সপ্তম পরিচ্ছেদ – বাংলার মুসলিম রাজত্বের প্রথম যুগের রাজ্যশাসনব্যবস্থা (১২০৪-১৫৩৮ খ্রী)
১২০৪ খ্রীষ্টাব্দে মুহম্মদ বখতিয়ার খিলজী বাংলা দেশে প্রথম মুসলিম রাজত্বের প্রতিষ্ঠা করেন। এই সময় হইতে ১২২৭ খ্রীষ্টাব্দ পর্যন্ত বাংলা কার্যত স্বাধীন থাকে, যদিও বখতিয়ার ও তাঁহার কোন কোন উত্তরাধিকারী দিল্লির সুলতানের নামমাত্র অধীনতা স্বীকার করিয়াছিলেন। এই সময়কার শাসনব্যবস্থা সম্বন্ধে বিশেষ কিছু জানা যায় না। এইটুকু মাত্র জানা যায় যে, বাংলার এই মুসলিম রাজ্যের দ উল্-মুলক (রাজধানী) ছিল কখনও লখনৌতি, কখনও দেবকোট এবং এই রাজ্য কতকগুলি প্রশাসনিক অঞ্চলে বিভক্ত ছিল। এই অঞ্চলগুলিকে ‘ইক্তা’ বলা হইত এবং এক একজন আমীর এক একটি ইক্তা’র ‘মোক্তা অর্থাৎ শাসনকর্ত্তা নিযুক্ত হইতেন। রাজ্যটি লখনৌতি’ নামে পরিচিত ছিল। এই সময়ের মধ্যে বোধ হয়। আলী মর্দানই প্রথম নিজেকে সুলতান বলিয়া ঘোষণা করেন এবং নিজের নামে খুত্ব পাঠ করান। তাঁহার পরবর্তী সুলতান গিয়াসুদ্দীন ইউয়জ শাহ মুদ্রাও উৎকীর্ণ করাইয়াছিলেন। তাঁহার মুদ্রা পাওয়া গিয়াছে। সে সব-মুদ্রায় সুলতানের নামের সঙ্গে বাগদাদের খলিফার নামও উত্তীর্ণ আছে।
১২২৭ হইতে ১২৮৫ খ্রীষ্টাব্দ পর্যন্ত লখনৌতি রাজ্য মোটামুটিভাবে দিল্লির সুলতানের অধীন ছিল, যদিও মাঝে মাঝে কোন কোন শাসনকর্ত্তা স্বাধীনতা ঘোষণা করিয়াছিলেন। এই সময়ে সমগ্র লখনৌতি রাজ্যই দিল্লির অধীনে একটি ‘ইক্তা’ বলিয়া গণ্য হইত।
বলবন তুঘিল খাঁর বিদ্রোহ দমন করিয়া তাঁহার দ্বিতীয় পুত্র বুঘরা খানকে বাংলার শাসনকর্ত্তার পদে অধিষ্ঠিত করিয়াছিলেন। (১২৮০ খ্রী)। ১২৮৫ খ্রীষ্টাব্দে বলবনের মৃত্যুর পর বুঘরা খান স্বাধীন হন। লখনৌতি রাজ্যের এই স্বাধীনতা ১৩২২ খ্রীষ্টাব্দ পর্যন্ত অক্ষুণ্ণ ছিল। এই সময়ে সমগ্র লখনৌতি রাজ্যকে ‘ইকলিম লখনৌতি’ বলা হইত এবং উহা অনেকগুলি ‘ইক্তা’য় বিভক্ত ছিল। পূর্ববঙ্গের যে অংশ এই রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত ছিল তাহাকে ‘অহ্ বঙ্গালহ্’ বলা হইত। এই সময়ে কোন কোন আঞ্চলিক শাসনকর্ত্তা অত্যন্ত ক্ষমতাবান হইয়া উঠিয়াছিলেন।
১৩২২ খ্রীষ্টাব্দে মুহম্মদ তুগলক বাংলা দেশ অধিকার করিয়া উহাকে লখনৌতি, সাতগাঁও ও সোনারগাঁও-এই তিনটি ইক্তায় বিভক্ত করেন।
১৩৩৮ খ্রীষ্টাব্দে বাংলার দ্বিশতবর্ষব্যাপী স্বাধীনতা সুরু হয় এবং ১৫৩৮ খ্রীষ্টাব্দে তাঁহার অবসান ঘটে। সমসাময়িক সাহিত্য, শিলালিপি ও মুদ্রা হইতে এই সময়ের শাসনব্যবস্থা সম্বন্ধে কিছু কিছু তথ্য পাওয়া যায়।
এই সময় হইতে বাংলার মুসলিম রাজ্য ‘লখনৌতি’র পরিবর্তে ‘বঙ্গালহ্’ নামে অভিহিত হইতে সুরু করে। এই রাজ্যের সুলতানরা ছিলেন স্বাধীন এবং সর্বশক্তিমান। প্রথম দিকে বাঁহারা খলিফার আনুষ্ঠানিক আনুগত্য স্বীকার করিতেন; জলালুদ্দীন মুহম্মদ শাহ কিন্তু নিজেকেই ‘খলীফৎ আল্লাহ্’ (আল্লার খলিফা) বলিয়া ঘোষণা করেন এবং তাঁহার পরবর্তী কয়েকজন সুলতান এ ব্যাপারে তাহাকে অনুসরণ করেন।
সুলতান বাস করিতেন বিরাট রাজপ্রাসাদে। সেখানেই প্রশস্ত দরবার-কক্ষে তাঁহার সভা অনুষ্ঠিত হইত। শীতকালে কখনও কখনও উন্মুক্ত অঙ্গনে সুলতানের সভা বসিত। সভায় সুলতানের পাত্রমিত্রসভাসদরা উপস্থিত থাকিতেন। চীনা বিবরণী শিং-ছা-শ্যং-লান’ এবং কৃত্তিবাসের আত্মকাহিনীতে বাংলার সুলতানের সভার মনোরম বর্ণনা পাওয়া যায়।
সুলতানের প্রাসাদে সুলতানের হাজিব’, ‘সিলাহ্দার’, শরাবদার’, ‘জমাদার, ‘দরবান’ প্রভৃতি কর্মচারীরা থাকিতেন। হাজিব’রা সভার বিভিন্ন অনুষ্ঠানের ভারপ্রাপ্ত ছিলেন; “সিলাদার’রা সুলতানের বর্ম্ম বহন করিতেন; শরাবদার’রা সুলতানের সুরাপানের ব্যবস্থা করিতেন; জমাদার’রা ছিলেন তাঁহার পোশাকের তত্ত্বাবধায়ক এবং ‘দরবান’রা প্রাসাদের ফটকে পাহারা দিত। ইহা ভিন্ন সমসাময়িক বাংলা সাহিত্যে ছত্রী’ উপাধিধারী এক শ্রেণীর রাজকর্মচারীর উল্লেখ পাওয়া যায়; ইঁহারা সম্ভবত সভায় যাওয়ার সময় সুলতানের ছত্র ধারণ করিতেন; মালাধর বসু (গুণরাজ খান), কেশব বসু (কেশব খান) প্রভৃতি হিন্দুরা বিভিন্ন সময়ে ছত্রীর পদ অলঙ্কৃত করিয়াছিলেন। সুলতানের চিকিৎসক সাধারণত বৈদ্য-জাতীয় হিন্দু হইতেন; তাঁহার উপাধি হইত ‘অন্তরঙ্গ। কয়েকজন সুলতানের হিন্দু সভাপণ্ডিতও ছিল। সুলতানের প্রাসাদে অনেক ক্রীতদাস থাকিত। ইহারা সাধারণত খোঁজা অর্থাৎ নপুংসক হইত।
সুলতানের অমাত্য, সভাসদ ও অন্যান্য অভিজাত রাজপুরুষগণ আমীর মালিক প্রভৃতি অভিধায় ভূষিত হইতেন। ইঁহাদের ক্ষমতা নিতান্ত অল্প ছিল না, বহুবার ইহাদের ইচ্ছায় বিভিন্ন সুলতানের সিংহাসনলাভ ও সিংহাসনচ্যুতি ঘটিয়াছে। কোন সুলতানের মৃত্যুর পর তাঁহার ন্যায়সঙ্গত উত্তরাধিকারীর সিংহাসনে আরোহণের সময়ে আমীর, মালিক ও উচ্চপদস্থ রাজকর্মচারীদের আনুষ্ঠানিক অনুমোদন আবশ্যক হইত।
রাজ্যের বিশিষ্ট পদাধিকারিগণ উজীর’ আখ্যা লাভ করিতেন। উজীর’ বলিতে সাধারণত মন্ত্রী বুঝায়, কিন্তু আলোচ্য সময়ে অনেক সেনানায়ক এবং আঞ্চলিক শাসনকর্ত্তাও ‘উজীর’ আখ্যা লাভ করিয়াছেন দেখিতে পাওয়া যায়। যুদ্ধবিগ্রহের সময়ে বাংলার সীমান্ত অঞ্চলে সামরিক শাসনকর্ত্তা নিযুক্ত করা হইত; তাঁহাদের উপাধি ছিল লস্কর-উজীর,; কখনও কখনও তাহারা শুধুমাত্র ‘লস্কর’ নামেও অভিহিত হইতেন। সুলতানের প্রধান মন্ত্রীরা (অন্তত কেহ কেহ) ‘খান-ই-জহান’ উপাধি লাভ করিতেন। প্রধান আমীরকে বলা হইত ‘আমীর-উল-উমারা’।
সুলতানের মন্ত্রী, অমাত্য ও পদস্থ কর্মচারিগণ খান মজলিস’, ‘মজলিস-অল আলা’, ‘মজলিস-আজম’, ‘মজলিস-অল-মুআজ্জম’, মজলিস-অল-মজালিস’, মজলিস-বারবক’ প্রভৃতি উপাধি লাভ করিতেন।
সুলতানের সচিব (সেক্রেটারী)-দের বলা হইত ‘দবীর। প্রধান সেক্রেটারীকে ‘দবীর খাস’ (দবীর-ই-খাস) বলা হইত।
‘বঙ্গালহ্’ রাজ্য আলোচ্য সময়ে কতকগুলি ‘ইকলিম’-এ বিভক্ত ছিল।
প্রতিটি ইকলিম’-এর আবার কতকগুলি উপবিভাগ ছিল, ইহাদের বলা হইত ‘অসহ’। সমসাময়িক বাংলা সাহিত্যে রাজ্যের উপবিভাগগুলিকে ‘মুলুক’ এবং তাহাদের শাসনকর্ত্তাদিগকে ‘মুলুক-পতি’ ও ‘অধিকারী’ বলা হইয়াছে। মুলুক’ ও ‘অসহ্’ সম্ভবত একার্থক, কিংবা হয়ত ‘অসহ্’র উপবিভাগের নাম ছিল মুলুক’ (মুল)। কোন কোন প্রাচীন বাংলা গ্রন্থে (যেমন, বিজয় গুপ্তের মনসামঙ্গলে)মুলুক এর একটি উপবিভাগের উল্লেখ পাওয়া যায়। তাঁহার নাম তকসিম।
আলোচ্য যুগে দুর্গহীন শহরকে বলা হইত কাহ্’ এবং দুর্গযুক্ত শহরকে বলা হইত ‘খিটাহ’। সীমান্তরক্ষার ঘটিকে বলা হইত ‘থানা’। বঙ্গালহ্’ রাজ্যটি অনেকগুলি রাজস্ব-অঞ্চলে বিভক্ত ছিল; এই অঞ্চলগুলিকে ‘মহল’ বলা হইত; কয়েকটি মহল’ লইয়া এক একটি ‘শিক’ গঠিত হইত; ‘শিকদার’ নামক কর্মচারীরা ইহাদের ভারপ্রাপ্ত হইতেন। রাজস্ব দুই ধরণের হইত-গনীমাহ্’ অর্থাৎ লুণ্ঠনলব্ধ অর্থ এবং খরজ’ অর্থাৎ খাজনা। সাধারণত যুদ্ধবিগ্রহের সময়ে সৈন্যেরা লুঠ করিয়া যে অর্থ সংগ্রহ করিত, তাঁহার চারি-পঞ্চমাংশ সৈন্যবাহিনীর মধ্যে বণ্টিত হইত এবং এক-পঞ্চমাংশ রাজকোষে যাইত, ইহাই ‘গনীমাহ্। খরজ’ এক বিচিত্র পদ্ধতিতে সংগৃহীত হইত। সুলতান বিশেষ বিশেষ অঞ্চলে বিশেষ বিশেষ ব্যক্তির উপর ঐ অঞ্চলের খরজ’ সংগ্রহের ভার দিতেন-যেমন হোসেন শাহ দিয়াছিলেন হিরণ্য ও গোবর্ধন মজুমদারকে। ইঁহারা সপ্তগ্রাম মুলুকের জন্য বিশ লক্ষ টাকা রাজস্ব সংগ্রহ করিয়া হোসেন শাহকে বার লক্ষ টাকা দিতেন এবং বাকী আট লক্ষ টাকা নিজেদের আইনসঙ্গত প্রাপ্য হিসাবে গ্রহণ করিতেন। সুলতানের প্রাপ্য অর্থ লইয়া যাইবার জন্য রাজধানী হইতে যে কর্মচারীরা আসিত, তাহাদের ‘আরিন্দা বলা হইত। সুলতানের রাজস্ব বিভাগের প্রধান কর্মচারীর উপাধি ছিল ‘সর-ই গুমাশতাহ’; জলপথে যে সব জিনিস আসিত, সুলতানের কর্মচারীরা তাহাদের উপর শুল্ক আদায় করিতেন, যে সব ঘাটে এই শুল্ক আদায় করা হইত, তাহাদের বলা হইত কুতঘাট’। বিভিন্ন শহরে ও নদীর ঘাটে সুলতানের বহু কর্মচারী রাজস্ব আদায়ের জন্য নিযুক্ত ছিল। সে যুগে হাটকর’, ‘ঘাটকর’, ‘পথকর’ প্রভৃতি করও ছিল বলিয়া মনে হয়। অনেক জিনিস অবাধে বাহির হইতে বাংলায় লইয়া আসা বা বাংলা হইতে বাহিরে লইয়া যাওয়া যাইত না, যেমন চন্দন। আলোচ্য সময়ে বাংলায় অমুসলমানদের নিকট হইতে ‘জিজিয়া কর আদায় করা হইত বলিয়া কোন প্রমাণ মিলে না।
রাজ্যের সৈন্যবাহিনীর সর্বাধিনায়ক ছিলেন সুলতান স্বয়ং। বিভিন্ন অভিযানের সময়ে যে সব বাহিনী প্রেরিত হইত, তাহাদের অধিনায়কদিগকে ‘সর-ই-লস্কর’ বলা হইত।
সৈন্যবাহিনী চারি ভাগে বিভক্ত ছিল–অশ্বারোহী বাহিনী, গজারোহী বাহিনী, পদাতিক বাহিনী এবং নৌবহর। বাংলার পদাতিক সৈন্যদের বিশিষ্ট নাম ছিল ‘পাইক’, ইহারা সাধারণত স্থানীয় লোক হইত এবং খুব ভাল যুদ্ধ করিত।
পঞ্চদশ শতাব্দীর শেষভাগ পর্যন্ত বাংলার সৈন্যেরা প্রধানত তীর-ধনুক দিয়াই যুদ্ধ করিত। ইহা ভিন্ন তাহারা বর্শা, বল্লম ও শূল প্রভৃতি অস্ত্রও ব্যবহার করিত। শর ও শূল ক্ষেপণের যন্ত্রের নাম ছিল যথাক্রমে “আরাদা” ও “মালিক”। ষোড়শ শতাব্দীর প্রথম দিক হইতে বাংলার সৈন্যেরা কামান চালনা করিতে শিখে এবং ১৫২৯ খ্রীষ্টাব্দের মধ্যেই কামান-চালনায় দক্ষতার জন্য দেশবিদেশে খ্যাতি অর্জন করে।
বাংলার সৈন্যবাহিনীতে দশ জন অশ্বারোহী সৈন্য লইয়া এক একটি দল গঠিত হইত। তাহাদের নায়কের উপাধি ছিল ‘সর-ই-খেল। বুঘরা খান তাঁহার পুত্র কায়কোবাদকে বলিয়াছিলেন, প্রত্যেক খানের অধীনে দশজন মালিক, প্রত্যেক মালিকের অধীনে দশজন আমীর, প্রত্যেক আমীরের অধীনে দশজন সিপাহ্-সলার, প্রত্যেক সিপাহ্-সলারের অধীনে দশজন সর-ই-খেল এবং প্রত্যেক সর-ই-খেলের অধীনে দশজন অশ্বারোহী সৈন্য থাকিবে। এই নীতি ঠিকমত পালিত হইত কিনা, তাহা বলিতে পারা যায় না।
বাংলার নৌবহরের অধিনায়ককে বলা হইত ‘মীর বহর। বাংলার সৈন্যবাহিনীর শক্তি জোগাইত রণহস্তীগুলি। সে সময়ে বাংলার হস্তীর মত এত ভাল হস্তী ভারতবর্ষের আর কোথাও পাওয়া যাইত না।
সৈন্যেরা তখন নিয়মিত বেতন ও খাদ্য পাইত। সৈন্যবাহিনীর বেতনদাতার উপাধি ছিল আরিজ-ই-লস্কর।
আলোচ্য সময়ের বিচার-পদ্ধতি সম্বন্ধে বিশেষ কিছু জানা যায় না। কাজীরা বিভিন্ন স্থানে বিচারের জন্য নিযুক্ত ছিলেন এবং তাঁহারা ঐস্লামিক বিধান অনুসারে বিচার করিতেন, এইটুকুমাত্র জানা যায়। কোন কোন সুলতান স্বয়ং কোন কোন মামলার বিচার করিতেন। অপরাধীদের জন্য যে সব শাস্তির ব্যবস্থা ছিল, তাহাদের মধ্যে প্রধান ছিল বংশদণ্ড দিয়া প্রহার ও নির্বাসন। রাজদ্রোহীকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হইত। কোন মুসলমান হিন্দুর দেবতার নাম করিলে তাহাকে কঠোর শাস্তি দেওয়া হইত এবং কখনও কখনও বিভিন্ন বাজারে লইয়া গিয়া তাহাকে বেত্রাঘাত করা হইত। সুলতানদের “বন্দিঘর”-ও ছিল, কখনও কখনও হিন্দু জমিদারদিগকে সেখানে আটক করা হইত।
স্বাধীন সুলতানদের আমলে শুধু মুসলমানরা নহে, হিন্দুরাও শাসনকার্যে গুরুত্বপূর্ণ অংশ গ্রহণ করিতেন। এমন কি, তাঁহারা বহু মুসলমান কর্মচারীর উপরে ‘ওয়ালি’ (প্রধান তত্ত্বাবধায়ক)-ও নিযুক্ত হইতেন। বাংলার সুলতানের মন্ত্রী, সেক্রেটারী, এমনকি সেনাপতির পদেও বহু হিন্দু নিযুক্ত হইয়াছিলেন।