দোলে গাঁজার দোলনচাঁপা মোক্সা-আকাশে…

দোলে গাঁজার দোলনচাঁপা মোক্সা-আকাশে…

সিস্টার নিবুকে পার্কিং-লটে প্রপোজ-টাইপ ফিসফিসানি শোনানোর পরে নিবুর অঙ্গে অঙ্গে বাজতে থাকে এক নতুন বাঁশি। গজেনের দার্শনিকতা তার রাঙামাটির পরে বীজের চিহ্ন রেখে যাওয়ার বাল-অঙ্গীকার আর তার যাবার বেলায় ম্যাডিউর অডিকারের জানালা-ফ্রেম-বন্দি ক্যাওড়া মুখের প্রোফাইলে নিবু আবার অনেক অনেক বছর পরে তার নব-নোরেন-ভারত-উদ্ধার মানবতা বাঁচাও ব্যাপক ছেঁড়ো-খেঁচাও ধ্বনিতে শুনতে পান। কোন সে আহবান ধনি মধুর-খেঁচায় ছিন্নপত্র-সম ছেঁড়ায় এক সকাল-সন্ধ্যা সমকালীন অসম্ভব আগমনী আপাত-অশালীন ঝিনঝিন খেলে যায় তার রক্তে।

নিবু শুনতে পান তিনি বলছেন তার নব-নোরেন গজেনকে….তুমি আমায় মোক্সা মারিজুয়ানা দাও। আমি তোমায় স্বাধীনতা দেব। বিড়বিড়িয়ে মানবাধিকার ও স্বাধীনতার ড্রিমভারে ড্রিডিম ড্রিম বাণীর গমকে মেতে থাকে তার আয়ারল্যাণ্ড-জাত গ্র্যাণ্ড ক্যানিয়ন প্রাণ। রাইজিং অব মুন, বিপ্লবের হয় না জখম হয় না খুন। শুনলে ইয়ে ইণ্ডিয়া আজ শুন সায়েবা শুন। সুন দ্য মুন উড রাইজ এগেইন। একা পথ চলেন নিবু। অনেক স্কুলে অমর্ত্য সেনসেক্স মিড-ডে মিলে ছাঁইপাশ গেলানো হচ্ছে স্টুডেন্টদের। অনেক স্টুডেন্ট ব্লু হোয়েল খেলে মৃত-দোয়েলের মতো ঝরে যাচ্ছে এডু-সিস্টেম গাছ থেকে। মরা মাছ হয়ে ভাসছে এ সমাজের আনাচে-কানাচে কত ক্যাওড়া ঝমঝম খোকাবাবুর লালজুতো-পায়ের নাচে। নিবু সারাদিন ভেবে যান। ক্যানো এমনটা হতে থাকবে। রশিদা মাকে গিয়ে এসব বলে হাউ হাউ হোয়াট হোয়াট হোয়াই হোয়াই করে কাঁদতে থাকেন নিবু।

হোয়াই গজেন হোয়াই গজেন… বলে খোয়াই-কোপাই পারে হেঁটে চলেন রবীন। সাথে ফুলের ডালা নিয়ে চলে শ্যামা মেয়ে। রবীনের গান আলতো-ক্যাওড়া ভার্সনে শোনায় তাঁকেই। রবীনের আজকাল নিজের পুরোনো গান বড় অসহ্য লাগে। অত্ত ঘ্যানঘেনে প্যানপেনে ফর্মে প্রচণ্ড দাড়ি কুটকুট করে তাঁর। শ্যামাকে নিয়ে গাছতলায় বসেন রবীন। এই সে গাছতলা যেথায় বীর্যপাত করেছিল গজেন। গভীর দুখে ক্ষণিক সুখে চোখের জলে সে দিন গেছে চলে। দেখে শ্যামা, সে-দিনের সে হ্যাণ্ডেল-বালকের বীর্যের ছায়া পড়েছে আজ ওই গগনতলে।

শ্যামা রবীনের আঁখির পানে চেয়ে দেখে বালের বলাকা-ময় ঐ গগনের মেঘগুলিরে। শ্রাবনগগনতলে আজি পড়িল বীর্য-ছায়া। একি সত্য একি মায়া? নীল-অঞ্জন-ঘন কুঞ্জ’ ছায়ায় দেখা যায় এ কি তৃষ্ণা! কেন শ্যামা-পরাণে বাজে সে গজেন-রম্যবীণা। আর ভয় করিনে, ভয় করিনে আমার দৃষ্টিকে বলে শ্যামা দৌড়ে যান ছাতিম গাছের ছায়ায় মদির-মায়ায় গজেনের বীর্যধারাপাতের হারানো স্রোতের সন্ধানে। রবীন গেয়ে ওঠেন সরু গলায়। আমার সকল রসের ধারা আজি তোমাতে হোক না হারা….শ্যামা উত্তরে বলেন যে নদী মরুপথে হারালো ধারা জানি হে জানি তাও হয়নি হারা….যে বীজ না ফলিতে পড়েছে ধরণীতে জানি হে জানি তাও হয়নি হারা… পথভোলা পথিক হয়ে নৃত্য সুরু করেন রবীন….শ্যামা পথের শেষ কোথায় আর কি আছে শেষে তা নিয়ে এক অশেষ কোয়েস্ট মাড়িয়ে ব্যস্ত করে তোলেন রবীনকে।

কেন তোমরা রবীনকে ডাকো…আমার মন না মানে বলে রবীন ছুটে যান ললিত-দিগন্তে। আমার সকল ক্যাওড়া মাঝে বলে দিগন্তে হারানোর বডি-ল্যাঙ্গোয়েজে ছুটতে শুরু করেন। উড়তে থাকে তাঁর বোকাচোদা উত্তরীয়। শ্যামা চেঁচায়। এই বালের উত্তরীয়…তোমার পতাকা করিয়া নিও….নিও হে নিও হে নিও হে…..ম্যাট্রিক্সের নিওর ন্যায় হাওয়া ফুঁড়ে কে যেন হাজির হয় সেথায় তমালতরু-তলে…..ডুয়েট গান শোনা যায় ছাতিম তলার পাতার আড়াল থেকে……দোলে গাঁজার দোলনচাঁপা মোক্সা-আকাশে দোলে দোলে……রবীন-শ্যামা সঙ্গীতসুধারস পরস্পরের প্রাণে ঢালাঢালির মাঝে থমকে যান….নিবু-গজেন আলিঙ্গনাবদ্ধ ছাতিম-তলে।

দুজনের ঠোঁটে লাল চেনা প্যাকেট-চিহ্ন। অধরের বাণী রবে না অধরে পড়িবে ঝরিয়া ঝরঝর প্রাণে …..রবীন বলামাত্র গজেন কাত হয়ে পড়ে ছাতিম তলায়….নিবু তার পাশে হাঁটু গেঁড়ে ক্যামেরা বের করে……গেয়ে ওঠে নিবু…..আজি ঝরঝর মুখর বাদর দিনে….জানি নে জানি নে……কিছুতে কেন যে খেঁচা ছাড়িনে…..খিঁচতে শুরু করে গজেন। মুখে এক অনাবিল শান্তি নিয়ে দেখতে থাকেন রবীন….শ্যামা মেয়ে দৌড়ে আসে দিগন্ত থেকে…..রবীনের উত্তরীয় হাওয়ায় ভাসিয়ে দেয় গজেনের পানে…….আজি সিক্ত করো প্রখর তাপদগ্ধ বসন-প্রান্ত….আজি এ মৃত-পৃথিবীর মৃত্তিকারে করো ক্যাওড়া-খেঁচায় ছেঁড়া-জ্যান্ত…..তুমি সত্য ব্রহ্ম উপাসক গজেন্দ্র…..। গজেন দ্বিতীয় ডিগ্রি কোমাপেশেন্টের প্রচণ্ড নেশা-ময় ভায়োলেট চোখে অজ্ঞান হয়ে যেতে যেতে অস্ফুটে বলে….কে-রে……নিবু বিড়বিড় করে কাট কাট…..বলে ক্যামেরা অফ করেন…।।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *