রাষ্ট্রশক্তির ধাঁচায় বাঁচা…
যাদবপুরে গজেনের নজেন ট্রিকের স্টেজ শোয়ের পরে প্রেসিডেন্সীতে মানুষের সার্বিক মুক্তি নিয়ে সারাদিনের সেমিনার আয়োজন করা হয়। রাষ্ট্রশক্তির ধাঁচায় বাঁচা নামের এই সেমিনারে মুখ্য বক্তা অ্যাসিডিশ চন্দ্র। সকলে প্রবল উত্তেজনায় বাল-ব্যাপক টানটান। ট্রিপে আছেন অ্যাসিডিশ নিজে তাঁর ভারচুয়াল নেটোয়ার্কে অনেক বাল-বাংলা গ্রেটম্যানের সমাবেশ ঘটেছে ক্যাম্পাসে। সকলকে শরীরে দেখা যাচ্ছে না। অনেকে বিশ্বাস করছেন তাঁদের উপস্থিতি। অনেকে ভারচুয়াল জগতে অ্যাসিড মেরে ঢুকে এক ঝলক দেখে আসছেন মনীষীদের।
টয়লেটে হিসি করতে গিয়েও দেখা হয়ে যাচ্ছে অনেকের সাথে। এই ডাইমেনশনে থাকতে গেলে মাঝে মধ্যে ছেঁড়া খেঁচা ও হিসির প্রয়োজন তা মনীষীরাও মানেন। সে কারণেই তারা গজেনকে সাপোর্ট করেছেন । মোক্সা মারিজয়ানার ব্যবহার এই ডাইমেনশনে তাঁদেরকে কিছু মাত্রায় সক্রিয় রাখতে পারে এবং তার কোন বিকল্প এখনো পাওয়া যাচ্ছে না……..এক একান্ত আলাপচারিতার এ কথা অদৃশ্য মিডিয়াকে জানিয়েছেন নিবু। সেখানে তিনি গদা-রশিদা-নোরেন-অ্যারিবিন-সিরিমা সকলের মোক্সা-মারিজুয়ানা প্রীতির কথা জানিয়েছেন।
বর্ণেশ্বর এবং সুবার্স্টের কথা এর মধ্যে আসেনি। অ্যাসিডিশ সুবার্স্টের সাথে ভারচুয়াল জগতে কানেক্ট করে বাল-বাংলা ও পৃথিবীর যুদ্ধকালীন ও আপৎকালীন অবস্থা নিয়ে আলোচনা করেছেন এই সেমিনারের আগে। ম্যাডিউ কারো সাথে কোনো আলোচনায় যোগ দেবেন না জানিয়ে দিয়েছেন। ডিজোরিওর দেওয়া ফ্রে’ হুইস্কি ম্যাডিউ সমাদরে গ্রহণ করেছেন আর ডিজোরিওর পরের কবিতার বইয়ের মুখবন্ধ অমিত্রাক্ষর ছন্দে লিখে দেবেন তাও জানিয়েছে। গজেনের কে-রে নামে লেখা কবিতার সংকলনের জন্য কলেজস্ট্রীটের প্রকাশকরা হাঁকুপাঁকু করায় অঁরিয়েৎ তাদের দাবড়ে দেওয়াতে তারা উপর্যুপরি ঘাবড়ে গিয়াছেন।
সকাল দশটা। প্রেসিডেন্সী প্রাঙ্গনে চরসের তীব্র-গোপন গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। কিছু স্থানে সুতীব্র। আর কিছু স্থানে সুতীব্রতর। অ্যাসিডিশ রিমলেস চশমার ফাঁকে রক্তিম ট্রিপ-চোখে একবার এদিক ওদিক দেখে ল্যাব থেকে সেমিনার হলের দিকে যাত্রা করলেন। ভারচুয়াল জগৎ থেকে মিডিয়াম-হীন নেটোয়ার্কে সুবার্স্টের শুভেচ্ছা আসলো। আরো বেশ কয়েকটা শুভেচ্ছা দেখে অ্যাসিডিশ একটু হাসলেন আপন মনে।
সেমিনার উদবোধন হচ্ছে। নিবু আর গজেন বসে আছে মঞ্চে। গজেনকে গাঁদার মালা পরিয়ে সংবর্ধনা দিলেন প্রেসিডেন্সির স্টুডেন্ট ফোরামের ধূর্তরাম মালাকার। তিনি স্বরচিত গজেন-বন্দনা কবিতায় সুর দিয়ে গান রচনা করেছেন। তার দুকলি গাওয়ার অনুমতি নিলেন সকলের থেকে। শুরু হল তাঁর গান:
গজেন তোমার নজেন বাণী মোদের কানে এসেছে জানি
যদিও তাহা কিয়ৎ ফানি তাও কি মোরা তেমন জানি
তোমার ছেঁড়ায় তোমার খেঁচায় বাল-রাষ্ট্র ব্যাপক চেঁচায়
তবু তুমি মানোনি হার খিঁচে ভিজিয়ে দিয়েছ মার
আমরা তোমায় ভুলবো না ভাই আর কোনোদিন
মারবো না গো ধরবো নাগো তোমায় কোনোদিন
তোমার খেঁচায় যাক ভিজে যাক ইন্দো-জাপান-চীন
হিরোসিমায় বোম পড়িলে জাপান মানুষ হবে কবে
গজেন বাঁড়া ওই আকাশে আবার উদয় হবে
রোজ স্বপনে পোঁদ মেরেছ এই সময়ের তুমি
তোমার খেঁচা-মালের ধারায় ধন্য জন্মভুমি
বাঁড়া-খিঁচে উঠছে ভিজে গাইছে ডিজে ঝিন-চা
গজেন তোমার নজেন ট্রিকে মিষ্টি হবে ল্যাংচা….
গজেন ওগো গজেন তুমি বাঁড়া ব্যাপক মাল
বুঝবে তোমার খেঁচার খেলা বাল-দুনিয়া গতকাল….।।
এই গান শুনে সকলের মধ্যে উল্লাস না হয়ে অস্বস্তির সৃষ্টি হয়। প্রেসিডেন্সীর ভিসি ভদ্রমহিলা…..করে আসি হিসি… বলে ওয়াশরুমের দিকে দৌড়ে যান। এক বহিরাগত ছাত্র হাই ট্রিপে জামাকাপড় খুলে ফেলে। দেখা যায় ব্রা ও প্যান্টি পরে সে ধীরে ধীরে এগিয়ে আসে গজেনের দিকে। গজেনের সাথে ফোর-প্লে করার ভঙ্গিতে সে অ্যাসিডের প্যাকেট তুলে দেয় দাঁতে কামড়ে তার পানে। গে নাকি… গে নাকি… ধ্বনিতে চারপাশ ফেটে যায়। সকলে চিনতে পারে সে গজেনের প্রচণ্ড অণ্ড-কোষ ভক্ত সমবিঘ্ন।
ভিসি পুলিশ ডাকেন । তিনি বলেন খেঁদিও আসতে পারে এই জমায়েতে মনীষীর হিসির সাথে ছবি তুলে ভোট ব্যাঙ্ক আর স্ক্যাম ব্যাঙ্ক ভ্যালু অ্যাড করার জন্যে। এক ছাত্র তাকে প্রশ্ন কারায় এর আগে তিনি খুব ইনসাল্টেড ফিল করেন। তারো আগে এক অধ্যাপক তাঁকে ও তাঁর প্রেমিক-সম এক রাজনৈতিক চোদনার কার্টুন আঁকায় তিনি তাকে মাওবাদী আখ্যায়িত করে জেলে ঢোকান। তা নিয়ে ট্রিপ মেরে অনেকে বালের সি এম বলে রাস্তায় ভুখা হরতাল করার হুমকিও দেন। তারপরে অনেক অ্যাসিড দিয়ে সকল ছাত্র ও শিক্ষকদের ফ্রিজ-ঠাণ্ডা করে দেওয়া হয়। কলকাতা ও বাংলাদেশের সকল বাল-পন্থী ও বাল-জীবিগণ মাঝে মধ্যেই খেঁদিকে টাইট দেবেন বলে গাঁজার-জয়েন্ট গরম করে দেন ছাত্রদের আর তারপর তারাই খেঁদির উপদেষ্টা হন কি করে ছাত্র বিপ্লব ঠাণ্ডা করে ভোটের আণ্ডা পেড়ে ছানা-ক্যাডার বানাতে হয়।
এ সকল নিয়ে কিছু কচি-ছাত্রী হাই ট্রিপে ডিসকাস করতে থাকে সেমিনার হলে। সকলেই হাই ট্রিপে উল্লসিত। পুলিশ আসার কথা শুনে অ্যাসিডিশ ভারচুয়াল জগতে হাওয়া হয়ে যান এক লহমার জন্যে। তারপরে মিত হাসিতে ফিরে আসেন। সকলকে বলেন পুলিশ এসে ছিঁড়বে। তোরা ঘাবড়াস না বাঁড়া। সেমিনার শুরু হোক প্রপারলি।
রিয়্যাল-ভারচুয়াল সাম্য ফিরে আসতে পৃথিবীর হিসেবে তিন মাস লাগে। অ্যাসিডিশ বলেন দু সেকেণ্ডের ব্যাপার বাঁড়া ধৈর্য্য ধরে বোস। আমিও বোস। সুবার্স্ট বোস এতে চিন্তার কিছু নেই। এক ছাত্র বোস সাউণ্ড সিস্টেম চালু করে অ্যাসিডিশের পুরোনো বক্তৃতা সকলকে শোনাতে থাকে। কিয়ৎকাল পরেই সেমিনার শুরু হয়। বলতে থাকেন অ্যাসিডিশচন্দ্র:
মাউ ডিয়ার গায়েজ আর ফ্রেণ্ডস। অনেকে অনেক মাড়িয়েছেন এই সভ্যতার জন্য। অনেক কাল ধরে একটা বেটার কমিউনিকেশন ভারচুয়্যালি করবার চেষ্টা আমিও করেছি। অনেক রাত জেগে ব্যাপক মাড়িয়েছি। অনেক রকম ওয়েভ লেংথে ল্যাং-লাথি মেরে গেছি…গাঁড় মারা গেছে আমার গবেষণার। তা আজ বিশ্ববাসী সকলে জানেন। গাঁড় মারা গেছে সুবার্স্টের বিপ্লবের, অফিসিয়ালি। নোরেনের ওঠো জাগো শুনে সকল বাল উঠে হাগতে গেছেন। বর্ণেশ্বর চন্দ্রকে অনেক বাল অনেক ভাবে ফাঁসিয়েছে। ম্যাডিউর ভিশন বাঙালি ও পৃথিবীর গাঁড়ে সহ্য না হয়ে কুটকুট করেছে। সবাই জানে আমরা কেউ বাল না। কিন্তু এই প্রাতিষ্ঠানিক প্যানপেনে পোঁদে হুড়কো আমাদের কাজ বাঁড়া কারো কাজে লাগতে দেবে না। এ বিষয়ে নতুন করে কিছু ফেনাতে চাই না। লেটেস্ট মাড়ানোতে যে ভারচুয়্যাল লেয়ার তৈরি হয়েছে তাতে শরীর-থ্রি-ডাইমেনশনের কোনো মেনশন নেই। ফেসবুক-চোদানোতে সবাই ব্যস্ত। সেখানেও ডেটা নিয়ে বাল-ব্যবসা হচ্ছে ও হবে। মানুষ থ্রি-ডির বাইরে না গেলে স্টেট-পাওয়ার তার গাঁড়ে লেগে থাকবে। মানুষের গাঁড়-রক্ত ছাড়া কোন স্টেট-সিস্টেম চলবে না বাঁড়া। গোটা পৃথিবীর এটাই সমস্যা। মিনিংফুল ফিউচারিসটিক কমিউনিকেশন। আজ বালের বিপ্লবের ব্যাপক ভ্যালু। আমারা বাঁড়া বিপ্লব-চোদাই আর আর্ট ইমপ্লিমেন্টেশনের বাল-খিঁচি। দিনের শেষে মাল পড়ে যায় মাটিতে। সংবিধানের উপর খিঁচে ফেললে তাও সংবিধানকেই ইম্পরট্যান্স দেওয়া হয়। বালের সংবিধানের ভারচুয়্যালে কোনো ইম্পরট্যান্স নেই। বোকাচোদা স্টেট লিডার গুলো ফুল স্টুপিড।
এই ভার্সিটির যত চোদনা ভিসি-ফিসি আছে সব পলিটিক্যাল গাঁড়ে ফুল-মোডে ঢুকে বসে আছে। বাল ছেঁড়া যেখানে একমাত্র কাজ তা লুকিয়ে করা মানে ফাংশানাল টাইম ওয়াস্ট। টাইম আর স্পেস কোনো আলাদা সাবজেক্ট না। যেমন আশিব-আকালী এক। নোরেন আমায় ভারচুয়্যাল মেসেজে কাল রাত্রে বলেছেন এই পয়েন্টটা কভার করতে। ইয়া নোরেন। আই মেড ইট। কুদোস টু ইউ। নিবু-গজেন এখানে আছেন। নিবু প্রমিস করেছেন খেঁচা-ছেঁড়া আর্ট স্কুল হবে। ম্যাডিউ-অঁরিয়েৎ গজেনকে নিয়ে ইন্টার ন্যাশনাল প্ল্যাটফর্মে প্রেজেন্ট করছেন। আমরা সক্কলে এই বাল-ছেঁড়া ভারচুয়্যাল সিম্বলিক ট্রিটমেন্ট কেন মাড়াচ্ছি? শুধু খিঁচতে ও ছিঁড়তে ভালো লাগছে বলে নাকি বাঁড়া? এর লজিক আর কমিউনিকেশনের কেসটা ক্লিয়ার না হলে ছিঁড়ে কোন লাভ নেই।
দূর বাঁড়া…..স্পেস টাইম এ ভারচুয়্যাল ডেটা শেষ হয়ে গেল। এপাশেও বিজনেস হাই। সব বাঁড়া করাপ্ট হয়ে যাচ্ছে। আরো কিছু বলার ছিল। এনিওয়ে শেষ করতে হচ্ছে…… কিপ হ্যাণ্ডেলিং এণ্ড ট্রিপিং সিরিয়াস….. থ্যাংকস ফ্রেন্ডস লাভ ফর অল ইনক্লুডিং গিরি মাতাল। গজেন ড্রামা দেখবো। সাম ডে ইন কেস টাইম-স্পেস পারমিটস….। কিপ ট্রিপিং এণ্ড ডোপিং. ধুর বাঁড়া ভারচুয়্যাল ডেটাও শেষ…..।
ভারচুয়্যাল ডেটা লিমিট শেষের কারণে আর শোনা যায় না অ্যাসিডিশের লেকচার। সেমিনারের বাকী অংশকেও স্থগিত রাখতে হয়। সকলে গ্লোবাল পলিটিক্সের মা-ঠাকুমা-দাদু-দিদা-চোদ্দ-গুষ্টি চোদাতে চোদাতে গাছতলায় গাঁড়মারি ডোপ পয়েন্টে বসে অ্যাসিড-চরস ফুঁকতে যায়। আচ্ছে কোয়ালিটি লাল-প্যাকিট হ্যায় মেরে পাস….কিসিকো চাহিয়ে তো বোলনা বলে এক টাকমাথা বৃদ্ধ ঘাসের উপর বসে পড়েন খুব হালকা-পালক ভঙ্গিতে। নিবু গজেন পাশ দিয়ে যাবার সময় নিবু গজেনকে কনুইয়ের গঁতো মারে….সুবার্স্ট স্যর…..আই মিন গুমনাম বাবা। টেক সাম ব্লেসিং গজ…..।
গজেন গুরু বলে খেঁচা শুরু করতে গিয়ে থমকে যায়…এক তরুণ ছাত্র অনেক পুরোনো দিনের অ্যান্টিক পোশাক পরে উদাস চোখে তাকিয়ে বসে আছে…..কোথায় টাকমাথা বৃদ্ধ……..ছাত্রটি গজেনকে দেখে হাসে….কি বস আজকাল তো ফাটিয়ে দিচ্ছ খিঁচে ছিঁড়ে সেলিব্রিটি…..বেশি মাল ফেলো না….খিঁচে খিন্ন হয়ে যাবে……….ট্রিক শিখে নিও…….একবার দর্শনেশ্বর হয়ে এসো…..। গজেন অবাক চোখে নিবুর দিকে তাকায়। নিবু তখন ধ্যানস্থ. দাঁড়িয়ে……বিড়বিড় করে বলে মাস্টার আই কুড সি হিম……এগেইন….।