প্যারিসে গজেন
আইফেল টাওয়ারের নীচে দাঁড়িয়ে একমনে জনগণের মধ্যে গে আর লেসবিয়ান খুঁজে যাচ্ছেন ম্যাডিউ। অঁরিয়েৎ লুভ্যরের ইস্ট সেকশনের থেকে বেরোতে পারেননি। রেনেসাঁ ও বারোক চিত্রকলায় আটকে আছেন তখনো। রাত পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। গজেনকে সামলে রেখেছেন নিবু। ডিজাইনার ড্রেসে তাঁর দু একটি ঝাঁটের বাল উন্মুক্ত করা হয়েছে। ফ্রেঞ্চ ভাষায় সে তাঁর বাল লেখা হয়েছে তার ঝাঁট-জ্বালানো স্লিভলেস টিশার্টের সামনে ও পিছনে। নিবুর ব্যাগে কয়েকটা এনার্জি ড্রিঙ্ক রাখা গজেনের শিল্পের প্রকাশে লাগবে ভেবে। গজেন চারপাশ দেখে একটু চুপচাপ মোডে চাপ খেয়ে গেছে কিনা বোঝার জন্য ম্যাডিউ মোটিভেট করার চেষ্টা করেন…….।
হে পারী, আইফেলে তব বিবিধ শিল্প
চমকি তাকাইনু আজি বোধ স্বল্প –
অজাত-ক্যাওড়া মাঝে ধরণী ধাবিত
ক্লিষ্ট কলেবরে গঞ্জিকা-ড্রাগাসক্ত।।
রমণী-মেল পুরুষ-ফিমেলে বিভক্ত বিকাশিত
ক্রোমোজোমে ক্রমে ক’ষ্টি নব-বিনাশ-নির্মাণে
মুক্ত-দেহপল্লব উন্মক্ত-উল্লাসে যাপন-আপনে
নৃত্য-সময় সিদ্ধান্ত-শীৎকারী শীতল-অতল।।
আজি খিঁচিবার খিন্ন-কলেবর বিবৃত বিশালতা
ওয়াইন-রক্তিমে রাঙায়ে শিল্প-শহর-সমর-সন্নিকটে
গভীর-ভীরু উৎসাহে মানব-শৃঙ্খলিত দাস-ব্যবসা
জগৎ-যম-জিজ্ঞাসে কি ফলে ফলিল ক্লীব দুরাশা?
এসো গে-লেসবিয়ান-হিমেল-শি-মেল অঙ্গ উন্মোচনে
রাস্তাপার্শে তবস্পর্শে ধন্য পথিকবর ইণ্ডিয়া-জাত-গাণ্ডুসম
উদগাণ্ডু-কুল নীরবে নিমজ্জনে নবাগত সময়োচিত
অনগ্রসরে বিদারী-বিম্বোচনে বিকৃতি-বিনাশ বর্ণিল।।
এ সমুচিত-চিৎকারী খিঁচিত শিল্প-শিঙা ফুঁকিয়া –
ফাকাইয়া ফাকিং-ফষ্টিবিনষ্টি ছিঁড়িত-তাড়নে ক’ষ্টি
কৃপাসিন্ধ আঁখি-আকুলিত লিবিডো-ডোপান্বেষী
বাহুপার্শ্বে বহ্নি-শিখা-সন্নিকটে বাল-বলিষ্ঠ।।
প্রকোষ্ঠ-মনে বেদনারাশিকৃত জন্ম যদি তব
ফরাসী কুলোদ্ভব কুলাচারী আচরিল উন্মাদে
খিঁচিয়া ছিন্ন-বালসম একাকী কাতর যুবক
পার্থিব পার্থ রণক্ষেত্রে যেমতি জিঘাংসা ঘ্যামে।।
জিজ্ঞাসে জিগোলো অর্থমূল্যে সংগম-পরাগামী
পশ্চাৎ যৌনগামী প্রাবল্য বাল-বোধন-খিঁচিত
আজি আসিয়াছে গজেন্দ্র তব দ্বার উদঘাটনে
বীর্যপাতনে সিদ্ধ ফরাসী-জাতিকুল যতনে।।
লহ পশ্চাত-সম্মুখদ্বারাভিষিক্ত অশ্রুপাত –
নিবিষ্ট-সুখ-লাগি মাগিছে নিবিষ্টতা রাষ্ট্র যেমতি
উৎকেন্দ্রীয় উল্লাসে উন্নাসিক সিক্ত অধোগতি
উদ্বাহু দর্পাচারী চোদনার্ত চির-চঞ্চল চিত্তাশ্রয়ে।।
চিত্তাকর্ষী আকন্ঠ-লাল ওয়াইন-সম উল্লাসজয়ী,
গজেন্দ্র গরবিত আবৃত বর্ণহীন বর্ণ উপনিবেশে।।
কালো হ্যাট পরা ম্যাডিউর জলদ-গম্ভীর কন্ঠের কবিতা শুনে নিমেষে ভিড় জমে যায় আইফেল টাওয়ারের গাঁজাখোর ও ট্যুরিস্ট দলের। সকলে ঘিরে ধরে ম্যাডিউকে। টিভি চ্যানেল ফ্রান্স টোয়েন্টিফোর, টিভিএস মোণ্ডে, বি এম ওয়ান, ইউরোনিউজ ইত্যাদি কভার করে ম্যাডিউকে। সকলে ম্যাডিউ-কাব্য রেকর্ড করে অনলাইন ট্রান্সলেট করে মানে বোঝার প্রচণ্ড চেষ্টা করতে থাকে। অঁরিয়েৎ আসা পর্যন্ত ম্যাডিউ সকলকে থামিয়ে রাখেন।
ইত্যবসরে গজেন টিভি চ্যানেলের রিপোর্টারদের সাথে টাওয়ারের পাশ ঘেঁসে এগিয়ে যায় শঁ দ্য মার পার্কের দিকে। নিবু গজেনকে হারিয়ে ফেলেন ভিড়ের ভেতর। গজেনকে যোগাযোগ করা যায় না। ম্যাডিউ চ্যানেলকে বোঝাতে থাকেন গজেনের ব্যাকগ্রাউণ্ড। আইফেল টাওয়ারের গ্রাউণ্ডে বসে হঠাৎ জোরে চেঁচিয়ে কাঁদতে শুরু করেন নিবু। টিভি ক্যামেরা নিবুর কান্না লাইভ টেলিকাস্ট শুরু করে ম্যাডিউ অজান্তে। ম্যাডিউ ফোনে রিং টোন শোনা যায়। গন্ধক গাঁড়গুপ্ত…ম্যাডিউ-স্যার মে আই জয়েন উই টুনাইট টাইপের কিছু বলতে থাকেন বার বার। টিভি চ্যানেলের ভীড়ে ম্যাডিউ হারিয়ে যান। হারিয়ে যায় গন্ধকের কন্ঠ….বারে বারে। ম্যাডিউ অঁরিয়েতকে ফোন করার চেষ্টা করেন। লুভ্যরের ভেতরে ফোন অ্যালাউড নয়। অঁরিয়েতের ফোনে রিং বাজে না… ম্যাডিউ কথা চালিয়ে যান টিভি চ্যানেলের সাথে।
গজেন পার্কে বসে ছিলিম বের করে…..ইণ্ডিয়ান পাইপ…ইটস গ্রেট…..গোজ ওয়েল এণ্ড মদ উইথ মাই র্যাডিক্যাল আর্ট……। ছিলিম ধরিয়ে দেন এক লিকপিকে চেহারার লেসবিয়ান প্রায়-টপলেস বিপ্লবী ফরাসী তরুণী। গো জেন……গোজেন ধ্বনির মাঝে গজেন শঁ দ্য মার পার্কের এককোণে হালকা ছেঁড়া র্যাপ-টেগোর শুরু করে…….পাল ছেঁড়া বাল ছেঁড়া ব্যাথা বেজে ওঠে কয়েকটি ফরাসী প্রাণের মাঝে……ওহ গোজেনড্রো…..ইউ মাস্ট বি আ লেজেনড্রো……
এতে ভ্য লিবা সে সোয়া…..? জ সুই বিয়াট্রেচ……পুরুষালী এক মহিলার মুখপানে তাকিয়ে থাকে গজেন….গঞ্জিকা-ছিলিমে আর আধো আঁধারে তাকে রবীনের সাথে হাঁটা রাঙামাটির পথের শ্যামা মেয়ে বলে মনে হয় গোজেনের…..। ক্ষীণকন্ঠে বঁসোয়া ম্যাদমোয়াজেল বলে হাফপ্যান্টের পকেট হাতড়ে নিবুর দেওয়া ছোট্ট- প্যাকেট এগিয়ে দেয় বিয়াট্রেচের হাতে…..বিয়াট্রেচ উল্টে পাল্টে দেখে…..লাল হলোগ্রাম রিফ্লেক্ট করে রাত-আলোয়….’লা মোক্সা মারিওনা…..’।।