নদী কিছু চায়

নদী গ্রাস করে নিচ্ছে সাজানো-গোছানো ঘরবাড়ি।
নিকোনো উঠোন থেকে ঠাকুরদালানে,
ঘরে, বারান্দায়, সবখানে
এখন দিনে ও রাত্রে শুনে যাই তারই
তরঙ্গের ছলোচ্ছল শব্দ। আমি ঘুমের ভিতরে
ডুবে গিয়ে যে-শব্দ শুনেছি চিরকাল,
বিনিদ্র প্রহরে আজ উথালপাথাল
সেই শব্দ চতুর্দিকে ঘোরে।

নদী কিছু চেয়েছিল, চেয়েও পায়নি, তাই তার
জল উঠে এসেছিল সীমানা ছাড়িয়ে।
সবকিছু ভেঙেচুরে পেটের ভিতরে টেনে নিয়ে
সে তাই আবার
ফিরে গেছে নিজের নির্দিষ্ট সীমানায়।

শুধুই দেয় না নদী, কিছু চায়, চিরকাল চায়।