পার্বতী

শিবের পত্নী ও মহাভারতের লিপিকার গণেশের মা। পার্বতী ও শিব (রুদ্র) যখন সন্তানলাভের জন্য মিলিত হতে যাচ্ছেন তখন দেবতারা এসে মহাদেবকে বললেন যে, মহাদেব অতিশয় তেজস্বী ও পার্বতীও তেজস্বিনী। ওঁদের দুজনের যে পুত্র হবে তাঁর তেজে ত্রিভুবন ভস্ম হয়ে যাবে। সুতরাং মহাদেব যেন দেবীর গর্ভে পুত্র উৎপাদন না করেন। মহাদেব ‘তাই হবে’ বলে উর্ধরেতা হলেন। কিন্তু পার্বতী আপন সন্তানলাভে বঞ্চিত হয়ে যে-সব দেবতারা মহাদেবের কাছে এসেছিলেন, তাঁদের অভিশাপ দিলেন যে, ওঁদেরও নিজেদের কোনও সন্তান হবে না। গণেশ কি করে পার্বতীর সন্তান হলেন – সে বিষয়ে মহাভারতে কিছু লেখা নেই। গণেশের নানাবিধ জন্ম বৃত্তান্ত পুরাণে পাওয়া যায়। শিবপুরাণে বলা হয়েছে যে, জলের পাঁক থেকে পার্বতী গণেশকে সৃষ্টি করেছিলেন। শরণাগতাকে পার্বতী ফিরিয়ে দিতেন না। রুক্মিনী, যিনি মনে মনে কৃষ্ণকে পতি হিসেবে বরণ করেছিলেন, তিনি চেদি-রাজ শিশুপালের হাত থেকে মুক্তি পাবার জন্য পার্বতীর কাছে প্রার্থনা করেছিলেন। কৃষ্ণকেই রুক্মিনী পতি হিসেবে পান।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *