মোক্সা রেনেসাঁ – রোদ্দূর রায়
প্রথম ই-বুক সংস্করণ জুন ২০২০
প্রচ্ছদ – রোদ্দূর রায় ও ইভনিং সাগা
প্রকাশক – স্বাতী রায়চৌধুরী
সপ্তর্ষি প্রকাশন
উৎসর্গ
.
শুরুয়াৎ
রেনেসাঁবালগঙ্গাধরবাঁড়া
পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে লেখক অসুস্থ। চট করে অ্যাম্বুলেন্স, ইঞ্জেকশন, স্যালাইনবাতাপিলেবুমাপকাঠি রেডি রাখুন। কারণ এই রোগ সংক্রামক। অচিরেই আপনার গাহাত পামাথা ঠাণ্ডা হয়ে আসবে- মাথা গরমবিচি বা যোনিস্ফুলিঙ্গ যা আছে সাবধানে রাখবেন। কিছু হয়ে গেলে কর্তৃপক্ষ কিছুই করতে পারবেন না। এমনিতেই তাঁরা আমাদের পাছাচ্ছোদন ছাড়া বিশেষ কিছুই করেন না। যাকগে এইসব ছাইপাঁশ গন্ধবিশ্রী চিলচিৎকার অনলাইন অনাচার হচ্ছে হোক সেটা আবার বই হচ্ছে ছাপা হচ্ছে উদ্বোধন চুদ্বোধন গন্ধমাদন সব হচ্ছে এই দেখে গাণ্ডু ভেরি হ্যাপি কেন না এটাই তো সে চেয়েছিল। গণক্যাওস। মেগাদুর্ব্যবহার। এক গামলা হলুদ হিসু।
চমৎকার মাখোমাখো লেখা — যেন সারি দিয়ে পিঁপড়ে হেঁটে যাচ্ছিল হঠাৎ তাদের গায়ে বিয়ার আর পায়েস। ওদিকে আততায়ীর আবার এগজিস্টেনসিয়াল ক্রাইসিস। কারণ জীবে প্রেম ইত্যাদি। ল্যাবড়ালেবড়ি কেস। কিছু নিহত পিপীলিকা খোঁড়াতে খোঁড়াতে আহত চোখে তাকিয়ে গিল্ট ট্রিপ দেয়। সেরকমই লেখা এটা কিম্বা ধরুন, আন্তর্জাতিক বিমান সফরে পাশে বসা এক হেগো বাচ্চা। যার সুন্দরী সেক্সি মা একা একা যাচ্ছেন বহুদূর। অগত্যা বাচ্চা এবং তার ডাইরিয়া দুটোই আপন করে নেওয়া এবং হাগামাখা বাঁকাহাসি দেওয়া ছাড়া আর কী করার আছে? এটাও সেই রকম কেস।
মোক্সা গাঁজার বিজ্ঞাপনও বলা যায়। না, না, বিজ্ঞপিন। আপামর বাঙালির কাছে গাণ্ডুর সবিনয় নিবেদন চট করে একটা বানিয়ে ফেলুন এবং ফট করে ঢুকিয়ে নিন নিজেকে। মোক্সামন্দিরে। ঘণ্টা বেজে গেছে। লে পাগলু ডান্স।
এতো গল্প নয়। এ সত্যি। পাতাভর্তি হিজিবিজি সত্যির ঘণ্ট। উপাদেয় পদ্য সমাহার। গদগদ গদ্যের গদাঘাত। সেক্স ভায়লেন্স ইশ্বর কালকেউটে কাদম্বিনী সব আছে। মশলা মোক্সা বই। লেখক শয্যাশায়ী দারুণহাই রোদ্দুর ভাই। রোজ রাতে গান করে যে চোর এবং চৌকিদার তাড়ায়। যার বাড়িতে কাকেরা আর বসে না। শকুন ও শেয়ালের সঙ্গে যার ঘোর গলাগলি। নিতান্তই নিরীহ নিঃস্বার্থ সমাজসেবী এবং সেরা বাঙালি উইনার। কী ভাবে হাতের বাইরে চলে গেল ব্যাপারটা সেটা কেউ নিশ্চিত ভাবে এখনও বুঝতে পারেনি, বোঝাতে পারছে না। একদিকে নির্মমবাবা ওরফে মোদীকাকা অন্যদিকে এই মর্মান্তিক অবস্থা বাঙালির কালচারের। লজ্জায় মুখ দেখানো মুশকিল মোদীমুখোশ পরে ঘুরে বেড়াচ্ছে সব জোচ্চোর। কে বাঙালি কী বাঙালি সব লেবেড়েল্যাওড়া। এমতাবস্থায় এই পুস্তক আমাদের অন্ধের যষ্টি বামফষ্টিনষ্টি স্বপ্নদোষটি হয়ে দাঁড়াবে এটা অবশ্যম্ভাবী বেবি। সব চাড্ডি জ্বালিয়ে দাও, পুড়িয়ে দাও, বিষাক্ত পুরুষদণ্ড ফিরিয়ে দাও আমাদের বাংলা ভাষা আমাদের প্রাণের খিস্তি খেউড় বৃষ্টি হয়ে ঝরুক ভেসে যাক ক্লাসিক মডার্ন পোস্ট ও পোস্ত সব সাহিত্য। আবার লেখা হোক ইতিহাস। ভেসে যাক পাতিহাঁস। হাসতে হাসতে উদার হৃদয় অণ্ডকোষ ফেটে যাক ইস্কুলের শিশুদিগের — কলেজ প্রাঙ্গণ রাঙা হয়ে উঠুক প্রতিবাদী ন্যাপকিনে।
ডেমোক্র্যাসির ডিমে তা
নাগরিক তুই দিয়ে যা
গাণ্ডু বলে গভর্মেন্টের
সব ঢপ তুই গিলে খা
কাসা ফনসেকা, সকলওয়াডো,
গোয়া
১৩.১২.১৯
.
মোক্সা-রেনেসাঁ শিরোনামের এই লিখিত অংশটি একটি পূর্ণ কাল্পনিক ও মনস্তাত্ত্বিক অবচেতন-জাগতিক স্বপ্ন-আখ্যান। এই লিখিত অংশের সমস্ত স্থান-কাল-পাত্র, চরিত্র, পার্শ্ব-চরিত্র, ঘটনা, সংলাপ, কাহিনি, আখ্যান-সম্প্রসারণ, কাহিনি-পরিণতি প্রবলভাবে অতি-কাল্পনিক। বাস্তব ঘটনা, মৃত বা জীবিত কোন ব্যক্তি বা ঘটনার সহিত কোনোপ্রকার সম্বন্ধ বা সম্পর্ক একান্ত দৈবিক।
মোক্সা রেনেসাঁ – রোদ্দূর রায়
প্রথম ই-বুক সংস্করণ জুন ২০২০
প্রচ্ছদ – রোদ্দূর রায় ও ইভনিং সাগা
প্রকাশক – স্বাতী রায়চৌধুরী
সপ্তর্ষি প্রকাশন
উৎসর্গ
শুরুয়াৎ
রেনেসাঁবালগঙ্গাধরবাঁড়া
পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে লেখক অসুস্থ। চট করে অ্যাম্বুলেন্স, ইঞ্জেকশন, স্যালাইনবাতাপিলেবুমাপকাঠি রেডি রাখুন। কারণ এই রোগ সংক্রামক। অচিরেই আপনার গাহাত পামাথা ঠাণ্ডা হয়ে আসবে- মাথা গরমবিচি বা যোনিস্ফুলিঙ্গ যা আছে সাবধানে রাখবেন। কিছু হয়ে গেলে কর্তৃপক্ষ কিছুই করতে পারবেন না। এমনিতেই তাঁরা আমাদের পাছাচ্ছোদন ছাড়া বিশেষ কিছুই করেন না। যাকগে এইসব ছাইপাঁশ গন্ধবিশ্রী চিলচিৎকার অনলাইন অনাচার হচ্ছে হোক সেটা আবার বই হচ্ছে ছাপা হচ্ছে উদ্বোধন চুদ্বোধন গন্ধমাদন সব হচ্ছে এই দেখে গাণ্ডু ভেরি হ্যাপি কেন না এটাই তো সে চেয়েছিল। গণক্যাওস। মেগাদুর্ব্যবহার। এক গামলা হলুদ হিসু।
চমৎকার মাখোমাখো লেখা — যেন সারি দিয়ে পিঁপড়ে হেঁটে যাচ্ছিল হঠাৎ তাদের গায়ে বিয়ার আর পায়েস। ওদিকে আততায়ীর আবার এগজিস্টেনসিয়াল ক্রাইসিস। কারণ জীবে প্রেম ইত্যাদি। ল্যাবড়ালেবড়ি কেস। কিছু নিহত পিপীলিকা খোঁড়াতে খোঁড়াতে আহত চোখে তাকিয়ে গিল্ট ট্রিপ দেয়। সেরকমই লেখা এটা কিম্বা ধরুন, আন্তর্জাতিক বিমান সফরে পাশে বসা এক হেগো বাচ্চা। যার সুন্দরী সেক্সি মা একা একা যাচ্ছেন বহুদূর। অগত্যা বাচ্চা এবং তার ডাইরিয়া দুটোই আপন করে নেওয়া এবং হাগামাখা বাঁকাহাসি দেওয়া ছাড়া আর কী করার আছে? এটাও সেই রকম কেস।
মোক্সা গাঁজার বিজ্ঞাপনও বলা যায়। না, না, বিজ্ঞপিন। আপামর বাঙালির কাছে গাণ্ডুর সবিনয় নিবেদন চট করে একটা বানিয়ে ফেলুন এবং ফট করে ঢুকিয়ে নিন নিজেকে। মোক্সামন্দিরে। ঘণ্টা বেজে গেছে। লে পাগলু ডান্স।
এতো গল্প নয়। এ সত্যি। পাতাভর্তি হিজিবিজি সত্যির ঘণ্ট। উপাদেয় পদ্য সমাহার। গদগদ গদ্যের গদাঘাত। সেক্স ভায়লেন্স ইশ্বর কালকেউটে কাদম্বিনী সব আছে। মশলা মোক্সা বই। লেখক শয্যাশায়ী দারুণহাই রোদ্দুর ভাই। রোজ রাতে গান করে যে চোর এবং চৌকিদার তাড়ায়। যার বাড়িতে কাকেরা আর বসে না। শকুন ও শেয়ালের সঙ্গে যার ঘোর গলাগলি। নিতান্তই নিরীহ নিঃস্বার্থ সমাজসেবী এবং সেরা বাঙালি উইনার। কী ভাবে হাতের বাইরে চলে গেল ব্যাপারটা সেটা কেউ নিশ্চিত ভাবে এখনও বুঝতে পারেনি, বোঝাতে পারছে না। একদিকে নির্মমবাবা ওরফে মোদীকাকা অন্যদিকে এই মর্মান্তিক অবস্থা বাঙালির কালচারের। লজ্জায় মুখ দেখানো মুশকিল মোদীমুখোশ পরে ঘুরে বেড়াচ্ছে সব জোচ্চোর। কে বাঙালি কী বাঙালি সব লেবেড়েল্যাওড়া। এমতাবস্থায় এই পুস্তক আমাদের অন্ধের যষ্টি বামফষ্টিনষ্টি স্বপ্নদোষটি হয়ে দাঁড়াবে এটা অবশ্যম্ভাবী বেবি। সব চাড্ডি জ্বালিয়ে দাও, পুড়িয়ে দাও, বিষাক্ত পুরুষদণ্ড ফিরিয়ে দাও আমাদের বাংলা ভাষা আমাদের প্রাণের খিস্তি খেউড় বৃষ্টি হয়ে ঝরুক ভেসে যাক ক্লাসিক মডার্ন পোস্ট ও পোস্ত সব সাহিত্য। আবার লেখা হোক ইতিহাস। ভেসে যাক পাতিহাঁস। হাসতে হাসতে উদার হৃদয় অণ্ডকোষ ফেটে যাক ইস্কুলের শিশুদিগের — কলেজ প্রাঙ্গণ রাঙা হয়ে উঠুক প্রতিবাদী ন্যাপকিনে।
ডেমোক্র্যাসির ডিমে তা
নাগরিক তুই দিয়ে যা
গাণ্ডু বলে গভর্মেন্টের
সব ঢপ তুই গিলে খা
কাসা ফনসেকা, সকলওয়াডো,
গোয়া
১৩.১২.১৯
.
মোক্সা-রেনেসাঁ শিরোনামের এই লিখিত অংশটি একটি পূর্ণ কাল্পনিক ও মনস্তাত্ত্বিক অবচেতন-জাগতিক স্বপ্ন-আখ্যান। এই লিখিত অংশের সমস্ত স্থান-কাল-পাত্র, চরিত্র, পার্শ্ব-চরিত্র, ঘটনা, সংলাপ, কাহিনি, আখ্যান-সম্প্রসারণ, কাহিনি-পরিণতি প্রবলভাবে অতি-কাল্পনিক। বাস্তব ঘটনা, মৃত বা জীবিত কোন ব্যক্তি বা ঘটনার সহিত কোনোপ্রকার সম্বন্ধ বা সম্পর্ক একান্ত দৈবিক।
Leave a Reply