যেখানে যেমন সেখানে তেমন…

যেখানে যেমন সেখানে তেমন…

কচি শিশু-বয়সে বুড়ো পাগলা-ট্রেনি-পূজারী-সাধুর সাথে ব্যাপক আধ্যাত্মিক বিয়ে। প্রচণ্ড ডিপ্রেশন সারা জীবন তাড়া করায় মিস্টিক-মাতা হওয়া ছাড়া কিছুই করার থাকে না রশিদার। টাকা-মাটি মাটি-টাকা শুনে শুনে টাকার প্রতি কৌতূহল বেড়ে-কমে নিউট্রাল হয়ে মাতাজীর তকমায় ক্যালেণ্ডার মেটেরিয়াল হয়ে যাওয়ায় সংসার-সুখের ফুল-চোদন হয়ে যায় রশিদার।

সমতা আজকাল ঘ্যানঘ্যান করেন টাকা দাও টাকা দাও করে। সিবিআইয়ের জেরায় অনেক বার যেতে হয় হিল্লী-দিল্লী। নোরেন-গিরি সকলে ম্যা-ম্যা করে অস্থির করে তোলে রোজ সকাল সন্ধ্যায়। লাল-পাড় সাদাশাড়ি পরে মাঝে মধ্যেই উদাস হয়ে বসে থাকেন। কিছুই ভাল্লাগেনা রশিদার। প্রচুর লোক তাঁর ব্র্যাণ্ড-ইমেজ ভাঙানোয় নিজের ব্র্যাণ্ড ছেড়ে আজকাল গ্রামের মানুষের সেবা করার চেষ্টা চালাচ্ছেন। তাও সেবার নামে টাকা-চিটিং এ ফেঁসে যেতে হল এই খেঁদি-ফিদির পাল্লায় পড়ে। চোদনা-মদনা সকলে ব্যবহার করে গেছে তাঁর সতী-স্বাধী ইমেজ। বিয়ে-সন্তান-যৌনতার স্বাভাবিক সুখ থেকে বঞ্চিত হয়ে কখনো ঠাকুরের হুঁকো সাজা কখনো এক দঙ্গল পাগল ছেলের পাগলামি সামলানো নিয়ে দিন কাটান রশিদা। জয়রামঘটির রাম নিয়েও ভিজেপি হুল্লোড় করায় একবার পুকুরে বা কুয়োতে ঝাঁপ দেবেন মনস্থির করেন।

কিন্তু ঠাকুর আকালীর থেকে বারে বারে সব জানতে পেরে চেল্লামেল্লি শুরু করেন মাঝরাতে উঠিয়ে পুজোর ছলে। …তুমি যে মা তোমাকে সব সইতে হবে… বার বার বলায় গোয়েবলসের নীতিতে নিজের মাতৃ-মূর্তির প্রতি মানিকের দেবী ছবির শর্মিলার মত আসক্ত হয়ে পড়েন রশিদা। তারপরে এই স্ক্যাম-সিবিআই-টিভি-চ্যানেলের চোদনা-মদনা উৎপাত। আর পারেন না রশিদা। নিজের হাতে ভাঙের নাড়ু বানিয়ে ধ্যানের আগে খাওয়ান সবাইকে। সকল কথায় ডেকে ডেকে পাগল করে দেন পাগল ঠাকুর। এক হৃদে একটু বোঝে তাকে। তার সাথে দুদণ্ড কথা বলে শান্তি আর ওই বিদেশি মেয়েটা নিবু সেই বোঝে তাঁর দুঃখের কথা।

মা, তুমি খুব ভালো… মানে… মা তোমার মতো স্যাক্রিফাইস করতে পারলে আমি অনেক বড় হিস্ট্রি হয়ে যাবো..মাঝে মাঝে বলে নিবু। তিনিও নিবুর মাথায় বাসি জবাফুল রেখে বলেন তোর মত দেশ ছেড়ে পাগলের পাল্লায় পড়লে তো সবাই ইতিহাস হয়ে যাবে রে পাগলি।

এক দল পাগল ছেলের পাগলামি আর সন্ন্যাসী-ভারত-সমাজ-ইতিহাস হবার প্রচণ্ড লোভ নিজের হাতে সামলে যাচ্ছেন কত্ত বছর হলো। কেউ তাঁর ছবি দেওয়া ক্যালেণ্ডার দিলে হাসিমুখে নিয়ে নেন আর পরে রাতে সেই ক্যালেণ্ডার জ্বালিয়ে কাগজ পোড়া গন্ধ-শুঁকে নিজের জীবনের আজব-গ্লানি-সাফল্য ভাবতে বসেন মা-রশিদা। এত্ত-গুলো গরীব মানুষের টাকা নিয়ে দেশের কি ভালো হবে তা সমতাকে একবার জিজ্ঞেস করলেন। সে ক্ষ্যাপা মাগী এমন ঝাঁঝিয়ে কঁকিয়ে মড়া-কান্না জুড়ে দিল যে শেষে তাকে নিজের হাতে ছাগলের দুধ খাইয়ে বললেন, তুই আকালীঘাটে যা মা… তোর ওই চোদনা-মদনাদের সাথে। এখানে যা অবস্থা করেছিস আমার নাম ভাঙিয়ে লোকের কাছে আর মুখ দেখাবার অবস্থা রাখলি নে।

রদা-স্বামী পাগল-ঠাকুরকে বলেছিলেন দূর করে দাও এইসব পলিটিক্যাল মাগীকে। এ তোমার ইমেজের সব্বোনাশ করছে। রদা ঠাকুর হুঁকো ফুঁকে হ্যা-হ্যা হে-হে হেসে বললো, কি আর করবে বলো ওর তো কেউ নেই… তোমারি মতো… এই সব মানুষের গাঁড় মেরেই চলবে মাগী যে কদিন আছে। আর কি বা করবে? ইন্দিরাটা তো গুলি খেয়ে মলো। এ যে কবে কি করে মরে তাই ভাবি।

রশিদা এবার সিরিয়াস হয়ে যান, সত্যি এত্ত টাকা নিয়ে তছরূপ করে কি করে বাঁচবে বলো? যত পাপী তাপী নিয়ে তোমার এ খেলাই বা আর কতদিন চলবে? মন্দিরের কি অবস্থা হয়েছে! রোজ রোজ কি ভীড়! আর আসেও যত বাল-বানচোদ যখন তখন মন্দিরে। রাসরানির উচিৎ এখানে সবার ঢোকা বন্ধ করে দেওয়া। আর তোমার আমার নাম নিয়ে এই যে অসভ্যতা চলছে তার কি হবে? সব চোর-গুণ্ডা-লম্পট-মাতালজোচ্চোরগুলো তোমার আমার নাম নেয় আর পাপ করে যায়। রদা হিহিহি হেসে বলেন, সব শালা বোকাচোদা…যা মা করাচ্ছেন ওরা তাই করছে ওদের এ জীবনে এই করতে হবে গো….সবাই কি আর তোমার মতো, নরেনের মতো পুণ্যাত্মা? তুমি শান্ত হয়ে এ- হুঁকো খাও গো মাথাটা ঠাণ্ডা হবে।

মায়ের প্রসাদ খাও আর বাবার প্রসাদ খাবেনি? বাবা যে রাগ করবেন রশি। রশি উৎসাহে বলেন আমি খাবো হুঁকো? সত্যি?

রদা উৎসাহ দেন কেন খাবে নি রশি? কি ক্ষেতি হবে হুঁকো খেলি বল দিকি? শালা নোরেনটা আজকাল কত্ত ভালো ভালো জিনিস খায়। আমি তো সেদিন গিরি আর বিনুদিনী কেও দিলেম। ওহো ওই বিনুদিনী মাগীটাকে বেশি আস্কারা দিও না গিরির মাথাটা একটু ভালো হচ্ছিলো। সেও তো বিনু-বিনু করে গেল সারা দিন। থেটার আর বিনু, থেটার আর বিনু। থাক তুই তোর থেটার নিয়ে এখানে এসে এত্তো ভক্তি মাড়াস ক্যানো আবাল-ছাওয়াল-মাগী সবকটা। গদা আবার হিহিহি করে হাসেন….তুমি তো এদের মা গো রশি তোমার এত্ত রাগ করলে কি চলে গো?

সংসার নেই ছেলেপুলে নেই পাগল ঠাকুর কে বিয়ে করে লেজেণ্ড-ক্যালণ্ডার-মা এইসব হয়ে গেলাম । আর কি আছে আমার জীবনে? দাও তোমার ওই ভালো জিনিস ফুঁকি আর একটা ভালো ফিলিম দেখি আজ রাতে। গদা হেহেহে করে বলেন হ্যাঁ রশি ভালো জিনিস মাতৃ-ভাবে গেলো তবে আজ রাত্রে তো তোমার পুজোর আয়োজন আছে গো। মা বলেছেন আজ রাতে তোমার পুজো করতে। আবার পুজো. আমি পারিনা অতক্ষণ ঠায় বসে তোমার ধুতি-জামা খুলে ছাইমাখা নৃত্য দেখতে। তোমার মা বলেছেন তুমি তাই নিয়ে থাকো আমার মাথা-ঘুমের বারোটা বাজিওনা যত্ত পাগল ঠাকুরের পাল্লায় পড়ে জীবন কালি হয়ে গেল। এখন আবার সিবিআই পোঁদে লেগেছে। কি কাণ্ড বাবারে! দাও এবারে দাও ভালো জিনিস ফুকি।

গদা ধুতির খুঁট থেকে খুলে বাড়িয়ে ধরেন মোক্সা মারিজয়ানার প্যাকেট। দেখেই চিনতে পারেন রশিদা। বলে ওঠেন এ বাবা…এতো নোরেন আর নিবুর কাছ থেকে নিয়ে আমি অনেকদিন ধরে খাই। না হলে আর তোমার তিন প্রহর ধরে অং বং সহ্য করি কি করে? শালা! আমাকে আর কি নতুন জিনিস দেবে তুমি। রদা ছুটে যান মায়ের মন্দিরে। এই ছিলো তোর মনে মা এই ছিলো! তুই আমাকে না জানিয়ে তোর মেয়েকে সব ভালো জিনিস দিয়ে দিলি? তারপরে মাটিতে ধড়াম পড়ে সুপার-সমাধিপ্রাপ্ত হয়ে যান। বিড়বিড়িয়ে বলতে থাকেন মাঝে মাঝে অবিকল ফার্স্ট ডিগ্রি কোমা-পেশেন্টের মতো মা-রিজুয়ানা….মা-রিজুআনা…মোক্ষ চাই না মাগো…আমায় দে মা মারিজুয়ানা করে….আমায় দে মা পাগল করে…আমায় দে মা…আমায় দে মা….। রশিদা মুচকি হেসে শাড়ির খুঁট থেকে নিবুর দেওয়া মোক্সা-গাঁজার একটু নিয়ে তার সাদা দাড়িতে মাখিয়ে দিয়ে শান্তির হাসি হেসে বলেন, আজ রাত্রের জন্য নিশ্চিন্ত। একটা ফিলিম দেখি ল্যাপটপে। মোক্সা-গাঁজা জিও পাগলা! জিও পাগলা শুনে হঠাৎ উঠে বসেন ঠাকুর। তোমার আশীর্বাদে আবার জীবনের পথে ফিরে এলাম গো। কোথায় নিয়ে যাচ্ছিলে গো। তুমিই তো মায়ের অংশ।

দেখ, এই সকল বোকাচোদা বাঙালি এতো আমাদেরি ছেলে-পুলে-নাতিপুতি আর গাঁড়ে দেওয়া বংশ। একটা ফোঁস-ক্ষুদ্র নিঃশ্বাস ফেলে রশিদা-মা বললেন। ওফ…..পরিমাণটা বড্ড কম দিয়েছি গো পাগলা। আরেকটু বাড়িয়ে দিতে হতো.। গদা বলেন….হ্যাঁগো রশি একটু বড় করে একটা হুঁকো সেজে আনো। দুজনে মিলে ফুঁকি….ফিলিমটা আমিও দেখি…তারপর রাত্রে তোমার পুজো হবে গো। মায়ের আদেশ গো রশি। অমান্য করি আমার কি সাধ্যি…..। দুজনের মুখে হাসি ফোটে….মূর্তি হতে দক্ষিণা কালী নিঃশব্দে খিলখিল হাসি হাসেন….ভাবেন….সক্কল মোক্সাখোর একত্রে জোটে। রদা আবার লাফিয়ে ওঠেন…মা কি বললো গো রশি… মা কি বললো…..তারপর সমস্বরে দুজনে জয় মা বলে ভাসান তরী! জয় মোক্সা মারিজয়ানা…..।।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *