতি কেন যেন চোখে ভাসে আমার। স্মৃতি ও কল্পনা একাকার।
আঁখি নামের নব্বই ভাগ মেয়ের মতোই চোখ আমার। কিংবা নিজের প্রতি একটু পক্ষপাত করেই বলি, নব্বইজনের মধ্যে যে দশজনের একটু বেশি সুন্দর, আপনারা যাকে বলেন মায়াবী, প্রায় তা-ই। অথচ এমন যে চোখ, তাতে কোনো দিন এক পরত কাজল আঁকার সুযোগ হলো না আমার। কেন হলো না সেটা পরে বলছি।
আমার রং উজ্জ্বল শ্যামলা। অনুন্নত দেশ যেমন উন্নয়নশীল, তেমনি কালো মেয়ে উজ্জ্বল শ্যামলা। চেহারা-ছবি তো ভালোই, কাব্যবোধ আছে এমন লোকের হাতে পড়লে ‘কালো মেয়ের কালো হরিণ চোখ’-জাতীয় স্তুতি লাভ করার সম্ভাবনাও ছিল। কিন্তু সেসব কিছুই হলো না, বরং আমার আঁখি নামটি যেন হারিয়ে গেল ‘ঘোড়া’ পদবির আড়ালে। বন্ধুরা তো বটেই, চেনে না জানে না এমন লোকজনের কাছেও আমি ‘ঘোড়া’। কেন? কারণ আমি ছেলেদের মতো। আপনি বলবেন, ছেলেদের মতো আবার কী? মানে, আমি খেলার মাঠে দাপিয়ে বেড়াই। মাঠে নামলে চারপাশ থেকে ‘ঘোড়া ঘোড়া’ চিত্কার করতে থাকে দর্শকেরা। তাতে আমার যে খুব মন খারাপ হয় তা-ও না, আমি আসলে বুঝতেই পারি না এটা প্রশংসা না টিটকিরি।
গেম টিচার শাহীন ভাই, মানে শাহজাহান আলী আমার চুলের ঝুঁটি নেড়ে দিয়ে বলেন, ‘মনে রাখিস, গাধার চেয়ে ঘোড়া ভালো, সুন্দরী গাধা না হয়ে পিটি ঊষার মতো সোনার মেয়ে হওয়ার চেষ্টা কর, দেখবি সারা দেশ তোকে নিয়ে গর্ব করবে।’
শাহীন ভাইয়ের কথা আমার কাছে বেদবাক্য। এই লোকটা নিজের হাতে কাদামাটি মেখে আমাকে বানিয়েছেন। একশ মিটার, দু শ মিটার দৌড়, হাইজাম্প কি লং জাম্পে যে আমার ধারেকাছে কেউ নেই, সবই তো ওই লোকটার জন্য। আঁখি সুলতানা অ্যাথলেটিকসে ডিস্ট্রিক্ট চ্যাম্পিয়ন—এ কথা তো জানে সবাই, তার পেছনে শাহজাহান আলীর দিন-রাতের শ্রমটা কেউ দেখে না। আমার বন্ধুরা বলে, ‘আসলে তোর প্রেমে পড়েছে বেচারা।’ আমি খেপে যাই। লোকটা জেলা ক্রীড়া সংস্থার কোচ, তাঁর কমিটমেন্টটা চোখে পড়ল না, সবকিছুর মধ্যে একটা কারণ অনুসন্ধান করা ওদের স্বভাব। খেপে যাই বটে, মনে মনে ভাবি, সত্যিই কি কিছু একটা আছে—শাহীন ভাই মানে আমার সম্রাট শাহজাহানের মনে? শাহীন ভাইয়ের মনের কথা জানব কি, সাহস করে মনটন এসব প্রসঙ্গ তোলার সুযোগই পাই না। আমি যেন তার রেসের ঘোড়া। শুধু অনুশীলন আর অনুশীলন। ‘এবার ডিস্ট্রিক্ট চ্যাম্পিয়ন হয়েছ, মনে কোরো না অনেক কিছু হয়ে গেল—চোখ রাখো অনেক দূরে, সাফ গেমসে সোনা…আরও আরও অনেক দূরে।’
মাঝেমধ্যে ক্লান্ত হয়ে পড়ি। কিন্তু আমার মা-বাবাও দিব্যি তার হাতেই যেন মেয়েকে সঁপে দিয়েছেন। বেচারা নিজে অ্যাথলেট ছিলেন, একবার মোটরসাইকেল অ্যাকসিডেন্ট করায় কোমরের একটা হাড় ভেঙেছে, ছোট একটা অপারেশনে সেই হাড় জোড়া লেগেছে, কিন্তু স্বপ্ন আর জোড়া লাগেনি। এখন সেই স্বপ্ন চেপেছে আমার কাঁধে।
পেছনের ঘটনাটা একটু বলি। কাজী মোতাহার হোসেন স্কুলে নবম শ্রেণীতে পড়ার সময় অ্যানুয়েল স্পোর্টসের একশ মিটার দৌড়ে ছেলেদের গ্রুপে ছিলাম আমি। কেন, ছেলেদের গ্রুপে কেন? কারণ স্কুলের মেয়েরা সবাই একমত হয়েছিল, আমি থাকলে তারা প্রতিযোগিতায় অংশ নেবে না। হয় আমাকে বাদ দিতে হবে, নয়তো অন্য সব মেয়েকে। হেড স্যার পড়েছেন মহা ফাঁপরে, শ্যাম (কোয়ালিটি) রাখি, না কূল (কোয়ান্টিটি) রাখি। শেষে কোনো এক শিক্ষকের উর্বর মস্তিষ্ক থেকে এই অদ্ভুত সমাধানটা বেরিয়ে এসেছিল, আঁখি ছেলেদের গ্রুপে যাক। আমি বেঁকে বসতে পারতাম, বাঁকিনি, কারণ আমার নিজেরও একটু যাচাই করে নিতে ইচ্ছে করছিল। বিশ্বাস করবেন, দ্বিতীয় জনকে দুই গজ ব্যবধানে রেখে ফার্স্ট হয়েছিলাম আমি। সেই থেকে মুখে মুখে আমার নাম হয়ে গেল ঘোড়া (নামটা ‘হরিণী’ হলে কী এমন ক্ষতি হতো?)। স্পোর্টসে অতিথি হয়ে এসেছিলেন শাহজাহান আলী। খয়েরি পাঞ্জাবি পরা খুবই সুদর্শন এই অতিথিকে তখন কিন্তু আলাদা করে চোখে পড়েনি আমার। আমি পড়েছিলাম তাঁর চোখে।
পুরস্কার হাতে তুলে দেওয়ার সময় ঠিকানাটা চেয়ে নিয়েছিলেন। পরদিন সকালে হাজির আমাদের পাহাড়তলির বাসায়। বাবাকে বোঝালেন তাঁর মেয়ের বিশাল সম্ভাবনার কথা। মা একটু দোনোমনা করছিলেন, মেয়ে তো মেয়েই, ছেলেদের মতো মাঠে মাঠে ছুটবে! কিন্তু বাবার মনে ততক্ষণে রোপিত হয়েছে স্বপ্নের একটা ছোট বীজ। একমাত্র সন্তান তাঁর, ছেলে হোক বা মেয়ে, কিছু একটা হতেই হবে।
সেই শুরু শাহীন ভাইয়ের হাত ধরে ছোটা। বিশ্বাস করুন, পড়াশোনায় ভালো ছিলাম। তার বারোটা বেজে গেল। শচীন টেন্ডুলকারের মতো জিনিয়াস মাত্র ছয় নম্বরের জন্য জীবনের প্রথম পাবলিক পরীক্ষায় ফেল করেছিলেন, তাতে কী, কত ছয়ের মার তাঁর সেই ছয় নম্বরের অভাব মিটিয়ে দিয়েছে; আজ শচীন কোথায়!—এসব গল্পে আমার পড়াশোনা মাথায় উঠল। ফেল অবশ্য আমি করিনি। কোনোরকমে স্কুলের গণ্ডি, কলেজের প্রথম ধাপ পেরিয়ে ক্রীড়াবিদ কোটায় ভর্তি হতে পেরেছি বিএ ক্লাসে। শাহীন ভাই মহসিন কলেজের পার্টটাইম গেম টিচার, তিনিই আমাকে নিয়ে এলেন এই কলেজে।
গোপনে বলি, আমি একটু কবিতাপ্রেমী ছিলাম। ‘আমি বন্ধনহারা কুমারীর বেণী তন্বী নয়নে বহ্নি’ বা ‘গ্রহণ করেছো যত ঋণী তত করেছো আমায়’—এর মতো পঙিক্তগুলো উচ্চারণ করতাম কী এক ভালোলাগা থেকে। কিন্তু এখানেও বাদ সাধলেন শাহীন ভাই। একবার কলেজের নবীন-বরণ উত্সবে লাল পেড়ে সাদা শাড়ি পরে লাল একটা টিপ দিয়েছি কপালে, বন্ধুরা প্রশংসা আর বিস্ময় মেশানো দৃষ্টি নিয়ে তাকিয়েছে, আমি স্টেজে উঠে আবৃত্তি করেছি জীবনানন্দের ‘বনলতা সেন’ কবিতাটি। রসায়নের নিজাম স্যার রসিক মানুষ, বলেছিলেন, ‘বাহ্ তোমাকে তো আজ বনলতা সেনের মতো লাগছে।’ শাহীন ভাইয়ের কী রাগ! পরদিন খুব গম্ভীর মুখে আমার হাতে তুলে দিয়েছিলেন গোল্ডেন গার্ল পিটি ঊষা বইটি। প্রথম পৃষ্ঠায় লিখে দিয়েছিলেন, ‘বনলতা হওয়ার জন্য জন্ম হয়নি তোমার।’
বনলতা বাদ দিন, আমার মধ্যে তখন পূর্ণ কিশোরীর লাবণ্যটুকু যে ভর করেছিল, তাকেই বা আমি অস্বীকার করি কী করে? কিন্তু শাহীন ভাই অনড়, ন্যাশনালের একশ মিটার দৌড়ে সোনা জিততে হলে মেয়েলি ব্যাপার থেকে একশ হাত দূরে থাকতে হবে আমার। অনুশীলনের সময় তো ট্র্যাকস্যুট আছেই, ঘরে-বাইরের পরিধানও তাই জিনস, টিশার্ট। সাজগোজের বালাই নেই, মাথার একগোছা দীর্ঘ কালো চুল পেছন দিকে টেনে একটা পনি টেল।
এবার বলুন তো, কেন এই কৃচ্ছ্রসাধন? কেন আমি শাহজাহানের হাতের পুতুল? সে কি শুধুই ন্যাশনালের সোনা, সাফ গেমসে ভিক্টরি স্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে জাতীয় সংগীত শোনার দুর্লভ মুহূর্তের জন্য অপেক্ষা? নাকি আরও কিছু? আমি কি প্রেমে পড়েছিলাম শাহীন ভাইয়ের! জানি না, এ প্রশ্ন আমি নিজেকে খুব একটা করেছি বলেও মনে পড়ে না।
শাহীন ভাইও তেমন কিছু বলেননি কখনো। আগে ‘স্যার’ ডাকতাম, কখন যে শাহীন ভাই হয়ে গেলেন মনে করতে পারি না। নিজে আমাকে কখনো ‘তুমি’ কখনো ‘তুই’ বলে সম্বোধন করেন। বলেছিলেন, ‘আমাকে তুমি করেই বলিস।’ উত্তরে আমি বলেছি, ‘পরে।’
এ কথাটা কেন বলেছিলাম কে জানে। ‘পরে’ মানে কী। কত দিন পরে বা কীসের পরে—এসব তো ভাবিনি।
আমার শুধু মনে হতো, কেন জানি মনে হতো, আমাদের দুজনের জীবন কেউ এক সুতোয় বেঁধে দিয়েছে, যেন আমাদের ইচ্ছা-অনিচ্ছা এখানে বড় কিছু নয়। আপনারা যাকে বলেন, নিয়তি, এটা তা-ই।
আচ্ছা, আজ এত কথা বলছি কেন বলুন তো? আমার সব এ রকম এলোমেলো হয়ে যাচ্ছে কেন আজ! আউটার স্টেডিয়ামের মাঠসংলগ্ন ফুটপাত ধরে হাঁটছি। এই পড়ন্ত বিকেল, দিন শেষের ম্লান আলো, আর নতুন ফাল্গুনের মন খারাপ করা হাওয়া—সব মিলিয়ে কেমন এক অদ্ভুত অনুভূতি হচ্ছে কেন আজ?
গতকাল আর আজ অনুশীলন করা হয়নি আমার। অথচ দুই দিন পর ঢাকায় যাওয়ার কথা ন্যাশনালের ক্যাম্পে। শাহীন ভাই আসতে পারেননি অসুস্থ বলে। পরে জেনেছি, মিথ্যে বলেছিলেন আমাকে। একটু আগে যখন মাঠ থেকে একা ফিরছি, আমার বন্ধু বকুল বলেছিল, ‘কিরে, প্র্যাকটিস করলি না আজ?’
বলেছিলাম, ‘হলো না, শাহীন ভাই হঠাত্ অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।’
বকুল অবাক হয়ে বলল, ‘কেন, আমি তো শাহীন ভাইকে দারুল কাবাবের সামনে দেখলাম, রুপা ছিল সঙ্গে…।’
আমি কি একটু চমকে উঠেছিলাম? কেন? আপনি কি বলবেন এর নামই ঈর্ষা?
তাহলে রুপার কথা একটু বলি। আমাদের কলেজে নতুন এসেছে মেয়েটি। খুবই সুন্দরী। কলেজের অ্যানুয়েল স্পোর্টসে যেমন খুশি সাজো প্রতিযোগিতায় মিস ওয়ার্ল্ড সেজে তাক লাগিয়ে দিয়েছিল সবাইকে। শাদা শার্টিনের ওপর শাদা লেস দিয়ে কাজ করা একটা লংস্কার্ট, কাঁধ থেকে কোমর পর্যন্ত ‘মিস ওয়ার্ল্ড’ লেখা স্যাশ, আর মাথায় নকল হীরার ক্রাউন পরা রুপাকে দেখে কে বলবে মেয়েটা সত্যিকারের মিস ওয়ার্ল্ড না। সবাই মুগ্ধ, এই বিভাগে ওর প্রথম পুরস্কার পাওয়া নিয়ে সংশয় ছিল না কারও। আমি শুধু অবাক হয়েছিলাম শাহীন ভাইয়ের মন্তব্য শুনে, বলেছিলেন, ‘মেয়েটার মধ্যে আগুন আছে!’
যেমন খুশি সাজো তো আর সত্যিকারের স্পোর্টস না, গেম টিচার তার মধ্যে কী আগুন দেখলেন ভেবে পাইনি। অবশ্য ‘রূপের আগুন’ কথাটা তো আর এমনি এমনি চালু হয়নি!
বকুল বলেছিল, ‘শাহীন ভাইকে দেখেছি রুপার সঙ্গে।’ এ কথা বিশ্বাস না করার কোনোই কারণ ছিল না। তবু মন, আপনি বলবেন মেয়েদের মন। একটু যেন সংশয় কোথায় ছিল। নিজের চোখে না দেখে ষোলকলা পূর্ণ হয় না। আউটার স্টেডিয়াম থেকে দারুল কাবাব অল্প একটু পথ, সে পথ আমি অতিক্রম করলাম যেন বহু পথ হেঁটে। নিজের চোখে দেখলাম। দারুল কাবাবের সামনের সবুজ লনটায় আমার সম্রাট শাহজাহানকে দেখলাম বিশ্বসুন্দরীর সঙ্গে। ‘দেখেছিলাম আলোর নিচে অপূর্ব সেই আলো/স্বীকার করি দুজনকেই মানিয়েছিল ভালো।’
সামনে গিয়ে দাঁড়াতে ইচ্ছে করছিল। খুব বলতে ইচ্ছে করছিল, জীবনে আমার চোখে এক পরত কাজল আঁকতে দিলেন না, শাহীন ভাই, আজ আগাগোড়া সাজপোশাকে মোড়া মেয়েটার আগুন স্পর্শ করল আপনাকে! বলিনি। আমি তো একটু কবিতার ভক্ত ছিলাম। অনেক দিন পর তাই কবিতার দুটি পঙিক্ত অনুরণিত হলো মনে, ‘জুড়িয়ে দিলো চোখ আমার, পুড়িয়ে দিলো চোখ/বাড়িতে এসে বলেছিলাম ওদের ভালো হোক।’

সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, ফেব্রুয়ারী ২৬, ২০১০

Category: গল্প
Previous Post:বইমেলার বই
Next Post:ভাষার প্রতিভা – রাজু আলাউদ্দিন

Reader Interactions

Comments

  1. ctgnasir

    May 12, 2012 at 11:20 am

    খুব ই সুন্দর একটা রচনা। আমি খুবই প্রীত হয়েছি।

    Reply
  2. বোকা

    June 26, 2012 at 12:30 am

    চমত্‍কার লেখা

    Reply

Leave a Reply to বোকা Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ডিকশনারি

কৌতু্ক / জোকস

লিরিক

রেসিপি

বিবিধ রচনা

হেলথ

Download PDF


My Account

Facebook

top↑