যত পাপ তত কেচ্ছা…
বিড়েমাথা ও খেঁদির ক্যাওড়া হবার পরে পাঠকের প্রতি খেঁদির তুমুল ক্রাশ বাড়তে থাকে। ভবানী পাঠক বিড়েমাথাকে সাইড করে খেঁদির তৃষ্ণার্ত ক্ষমতা-আঁখির সামনে নিজের জাঙিয়াকে আরো মেলে ও উঁচিয়ে ধরার চেষ্টায় অন্যপ্রকার ব্যায়াম সুরু করে। খেঁদির সকল চুদির ভাই ও চেলাগণ ভবানী ভবানী আওয়াজ তুলে ভবানীকে এক মহৎ স্থানে তুলে ধরে ইতিহাস বানিয়ে ফেলে রাতারাতি। খেঁদি ভবানীকে ভবানী ভবন তো তোরি বানচোদ বলে আলুবখরা নুন মাখিয়ে স্বহস্তে খাইয়ে দেন।
রশিদা এ সব দেখে রদা-ঠাকুরের কাছে দৌড়ে গিয়ে বলেন কিছু একটা কর গো। ওই পলিটিক্যাল মাগিটা তো পাঠকের সব্বোনাশ করতে চলেছে। রদা-ঠাকুর হুঁকোতে গাঁজা ফুঁকে বলেন…… পাঠকের সব্বোনাশ না করলে আর ইতিহাস লেখার কি মানে থাকে বলো রশি। বাঁকা চাদটাও তো ইতিহাস নিয়ে কম কিছু খেলে নি গো! ওর পাপের সাজা তো ওকে পেতেই হবে। আমি মাকে সব বলে রেখেছি। অমাবস্যার রাতে মা কি বললো জানো রশি? মা বললো যা ভবানী তাই বিড়েমাথা আর তাই ওই পলিটিক্যাল মাগি। এরা সব আত্ম-বিনষ্ট ভাবের বাল-সাধক। এদের তো গুরু জোটেনি এরা নিজেদের বৃহৎ বাল মনে করে সাধনা করছে। তাই তাদের সাধনাও তো বাল হচ্ছে গো রশি। যে গুরুকে যেমন দেখবে নিজের অন্তরে তার সেইপ্রকার সাধনা হবে ঘাটে বন্দরে, কিলোয় আর হন্দরে। কারো বাংলার গ্রামে কারো গ্রামাফোনে কারো মিলিগ্রামে কারো নন্দীগ্রামে। কারো রামে তো কারো বামে, কারো ঘামে তো কারো ল্যাংড়া আমে – এই তো সাধনা গো রশি।
যে নিজেকে যেমন ভাববে সে তো তেমনি হয়ে যাবে গো। এই যে তুমি আর আমি সেইদিন রাতে সাধনা করতে গিয়ে কত্ত গাঁজা খেলেম। আমরা তো শিবভাবের শিবিরে ষাঁড়ের লোমের খেঁচা-ছেঁড়া অংশ হয়ে উড়ছি বাতাসে। শৈব ভাবে ধম্মের ষাঁড় হওয়া সে কি কম পূণ্যের কথা গো! ধম্মের ষাঁড় বাতাসে ওড়ে। ধম্মের গেঁড়াকল কলকল করে গাঁড়ে। হাড়ে হাড়ে আকালী গো হাড়ে হাড়ে আকালী। তুমি বল না আমি তোমার হাড় মাস আকালী করে দিলাম। আকালী করে দিলে আর দেখবে কি করে বলো রশি। যা দেখা যাবে না তাই তো নিরাকার।
নিরাকার, বিরাটাকার আর হীরা কার সোনা কার লোম কার বাঁড়া কার অডি কার বি এম ডব্লু কার….রোলস রয়েস কার..কার কার কার….আমি কার তুমি কার….কে কার বলতো রশি….দাও এ- লাল-প্যাকেটের মালে হুঁকো সেজে দাও তো রশি…তোমায় কার-তত্ত্বটা বুঝিয়ে বলি। আমি আর জ্ঞান পাবো বলো কোথায়। মা যা বলেন আমিও তাই তাই বলে যাই। আর এই লাল-প্যাকেট ফুঁকলে সব বাল-পনা ধোঁয়ার মতো দেখতে পাই। তখন কি আর ন্যালাক্ষ্যাপা হয়ে থাকলে চলে গো? তখন এই সব বালেদের উড়ন্তলোকের ওড়াওড়ি দেখতে সময় চলে যায়।
মা…মাগো তুই আমায় বাল করে দে মা। আমি উড়ে উড়ে চলে যাবো মাগো….আমায় বাল করে দে মা…। আমায় গজেনের মতো ছিঁড়ে উড়িয়ে দে মা। আমি সমাধি নিয়ে ঝাঁট-লোকে চলে যাই গো মা। এ রোজ রোজ ছেঁড়া আর ভালো লাগে না। রশি, তুমি তো বল লাল-প্যাকেট খেয়ে রোজ রাতে আমি নাকি একদিন বিশাল বাল হবো….সব বাল আমাকে মহাবাল বলে চিনবে…।
চিনতে কি আর বাকি আছে….তুমি কত্ত বড়ো বাল হলে ওই পলিটিক্যাল মাগিটাকে আস্কারা দাও আর সেও বিড়েমাথায় কাঁঠাল ভেঙে ভবানী পাঠকের সাথে আজকাল ফষ্টিনষ্টি করছে। কত্ত বড়ো আস্পদ্দা মাগির একজন জ্ঞানীগুনী মানুষকে নিয়ে এরকম খিল্লি করছে। কোনো বিচারবোধ আছে না কোনদিন হবে ওই মাগির?
হবে গো রশি, সবি হবে….সময় কালে সবার সব হবে। মা বলেছে ঘড়ি-ক্যালেণ্ডারে সময় নেই সময় আছে তোমার কাজে…কাজ না করলে লাল-প্যাকেট না ফুঁকলে কাজ করে কি করবে? কি কাজ করছে তাই যখন জানে না তখন কাজ করে কি আহাম্মকিটা হচ্ছে বলতো রশি…..? সব মায়ের ইচ্ছে….। মা যখন যাকে দিয়ে যা করানোর করিয়ে নেন…. মা মাগো মা ….বাল-মহাবাল ভালো কর গো মা…..খ্যামটা মাগি ভালো কর গো মা……..।।
গিরি এসে ঢোকেন আচমকা….ঠাকুর ঠাকুর ঠাকুর……তুমি এ সব কি করছো ঠাকুর? একি অনাসৃষ্টি হচ্ছে দেশে…আমার গজেনের শো-কে তো সরকার বন্ধ করে দিয়েছে গো ঠাকুর। গজেনের পালা নাকি বেআইনি হয়ে যাচ্ছে….। খেঁদি-মাগির দলে ভবানী পাঠকের মতো চোর ডাকাতের পাণ্ডা এসেছে…এর থেকে আর কি ভালো হবে গো ঠাকুর। আমার বালের বাংলা আজ ছারখার হয়ে গেল…..নবাব সিরাজদ্দৌলা…..কোথায় তোমার কৃপাণ….আজি নেমে এসো নটরাজ…ভক্ত-ধ্রুবের পানে চাও…চাহ গো তার কচিপ্রাণের পানে একটিবার….। আলো আলো ….আমরা তো আলোকের পথে চলেছি…..হে আমার পুণ্যভূমি….হে তোমার জীবন-দুনিয়া। ওগো সখা মোর প্রিয় মোর…..।
রশিদা এগিয়ে এসে বললেন… বাবা গিরি তোমার কি নাট্য-রস আজকে বেশি হয়ে গেছে বাবা? যখন-তখন এক্টো করছো কেন? লাল-প্যাকেট চাই? ঘুম হচ্ছে না…?
মা-গো মাগো মাগো! তুমি তো আমার মা। তুমি তো স—ব বোঝ মা!
আরে পাগল অমন কান্নার কি আছে? অমি নিজে হাতে তোকে লাল-প্যাকেট বানিয়ে দেবো খনে। এখন এট্টু বিশ্রাম কর না বাবা…।
বিশ্রামের বেশি সময় নাই। রদা-ঠাকুর তীক্ষ্ন চোখে তাকান গিরির দিকে। নরম করে বলেন গিরি…আয় রে আয় রাত বাড়ছে একবার মন্দির থেকে ঘুরে আসি…মায়ের আদেশ রে… অমান্য করা যায় না। রশি তুমি বসে হুঁকো ফোঁকো না এ-খানি। আমি মাতালটাকে নিয়ে একটু মায়ের মন্দির হয়ে আসি।
রদা-গিরি আকালী-মন্দিরের পানে যাওয়ার দুই মিনিটের মাথায় গিরিশের আর্তনাদ ও পতনের প্রবল শব্দ শোনেন রশিদা। আর তারও তিরিশ সেকেণ্ড পরে রদা-ঠাকুরের হোহোহো হুহুহু হ্যাহ্যাহ্যা হাসি…..। রশিদা দুটো বড় হুঁকো পাফ নিয়ে শান্ত-ভাবে ধোঁয়া ছেড়ে বলেন…, ওই আবার মায়ের মন্দিরে নিয়ে ক্যালা-কেলি করছে…..। পাগল ঠাকুর আমার….সবাইকে ক্যালায় রাতের বেলায় মন্দিরে ফেলে মায়ের পায়ের তলায়……। লাল-জিভ আকালী….লাল-প্যাকেট আর একটা খালি…..। ওপাশে রদা-ঠাকুরের হুঙ্কার শোনা যায় ক্ষ্যাপাচোদা নাকিসুরের গলায়….ব্যোম-আকালী ব্যোম-আকালী….সব মায়ের ইচ্ছা….যত পাপ তত কেচ্ছা…..।।