ভবতি বিজ্ঞতমঃ ক্রমশো জনঃ
এটি সংস্কৃত বাক্য হলেও বাংলায় এর প্রায় সমার্থক কথা হচ্ছে—গাইতে গাইতে গায়েন, বাজাতে বাজাতে বায়েন। অর্থাৎ কোনো কাজে হঠাৎ করেই মানুষ দক্ষ হয়ে ওঠে না। এজন্য চাই ক্রমাগত অভ্যাস, সাধনা ও মনোনিবেশ। সংস্কৃত প্রবাদটির অর্থ হলো—মানুষ ক্রমে ক্রমে বিজ্ঞ বা দক্ষ হয়ে ওঠে।
বিধাতা তার সৃষ্টিকর্মে সুন্দর সুন্দর জিনিস যুক্ত করতে মনস্থ করেন। প্রথমে তিনি সৃষ্টি করলেন পদ্ম। কিন্তু তিনি দেখলেন দিনশেষে পদ্মফুল মলিন হয়ে যাচ্ছে অর্থাৎ তা স্থায়ী হচ্ছে না। তখন তিনি চাঁদ তৈরি করলেন মনের মাধুরী মিশিয়ে। দেখা গেল রাতশেষে চাঁদও অনুজ্জ্বল হয়ে যাচ্ছে। দিনে চাঁদের সৌন্দর্য উপভোগ করা যাচ্ছে না। সুতরাং চেষ্টা ও চিন্তা করতে করতে সৃষ্টিকর্তা দিন ও রাতে সমানভাবে প্রফুল্লতা পাবার জন্য সৃষ্টি করলেন মনোহর রমণীবদন। রমণীর সুন্দর মুখ ঈশ্বরের সৃষ্টির এক মহা অবদান।
স্বয়ং ঈশ্বরের হাতেই Trial and error এর মাধ্যমে যখন সৃষ্টিকর্মের গুণগত উন্নতি হচ্ছে তখন তার সৃষ্ট মানুষও একইভাবে কাজ করতে করতে অধিকতর বিজ্ঞ হয় এবং গুণগতভাবে উৎকৃষ্টতম অবস্থানে যায়। সংস্কৃতে পূর্বোক্ত কথাটি এভাবে আছে—
কমলিনী মলিনী দিবসাত্যয়ে
শশিকলা বিকলা ক্ষণদাক্ষয়ে।
ইতি বিধিবিদধে রমণীমুখং
ভবতি বিজ্ঞতমঃ ক্রমশো জনঃ ॥