2 of 3

০৯৪. স্বচ্ছ গোলাপি মশারির মধ্যে

স্বচ্ছ গোলাপি মশারির মধ্যে শিশুশরীর আর টুলটুলে মুখখানা অনেকক্ষণ দেখল ধ্রুব। ঠিক বটে, তার নিজস্ব দর্শন অনুযায়ি ওই শিশুকে সে নিজের বা নিজস্ব বলে দাবি করতে পারে না। প্রকৃতির নিয়মে মানুষ জন্মায়। জন্মানোর জন্য দুটি নরনারীকে ওর দরকার মাত্র। তার শরীর থেকে জন্মগ্রহণ করেছে বলেই নিজস্ব বলে দাবি করবে এমনতরো যুক্তি সে মানে না। কিন্তু যুক্তি এক জিনিস, বাস্তবে যা ঘটে তা অন্যরকম। মশারির ভিতরে শোয়ানো ছোট্ট শিশুটিকে দেখে ধ্রুব কেমন নরম হয়ে যাচ্ছিল।

বড় মায়া!

কথাটা শুনে রেমি মুখ টিপে হাসল। তারপর বলল, তাই নাকি? এই তো কী সব অলক্ষুনে কথা বলছিলে?

সেটাও মিথ্যে নয়। আবার মায়াও মিথ্যে নয়।

অত বোকো না তো! ছেলেটাকে একটু ভাল করে চোখ চেয়ে দেখো। আমি যা পারিনি তা হয়তো ও পারবে।

সেটা আবার কী?

তোমাকে বাঁধতে।

ধ্রুব খুব হাসল। বলল, সেকেলে ডায়ালগ দিচ্ছে যে! বাঁধাবাঁধি আবার কীসের? ওকে আমি ছেলেবেলা থেকেই বন্ধনমুক্তির মন্ত্র শেখাব।

তোমার ছেলে, তুমি যা খুশি শিখিয়ো। আর আমি কী শেখাব জানো?

কী?

আমি ওকে শেখাব, এই লোকটাকে যেন সব সময়ে দুই হাতে আঁকড়ে ধরে থাকে।

পারিবারিক এই আবহাওয়া খুব খারাপ লাগছিল না ধ্রুবর। যদিও সংসারের আবহাওয়া খুব তাড়াতাড়ি বদলায়, তবু সকালটা আজ তার ফুরফুর করে কাটছে। রেমি শরীরের সঙ্গে লেপ্টে বসে আছে, সামনের দরজাটা তবু খোলা।

ধ্রুব রেমির কাধটা আলতোভাবে জড়িয়ে ধরে বলল, তোমার কী হয়েছে বলছিলে স্মৃতিভ্রংশের মতো?

রেমি একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলল। তার পরিষ্কার খাসের বাতাসটি লাগল ধ্ৰুবর গালে। কানের কাছে মুখ রেখে রেমি বলল, আমার কী মনে হয় জানো?

বলো শুনি।

মনে হয় তোমার অত অবহেলা সইতে সইতে আমার মাথাটা কেমন গোলমাল হয়ে যাচ্ছে।

তোমাকে অবহেলা করলাম আর কই? প্রবলেমকে কি লোকে অবহেলা করে? বরং সেটার কথাই সব সময়ে ভাবে।

আমি কেন তোমার প্রবলেম বলো তো? খাওয়াতে হয় না, পরাতে হয় না। এমনকী একসঙ্গে না থাকলেও চলে। আমি তো ছায়ার মতো থাকি। কায়াহীন।

বাঃ বেশ বলেছ। পিয়োর কবিতা। তবে এ নিয়ে আমরা এত কথা বলে ফেলেছি অলরেডি যে আর আলোচনার মানেই হয় না।

নাইবা আলোচনা করলে। কিন্তু আমার মাথার অসুখটা কেন করল সেটা একটু ভাববে তো?

মাথার অসুখ নয়।

নয় বলছ? তুমি ভাল করে আমাকে একটু দেখো না গো!

কী দেখব? আমি কি ডাক্তার?

তুমি আমার সবচেয়ে বড় ডাক্তার। আমার চোখ দেখো, নাড়ি দেখো, ঠিক বুঝতে পারবে।

পাগল আর কাকে বলে!

কোনওদিন তো এমনভাবে বলিনি। দেখো না, বুঝতে পারে কি না!

ধ্রুব রেমির মুখখানা দুহাতে ধরে চোখের দিকে চাইল। অনেকক্ষণ একদৃষ্টে চেয়ে রইল। রেমিও পলক ফেলল না।

তোমার চোখের দৃষ্টি খুব স্বাভাবিক।

মোটেই না।

তুমি কী করে বুঝলে যে স্বাভাবিক নয়?

রেমি মৃদু হেসে বলে, তুমি আমাকে ছুঁয়ে আছ, চোখের দিকে চেয়ে আছ, তবু আমার চোখের দৃষ্টি স্বাভাবিক হবে কী করে? আমার চোখে এখন আনন্দের আলো জ্বলছে।

ধ্রুব হাসছিল। মৃদুস্বরে বলল, খুব সেয়ানা হয়েছ। এত বুদ্ধি করে কথা বলতে পারছ, তবু ভাবছ পাগল হয়ে যাবে কি না?

রেমি মাথাটা নেড়ে বলে, না গো, বিশ্বাস করো। সত্যিই হচ্ছে। যখন হয় তখন কিছু চিনতে পারি না। আর মনে হচ্ছে, দিন দিন ব্যাপারটা বাড়ছে।

ধ্রুবকে চিন্তিত দেখাল। জিজ্ঞেস করল, বাবাকে বলেছ?

বাবা? শ্বশুরমশাইকে বাবা বলছ তুমি?–বলে রেমি অবাক হয়ে তাকাল।

ধ্রুব বড় একটা কৃষ্ণকান্তকে বাবা বলে সম্বোধন বা উল্লেখ করে না। হঠাৎ মুখ ফস্কে বেরিয়ে গেছে। সামলে নিয়ে বলে, বাবাই তো হয় লোটা সম্পর্কে, তাই না?

তোমার ফিলজফিতে তো তা নয়।

ঠুকছ ডিয়ার? এখন একটু ছেড়ে দাও। ডাক্তার এলে ডেকে পাঠিয়ে।

কোথায় যাবে?

আসছি একটু।

পালাবে না তো?

না, পালাব কেন? আর পালিয়ে যাবই বা কোথায়?

এসো তা হলে।

রেমি ছেড়ে দিল। ধ্রুব খুব ধীরে ধীরে ঘর থেকে বেরিয়ে নীচে নেমে এল। রেমির চোখের দৃষ্টির মধ্যে একটা ঘোলাটে ভাব সে লক্ষ করেছে। অবহেলা করে বটে সে, কিন্তু রেমির সব কিছুই তার জানা। ওই চোখ তার গভীরভাবে চেনা। কী হয়েছে রেমির? একটা শক্ত অসুখের প্রতিক্রিয়া কি? মানসিক ভারসাম্যে গোলমাল নয় তো?

নীচে নেমে এসে সে বৈঠকখানার টেলিফোনটা একবার তুলে ডায়াল করতে গিয়েও রেখে দিল। একটা চেয়ারে বসে চুপচাপ অপেক্ষা করতে লাগল ডাক্তারের জন্য। ডাক্তার আসতেই পথ আটকাল ধ্রুব, আপনার সঙ্গে কথা আছে।

ডাক্তার বয়স্ক মানুষ, কৃষ্ণকান্তর প্রায় পারিবারিক বন্ধু। ধ্রুবকে এইটুকু বয়স থেকে চেনেন। হেসে বললেন, বল রে পাগলা।

রেমিকে ভাল করে দেখেছেন দু-এক দিনের মধ্যে?

ডাক্তার উদ্বিগ্ন হয়ে বললেন, কেন বল তো?

ওর চোখে কিছু অস্বাভাবিকতা লক্ষ করেননি?

ডাক্তার মাথা নেড়ে বললেন, না। তবে বউমা তো ভাল করে কিছু বলে না। চেক-আপ একটা নামমাত্র করতে হয় বলে করা। তোর বাবা আবার বাচ্চাটার জন্যই বেশি অস্থির, তাই ওটাকেই বেশি করে দেখে যাই। কেন? বউমার কোনও কমপ্লিকেশনস দেখা দিয়েছে নাকি? চোখে কী দেখেছিস?

ওর দৃষ্টিটা স্বাভাবিক নয়। কেমন ঘোলাটে। মাঝে মাঝে স্মৃতিভ্রংশের মতো হচ্ছে।

কই? আমাকে বলেনি তো?

লজ্জায় বলেনি।

আহা, এতে লজ্জার কী আছে? বাঙালি মেয়েরা এই করে করেই তো যত গণ্ডগোল পাকায়। চল তো গিয়ে দেখি।

একটু সাবধানে হ্যান্ডেল করবেন।

ডাক্তার একটু বিরক্ত হয়ে বললেন, নে চল তো। তোর কাছে আর আমাকে ডাক্তারি শিখতে হবে না।

ডাক্তার রেমিকে দেখলেন অনেকক্ষণ ধরে। অনেকগুলো প্রশ্ন করলেন। তারপর ধ্রুবর সঙ্গে নীচে নেমে এসে একান্তে বললেন, মানুষের মন বড় বিচিত্র জিনিস। কখন কোন খোঁটায় বাঁধা পড়ে মাথা কুটে মরে তার তো ঠিক নেই। বউমাকে কয়েকদিন অবজার্ভেশনে রাখা দরকার। তারপর প্রয়োজনমতো সাইকিয়াট্রিস্ট দেখাতে হবে।

মনের কথা কী বলছিলেন? খোটা না কী যেন বললেন?

ডাক্তার একটু হাসলেন। বললেন, এ হচ্ছে অবসেসনের যুগ। মানুষ চট করে অবসেসড হয়ে যায়। বউমারও সেরকম একটা কিছু আছে মনে হয়। খুব দুশ্চিন্তা করে নাকি?

তা করে বোধহয়।

তার ওপর ডেলিভারির সময় ওরকম একটা ধকল গেল। শরীরটা ভীষণ দুর্বল তো। মাথাটা চিন্তার বোঝা বইতে পারছে না।

সাইকিয়াট্রিস্ট যদি এখনই দেখানো হয়?

দূর পাগল! খামোকা সাইকিয়াট্রিস্ট কতগুলো ওষুধ গেলাবে। তাতে ভালমন্দ কত কী হতে পারে। আমি পুরনো আমলের মানুষ রে বাপু, ন্যাচারাল কিয়োরের পক্ষপাতী বেশি। দেখ না দুদিন। চট করে কিছু হবে না, ভয় নেই।

আমি একটা জিনিসকেই ভয় পাই। সেটা কী?

মানুষ, বিশেষ করে মেয়েরা, একটু সেন্টিমেন্টাল হয়। আপনার বউমা খুব উইক নেচারের। তাই ভাবছিলাম মানসিক স্থিরতা হারিয়ে সুইসাইড-টাইড করে বসবে না তো!

আরে না! সেরকম কিছু দেখেছিস নাকি?

না, ভাবছিলাম আর কী।

নতুন মা হয়েছে, এখন সুইসাইডের কথা ভাববে না। তবু নজরে রাখিস না হয়। তোর বাবাকে কিছু বলতে হবে এ বিষয়ে?

না, থাক। উনি খামোকা দুশ্চিন্তায় পড়ে যাবেন।

জানি বউমা-অন্ত প্রাণ।

ডাক্তার চলে গেলে ধ্রুব অফিসে বেরোল। একটা অন্যমনস্কতা আগাগোড়া রইল সঙ্গে। অফিসে এসেও সেটা ছাড়ল না। কাজে মন গেল না বলে একটা কাগজে ধ্রুব কয়েকটা পয়েন্ট লিখল। রেমির ওপর কতরকম মানসিক বাধা পড়েছে তার একটা হিসেব। স্বামীর উপেক্ষা, স্বামীর প্রণয়িনীর সঙ্গে সাক্ষাৎকার, নিজস্ব প্রেমিকের সঙ্গে প্রেমে ব্যর্থতা, স্বামীর নীচতা ও হীনতা (কখনও কখনও) সত্ত্বেও তার প্রতি আনুগত্যবোধ এবং কিছু বস্তাপচা সংস্কার মানার অভ্যাস, স্বামীর মাতলামি, শ্বশুরের আধিপত্য, প্রথম সন্তান ধারণ করা সত্ত্বেও ভ্রুণহত্যা, যৌন মিলনের অভাব (?) ইত্যাদি।

অনেকক্ষণ হিসেবটা মনোেযোগ দিয়ে দেখল সে। আরও কিছু বোধহয় বাদ থেকে গেল। তবু এটুকু থেকেই বোঝা যায় রেমির পাগল হওয়ার যথেষ্ট কারণ আছে।

টেলিফোনটা এল তিনটে নাগাদ। যখন ধ্রুব কেটে পড়ার তাল করছে।

ধ্রুবদা! আমি নোটন।

কী খবর রে?

তোমার সঙ্গে ভীষণ দরকার।

কীসের দরকার?

আজ সন্ধেটা আমাকে দেবে?

না রে, আজ উপায় নেই। তোর বউদির শরীর খারাপ।

খুব সিরিয়াস কিছু?

ন্‌নাঃ, তবে বাড়ি ফেরা দরকার।

খুব স্ত্রৈণ হয়েছ তো!

স্ত্রৈণ কেন হব?

না কি ছেলের মুখ দেখে বিশ্ব ভুলেছ?

ওসব নয়। তোর দরকারটা কী?

সব কথা কি ফোনে বলা যায়?

তা হলে পরে কোনও সময়ে দেখা করিস।

শোনো, আমি তোমার অফিসবাড়িরই দোতলা থেকে ফোন করছি। পালাতে পারবে না। বোসো আসছি।

জ্বালালি, দোতলায় আবার কার কাছে?

কত পাটি থাকে আমাদের।

আয় তাড়াতাড়ি। সময় নেই আমার।

ধ্রুব ফোন রেখে দিয়েই বুঝল, তার বুকে হৃৎস্পন্দনের শব্দ বেড়ে যাচ্ছে। দ্রুত হচ্ছে। সে একটু জোর পড়ছে। লক্ষণগুলি ভাল নয়। নোটন সস্তা মেয়ে, ভাড়াটে মেয়ে। মল্লিকপুর এবং ফেরার পথে ট্রেনে যা ঘটেছিল তার জের টানার একটুও ইচ্ছে নেই ধ্রুবর। নোটনের কথা সে কদিন ভাবেওনি। কিন্তু এখন নোটন আসছে বলে তার এরকম সব হচ্ছে কেন?

ধ্রুব উঠে দাঁড়াল। ভাবল, নোটন আসার আগেই চলে যাই। তারপর মনে হল, সেটা দুর্বলতা। এত সহজে হার মানবে কেন সে? ভেবে আবার বসল। মনটাকে কঠিন ও নির্বিকার করার একটা অক্ষম চেষ্টা করল সে।

নোটন যখন তার সামনে এসে দাঁড়াল তখন হৃৎস্পন্দন একটু দামামার মতো বেজে গেল তার। চালাক, ভীষণ চালাক মেয়েটা। একটুও সাজেনি। জানে, না সাজলেই ধ্রুব পছন্দ করবে বেশি। চওড়া পাড়ের একটা সাদা খোলের শাড়ি পরেছে, ডান হাতে একটা রুপোর বালা, কানে দুটো লাল পাথরের টপ। মুখে রূপটান নেই, কাজল নেই। একটু স্মিত হাসি আর চোখে দিপদিপ আলো।

ধ্রুব গলাটা যথাসম্ভব ভারী করে বলল, কী বলবি?

বসি একটু?

বোস।

নোটন বসে শাড়ির আঁচল দিয়ে মুখের ঘাম মুছল। বলল, ভাবছিলাম তোমাকে বুঝি ধরতেই পারব না। আমার সঙ্গে একটা জায়গায় কয়েক মিনিটের জন্য যাবে?

ধ্রুব সন্দিহান হয়ে বলে, কোথায়?

চলো না! বেশি দূর নয়। ফেরার পথেই পড়বে।

আমাকে কোথাও নিয়ে যাবি কেন তুই? আমাকে দিয়ে কী কাজ?

আমার কাজ আমি বুঝব। চলো।

ধ্রুব তীক্ষ্ণ চোখে নোটনকে দেখে বুঝবার চেষ্টা করছিল। কিছু বোঝা গেল না। মেয়েদের প্রকৃতিদত্ত ক্যামোফ্লেজ আছে। বলল, তোর কাজে আমাকে দরকার হচ্ছে কেন সেটিই জানতে চাই।

এত প্রশ্ন করলে বড্ড অপমান হয় জানো?

অপমান! —বলে ধ্রুব একটু ভাবে। সে বুঝতে পারছে, নোটন আজ আর-একটু এগোবে। কিন্তু কেন? ধ্রুবর কাছ থেকে ওর পাওয়ার তো আর কিছু নেই! প্রেম জিনিসটা ওর মতো মেয়ের হতে পারে না আর। সেই মন ওর মরে গেছে কবে। তবে কি ও প্রতিশোধ নিতে চায়? কৃষ্ণকান্ত ওর দাদাকে অপমান করেছিলেন। দাদা নিরুদ্দেশ। ধ্রুবর সঙ্গে ওর বিয়ের স্বপ্ন দেখেছিল ওর মা। সেই স্বপ্ন ওর চুরমার হয়ে গেছে। স্বাভাবিক জীবনযাপন থেকে বিচ্যুত হয়ে প্রায়-পতিতার এক জীবনযাপন করতে হচ্ছে ওকে। হ্যাঁ, প্রতিশোধস্পৃহা নোটনের থাকতেই পারে। হয়তো ধ্রুবকে নিজের কজায় নিয়ে সেই শোধটাই তুলতে চায় নোটন।

কয়েক মুহূর্তে এইসব কথা ভেবে নিয়ে ধ্রুব হঠাৎ গা ঝাড়া দিয়ে উঠে বলল, চল কোথায় যেতে চাস।

নোটন একমুখ হেসে উঠে দাঁড়াল। ভাবী সুন্দর দেখাল ওকে। ছিপছিপে শরীর, তারুণ্যে ঝলমল করছে চেহারা। চোখের দৃষ্টিতে একটু দুষ্টুমি আর বুদ্ধির ঝিকমিকি।

নীচে একটা লাল অ্যামবাসাডার দাঁড়িয়ে ছিল।

ধ্রুব অবাক হয়ে বলে, গাড়ি কিনলি নাকি?

না। গাড়ি আমার নয়। ধার নিয়েছি। ওঠো।

সামনে ড্রাইভার বসে। তার গায়ে সাদা ইউনিফর্ম। ধ্রুবর একটু ঘেন্না হল। বোঝাই যায়, গাড়ির মালিক নোটনের ক্লায়েন্ট।

নোটন পাশে বসেই ঘন হয়ে এল। ধ্রুবর একখানা হাত নিজের হাতে চেপে ধরে বলল, এরকম করো কেন বলো তো?

কী রকম?

এই সন্দেহ কেন? ঘেন্না কেন?

ধ্রুব চুপচাপ বসে রইল। জবাব দিল না।

তোমাকে একটা কথা আজ বলব, ধ্রুবদা।

বল।

আমি তোমাকে চাই। যেভাবেই হোক চাই। তোমাকে ছাড়া আমি বাঁচব না।

ধ্রুব হাতটা টেনে নিয়ে বলে, পাগলামি করিস না।

রাগ করছ?

করছি। বাড়াবাড়ি করলে এর পর তোর মুখও দেখব না।

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *