দখিনা বাতাসে ওড়ে বসন-প্রান্ত…

দখিনা বাতাসে ওড়ে বসন-প্রান্ত…

কোপাই নদী-তীরে রবীনের ব্যাপক উল্লাস-উৎসাহে তাঁর চির-ক্ল্যাসিক গানে র‌্যাপ-হিপ-হপ ইলেকট্রনিক বিটস-ময় সুর আরোপ করে নৃত্য শুরু করে গজেন। শ্যামা-মেয়ে আকাশ-পানে যুগল-ভুরু তুলে দেখে মেঘের পরে জমা মেঘ। আঁধার হয়ে আসার বেলায় ঝড়ের রাতে, জ্যোৎস্না-রাতে চেল্লায় গজেন… ভালোবাসা কারে কয় সেক্কি ক্কেবল্লি খেঁচার আর্ট সেক্কি কেবলি ঝাঁটের বাল সেকি কেবলি বীর্য-জল? লোকে তবে করে কি সুখের তরে এমনি খেঁচার তাল? সেকি বাল সেকি বাল গো? এ বাল-পরাণ কি যে চায়…।

যা চায় তা কি ভুল করে চায়…? এমনি বসন্তে কত ফুল ফোটে কত পাখি গায় কত ঝাঁট-বাল উড়িছে বাতাসে কত মালে ভেজে মুখের ফ্যাকাশে কত বাঁশি গায়। শ্যামার সনে শেয়ার করে কাউন্টার ডোপ মারে গজেন। ঘন-আঁধার বনের পথে হারিয়ে যাবার বেলায় গেয়ে ওঠে তারা… আজি যত তারা তব আকাশে মোর ছেঁড়া বালে তারা বিকাশে। যেতে যেতে পথে পূর্ণিমার রাতে চাঁদ ওঠে পড়ে গগনে। হিমের রাতে ওই গগনের দীপগুলি নিভে যায়। দীপ নিবে গেছে মম নিশীথ সমীরে। এসে তুমি নিবু ওগো যেও না গো ফিরে। আমারে পড়িবে মনে যখন তরল-বীর্যের গন্ধ ভরিবে মন্দিরে। নিবু আসেন ধীরে। নাচে শ্যামা তালে তালে। তালে তালে।

নটরাজের জটার বাঁধন পড়ছে খুলে। গজেন গাছতলায় বসে শ্যামা-জয়েন্টে ঢলে পড়ে হ্যালুতে নিবুর কোলে। শ্যামা-নিবু-গজেন ফুঁকে চলে… গগনতলে জলে রাতের একলা-নিশির নীরব তারা। নিবু গান ধরেন তুমি রবে নীরবে হৃদয়ে মম। শ্যামা অন্ধকারে ছাতিম-তলে খোঁজে ধবল গাইয়ের গোবর। শুকনো ধুলো যত উড়ে যায়। কে জানিত আসবে গজেন গো অনাহুতের মত বলে হাওয়ায় মিলিয়ে যায় রবীনের সাদা দাড়ি আর বোকাচোদা উত্তরীয়।

দখিনা বাতাসে ওড়ে বসন-প্রান্ত। গজেন হেঁটে চলে একলা পান্থ। এখনো গদা-ট্রিকের পরেও সে ব্যাপক জ্যান্ত। পঞ্জাব-সিন্ধু-মারাঠা-উৎকলে ছড়িয়ে গেছে তার খেঁচা-ছেঁড়ার নব শিল্প। পথিক আমি পথেই বাসা আমার যেমন খেঁচা তেমনি ভাসা। ভাসাও আমায় ভাঁটার টানে তোমার পানে। আয় ঝড় নেমে আয়… আয় রে আমার শুকনো পাতার ডালে… বলে শ্যামা শুকনো পাতার ডাল শুকনো ধুলোর পরে জড়ো করে। আগুন জ্বালো আগুন জ্বালো বলে নিবু লাইটার দিয়ে ধরিয়ে দেন সে আগুন। আয় তবে সহচরী হাতে হাতে খিঁচি-ধরি।

না-চিবি ঘিরি ঘিরি গা-হিবি গান বলে তিনজনে ধীর লয়ে শুরু করে ক্যাওড়া নৃত্য। গজেন র‌্যাপ করে চলে, হাত রাখে আপন নজেনের ক্লোজ-আপে। নিবু ক্যামেরা বের করে তুলে চলেন ভিডিও। গজেন ডিগবাজি খায় সামনে-পেছনে-ডাইনে বামে। এত কামনা এত সাধনা কোথায় মেশে… বাঁড়া, কি আছে শেষে… বলে বারে বারে উল্টে পড়ে গজেন। শ্যামা মেয়ে ঘোর কালো আঁধারে রবীনের বোকাচোদা উত্তরীয় মেলে ছুটতে থাকে ছাতিম গাছের চারপাশে। হঠাৎ জামা খুলে ফেলে গজেন। টি-শার্ট খুলে ফেলেন নিবু। শাড়ি খুলে ফেলে শ্যামা।

আগুনের পরশমণি স্পর্শ করে তাদের। এ জীবন পুণ্য-কর পুণ্য কর এক নিঃশ্বাসে র‌্যাপ করে যায় গজেন। আঁধারের গায়ে গায়ে পরশ-প -পরশ-প- পরশ…ত-তব-ত-তব…সার-রারাত ফো-টাক তারা নব-নব- নব… আমার এই দেহ খানি তুলে ধর গেয়ে ওঠে গজেন। নিবু-শ্যামা মিলে তার দেহখানি তুলে ধরেন উর্ধ্বপানে। নিবু শট নেবার চেষ্টায় হিমসিম খান সে হিমের রাতে, ঝড়ের রাতে জ্যোৎস্না রাতে। অডি-গাড়ি থেকে মেনে ছুটে আসেন অঁরিয়েৎ-ম্যাডিউ। দুজনেই অন্তর্বাসে নগ্ন-গাত্রে ওয়াইন-পাত্র-হাতে। টোস্ট টু র‌্যাপ-স্টার গজেন বলে আগুনে একটু ওয়াইন ঢেলে দেন ম্যাডিউ। কোমর দুলছে অঁরিয়েতের। ম্যাডিউ মাঝে মাঝেই হাগ করেন সকলকে। হাই অন রেড-ওয়াইন। ম্যাডিউ গম্ভীর গলায় বাজে….হে বঙ্গ ভাণ্ডারে তব বিবিধ রতন…..বিবিধ রত্তন….রত্তন….রত্তন……..।

রবীনের উত্তরীয় শ্যামার হাত ফস্কে উড়ে যায় দূরে ওই গগনের দীপমালার পানে.. সকলে অবাক হয়ে দেখেন ফানুসের মতো সে বোকাচোদা উত্তরীয়ের উড়ে যাওয়া…..মন মোর হংসবলাকা যায় উড়ে……সরু মিহি গলায় শোনা যায় কোপাইয়ের অন্য পাড় হতে। জলের শব্দের সাথে মিশে মোক্সা-মারিজুয়ানার ভিজে গন্ধ আসে। বেজে চলে গজেনের ইলেকট্রনিক ডিজে-সংগীত। উড়ন্ত উত্তরীয়ের ছবি সকলের ম্যথায় কি এক নিমফুলের গন্ধের মতো ক্যাঁক করে লেগে থাকে। আবায় মিহি সরু গলায় শোনা যায়…..নয়নের দৃষ্টি হতে ঘুচবে কালো…যেখানে পড়বে সেথায় দেখবে আলো….ব্যথা মোর উঠবে জ্বলে উর্ধপানে…….

গজেন পকেট থেকে পুরোনো ছেঁড়া বাল বের করে উড়িয়ে দেয়….উড়ে এসে বাল পড়ে আগুনে….চিড় বিড় শব্দে জ্বলে যায় গজেনের বাল……ম্যাডিউ-অঁরিয়েৎ-নিবু শ্যামা একে একে আগুনে আহুতি দেন তাদের ডি-এন-এ সমৃদ্ধ বাল। গজেনের র‌্যাপ-ইলেক্ট্রনিকের ছন্দে। নিবুর ক্যামেরায় ডেটা কার্ডের ফাঁকা মেমারিতে বন্দি হয়ে যায় সে বাল-ফায়ার……কোপাইয়ের পাড় থেকে সরু গলার হারমনি শোনা যায় র‌্যাপ-ছন্দে…….আমার স্বপ্ন-ঘিরে যত মাতাল জোটে…….হঠাৎ বয়ে যায় পাগলা হাওয়া………বোকাচোদা উত্তরীয় আটকে যায় উঁচু গাছের ডালে। উড়তে থাকে পতাকার মতো ফত-ফত…ফ্যাৎফ্যাৎ…সাঁই-সাঁই ফ্যাতাড়ু হাওয়া বয়ে যায়……।

নিবুর ক্যামেরায় চার্জ শেষ হয়। নাচ চলতে থাকে। চিড়বিড় করে ওঠে আগুনের পরশমণি। মিশে যায় কোপাইয়ের এপাড় ওপাড় লাল-প্যাকেটের রঙ-গন্ধ…….হাওয়ায় বেড়ে যায় আগুন……নাচ তুঙ্গে ওঠে সকলের। অঁরিয়েতের আই ফোনে ধরা পড়ে সকলের মোক্সা-মারিজুয়ানা জয়েন্ট-ঠোঁটে ধোঁয়া-রঙের কান্না-হাসি চোখের ছবি…..আউট ফোকাসে সাদা দাড়ি ওড়ে আগুনের পরশে ছুঁয়ে যায় সকল বাল-হৃদয়……ওরে ঝড় নেমে আয় আহবানে নেমে আসে ঝড়……বাড়তে থাকে….ঝড়……পাগলা হাওয়ার সে বাদল-রাতে……..।।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *