মহাশয়, আপনার কি কুলির প্রয়োজন?

মহাশয়, আপনার কি কুলির প্রয়োজন?

নেতাজী সুভাষচন্দ্র আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের অ্যারাইভাল থেকে বেরিয়ে প্রস্টেট গ্ল্যাণ্ডের ব্যাথা হঠাৎ বেড়ে যায় বর্ণেশ্বরের। সিলিং ভরা ই-ঈ- ঐক্য বাক্য মাণিক্য দেখে… বলাৎকারী বর্ণ সিলিং-হারী আকর্ণ সুবর্ণ মূর্ধের অশেষ দোষ বটেক…মনে জাগেক…।

ডিপ্রেশন-বেদনা চ হতাশায় কারো কুলি লাগবে কিনা মর‌্যাল-মাড়ানো ইমাজিনেশনে দেখতে থাকেন। সকলে সদলে চলে ট্রলি ঠেলে। য ঠেলিতং স ট্রলি…বলে ওলা ক্যাব বুক করেন। কফি কাপে চুমুক দিয়ে পেপার-কাপ ডাস্টবিনে জাস্ট ফেলে ফ্যান্টাসি সন্ধানে ক্যাবে আরোহণ করেন। ক্যাবে উঠেই ধুতি খুলে পেঁচিয়ে রাখেন রিবকের ব্যাগে। ড্রাইভার বকবক করায় বাক্য বিরক্তং বিলক্ষণ বলেন একটু জোরে। পহলি বার কলকত্তা আ রহে হো ক্যা…পণ্ডিতজী…ইধার তো সালে বাংলা চলতে হ্যায়। উত্তরে বাংলা চাহিয়ে বলাতে এক গোপন বাংলা-গাঁজার ঠেকে হাজির করে ড্রাইভার।

আধঘন্টা দমদমের জ্যামে দাঁড়িয়ে ঘর্ম-ধর্ম-কর্ম কদাচ-বোকাচ-দান মান-ধন-ফান বলতে বলতে ঠেকের পাশের ফুটপাথ থেকে চে-গেভারা টিশার্ট কেনেন বর্ণেশ্বর-চন্দ্র। পাঁচশত-প্লাস্টিক প্যাকেট গঞ্জিকা আছে বটেক? বলাতে খালি গায়ের গাঁজাওয়ালা কালী মন্দিরের পাশ ঘেঁষে পাঁচিলের অন্ধকারে হারিয়ে যায়। দুটি বালক-বালিকা ফিকা-কাটিং চা-ধোঁয়ার ফাঁকে হেঁচকি হাসে বর্ণেশ্বরের পানে চেয়ে। ভ্যাকরণ শিক-কাবাব ব্যাকরণ শিক্ষার অভাব অতিশয়….বিচিত্র-বিনোদন-বীর্য মহাভারতম আজি সরগরম-নরম-পরম…আপন মনে আউড়ান…। লিটল চাচা ফাকিং ডোপিং ড্যুড…বলতে বলতে ঢ্যাঙা বালক-প্রায় বেরিয়ে যায় এক যুবক। কুলি লাগবে মহাশয় বলতে গিয়ে সামলে নেন বর্ণেশ্বর। এ নশ্বর জীবনে কে বা বহে কাহার বোঝা…ডোপিং-হোপিং-পিপিংটম-অনুপম-উত্তাপম-মধুরম ভাবতে ভাবতে গাঁজার পাঁচশো-প্যাকেট এসে যায়। গঞ্জিকা-পঞ্জিকা-লবডঙ্কা-লবণম বলে দাম মিটিয়ে ক্যাবে ওঠেন বর্ণেশ্বর। ক্যাব চলতে থাকে মহানগরীর পথে…।

কলেজস্ট্রীটের ভীড়ে সংস্কৃত কলেজের রাস্তা চিনতে বেশ কষ্ট হয় পণ্ডিতের। কফি হাউসের সিঁড়ি বেয়ে দোতালায় উঠে আসেন। বোকাচোদা বিহারী কফি কাপ নেহারী পদপল্লব মুদারি ছড়া কেটে এক তরুণী পাশ ঘেঁষে যায়। টেবিলে বসে কালো কফি ও কাটলেট অর্ডার দিয়ে এদিক ওদিক বঞ্চিত বানচোদের কোলাহলে কান পেতে নতুন শব্দ-সংগ্রহ-প্রয়োগের গবেষণায় ডুবে হঠাৎ হুঁশ ফেরে….ভাইয়া…আই মিন চাচু….ইয়ে জাগা তেরে লিয়ে থোড়া ভারী হ্যায়….তু মুলুক সে আভি আয়ে হো না? গায়ের চাদরটা ব্যাগে ঢোকানো হয় নি, খেয়াল হয়। বর্ণেশ্বর অপ্রতিভ হাসেন…একমুখ বিশাল-দাড়ি যুবক ঝুঁকে এসে …এক সেলফি হো যায় বস …পাশে ভীড় করে আসে তিন চারজন আরো। মালটাকে তোর পরের ফিলমে একটা রোল দে না বাঁড়া। গুরু জিন্নিস তো পুররো… পাররিনা…কফি হাউসে কি সব মাল ঢুকছে রে আজকাল…।

বাল-কেস বুঝে পণ্ডিত ব্যাগের পকেট থেকে গাঁজার প্লাস্টিক প্যাকেট বের করে বলেন গঞ্জিকা গেলৎ খ্যামটা খেলৎ। কফি এসে যায়। এক যুবকের হাতে প্রায় আধ-প্যাকেট ফাঁকা করে দিতে হয়। নেপালী গাঞ্জা চাচা….? ওয়ে কেমিক্যাল মিক্স তো নেহি হ্যায়…বলে কেউ। এক তরুণী নিচুস্বরে বলে, উই মাস্ট পে হিম….। বর্ণেশ্বর, মে নট পে হে-হে বাক’-অডস…বোকাচং বানোচং দ দদ দদানি বলে একমনে কাটলেট-কফি নিঃশেষ…তব করুণা অশেষঃ বলে বিল মিটিয়ে বেরিয়ে আসেন। দম নিতে কলেজ স্কোয়ারের পুকুরের পাশে গিয়ে বসে কাঠের পাইপে ঠেসে আগুন ধরান…একটা সেলফি নিয়ে হোয়াটস অ্যাপ খুলে নোরেনের মেসেজের রিপ্লাই করেন…..মি টু ইন দ্য সিটি…মে মিট সুন…ডিয়ার ইয়াং মঙ্ক….!

1 Comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *