1 of 2

৪৭. সাআদ ইবন আবু ওয়াক্কাস (রা)-এর অভিযান

সাআদ ইবন আবু ওয়াক্কাস (রা)-এর অভিযান

ওয়াকিদী বলেন, : এ বছর অর্থাৎ হিজরী প্রথম সালে যিলকাদ মাসে রাসূল (সা) সাআদ ইবন আবু ওয়াক্কাসকে খারার অভিমুখে প্রেরণ করেন। এ দলের সাদা পতাকা বহন করেন। মিকদাদ ইবন আসওয়াদ (রা)। আবু বকর ইবন ইসমাঈল তাঁর পিতা সূত্রে আমির ইবন সাআদের বরাতে বলেন, ২০ বা ২১ জন মুজাহিদ নিয়ে আমি বের হই। দিনের বেলা আমরা লুকিয়ে থাকতাম এবং রাতের বেলা সফর করতাম। পঞ্চম দিন ভোরে আমরা “খারার’ পৌঁছি এবং খারার অতিক্রম না করার জন্য রাসূল (সা) আমাকে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ করেছিলেন। কুরায়শের কাফেলা একদিন পূর্বেই এ জায়গাটি অতিক্রম করে যায়। বণিক দলে ছিল ৭০ জন লোক আর সাআদের সঙ্গে যারা ছিলেন, তাদের সকলেই ছিলেন মুহাজির। আবু জাফর ইবন জারীর (র) বলেন, ইবন ইসহাকের মতে ওয়াকিদী বর্ণিত পূর্বোক্ত তিনটি অভিযানই সংঘটিত হয় তৃতীয় হিজরীতে। আমার মতে ইবন ইসহাকের এ উক্তিটি দ্ব্যর্থহীন নয়, চিন্তা-ভাবনাকারী ব্যক্তি এটা অনুধাবন করতে পারবে। প্রথম হিজরী সনের ঘটনাবলী প্রসঙ্গে কিতাবুল মাগাষীর শুরুতে এ সম্পর্কে আমরা আলোচনা করবো। এর পরই ইনশাআল্লাহ সে আলোচনা আসবে। এটাও তার লক্ষ্য হতে পারে যে, এসব অভিযান সংঘটিত হয়েছে। প্রথম সনে। সেখানে পৌছে। এ বিষয়ে আমরা আরো বিস্তারিত আলোচনা করবো। আর ওয়াকিদীর নিকট অতিরিক্ত উত্তম তথ্য

ইমাম। এমনিতে তত্ত্বগত ভাবে তিনি সত্যবাদী, তবে তাঁর বর্ণনায় অতিকথন থাকে। ‘আত-তাকমীল ফী মারিফাতিছ ছিকাত ওয়ায-যুআফা ওয়াল মাজাহীল” নামক গ্রন্থে তার গ্ৰহণযোগ্যতা ও তার বিরূপ সমালোচনা সম্পর্কে সবিস্তারে আলোচনা করেছি।

অনুচ্ছেদ

এই মুবারক বছর অর্থাৎ হিজরী প্রথম সালে যারা জন্মগ্রহণ করেছেন, তাদের সর্ব প্ৰথমজন হলেন আবদুল্লাহ ইবন যুবায়র। তাঁর আম্মা আসমা এবং খালা আইশার বরাতে বুখারী এ কথা বর্ণনা করেছেন। তাঁর মাতা আসমা (রা) এবং খালা উন্মুল মু’মিনীন আইশা (রা) এরা উভয়েই হলেন হযরত আবু বকর সিদীক (রা)-এর কন্যা। কেউ কেউ বলেন, নুমান ইবন বাশীর তীর (আবদুল্লাহ ইবন যুবায়র) ৬ মাস পূর্বে জন্মগ্রহণ করেন। এ মত অনুযায়ী আবদুল্লাহ ইবন যুবায়র হিজরতের পর মুহাজিরদের মধ্যে প্রথম নবজাত শিশু। আবার কেউ কেউ বলেন, তারা উভয়েই দ্বিতীয় হিজরী সনে জন্মগ্রহণ করেছেন। প্রথমোক্ত মতই স্পষ্ট, যা আমরা ইতোপূর্বে

আলোচনা করেছি। প্রশংসা আর স্তুতি সবই আল্লাহর প্রাপ্য। দ্বিতীয় হিজরী সনের ঘটনাবলী বর্ণনার শেষে দ্বিতীয় উক্তি সম্পর্কে আমরা ইশারা করবো ইনশাআল্লাহ।

ইবন জারীর বলেন, : কথিত আছে যে, মুখতার ইবন আবু উবায়দ এবং যিয়াদ ইবন সুমাইয়া এরা দু’জনই হিজরী প্রথম সনে জন্মগ্রহণ করেছেন। আল্লাহই ভাল জানেন। হিজরী প্রথম সনে সাহাবীদের মধ্যে যারা ইনতিকাল করেন, তাদের অন্যতম হলেন কুলছুমা ইবন হিন্দম আল-আওসী রাসূল (সা) কুবায় অবস্থানকালে যার বাড়িতে ছিলেন। তিনি যেখান থেকে বনু নাজ্জার বসতিতে গমন করেন, সে কথা পূর্বে উল্লেখ করা হয়েছে। একই বছর এরপর মৃত্যুবরণ করেন বনু নাজারের নকীব আবু উমামা আসআদি ইবন যুরোরা। এ সময় রাসূলুল্লাহ্ (সা) মসজিদ (নবাবী) নির্মাণ করছিলেন, যেমনটি ইতোপূর্বে বলা হয়েছে। আল্লাহ এঁদের দু’জনের প্রতি সন্তুষ্ট হোন এবং এদেরকে সন্তুষ্ট রাখুন।

ইবন জারীর বলেন, : এই একই বছর অর্থাৎ হিজরতের প্রথম বর্ষে আবু তাইফ এবং ওয়ালীদ ইবন মুগীরা ও আস ইবন ওয়াইল সাহিমী মক্কায় মারা যায়।

আমার মতে, এরা সকলেই মৃত্যুবরণ করেছে মুশরিক অবস্থায়, এরা ঈমান আনেনি।

হিজরী।

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *