দিব্যজীবন…ও বাণী

দিব্যজীবন…ও বাণী

ব্যোম-শঙ্কর-কালী-বেদান্ত অনন্ত আকাশে ডিভাইন লাইফ বা দিব্য-জীবনের প্রিল্যুড -সুরে বিকট-শব্দে আলিপুরে ব্যোম ফাটে। তরুণ বিপ্লবীর গাঁড়ে ডাণ্ডা করে ব্রিটিশ। বেগতিক দেখে জেলে ঢুকে তুমুল ধ্যান-গীতা-মৌনতায় ভড়কে দিলেন কারাগাঁড়-চোদায়ে অ্যারিবিন। সকাল বিকেল আনমনে বিপ্লবীয় স্ট্যাম্প খসিয়ে সাধু-সন্ত মিস্টিক হব্যার ব্যাপক উৎসাহে হঠযোগ-ধ্যানযোগ-ক্রিয়াযোগ মাড়িয়ে প্রচণ্ড ঘাবড়ে দিলেন ব্রিটিশ তথা ভারত-পৃথিবী। ব্যোম মারা ও বিপ্লব করায় ভ্রাতা বারীন প্রচণ্ড বাড় খেয়ে যায়। দাদা-ভাইয়ের ফিল্ম-কাস্টিং-এ ব্যাপক খুন্দাস-ময় বিপ্লবে বনবন করে ঘুরে যায় সক্কলের মাথা।

মাথায় একরাশ মেডিটেশন নিয়ে সমাধিস্থ অ্যারিবিন আরেক ব্যোমের সন্ধান করেন ফাটিয়ে দেওয়ায় সাধনায় বারে বারে। পণ্ডিচেরীর অরোভিলের আঙ্গিনা থেকে সূক্ষতম শরীরে সুড়ুত করে কলকাতায় এসে হাওয়ায় হালকা গা রাখেন মাটিতে, পা না রেখেই সন্ত অ্যারিবিন। রবীন নমস্কার জানিয়েছেন কাব্যে। অ্যারিবিন পণ্ডিচেরীর সাগর-পাড়ের চেরী ফল হতে ভারচুয়াল পটাশ-গন্ধক মিশ্রণে ফাটিয়ে দিয়েছেন দিব্য-জীবন ও বাণী। হিটলারের বিশ্বযুদ্ধকে নিয়ন্ত্রন করেছেন কলকাতায় বসে মানবতাকে বাঁচাতে। হিটলার বাহিনী পিছু হটেছে তাঁর কলকাতা থেকে ছুঁড়ে দেওয়া ভারচুয়্যাল ব্যোমে। সিরির সাথে শপিং মলে ঘুরে কিছু আধ্যাত্মিক ফেং শুই অ্যাকসেসরিসের খোঁজ করছিলেন দিব্য-আলোক চোখে মেখে বোমার মামলার জেল-খালাস অ্যারিবিন।

কি করে ব্রিটিশের মতো অতি-চুতিয়াকে বাল-চুতিয়া বানাইলেন তা নিয়ে প্রচুর গবেষণা হতে পারত কিন্তু পুরো আত্মা-আলোড়নকারী ব্যাপার বলে তা লিপিবদ্ধ করা যায় নি। শপিং মলের ফুডকোর্টে সিরিমা সাবওয়ের সাত্ত্বিক স্যাণ্ডুইচ খেতে খেতে অ্যারিবিনের ব্যোম কাহিনি ও কারা কাহিনির বারবার শোনা রোমহর্ষক অংশ ব্রিটিশের বংশ-প্রদান ও অরবিন্দের গাঁড়-মারা এসকেপের কথা আবার রেলিশ করে শুনছিলেন আর দেশবন্ধুর দেশিয়-স্টাইল ব্যারিস্টারির মুগ্ধ প্রশংসা করে যাচ্ছিলেন ও খাচ্ছিলেন। হঠাৎ লালগাঁজা চোখের নোরেনকে রেমণ্ড-স্যুটের আউইটলেটে দেখতে পান অ্যারিবিন। আরে বঁজও নোরেন, কমো সাভা? ফরাসী অভিবাদনে নোরেন ফুল ফ্রেঞ্চ স্টাইলে কাঁধ ঝাঁকালেন। গ্রে স্যুটের প্যাকেট নিয়ে বিল করছেন নিবু।

অ্যারিবিন-নোরেন-শ্রীমা-নিবু সবাই সবাইকে হাগ করলেন বহু সময় ধরে। ভারত-আয়ারল্যাণ্ড-ফ্রান্সের ম্যাপ মিলেমিশে গেল চারজোড়া কানে। সকলে মিলে কফি খেতে বসলেন বাংলার উজ্জ্বল সন্ধ্যায়। কথায় কথায় গজেনের বিপ্লবের কথা এসে গেল। সিরিমা প্রচণ্ড আবেগাপ্লুটো আর বাকিরা ইউরেনাস-নেপচুন…পুরো সৌরমণ্ডল-আবেগিত। অ্যারিবিন বললেন এভাবে যে ব্যোম মারা যায় খালি হাতে তা জানলে তিনি কারা-এপিসোডে অবশ্যি ট্রাই করতেন। সিরিমা রিঅ্যাকশনে অনেক হেসে মুখ লাল করে ফেললেন। নিবু বললেন গজেনকে প্রিন্সিপ্যাল করে তিনি একটা খেঁচো-ছেঁড়ো বালক-বালিকা বিদ্যালয় তৈরি করবেন তাঁর জীবৎকালে। জমি আছে কি না জানতে খেঁদির সেক্রেটারিকে ফোন করলেন নিবু। রশিদার টাকা যদি কিছু ভালো কাজে ব্যবহার করা হয় তবে গদা-ঠাকুর খুশিও হবেন। একদিন বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে তিনি কল্পতরু হয়ে গেলেই সবাই ডিগ্রি-ফিগ্রি চেয়ে নেবে প্রাণভরে। অনেক প্ল্যানিং হলো গজেন স্কুল অব খেঁচা-ছঁড়া আর্ট পণ্ডিচেরীতে বানাবেন সিরিমা।

গজেন গীতি তৈরির কথা বলবেন প্যারিসের গে-লেসবিয়ান শিল্পীদের। গজনের নজেন জেলি মানুষের মনুষ্যত্ব বিকাশে জেলিসত্ত্ব বানানোতে ব্যাপক কাজে আসবে। অ্যাকোরিয়ামে গজেন জেলি ছেড়ে সেই মাছেদের পলিটিক্যাল কালার পাল্টায় কিনা এ নিয়ে হ্যাচিং-বিডের আখড়া করা যাবে সেক্টর ফাইভের মশা-পুকুরে বা বেলুড়ের মঠের এক কোণে – প্রস্তাব দিলেন নোরেন। হঠাৎ সিরিমা বললেন তিনি এই মাত্র গজেনকে দেখলেন শপিং মলের নীচের রাস্তায়। তড়িঘড়ি নিবু এসকালেটর ধরে নেমে আসলেন। বাকীরা পঞ্জাবী লস্যির প্লাস্টিক-স্ট্র টানছিলেন মন দিয়ে। নিবু ছোট্ট- বাইনোক্যালার চোখে দিয়ে প্রচণ্ড ভিড়ে খুঁজলেন গজেনের মুখ। ভালো করে চেনেন না। কি পরেছে গজেন তাও জানেন না। মনে হোলো পার্কিং লটে কেউ একজন দৌড়ে গিয়ে কাত হয়ে শুয়ে পড়লো। নিবু সর্ন্তপণে সাধু-সন্তের কাছে শেখা ধৈর্য্য নিয়ে একটা কালো অডি গাড়ির পাশ থেকে উঁকি দিলেন গজেনের নজেন-ট্রিক দেখার আশায়। কিন্তু নিবুকে দেখতে পেয়ে গাড়ির ভেতর থেকে ঈশারা করে দেন ম্যাডিউ-অঁরিয়েৎ।

লণ্ডনে বিশ্ব খেঁচো-ছেঁড়ো উৎসবে গজেনের রোলের ডেমো-শুটের জন্য তাকে নিয়ে বিগ বাজারে এসেছিলেন ম্যাডিউ-অঁরিয়েৎ। টপ সিক্রেট অ্যাক্টিভিজম ফ্রম পোস্ট কলোনিয়াল ইণ্ডিয়া। গজেন একলাফে উঠে বসে ম্যাডিউর গাড়িতে। ম্যাডিউ-অঁরিয়েৎকে লুকিয়ে নিবুদি আই লাভিউ ফ্রম মাই স্কুল-ডেজ ইন রাঙামাটি আর ভেজা-মাটি… তুমি ব্যাপক সেক্সি-সফট নিবুদি… বলে একটা দলা পাকানো খবরের কাগজের মোড়ক মাটিতে ফেলে উঠে বসে অডির ফ্রন্ট-সীটে। গাড়ি চলে যায়। ম্যাডিউ-অঁরিয়েতের দিকে তাকিয়ে গজেন বলে…সিক্রেট মেইনটেইনড মঁসিয়-ম্যাদমোয়াজেল। অঁরিয়েৎ বলেন …ফাক ম্যান… ইট কুড বি আ গ্রেট ব্লাণ্ডার…।

গজেন বলে, বাল-বাল বাঁচ গয়ে ম্যাম। বাল-ছেঁড়া হ্যাজ টার্নড রিস্কি ইন পার্কিং এরিয়া। অনেক বাল-অ্যাক্টিভিস্ট চারপাশে। নিবু পার্কিংলটের নিভু-আঁধারে কাগজের মোড়ক হাতে তুলেই গন্ধ শুঁকে নেন। নো, ইটস নট স্মেলিং সিমেন। ইটস দ্য সেম…দ্য মাস্টার্স স্টাফ… এ্যাজ আই গট টু সি হিম ডোপিং…এক সদ্য-দাঁড়ানো গাড়ির সাইডলাইটের আলোয় খুলতে থাকেন মোড়ক। বেরিয়ে আসে লাল হোলোগ্রাম….মোক্সা মারিজুয়ানা…।।

1 Comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *