পোষা দোয়েলের শিস
পোষা সে দোয়েল এসে বন্ধ চোখে ঠোঁট ঘষে কয়
ওরে ও মামুদ কানা, চোখ মেলে দেখবে না ভোর?
ললাটে পাখির নাচে অকস্মাৎ কেটে গেলে ঘোর
চেয়ে দেখি লেজঝোলা, স্বপ্ন কিংবা দৈববাণী নয়।
পাখি সেই দুঃসাহসী, কালো চঞ্চ, তীক্ষ্ণ তার শিস
ঊষার প্রার্থনা সেরে পিঠ রেখে নিজের শয্যায়
যখন মুদেছি চোখ অকস্মাৎ হাড়ে ও মজ্জায়
ঢুকেছে পাখির শিস, ডাক নয় আল্লার আশিস।
অন্ধের তো শব্দই সম্বল। অকস্মাৎ পাখিটির ডাক
চোখের পাপড়ি দুটি খুলে দিয়ে কৃপণ আলোর
যতটা শুষতে পারে চেখে নিয়ে দেখে এক অফুরন্ত ভোর
অনন্তে অপেক্ষমাণ, চতুর্দিকে আলোর মৌচাক।
পাখিটি ললাট ছেড়ে বসে গিয়ে লাউয়ের মাচায়
মুক্তপ্রাণে গান গায়। আমি আছি নিজের খাঁচায়।