নায়ক সহায় কথন
পীঠমর্দ্দ বিট বলি চেটক বিদূষক। এই সব ভেদ হয় বিস্তর নায়ক।।
পীঠমর্দ্দ
রমণী করিলে ক্রোধ যে করে সান্ত্বনা। ধর্ম্মধী সচিব পীঠমর্দ্দ সেই জনা।।
রমণীরত্ন সহে না আঁচ : টুটয়ে অগ্নি পরশে কাঁচ : করিতে মান দিবে না স্থান দিবে না স্থান।
কি করে ক্ষোভ সহে আমার : অবলাজাতি মৃদু আকার : জ্বলয়ে বহ্নি নহে সে মান নহে সে মান।।
রস তাপে হিমে বিনাশ পায় : তপনে তাপ শুকায়ে যায় : রসিয়ে মান রবে কোথায় রবে কোথায়।
প্রমদা বন্ধন সংসারেরি : প্রমদা আকার আহ্লাদেরি : সতত রাখহ সুযত্নে তায় সুরত্ন প্রায়।।
বিট
কালশাস্ত্রে যেই জন পরমনিপূণ। বিট বলি তার নাম ধরে নানাগুণ।।
চুমু আলিঙ্গন : কামের দীপন : মন্ত্র তন্ত্র আদি যত।
যাহে নারী বশ : যাহে বাড়ে রস : এমত জানিবা কত।।
বেশভূষা বাস : সন্দেহ সম্ভাষ : নৃত্য গীত নানামত।
ফিরি নানা ঠাঁই : আর কর্ম্ম নাই : আমার এই সতত।।
চেটক
সন্ধান চতুর যেই সময় ঘটক। কবিগণ তার নাম বলয়ে চেটক।।
যখন বিরলে পাব : তখন নিকটে যাব : যদি ক্রোধে গালি দেয় তবু সহে রহিব।
নয়নের ভঙ্গি করি : ফল কিম্বা ফুল ধরি : চারি চক্ষে এক হলে ইসারায় কহিব।।
স্নানেতে যখন যায় : ধরিতে বসন তায় : কৌতুকে কুম্ভীর হয়ে জলে ডুবি রহিব।
দুঃখ বিনা নহে সুখ : দেখিতে সে চাঁদমুখ : গ্রীষ্ম হিম বৃষ্টি বাতে পরাঙ্মুখ নহিব।।
বিদূষক
কিবা রোষে কিবা তোষে যার পরিহাস। বিদূষক তার নাম হাস্যের বিলাস।।
চন্দন কজ্জল রাগ : বদনে যে দেখ রাগ : অপমান এই দেখ মুখে কালীচূণ লো।
দেখ দেখ শোভে কিবা : চাঁদে আলো হেন দিবা : দোহাই দোহাই তোর প্রাণ মোর যায় লো।।
করিয়া পরীক্ষা যদি : রসের তরঙ্গ নদী : দুই জনে ডুবি আইস কে হয় নিপুণ লো।
আপনি দোষের ঘর : পরীক্ষা করিতে ডর : আমার মাথায় দোষ এতো বড় গুণ লো।।