আমরা সাধারণত বলি কুকুরের লেজ নাড়া প্রভুভক্তির লক্ষণ। কথাটা ঠিক। কিন্তু কুকুর তো সব সময় গৃহপালিত ছিল না। থাকত বনে-জঙ্গলে। তখনো তো লেজ নাড়ত। তাহলে সেই লেজ নাড়ার অর্থ কী? বিজ্ঞানীরা এ ব্যাপারে গবেষণা করে দেখেছেন যে কুকুরের লেজ নাড়া ও চোখের দৃষ্টির নানা ভঙ্গি আসলে কুকুরের দলের মধ্যে ভাববিনিময়ের জন্য জন্মগত এক জটিল পদ্ধতি। একদল কুকুর যখন কোনো আগন্তুকের মুখোমুখি হয়, তখন লেজের অবস্থান থেকে তারা বুঝে নেয় কে তাদের মধ্যে দলপতি। যেমন—হুমকির মুখে লেজ যদি খাড়া ওপরে তোলা থাকে, এর মানে সে ওই দলের নেতা। আর যার লেজ নিচের দিকে থাকে, ধরে নিতে হবে সে অন্যদের বশ্যতা মেনে নেওয়ার সংকেত দিচ্ছে। আমরা যে বলি ‘লেজ গুটিয়ে পালিয়েছে’, সেটা হয়তো এখান থেকেই এসেছে। সাধারণভাবে লেজ নাড়ার মধ্য দিয়ে আবেগের প্রকাশ ঘটে। অনেক সময় একে উত্তেজনার বহিঃপ্রকাশ রূপেও দেখা চলে। কুকুর প্রজাতির নেকড়ে বাঘের মধ্যে এ ধরনের সংকেত বিশেষ অর্থবহ হয়ে ওঠে। দুই নেকড়ের মধ্যে ঝগড়া লাগলে তারা একে অপরের নাড়ির গতি, রক্তচাপ প্রভৃতি বোঝার চেষ্টা করে। এগুলো পরোক্ষভাবে পরিমাপের জন্য তারা একে অপরের চোখের গতিবিধির ওপর লক্ষ রাখে। চোখের মণি যদি বস্ফািরিত হয়, তার মানে সে ভীত। অন্যদিকে, যদি চোখের মণি ছোট হয়ে আসে আর সেই সঙ্গে থাকে নানা অঙ্গভঙ্গি, তাহলে বুঝতে হবে সে বেশ ক্ষিপ্ত, এবং সেটা চিন্তার বিষয়। অবশ্য বাসায় পোষ মানা কুকুরের ক্ষেত্রে এত সব বোঝা যায় না। কারণ মানুষের সঙ্গে থাকতে থাকতে তাদের আদি ভাবভঙ্গি অনেকাংশে বদলে গেছে। এখন তুতু তুতু বললেও লেজ নাড়ে, আবার সাবধান বলে সতর্ক করে দিলেও লেজ নাড়ে।
আব্দুল কাইয়ুম
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, ডিসেম্বর ০৫, ২০০৯
খুব ভাল লেগেছে
It is an unknown to many ones.
sorry bangla amar computer e nay. so eyta amar valo laglo. ame aro jante cay. thanks.